নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মুক্তি আমার আলোয় এই আকাশে আমার মুক্তি ধুলোয় ধুলোয় ঘাসে ঘাসে

বন্ধু শুভ

আনকোরা যত নন্ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন্ খুশী। ‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি! গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ফুসি! স্বরাজীরা ভাবে নারাজী,নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি! © কাজী নজরুল ইসলাম

বন্ধু শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমন ফেস ফ্যাক্টর

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৪



কারো নাম বলা হলে অথবা কাউকে দেখলে আমাদের মনে তার একটা "কমন ফেস" ভেসে ওঠে। সেই "কমন ফেস"টাই আমাদের কাছে ওই ব্যক্তির সম্মান, গুরুত্ব এবং সে ভালো-কি-খারাপ ধারনা নির্ধারণ করে দেয়। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে রাগ করতে চাই না, খারাপ ব্যবহার করতে চাই না, চাই না অন্যের কাছে নিজের "কমন ফেস"টাকে মূল্যহীন বা বিরক্তিকর পরিচয়ে পরিচিত করতে। আমি নিজে নিজের বিষয়ে কতগুলো স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার চেষ্টা করি। অন্যের খারাপ ব্যবহার হজম করা এবং এসব খারাপ ব্যবহারের বিপরীতে খারাপ ব্যবহার না করা সবচে' গুরুত্বপূর্ণ একটা স্ট্যান্ডার্ড। তার মানে এই না যে আমি খারাপ ব্যবহার করতে জানি না। আমি বরং সচেতনভাবেই খারাপ ব্যবহারটা না করার চেষ্টা করি। কারণ সেম কাজটা করলে দুইজনের মধ্যে আর পার্থক্য থাকে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি পার্থক্য রেখে চলতে পছন্দ করি, ভালোবাসি। বিত্তবান, সার্টিফিকেটধারী, সাদা চামড়া, সুন্দর চেহারা মোটা বেতন, উঁচু চেয়ার, সুন্দর স্বাস্থ্য অমানুষেরও থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন সুস্থ মন, ভালো ব্যবহার উন্নত চরিত্র একং আধুনিক সুস্থ চিন্তাভাবনা। এসব থাকলে অমানুষদের মনে মনে পায়ের নিচে ফেলে রাখা যায়।

অনেক বেশি খারাপ ব্যবহারও হজম করতে পারি, অহরহ করেও থাকি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্যের প্রেশারাইজ করা জিনিসটা মানতে পারি না। অন্ধকারে নিজের ছায়াও নিজের সাথে থাকে না। সুতরাং ভেবেই নেয়া যেতে পারে যে, হয়তো আমি অন্য কারো কোন কাজে লাগবো না এবং অন্যরাও আমার কোন কাজে আসবে না। কখনোকখনো তো দেখা যায় রক্ত সম্পর্কের মানুষই কাজে লাগে না! মানুষের অতি নিকটবর্তী হতে যেয়ে অ-মানুষ কিংবা অর্ধ-মানুষের মত আচরণ করার কোন প্রয়োজন নেই। তারচে' বরং নরমাল থেকে সম্পর্কগুলো বজায় রাখা ভাল। আমরা হয়তো প্রকাশ করি না, তবুও এটা সত্য যে, অন্যদের এমন অস্বাভাবিক আচরণের বিপরীতে পারস্পরিক সম্পর্কে বৈকল্য ছাড়া কিছুই তৈরি হবে না, হচ্ছে না (যদিও বৈকল্য হওয়া অংশটুকুও আমরা সাধারণত প্রকাশ করি না সাধারণত। কারণ আমরা বিশ্বাস করি মানবরূপী প্রত্যেকটা প্রাণি সময়ের ব্যবধানে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠবে)।

এত ভাবার সময় না থাকলে অন্তত এতটুকু হলেও ভাবা উচিৎ যে, নিজের চিন্তা, আচরণ ও কর্মকান্ডের জন্য তাদের "কমন ফেস"টা যেন এমন না হয় যে, অন্য কারো সামনে পড়লে বা (তাদের নাম উচ্চারিত হলে) মানুষের মনে ঘৃণার উদ্রেক হয়।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাঃ
জনৈক ব্যক্তির প্ররোচনায় আমি আমার সাধারণ আচরণের চেয়ে একটু বেশি অস্বাভাবিক রি-অ্যাক্ট করতে চেষ্টা করলাম শেষ কয়দিন। এতে নাকি আমার একটা পৌরষবোধ অনুভবে হবে এবং বিশেষ দৃষ্টিসম্পন্ন জনৈক বা আরো অনেকে এটা দেখতে পাবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে টোটাল বিষয়টাই একটা কমেডি? আমি যখন আমার স্ট্যান্ডার্ড এর বাইরে গিয়ে একটু ইগো দেখাতে লাগলাম তখন দেখলাম অনেকের সাথে আমার স্বাভাবিক সম্পর্কের ইতি ঘটেছে, কেউ কেউ আমাকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে, কেউ কেউ আমার সাথে থাকা বন্ধুত্বটাকে স্মরণ করে "বন্ধুত্ব" শব্দটাকেই আনইজি লাগার কথা ব্যক্ত করেছেন। আমাকে সাথে থাকা বন্ধুত্বের কথা ভেবেই যে আনইজি লেগেছে এমনটা হলফ করে বলার উপায় নাই। তবে একটা সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে এইভাবে-
১. যদি সে আমার সাথে বন্ধুত্ব থাকা সময়টার কথা (তথা আমার সাথে বন্ধুত্ব থাকার কথা) ভেবে এটা বলে থাকে তবে আমি বন্ধু হিশেবে বেশ অযোগ্য। সেক্ষেত্রে বন্ধুত্বের ভবিষৎ স্পষ্ট।

২. যদি সে আমার বন্ধুত্বের সাথে থাকা না থাকা নিয়ে আনইজি লাগে- না বলে থাকে (অন্য কারো সম্পর্কে বলে থাকে) তবে আমি বন্ধু হিশেবে যথেষ্ঠ অযোগ্য। সকল ব্যর্থতার দায় নিয়ে তার সাথে বন্ধুত্ব থেকে ইস্তফা দিলাম।

জোকসঃ
১.
এমন একটা কথা প্রচলিত আছে, মেয়েরা সিগারেট খাওয়া ছেলেদের পছন্দ করে। অতঃপর প্রেম হয়ে গেলে সিগারেট খাওয়ার জন্য ছেলেটাকে গালাগাল দেয় এবং বলে তুমি সিগারেটের পয়সাগুলো আমাকে দাও। আমি এগুলো দিয়ে লিপস্টিক কিনব।

২.
সহজ সরল ছেলেদেরকে মেয়েরা পছন্দ করে না (হুমায়ূন আহমেদও এই কথা বলেছেন)। যদি একান্ত পছন্দ করেও তবে তাকে স্প্রিং এর মত প্যাচানো এবং ইগোধারী বানিয়ে নেয়। কিছুদিন পর সাধারণ অভ্যাসবশত ছেলেটা যদি মেয়ের সাথে সামান্য ইগো দেখায় তখন মেয়েটা "তুমি আমাকে আর ভালোবাসো না" বলে নানা রঙের কান্না করে। কখনোকখনো সম্পর্কের ইতি পর্যন্ত ঘটিয়ে দেয়।

বাস্তব ঘটনাঃ
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো। স্বাধীন সচেতন ও মেরুদন্ডী মানুষ মাত্রই রাজাকারের বিচার প্রত্যাশা করেন। যাহোক, আসামীকে ফাঁসির মঞ্চে নেয়া হলো। জল্লাদ কালো টুপি পরিধানসহ প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদন করতে গেলে আসামী উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করল। সবাই এক অদ্ভুদ পরিস্থিতিতে পড়ে গেল।
জল্লাদ জিজ্ঞেস করলো- তুমি হাসছো কেন?
আমাসী বললো- আমি যার নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিলাম, যার নেতৃত্বে দেশ বিরোধী কাজ করলাম-, তিনিই এখন ম্যাজিস্ট্রেট এবং তিনি এখন আমার ফাঁসির দায়িত্বে আছেন। আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন।

ঘটনার সাদৃশ্যতাঃ
পাঠক, ঘটনার সাদৃশ্যতা বর্ণনা করার কোন প্রয়োজন আছে কি? শুধু একটি বাক্য বলবো- যার নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, তিনিই যেমন তার ফাঁসি দিয়েছিলেন তেমনি আমাকে ইগো শিক্ষা দেয়া মানুষটা আমাকে এবং আমার বন্ধুত্বকে সেই ইগো'র কারণেই খারিজ করে দিয়েছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

বন্ধু শুভ বলেছেন: পৃথিবীর সমস্ত ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

অক্পটে বলেছেন: খুব গুছিয়ে লেখার অসাধরণ সব ব্যাপার গুলো আপনার জানা। পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায়না।
শুভকামনা আপনাকে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

বন্ধু শুভ বলেছেন: পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.