নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মুক্তি আমার আলোয় এই আকাশে আমার মুক্তি ধুলোয় ধুলোয় ঘাসে ঘাসে

বন্ধু শুভ

আনকোরা যত নন্ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন্ খুশী। ‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি! গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ফুসি! স্বরাজীরা ভাবে নারাজী,নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি! © কাজী নজরুল ইসলাম

বন্ধু শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যা দেখি তাই হাওয়াই মিঠাই, আসলের আসল কিছু নাই

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৩




আমি যারে ভালবাসি
তারে আবার বাসি না
কেন তারে ভাল লাগে না
আমি যারে ভালবাসি।

মানুষের জীবন অতিবিচিত্র এক বিষয়ের নাম। মূলত গ্রহণ বর্জনের মানসিকতায় বিচিত্রতা থাকার কারণেই এর মধ্য দিয়ে সমূহ বিচিত্রতা প্রকাশ পেয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই প্রতিটি মানুষ বিচিত্রতাবহুল জীবন যাপন করে। আবার একে অন্যের বিচিত্র-বহুলতা দেখে আঁতকে ওঠে চমকে ওঠে। অথচ নিজের বিচিত্রতার বিষয়টি বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক মনে হয়। অন্যের বিচিত্রতার বিষয়টি কারো কাছে অপ্রত্যাশিত হলে ব্যক্তি প্রথমে নিজেই চমকে ওঠে, তারপর অভ্যস্ত হয়ে যায়। মানবচরিত্র অনুযায়ী অস্বাভাবিক ঘটে যাওয়ার বিষয়টি অল্প সময়েই মেনে নেওয়ার ক্ষমতা এরা (মানুষ) রাখে। আবার অস্বাভাবিকভাবে অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু পাওয়া হয়ে গেলে মানুষের ঘোর জন্মে বটে তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হয় না। সময়ের ব্যবধানে "এক সময়ের অপ্রত্যাশিত" বিষয়টাই মানুষ স্বাভাবিক প্রত্যাশার নিয়মে চাইতে থাকে। এই চাওয়াতে কতকটা থাকে প্রেম কতকটা প্রয়োজন।

পরবর্তী স্টেপ হচ্ছে প্রেম-প্রয়োজনের আধিক্য-অনাধিক্য সংক্রান্ত। এক্ষেত্রে কারো/কিছুর প্রতি যতক্ষণ প্রেম কাজ করে ততক্ষণই কেবল "যারে আমি ভালোবাসি/তারে আমি ভালোবাসি" টাইপ অবস্থা থাকে। তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে/প্রয়োজন মেটাতে- এমন নতুন কিছুর (অথবা কারোর) সংযোজনে কিংবা মহাকালের আবর্তনে নতুন সূর্যের আলোতে মানুষের মনে নতুন এক অবস্থার তৈরি হতে দেখা যায়। সেটা হচ্ছে "তারে আবার বাসি না"। মানব মন কৌতূহলী। ট্রেন বন্ধ করার পরও একটুখানি চলে। এটা চলতি অবস্থা রেশ বা ধাক্বা। ট্রেনের উদ্ভাবক মনুষ্যজাতি'রও এ ক্ষেত্রে ট্রেনের সাথে কিছুটা মিল আছে বৈকি। তাই তারা প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেও ভালোবাসা হারিয়ে গেলেও নিজেকে শুধায় "কেন তারে ভালো লাগে না?" তারপরও উত্তর মিলে কি? বোধহয় মিলে না।

প্রত্যাশিত অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির ভিড়েও কাউকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা হয়ে ওঠে না। হয়তো কারো কাছে নিজেকেও করে তোলা যায় না সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত। তাই পুরো পৃথিবী ঘুরেও কোথায় তৃপ্তি পাওয়া যায় না, শান্তি পাওয়া যায় না। এই শান্তি না পাওয়ার পেছনে কতটা অবদান নিজের আর কতটা পরিবেশের তার বের করা সময়সাপেক্ষ্য তো বটেই, বিশ্লেষণ ও চিন্তা সাপেক্ষ্যও। ফলাফল হাতে আসলেও যে বিশেষ লাভ হবে তা কিন্তু নয়। প্রত্যাশা প্রাপ্তির হিশাবনিকাশে কাউকে আর বিশ্বাস করা হয়ে ওঠে না, হয়ে ওঠে না পাওয়া। পর্বতের উচ্চতম স্থান পায়ের নিচে রেখে কৃতিত্ব অর্জন করলেও একটা অন্তরে স্থান লাভ করার শক্তি অর্জন করার আগে প্রাণবায়ুর যোগান ফুরিয়ে আসে। পৃথিবীর পথে প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে বহমান বায়ুর ঘর্ষণে চামড়া ক্ষয় হয়ে কুঞ্চিত হয়ে গেলেও অনধিকার অনধিকার-ই থেকে যায়। অধিকার করতে না পারার দুঃখে তখন সবাইকে মনে হয় হাওয়াই মিঠাই। পালাশ কিশোর বলে-

ঘুরলাম কত বৈদেশ বন্দর
পাইলাম না তো একটা অন্তর
যা দেখি তাই হাওয়ায় মিঠাই
আসলের আসল কিছু নাই ।

সারাজীবন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি'র হিশাব কষলেও মানুষ ফলাফল পায় শূন্য। সবই দেখে হাওয়াই মিঠাই। তবুও মানুষ বেঁচে থাকে আশায়। খুঁজে বেড়ায় একটা সঠিক অন্তর। দেশ থেকে দেশান্তরে। বলাই বাহুল্য, এই অন্তর আর পাওয়া হয়ে ওঠে না। তবু মানুষ দেশান্তরি হয়। বৈদেশ ঘুরে বেড়ায়। একই সাথে আবার তার আদিম ভূমি তাকে টেনে আনতে চায়। সে পড়ে যায় দোটানায়। এই দোটানা জীবনের জন্য বড়ই ক্ষতিকর। এ দোটানা কেবলই মায়া বাড়ায়, মোহ তৈরি করে। বাড়ায় শুধু আক্ষেপ আর অপেক্ষা। অপেক্ষাতে রেখে রেখে জীবনের সায়াহ্ন রেখা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। জীবনের অন্তিম রেখা কে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর করে তুলে। ওই পাড়ের ডাক চলে আসে। তখনও পাওয়া হয়ে ওঠে না কিছু। গৃহী বা সন্যাসী কোনটাই আর হওয়া যায় না। এর ফাঁকে রেডি হয়ে যায় কাফনের কাপড় অথবা চিতার আগুন। মায়া কি ছাড়া যায়? পালাশ কিশোর এবার বলে-

ঘরের মায়ায় টানে মোরে
বাহিরেও যে ছাড়ে নারে
রঙ্গিলা দো-টানায় পইড়া
সন্নাসী হইতেও আমি পারলাম ।


(সঙ্গীতশিল্পী পলাশ কিশোরের হাওয়াই মিঠাই গানের পঙক্তি ব্যবহৃত হয়েছে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার সবচেয়ে অলৌকিক বস্তু-প্রাণের নাম 'দেহ'। তারে আবিস্কার কর রে, মমিন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

বন্ধু শুভ বলেছেন: খুবই কঠিন কাজ

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আপনারে আপনি চিনিলে, জগতের সকল অচেনাকে চেনা সহজ হয়ে যায়। আপনাকে ধরতে পারলে জগতের সকল অধরাকে ধরে ফেলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু মায়ার এই জগতে আমরা তা কতটুকু পারি বা করার চেষ্টা করি।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

বন্ধু শুভ বলেছেন: আমরা জগতের সব কিছু চিনতে পারি বটে তবে নিজেকেই পারি না।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: খুবই কঠিন কাজ
মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

বন্ধু শুভ বলেছেন: স্বাগতম<স্বাগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.