নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”- জয় হোক মানবতার, জয় হোক মেহনতি মানুষের।।

বাকরুদ্ধ বহ্নিশিখা

বাকরুদ্ধ বহ্নিশিখা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থান বনাম বাংলাদেশ

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

তুরস্ক দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতোলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। ফলে ভৌগলিকভাবে দেশটি একই সাথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত।আলাতোলীয় অংশটি তুরস্কের প্রায়৯৭% আয়তন গঠন করেছে। এটি মূলত একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি।আনাতোলিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সমভূমি দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের দক্ষিণ-ইউরোপীয় অংশটি ত্রাকিয়া নামে পরিচিত; এটি আয়তনে তুরস্কের মাত্র ৩% হলেও এখানে তুরস্কের ১০% জনগণ বাস করে। এখানেই তুরস্ক ও গোটা ইউরোপের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তানবুল অবস্থিত(জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ)।ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে সংযুক্তকারী বসফরাস প্রণালী, মর্মর সাগর ও দার্দানেল প্রণালী ত্রাকিয়া ও আনাতোলিয়াকে পৃথক করেছে।
তুরস্ক সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় পরিচালিত। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান।এরদোগান তাঁর শাসনকার্যের মাধ্যমে স্বদেশে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্ছ শিখরে পৌছতে কতোটা সক্ষম হয়েছেন তার প্রমাণ গতকাল পেয়েছে গোটা বিশ্ব সেনা অভ্যুত্থানের পর।বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সেনারা ক্যু করার পর সরাসরি জনগণের এতোটা বাঁধার মুখে পড়বে কিংবা জনগণ জান বাজী রেখে জেনেশুনে ট্যাংকের সামনে দাঁড়াবে তা অন্তত আমার ধারণা ছিলোনা।কিন্তু তুরস্কের সাধারণ জনগণ ক্যু ব্যর্থ করে দিয়ে এরদোগানের প্রতি তাদের অসামান্য ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশ ও এশিয়ার একটি দেশ এবং এখানেও সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দল তথা জোটের অংশগ্রহণ ছাড়াই বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো।কিন্তু তিনি তাঁর শাসনকার্যে বিরোধী জোটের নেতাকর্মী বিশেষ করে ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল জামায়াত এবং জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপি-র মূলোৎপাটন কল্পে ক্ষমতার প্রায় সবটুকু সময় ব্যয় করছেন।বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় বিশ্ব সমাদৃত মেধাবী নেতাদের ফাঁসিকাষ্ঠেও ঝুলিয়েছেন প্রশাসন তথা বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করে।তন্মধ্যে সব বিচারকার্যই আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে সম্পাদন এবং প্রক্রিয়াধীন যে গুলে রয়েছে সেগুলোও করা হচ্ছে।বিরোধীদের দমন পিড়নের ফলে বিভিন্ন সময় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন নেতাদের ফাঁসির রায়ের পরপরই দলটির নেতাকর্মীসহ আমজনতা উছলে উঠলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনায় এবং পুলিশ ও সসরকার দলীয় ক্যাডারদের যৌথ হামলায় গুলি ও বিভিন্নভাবে শতশত লোক নিহত ও সহস্রাধিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেক বারই।বিশেষ করে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা সাঈদী'র রায় শুনানীর পরপরই একদিনেই শতাধিক লোক নিহত ও সহস্রাধিক লোক আহত হয়।এতে হাসিনার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই দেশে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।ইদানীং জঙ্গিবাহিনীর দৌরাত্মতা দেখেও বিস্মিত হচ্ছে ছাত্র,বুদ্ধিজীবী,রাজনীতিবিদ,সমাজ সংস্কারক ও সাধারণ জনতা।এবং সরকারে প্রতিও আস্থাহীনতায় ভুগছেন সবাই।এদিকে সরকার জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সঠিক পন্থা অবলম্বন না করে বিরোধী শক্তি জামায়াতকে দায়ী এবং খুতবা পাঠে বাঁধা নিষেধ জারি করেছে।যার ফলশ্রুতিতে সরকারের জনপ্রিয়তা প্রায় শূন্যের কোটায় এসে পৌঁছেছে।যার প্রমাণ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাধারণ জনগণ থেকে শুরুকরে বুদ্ধিজীবী জ্ঞানীগুণীদের পোষ্টে পরিলক্ষিত হয়।এমন পরিস্তিতে সাধারণ জনগণ মনেপ্রাণে চায় তৃতীয় শক্তির উত্তান অর্থাৎ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যদি ক্যু করত তবে পূর্ণ সর্থন লাভের পাশাপাশি জনগোষ্ঠীর বাহ্ বাহ্ কুড়াত।অথচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘুমের ঘুরে দিনাতিপাত করছে। জনগনের প্রতি কিংবা দেশের এই অরাজক পরিস্তিতির প্রতি আদৌ তাদের নজর নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.