নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মুক্তি আমার আলোয় এই আকাশে আমার মুক্তি ধুলোয় ধুলোয় ঘাসে ঘাসে

বন্ধু শুভ

আনকোরা যত নন্ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন্ খুশী। ‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি! গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ফুসি! স্বরাজীরা ভাবে নারাজী,নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি! © কাজী নজরুল ইসলাম

বন্ধু শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপ্রিয় এবং জেনিফার (প্রথম কিস্তি)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩




আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচে' কাছের বন্ধু সুপ্রিয় চৌধুরী। আমি তার মাঝে যেন আমার একটা ছায়া দেখতে পাই। চলন-বলন, পছন্দ-অপছন্দসহ প্রায় সব কিছুই আমার সাথে মিল। আমাদের মিউচ্যুয়াল বন্ধুরা প্রায়ই ঠাট্টা করে বলতো, "দেখিস তোদের বালিকা বন্ধু যেন আবার সম-পছন্দের একজন হয়ে না যায়। (১৯০ বছর বৃটিশদের শাসনে থাকা বাঙালরা এই প্রাণিটিকে "গার্লফ্রেন্ড" বলে সম্বোধন করে)। তাহলে বিপদ হবে।" অসত্য কিছু বলে নি। কিন্তু সুখের বিষয় হচ্ছে এমন কিছু ঘটে নি। ঘটলেও বিশেষ মন্দ হতো কি-না সেটা অবশ্য গবেষণার বিষয়। আমার বন্ধু আমার জীবনের এতটা জুড়ে, যেন একএকবার আমার বন্ধুর সাথে আমাকে পার্থক্য করতে পারি না। পারলেও বেজায় কষ্ট হয়। না করা গেলেও বিশেষ ক্ষতি ছিল কলে বোধ করি না।

আমার সিগারেটের নেশা না থাকলেও সামাজিক অবস্থা বিবেচনাপূর্বক একটুআধটু টেনে যে দেখি না তা কিন্তু নয়। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় সিগারেট-খাওয়া লোকদের দু'টি শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। যারা নিয়মিত সিগারেট সেবন করেন ; এমনকি সিগারেটে টান না দিলে মলমূত্রাদি ত্যাগ করতে বিশেষ অসুবিধা হয়, রমজান মাসে ইফতার করে-কি-না-করে একটা চুরুট টান দেওয়া-ই লাগে তারা প্রথম শ্রেণিভুক্ত এবং তাদের নাম "চেইন স্মোকার" বা শিকল-মার্কা বিড়িখোর। আর দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত হলো আমার মতো গুরুত্বপূর্ণ আদমিরা, যারা সাধারণত সিগারেট কিনে বাতাসে মিশান না তবে কেউ দিলে টানতে কার্পণ্য করেন না তথা আতিথ্য ফেরত দিয়ে মনে কষ্ট দেন না। অর্থাৎ সামাজিক বিড়িখোর।

কিন্তু আমার বন্ধু সুপ্রিয় এক্ষেত্রে উদাহরনযোগ্য ব্যতিক্রম। আড্ডায়, ভীড়ে, জনাকীর্ণ স্থানে আমার বন্ধু অর্ধেক পোড়া জ্বলন্ত সিগারেট আঙুলের ফাঁকে রেখে খানিকটা ব্যক্তিত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও আমার বন্ধুর পরিচিতিযোগ্য অন্যান্য বৈশিষ্ট্যাবলী তথা দু'টি হাত, দু'টি চোখসহ অনেক অঙ্গ জোড়ায় জোড়ায় থাকলেও আরো কিছু বিষয় (অঙ্গ) আছে একটি করে এবং বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে এগুলো সাধারণ নিয়ম মোতাবেক একটি করেই থাকার কথা। তবে এতটুকু স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা যেতেই পারে যে, তার গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ (পাঠক, শ্যামলা রঙের চেয়ে আরেকটু উজ্জ্বল বলে জানবেন)। উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষের ছয় মাস কেটে গেল বালিকা বন্ধুর অনুপস্থিতেই। শুধু আমার না সুপ্রিয়েরও একই অবস্থা। অথচ প্রথম থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল দেবী আফ্রোদিতির আশীর্বাদ নিয়ে দিনগুলো উজ্জ্বল করার। কিন্তু তিনি বর দিলেন না। ছয় মাস পর দেবী একটু দয়া করলেন আমার বন্ধুর প্রতি। স্ট্যইনাম জেনিফার নাম্নী এক সুন্দরীর সাথে সুপ্রিয় ভাব জমিয়ে ফেলল। অতঃপর সাধারণ নিয়মে ভাব থেকে ভাবায়িত (এমন শব্দ নাই সম্ভবত) হতে থাকলো। সম্পর্কটি শেষতক কোথায় গিয়ে দাড়াল তার কোন অভিধা আমি খুঁজে পেলাম না। এটার বন্ধুত্বের চেয়ে বেশি অথচ প্রেমের চেয়ে কয়েককাঠি কম। এটা কী বলা যায় পাঠক ঠিক করবেন। তবে আমি এটাকে বলতাম "অন্যরকম বন্ধুত্ব"।



এবার জেনিফারের সামান্য বর্ণনা দেয়া যাক। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা জেনিফারের গায়ের রঙ ইরেজদের কাছাকাছি। মাথার চুল কোমর অতিক্রম করে। চেহারা ইষৎ লম্বাটে তবে অতি মায়াবী। বন্ধুর পছন্দ আমার পছন্দের মতো (অথবা কাছাকাছি) হওয়ার জেনিফার আমারও বিশেষ অপছন্দের না। তবে আমার বালিকা বন্ধু হতে তার মত লম্বা চুলের প্রয়োজন নেই, সেই কী! বিশেষ অপ্রয়োজনীয়। আমার চাই কুঁকড়ানো চুল। অনেকটা সুনীলের মার্গারিটের মত। অনেকটা না, পুরোপুরি মার্গারিট হওয়া চাই। কিন্তু সে আর কোথায় পাওয়া যায়।

আমার একটা মার্গারিট থাকলে অসামান্য ব্যাপার হতো। তবে না থাকায় যে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে -তা কিন্তু না। আমি, আমার বন্ধু সুপ্রিয় এবং তার গার্লফ্রেন্ড জেনিফার (কিছুদিনের মধ্যে সে আমারও ভালো বন্ধু হয়ে গেছে) মিলে আয়েশেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করতে লাগলাম।


[জেনিফার ও সুপ্রিয় কে নিয়মিত লেখার ইচ্ছায় তাদের পরিচয়সহ সাধারণ বিষয়ে একটি লঘু মেজাজের লেখা এটি। পরবর্তী কিস্তি থেকে তাদের নানা ঘটনা রটনা দুর্ঘটনা লেখা হবে নিয়মিত। আমার "জাস্টফ্রেন্ড" এর ন্যায় এটিও একটি দীর্ঘ সিরিজ।]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তাহার পর কি ঘটিল তাহা জানইবেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

বন্ধু শুভ বলেছেন: নিশ্চয়ই জানাবো দাদা।
ধন্যবাদ

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুকে একটা গ্রুপ করেন। সেখানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বন্ধুদের এড করেন। সবার সাথে যোগাযোগ থাকবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪১

বন্ধু শুভ বলেছেন: যোগাযোগ আছে দাদা। আর আমি তো ফেসবুক ব্যবহার করি না দাদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.