![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সরাসরি কথাটি বলতে পছন্দ করি । অনেক সময় ঠিক বলি, আবার অনেক সময় ভুল বলি । তবু বলি, চুপ থাকি না
বিগত অর্ধযুগে ফেসবুককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি উদভ্রান্ত উটকো প্রজন্ম। এদের বেশিরভাগই মফস্বল থেকে ইন্টার পাশ করে ঢাকায় এসে এরা প্রথমে নিঃসঙ্গ নিস্তরঙ্গ জীবন যাপন করে, পরে ফেসবুকের কল্যাণে ঢাকাস্থ মাস্তিপ্রিয় ছেলেমেয়েদের সাথে গড়ে তোলে মস্ত মহব্বত। এর পরে মফস্বলের নাদান নিরীহ ছেলেটি বা মেয়েটি হয়ে ওঠে বিকট বিপ্লবী এবং চব্বিশ ঘণ্টায় ঘটিয়ে দেয় বাহাত্তরটি বিপ্লব।
এই 'ইন্টার পাশ বিপ্লবী'রা সাধারণত ভর্তিপরীক্ষায় সুবিধে করতে পারে না এবং স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ার সুযোগ পায় না। এই হতাশা ঢাকতে বাপে-খেদানো মায়ে-তাড়ানো এই দলটি ঢাকায় এসে দল পাকায় এবং অন্য হতাশদের সাথে মিশে গিয়ে নিজের হতাশা ভুলে থাকতে চেষ্টা করে। এদের ফেসবুক প্রোফাইলের শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরটি ফাঁকা থাকে অথবা লেখা থাকে 'আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বিশ্বাসী নই, আমি স্বশিক্ষিত' কিংবা 'বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র'। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নয়, বিশ্ববিদ্যালয়-এলাকায় কিংবা ছবির হাটে চা খেতে পারাকেই এরা জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ও বৃহত্তম বীরত্ব বলে মনে করে। ফেসবুক আইডিটিকে বিয়োগ করলে এদের অস্তিত্ব থাকে না।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবকে ধামাচাপা দিতে এরা কয়েক অধ্যায় শরীফ-ছফা-হুমায়ুন আজাদ পড়ে, কয়েক পৃষ্ঠা মার্কস-অ্যাঙ্গেলস-ডারউইন পড়ে, কয়েক ছত্র কাফকা-কামু-পামুক পড়ে এবং তাদের উক্তি দিয়ে প্রোফাইল সাজায়। এই প্রজন্মটির একেকজনের প্রোফাইলে গিয়ে মনে হবে— ওনার এলেম অ্যারিস্টটলের চেয়ে একটু কম, সক্রেটিসের চেয়ে একটু বেশি। শব্দভাণ্ডার সীমিত হওয়ায় সাধারণ বাক্যেও এরা গালি ব্যবহার করে। দেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকে গালি দিয়ে ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তসলিমা-সিনড্রোমে ভোগা এই প্রজন্মটি পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে চায়। অন্তর্জালের জনপ্রিয় কারো সাথে কিছুদিন মিশে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে পরবর্তীতে তাকেই গালাগাল করে দৃষ্টিআকর্ষণ করাটাও এদের আরেক কৌশল। গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ বা কোনো মৌলিক সৃষ্টি এদের নেই; আছে কেবলই ব্যক্তিবিদ্বেষ আর ধর্মীয় ব্যাপারে অগোছালো অপলাপ। এরা জানেই না— ফেসবুকে এদের দ্বারা সৃষ্ট অস্থিরতা ও অসভ্যতা চলমান রক্তপাতের পেছনে বহুলাংশে দায়ী। গবেষণামূলক কোনো দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখার ক্ষমতা নেই বলে সর্বোচ্চ আট-দশ বাক্যে এরা বিষ উগড়ে দিয়ে থাকে। ধর্মীয় ব্যাপারে লিখিত এদের অসংলগ্ন-অপরিপক্ব পোস্টগুলো রক্তপাতের পথকে ক্রমশ প্রশস্ত করে এবং এসব উক্তির সমষ্টি মাসে একটি করে প্রাণহানিকে ত্বরান্বিত করে।
এরা সাধারণত আট-দশ জন মিলে চলাফেরা করে এবং শুরুর দিকে এদের ঐক্য থাকে ইঁদুরের দাঁতের মতো ধারালো। শুরুতে এরা এককাপ চা তিনজনে, এক শিঙাড়া ছয়জনে, এক বিড়ি নয়জনে ভাগ করে খায়। কয়েক মাসের মধ্যেই এদের ঐক্যের ডিম ফেটে দুর্গন্ধ বেরোয় এবং সেই গন্ধে অন্তর্জাল অস্থির হয়। ধারকর্জ নিয়ে উদ্ভূত উচ্ছৃঙ্খলায় দশজনের দলটি আটজনে পরিণত হয়, ফেসবুকে কে কার চেয়ে বড় মুক্তমনা তারকা হবে— এ সংক্রান্ত সংঘাতে আটজন ছয়জনে পরিণত হয় এবং ঐ ছয়জনের মধ্যকার দুই মেয়ে ও চার ছেলের মধ্যে কে কার প্রেমিক বা প্রেমিকা হবে— এই দ্বন্দ্বে গোটা দলটিরই দাফন ঘটে। দশজন দশভাগে বিভক্ত হওয়ার পর ফেসবুকে দশদিক থেকে শুরু হয় দশমুখী কাদা-ছোড়াছুড়ি, গোপন স্ক্রিন শটের ছড়াছড়ি এবং উচ্চাঙ্গ-মধ্যাঙ্গ-নিম্নাঙ্গের চুল ছেঁড়াছিঁড়ি। ঘাতকরা এদের এই গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করে এবং কার গর্দান ফেলা নিরাপদ ও সহজ হবে— এই গৃহযুদ্ধ ঘাতকদেরকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
হতাশ প্রজন্মের অনেকেই কবি হতে চায়; গায়ক-নায়ক, ভাবুক-চাবুক, দার্শনিক-সৈনিক হতে চায়। এরা ধরেই নেয় এসব হতে গেলে মাদক অপরিহার্য। এই ভাবনা থেকে এবং ব্যক্তিগত ব্যর্থতা ঢাকতে এরা পা রাখে মাদকের নারকীয় নর্দমায়। ছবির হাটের পেছনের দিকটা উন্মুক্ত প্রস্রাবখানা, প্রতিদিন সহস্রজনের সহস্র লিটার মূত্র ওখানে জমা হয়। ছবির হাটে এককালে এত গাঁজাসেবন হতো যে, গাঁজার দুর্গন্ধে ঐ সহস্র লিটার মূত্রের দুর্গন্ধ ম্লান হয়ে যেত। এরা কেন যেন ধরেই নেয়— আধুনিক হতে গেলে নর-নারী একত্রে মিলে ধূমপান করতে হবে, কবি হতে গেলে কিংবা চারুকলায় পড়লেই গঞ্জিকা সেবন করতে হবে, কম ঘুমিয়ে বেশি বিপ্লব সাধনের জন্য ইয়াবা গিলতে হবে। এই গোত্রের ছোট-ছোট মেয়েগুলো মনে করে— পুরুষের সমকক্ষ হতে চাইলে অবশ্যই প্রকাশ্যে ধূমপান করতে হবে, পরতে হবে পুং-পোশাক। নরের আধ-খাওয়া বিড়ির পশ্চাৎদেশে মুখ দিয়ে এই দলের নারীরা মনে করে— পুরো বিপ্লবের আদ্ধেকটাই সাধিত হয়ে গেল, নারীর বানিয়ে দেয়া গঞ্জিকা-দণ্ডের ধোঁয়া আকাশে উড়িয়ে এই দলের নরেরা মনে করে— গোটা সৌরজগতেই প্রগতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। এদের অনেকে টানা কয়েকদিন স্নান পর্যন্ত করে না, যার ফলে পাশে বসা যায় না দুঃসহ দুর্গন্ধে।
গয়রহে গাঁজায় বুঁদ হয়ে থাকে বলে ও এদের জগৎটা ফেসবুকে সীমিত বলে পথেঘাটেও এরা ফেসবুকের মতো উদ্ধত ভাষায় কথা বলে এবং প্রায়শই জনতার ধোলাইয়ের শিকার হয়, মাদক নিতে গিয়ে গভীর রাতে ঠাঁই হয় থানায়; নিজের গৌরবের কথা ফেসবুকে ফাঁপিয়ে প্রচার করলেও এই গণধোলাইয়ের কথা আড়ালেই থেকে যায়। এই নেশাগ্রস্তরা যখন কোনো আন্দোলনে ঢুকে পড়ে, তখন প্রতিপক্ষ সুযোগ পায় আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার। অনেকে এই প্রজন্মটিকে ডাকে বাছুরবাহিনী বলে।
খুব হতাশ লাগে, যখন দেখি টাকার অভাবে ভাত খেতে না-পাওয়া ছেলেটি বিপ্লবী হওয়ার বাসনায় প্রতিদিন এক ডজন সিগারেট খায়; আচানক আঁতকে উঠি, যখন দেখি ছেলেবন্ধুদের সমকক্ষ হতে গিয়ে সদ্য-কৈশোর-পেরোনো রূপবতী মেয়েটি গাঁজা ফুঁকতে-ফুঁকতে চেহারাটাকে বীভৎস করে ফেলে। আটাশ বছরের জীবনে আটাশ হালি হতাশা ঘিরে রাখলেও আমি কোনোদিন সিগারেটে মুখ দেইনি। এই স্বঘোষিত প্রথাবিরোধীদেরকে ডেকে-ডেকে বলতে ইচ্ছে করে— মাদক মানুষকে সাধক করে না, পরিণত করে জড়পদার্থে; অসুন্দরের মাঝে কবিতা নেই, কবিতার বসত সুন্দর-সুস্থ জীবনে; মুক্তমনার ভেক ধরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বড় হওয়া যায় না, ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় কিছু করে দেখানোই বড় হওয়ার একমাত্র উপায়; ফেসবুকের ছায়াবন্ধুরা বন্ধু নয়, বাস্তবের কায়াবন্ধুরাই বন্ধু; চের টুপিতে বিপ্লব বাস করে না, নিজের কাজ পরিপূর্ণভাবে পালন করাটাই বৃহত্তম বিপ্লব।
লেখাটির লেখকঃ আখতারুজ্জামান আজাদ
লেখাটির ফেসবুক লিংকঃ আধুনিক প্রজন্ম নিয়ে আখতারুজ্জামান আজাদের অসাধারণ লেখাটি
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
সঠিক জবাব বলেছেন: আলবৎ............. এই কারণেই লেখাটি শেয়ার দেওয়া ।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
ফাহিম আবু বলেছেন: লিখেছেন ভাল !
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০১
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: নরের আধ-খাওয়া বিড়ির পশ্চাৎদেশে মুখ দিয়ে এই দলের নারীরা মনে করে— পুরো বিপ্লবের আদ্ধেকটাই সাধিত হয়ে গেল, নারীর বানিয়ে দেয়া গঞ্জিকা-দণ্ডের ধোঁয়া আকাশে উড়িয়ে এই দলের নরেরা মনে করে— গোটা সৌরজগতেই প্রগতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। এদের অনেকে টানা কয়েকদিন স্নান পর্যন্ত করে না, যার ফলে পাশে বসা যায় না দুঃসহ দুর্গন্ধে।
এই নেশাগ্রস্তরা যখন কোনো আন্দোলনে ঢুকে পড়ে, তখন প্রতিপক্ষ সুযোগ পায় আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার। অনেকে এই প্রজন্মটিকে ডাকে বাছুরবাহিনী বলে।
বাস্তবতার নিরিখে চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
সঠিক জবাব বলেছেন: সত্যিই..........তাই ।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
পাজল্ড ডক বলেছেন: আপনার কি ঠিক উপরের পোস্টের লেখকের কথা বলছেন! হা হা!
এই দুই টা পোস্ট পর পর আসলো কিভাবে এই টাই আজব ঘটনা।
যে লিখেছে, ভাল লিখেছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
সঠিক জবাব বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি ঠিক বুঝলাম না ভাই । একটু বুঝিয়ে বললে হয়তো ভালো হতো ।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
Rahat Islam বলেছেন: অসাধারণ
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
সজিব্90 বলেছেন: অসাধারন লেখা
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
সাঈদ এন কে বলেছেন: দারুন লিখেছেন ব্রো,''এক কাপ চা তিন জনে,এক সিঙ্গাড়া ছয় জনে,আর এক সিগারেট নয় জনে ভাগ করে খায়''।তবে ফেসবুকের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪
এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: খুব ভাল লাগল আখতারুজজামান আজাদ ভাই ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটি নিয়ে অনেক সমালোচনা-আলোচনা অস্বাভাবিক নয় । তবে লেখাটি নিতান্তই প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার ।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
ইকরামা বলেছেন: একমত।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার জানতে ইচ্ছে করছে, আখতাজ্জামান আজাদ এই লেখাটায় বিষোদগারছাড়া আর কি করেছেন!
সে তো নিজেও সিগারেট নিয়ে কবিতা লিখেছে। তার লেখা অনেক পড়েছি। আমি এমন অনেক গাঁজাখোর দেখেছি যারা তার চেয়ে হাজারগুণ ভালো কবিতা লেখে। ও নির্মলেন্দু গুণের সেই পাংখা ফ্যান- সেই নির্মলেন্দু গুন গাঁজা খেতেন আটিআটি, মদ বাটিবাটি। তার মানে বলছি না, মদ খাওয়া, গাঁজা খাওয়া ঠিক আছে। কিন্তু বলছি, নির্মলেন্দু গুন প্রতিষ্ঠিত বলে ওর গাঁজা, মদ খাওয়া ঠিক আছে, এরা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে, এদের অপরাধ হয়ে গেছে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
সঠিক জবাব বলেছেন: নিচে একটি কমেন্টে @আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই বলেছেন: এই লেখায় প্লাস মাইনাস দু'রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা যায়। যে যেভাবে নেয় আর কি!
আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে আমি পারবো কিন্তু আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আমি আখতারুজ্জামান আজাদের সকল লেখার পক্ষে ও তার মোটের পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছি অথচ আদতে আমি এই লেখাটির স্বপক্ষে যুক্তি দাড় করাতে পারি ।
তিনি এখানে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সম্পর্কে লিখেছেন যারা নিজেদের জীবনটাকে একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমে বন্দী করে ফেলেছে, তাদের জীবন ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস-অ্যাপ, মেসেঞ্জার, ভাইভার ইত্যাদিতে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে । তারা আসলে জানেই না, বাস্তবতার মজা কতটুকু । বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েই এরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে । বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গ পাওয়ার জন্য (না হারানোর জন্য) এরা বন্ধু-বান্ধবীর যে কোন অনুরোধেই ঢেঁকি গেলে । তাই তো মদ, গাজা এমনকি নুন্যতম সিগারেট ধরতেও তখন আর এদের সময় লাগে না ।
কে কার ভক্ত, সেটা মুখ্য নয় । আপনি যে কারও ভক্ত হতেই পারেন, তাই বলে যে আপনি তাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন, সেটা আপনার শিক্ষা আপনাকে বলে না । আমি খারাপকে খারাপ বলবোই, আর ভালোকে ভালো ।
আশা করি, বুঝতে পেরেছেন ।
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬
তট রেখা বলেছেন: উনি অসাধারণ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অন্তর্জাল দেখেছেন, অন্তর্জালের পিছনে থাকা প্রজন্মটির কদর্য রূপ সুনিপুন শব্দ জালে ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু এই কদর্যতার অন্তঃসার শুন্যতার সুযোগ নিয়ে ততোধিক কদর্য ব্যাক্তি বর্গ যে বুদ্ধিজীবিতার নামে এদের কে দিয়ে ফায়দা হাসিল করছেন, সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছেন এবং অবশেষে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন, তাদের মুখোশের কিঞ্চিৎ উন্মোচিত হলে ভালো হত। মোটের উপর এই শ্রেণী টি আবার বুদ্ধু গণিকা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
সঠিক জবাব বলেছেন: যে কোন লেখার মধ্যে একাধারে দুইটি রূপ তুলে ধরার জন্য পর্যাপ্ত সময় ও বিসয়বস্তু দরকার । যে কোন রচনার মধ্যে যে কোন একটি রূপ (কদর্য রূপ ও সৌন্দর্য) দেখানো কিংবা ফুটিয়ে তোলাও কিন্তু সাহিত্যের মধ্যেই পড়ে ।
তবে আপনার মতে এদের এই কদর্য রূপটির সদ্বব্যবহার যারা করে, তারা আসলে ধরাছোঁয়ার অনেক উপরের লেভেলের মানুষ । এদেরকে বুদ্ধিজীবীতার আসন দেওয়া মানেই দেশকে বিকিয়ে দেওয়া । হ্যাঁ, তবে সেই আসনটি দেওয়া ছাড়াও আমাদের রাস্তা নেই । সমাজের এই ক্ষুদ্র গোষ্ঠীকে তারা নিজেদের মত ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেয় কারণ এই সুযোগটা তাদেরকে দেয় ঐ ক্ষুদ্র গোষ্ঠী নিজেরাই । এরাই নিজেদের সীমিত সময়ের লাভের জন্য তাদের দিকে ছোটে । এদের তখন নিষেধ করলেও সেই নিষেধ তারা আমলে নেয় না । এই পর্যায়ে তাদের সেই ধ্বংসরূপ চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করা যায় না ।
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসুন্দরের মাঝে কবিতা নেই,
কথাটা ভুল। একজন শুদ্ধ কবির কাছে অসুন্দর শব্দটার অর্থ অজানা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
সঠিক জবাব বলেছেন: একজন কবি হতে গেলে তাকে সুন্দর ও অসুন্দর দুটোরই মানে জানা লাগে । কারণ সুন্দর ও অসুন্দরের মাঝে পার্থক্য না করলে বা পার্থক্য না জানলে কবিরূপ সত্তা পরিপূর্ণ হয় না ।
আপনি হয়তো বলেছেন, অসুন্দরের মাঝে কবিতা নেই, এইকথাটা ভুল। কিন্তু সাথে সাথে আমি বলবো, একজন শুদ্ধ কবির কাছে অসুন্দর শব্দটার অর্থ অজানা, এই কথাটিও ভুল ।
১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
রাজসোহান বলেছেন: লেখা পড়ে মনে হইছে মেয়েদের সিগারেট খাওয়া নিয়ে লেখক চরম বিরক্ত। স্রেফ এই বিষয়টা লেখার জন্য সে আশেপাশের আরও জিনিস ধরে আনছে। দূর্বল লেখা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
সঠিক জবাব বলেছেন: আপনি কিন্তু ভাই লিঙ্গ নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলে আসা অসহিস্নুতাকে উসকে দিলেন । লেখক এখানে সামগ্রিকভাবেই ছেলে-মেয়েদের দ্বারা সৃষ্ট সামাজিকভাবে দৃষ্টিকটু বিষয়গুলোকে আলোকিত করার চেষ্ঠা করেছেন ।
শুধু লিঙ্গ নিয়ে না ভেবে আপনি সামগ্রিক বিষয়গুলোর সামঞ্জস্যতা যদি লক্ষ্য করতেন, তাহলে হয়তো আপনি এভাবে বলতেন না ।
(এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত)
১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২
রাজসোহান বলেছেন: @আরণ্যক রাখাল, এটা কি আখতারুজ্জামান আজাদের লেখা? ফেবু সেলিব্রেটি? এইটা হইলো সেই আজাদা যে কীনা সেলিব্রেটি হবার আগে সবার ফেসবুক ওয়ালে গিয়া ট্যাগ করে স্ট্যাটাস দিত অমুক লেখা লিখেছি, একটু পড়ে আসুন। আমার টাইমলাইনেই তার ১০ - ১২ টা স্ট্যাটাস পাওয়া যাবে। আর এখন সে হয়ে গেছে জাতির বিবেক
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
সঠিক জবাব বলেছেন: আমারও কেন জানি মনে হচ্ছে ইনি সেই আখতারুজ্জামান আজাদ নন । তবুও পুরোপুরি না জেনে কিছু বলা যাচ্ছে না ।
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: যত্তসব ফালতু কথাবার্তা। অল্পবিধায় লেখক রক্তপাতকেই সমর্থন করেছে। নারী সম্পর্কে যা তা বলেছে। গরুর মাথা থেকে উদ্ভুত পোস্ট।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
সঠিক জবাব বলেছেন: আপনার কথার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না । দুঃখিত ।
১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মাদক মানুষকে সাধক করে না, পরিণত করে জড়পদার্থে; অসুন্দরের মাঝে কবিতা নেই, কবিতার বসত সুন্দর-সুস্থ জীবনে; মুক্তমনার ভেক ধরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বড় হওয়া যায় না, ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড় কিছু করে দেখানোই বড় হওয়ার একমাত্র উপায়; ফেসবুকের ছায়াবন্ধুরা বন্ধু নয়, বাস্তবের কায়াবন্ধুরাই বন্ধু; চের টুপিতে বিপ্লব বাস করে না, নিজের কাজ পরিপূর্ণভাবে পালন করাটাই বৃহত্তম বিপ্লব।
+++++++++++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখায় প্লাস মাইনাস দু'রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা যায়। যে যেভাবে নেয় আর কি!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
সঠিক জবাব বলেছেন: আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত ।
১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৩
চন্দন চ্যাটার্জ্যী (মিঠুন) বলেছেন: এক কথায় বলছি, অসাধারন লিখেছেন। আমার কাছে ভালো লেগেছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
পারভেজ রশীদ মঙ্গল বলেছেন: ফেসবুকের ছায়াবন্ধুরা বন্ধু নয়, বাস্তবের কায়াবন্ধুরাই বন্ধু; চের টুপিতে বিপ্লব বাস করে না, নিজের কাজ পরিপূর্ণভাবে পালন করাটাই বৃহত্তম বিপ্লব।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সববিষয়ে একমত না হলেও চিন্তার উপাদায় আছে লেখাটিতে। ধন্যবাদ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৫
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: এই লেখাটিতে লেখকের বিপক্ষ একটি গোষ্ঠির প্রতি বিষোদগার এবং কুৎসা রটনা ছাড়া কিছুই নেই। মনের সমস্ত বিষ ঝেড়ে কীভাবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো যায় এটি তার একটি দৃষ্টান্ত বটে। অভিজিৎ, ওয়াশেকুররা, "...গাঁজায় বুঁদ হয়ে থাকে বলে ও এদের জগৎটা ফেসবুকে সীমিত বলে পথেঘাটেও এরা ফেসবুকের মতো উদ্ধত ভাষায় কথা বলে এবং প্রায়শই জনতার ধোলাইয়ের শিকার হয়, মাদক নিতে গিয়ে গভীর রাতে ঠাঁই হয় থানায়..."! ধর্মের নামে যারা খুন করে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে, এমনকি ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধের এই ব্লগে পোস্ট আছে কিন্তু তুলনা করে দেখুন কুৎসা রটনায় এটির সাথে কোনটিরও তুলনা হবে না।
এর সবচেয়ে বর্বর মন্তব্যটি হলো, "ধর্মীয় ব্যাপারে লিখিত এদের অসংলগ্ন-অপরিপক্ব পোস্টগুলো রক্তপাতের পথকে ক্রমশ প্রশস্ত করে এবং এসব উক্তির সমষ্টি মাসে একটি করে প্রাণহানিকে ত্বরান্বিত করে।" - অর্থাৎ সে ওইসব খুনখারাপির জন্য বর্বর-জংলী-নৃশংস অসহিষ্ণুতাকে দায়ী করল না, তাদের পক্ষে সাফাই দিলো।
একেবারে নর্দমায় বসে লিখেছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
সঠিক জবাব বলেছেন: আপনার কথার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না । দুঃখিত ।
২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এখানে শুধুই গ্রামথেকে আসা কিছু বিপথগামীদের জীবন চিত্র এঁকেছেন যতটুকু লেখকের চিন্তার মধ্যে ছিল তাই। এই নিয়ে পাঠক রিভিও দেখতে চাওয়া ও লেখককে বাস দেওয়ার শামিল। জানি শহরের কিছু অতি শিক্ষিত মানুষ বাহ বাহ দিয়ে যাবেন। মনে রাখা চাই এই শহর ও গ্রাম থেকেই জন্ম নিয়েছে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
সঠিক জবাব বলেছেন: গ্রাম নয়, মফস্বল । দুইটি জায়গার ও বিষয়ের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে । এখানে ক্ষুদ্র বিষয়টি না দেখে আপনি সামগ্রিক বিষয়টি খেয়াল করলে হয়তো কিছুটা হলেও একমত হতে পারতেন ।
২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
হোসেন মালিক বলেছেন: ফালতু চিন্তা ভাবনা, এই ধরণের লেখাকে লেখক সহ জুতা দেখানো উচিত
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
সঠিক জবাব বলেছেন: আপনার কথার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না । দুঃখিত ।
২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
ভার্চুয়াল_শাফু বলেছেন: লিখাটি দেখে আমিও ফেসবুকে শেয়ার করছিলাম। সত্যিই অসাধারণ লিখা!
২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫১
ভার্চুয়াল_শাফু বলেছেন: তবে লেখক গ্রামকে তুচ্ছ করেছেন! এইজন্য আমি ফেসবুকে শেয়ার করা পোস্ট ডিলিট দিছি।
লেখক জানে না, যে শহরে সে আল্ট্রামর্ডান হয়ে ললিপপ খাচ্চগে, সেটার জন্মও গ্রাম থেকেই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
সঠিক জবাব বলেছেন: আগেও একজনের কমেন্টের উত্তরে লিখেছি দেখতে পারেন, লেখাটিতে গ্রাম নয়, মফস্বল নিয়ে বলা হয়েছে । দুইটি জায়গার ও বিষয়ের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে । এখানে ক্ষুদ্র বিষয়টি না দেখে আপনি সামগ্রিক বিষয়টি খেয়াল করলে হয়তো কিছুটা হলেও একমত হতে পারতেন ।
২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেমন যেন বিদ্বেষের ভাব থাকলেও অনেকটাই বাস্তবধর্মী।।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: একেই বলে কঠিন পঁচানি, কিছুটা একমত কিছুটা দ্বীমত সব মিলেমিশে একাকার। তবে লেখাটা দিয়ে মধ্যবিত্তদের একেবার ধুয়ে দেয়া হয়েছে। লেখকের একটু বুঝা উচিৎ ছিল সবাই সবার মত না।
দুইদিন আগে একজনকে বলতে শুনলাম, পোলাটা অনেক ভাল সিগারেটও খায় না। সিগারেট টানলেই মানুষ খারাপ হয়ে গেল !!!!!
বহু আবাল আমার দেখা আছে শান্ত শিষ্ট মা বাবার আদরের সন্তান সিগারেট ফিগারেট কিচ্ছু টানে না কিন্তু আস্ত একটা বলদ।
আর এই সব বলদগো দিয়ে কিছু হয় না এরা মায়ের আঁচলের নিচেই পড়ে থাকতে পছন্দ করে।
কেউ যদি বলে আমি বিড়ি,সিগারেট কিচ্ছু খাই না, সুতরাং আমি গুড বয়। তাহলে বুঝতে হবে সে আসলে আস্ত একটা বলদ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১
সঠিক জবাব বলেছেন: এখানে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সম্পর্কে বলা হয়েছে যারা আসলে সঠিক পথ না চিনে বিপথে এগিয়ে যাচ্ছে । এরা যে কেউই হতে পারে, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত কিংবা নিন্মবিত্ত । এখানে যে বিষয়টি মূলত ফোকাস করা হয়েছে তা হলো আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার ফাক-ফোঁকর অর্থাৎ এক কথায় সীমাবদ্ধতা ।
আপনার শেষের কথাগুলো ভালো লাগলো কিন্তু লেখাটির সাথে মিল খুঁজে পেলাম না, দুঃখিত ।
২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৯
জহির রাসেল বলেছেন: ভালোই বললো
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১
সঠিক জবাব বলেছেন: লেখাটির আসল লেখক এই কতৃত্ব পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে ।
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:১৮
মুক্তমনা ব্লগার বলেছেন: লেখক যে জেনারেশনকে ছোট করলো উনি কি জানেন না এরাই বিপ্লবী হয়ে শাহবাগে দিনের পর দিন যুদ্ধাঅপরাধীদের বিচার চায় কিংবা তারাই আবার তনু হত্যার বিচার চেয়ে গোটা বাংলাদেশ জানান দেয় যে আমরা সবাই তনুর ভাই ,তনু হত্যার বিচার চাই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
সঠিক জবাব বলেছেন: ভাই, লেখাটির শেষের দুইটি লাইন দেখেন, "চের টুপিতে বিপ্লব বাস করে না, নিজের কাজ পরিপূর্ণভাবে পালন করাটাই বৃহত্তম বিপ্লব।" এখানে কোন জেনারেশনকে ছোট করা হলো কিভাবে তা আমার বোধগম্য হলো না ।
শাহবাগে গণজাগরণমঞ্চের আন্দোলনে সবাই কিন্তু শুধুমাত্র আন্দোলন করতেই যায় না । কেউ কেউ সবার মাঝে একটি গাঁজা টেনে কোণায় পড়ে থাকে, আবার কেউ কেউ বিরানি খাওয়ার লোভে গিয়ে বসে থাকে, আবার এমন অনেককেই দেখেছি একটুখানি ফ্যামাস হওয়ার লোভে গলা ফাটাচ্ছে । কার কি উদ্দেশ্য সে তো, নিজের মনেই থাকে, তাই না ?
আপনার কথার সাথে আমি একমত । তবে আপনি যেমন সামগ্রিকভাবে বলেছেন সেখানে লেখাটিতে কেবল মাত্র একটি ক্ষুদ্র উটকো গোষ্ঠী সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
ক্ষুদ্রমানব বলেছেন: সঠিক বলেছেন