নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মুক্তি আমার আলোয় এই আকাশে আমার মুক্তি ধুলোয় ধুলোয় ঘাসে ঘাসে

বন্ধু শুভ

আনকোরা যত নন্ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন্ খুশী। ‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি! গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ফুসি! স্বরাজীরা ভাবে নারাজী,নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি! © কাজী নজরুল ইসলাম

বন্ধু শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষিত অমানুষ কিংবা আসামাজিক

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫২



"চড়ুইভাতি" সিনেমার ফয়সাল চরিত্রটার কথা মনে আছে? যে বুয়েটের ছাত্র চরিত্রে অভিনয় করছিল এবং অসম্ভব মেধাবী এই তরুণ একপর্যায়ে ম্যামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এই টেলিছবিটা নিয়ে লিখলে অনায়াসে ১০০০ শব্দের বিশ্লেষণ বা রিভিউ কিংবা সমালোচনা লিখা যাবে, সেটা বিষয় না। প্রসঙ্গটা উল্লেখ করেছি অন্য কারণে।
ফয়সাল ম্যামের সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পর যখন একপর্যায়ে ম্যামের উপর প্রেশার আসল তখন ম্যাম তাকে (ফয়সাল) ম্যামের বাসায় আসতে না করেছিল এবং কিছুটা দূরুত্ব বজায় রাখবে বলে ঠিক করেছিল, আর এটা ফয়সালকে জানানোর পর সে অনেকটা মাইন্ড করেছিল। ব্যবস্থানুযায়ী ফয়সাল ম্যামকে ফোন করে বলল- "আপনি যে ফোন টা আমাকে গিফট্ করেছিলেন, সেটা কাল দিয়ে দেব"। বলাই বাহুল্য যে ফয়সালের ফোন ছিল না বলে ম্যাম ফয়সালকে একটা ফোন দিয়েছিলেন, যা ম্যামের হাসব্যান্ড বিদেশ থেকে পাঠিয়েছিলেন। আর একটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। টেলিছবিটা ২০০৩ এর দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল বলে সে সময়ের প্রেক্ষাপটে একটা ছেলের ফোন না থাকা কিংবা প্রেমিকার(?) কাছ থেকে ফোন না নেওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তো ম্যাম ফয়সালের ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার কথার বিপরীতে বলেছিলেন- "ফিরিয়ে দিবে কেন? তুমিও তো আমাকে অনেক কিছু দিয়েছো। তুমি চাইলেও তো আমি তোমাকে ওইগুলো ফেরত দেবো না। ওটা তোমার কাছেই থাক। রেখে দাও।"

প্রসঙ্গের অবতারণা যে জন্য-, আমার বন্ধু জহিরের সাথে তার প্রেমিকার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে কিছুদিন হলো। সোজা করে বললে ব্রেকাপ। কাল নাকি তার সাবেক প্রেমিকা ফোন করে বলছে যে, বন্ধু জহিরের দেওয়া গিফট্ গুলো সে ফেরত দপতে চায়। বন্ধু স্বভাবতই খুব অপ্রস্তুস হয়েছে এবং অপমানবোধ করেছে। আমার কাছে শেয়ার করেছে দুঃখটা হালকা করার জন্য।

সিনেমার গল্পটা বলে শুরু করেছিলাম এ কারণে যে, বন্ধুর গল্পটা এবং সিনেমার গল্পটা ভিন্ন তথা বিপরীত। এ থেকে আমরা একটা কারণ খুঁজে বের করতে পারব। অনেক চিন্তার পর আমি এই সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি যে, নিম্নমানের মানসিকতা ছাড়া কোন উপহার ফেরত দেওয়ার কথা মাথায় আসতে পারে না। আজকে হয়তো কারো সাথে আপনার সম্পর্ক নাই কিংবা সম্পর্কে আগের সেই জৌলুস টা নাই, তাই বলে আপনি ভালো সময়ে দেওয়া উপহার ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন না। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কগুলো চিরদিন একরকম থাকে না। হয়তো উন্নত হয়, অথবা অবনত হয়। অবনত হলেও কিন্তু পেছনে ফেলে আসা সুদিনগুলো মুছে যায় না। থেকে যায়, রেখে দিতে হয়।
মানুষের জীবনে আসলে কী আছে? জন্ম, বড় হওয়া, স্টাডি, চাকুরি, বিবাহ, বংশবিস্তার, খ্যাতি-যশ, আনন্দ উল্লাস, রোগ-ব্যারামের সাথে ধাক্কাধাক্কি অতঃপর মৃত্যুবরণ। এসব রুটিনের বাইরে আছে কেবল এইসব কিছু সম্পর্ক যা মানুষকে অনেক বেশি মানবিক করে তুলে, অনেক বেশি মানুষ করে তোলে।
কিন্তু এসব শিক্ষিত মানুষজন যখন এমন আচরণ করে তখন মনে প্রশ্ন জাগে, সত্যিই কি সম্পর্কের সময়টাতে আমরা মানবিক হতে পেরেছিলাম? অথবা মানুষ হতে?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কাল নাকি তার সাবেক প্রেমিকা ফোন করে বলছে যে, বন্ধু জহিরের দেওয়া গিফট্ গুলো সে ফেরত দপতে(দিতে? /না পেতে?) চায়
আপনার বন্ধুকে বলেন চুপচাপ সব ফেরত দিতে/নিতে। পাওয়াগুলো কাছে রাখতে না চাইলে ওসব ফকিরকে দিয়ে দিবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

বন্ধু শুভ বলেছেন: যে দিয়ে ফেরত চায় সেও ফকিরই..............

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সিনেমা টা আমার দেখা হয়নি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

বন্ধু শুভ বলেছেন: দারুণ আছে, দেখে ফেলুন। তারপর ব্যাচেলর দেখবেন। আরো দারুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.