নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বইয়ের পোকা

নামে বইয়ের পোকা

পড়, পড়তে উৎসাহী করো!

নামে বইয়ের পোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পড়াশোনা এবং যেকোনো কাজে মনোযোগ বৃদ্ধির আকর্ষণীয় ১২ কার্যকর কৌশল!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৭



আমরা জানি যে বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এ দেশে বর্তমানে একটি সরকারি চাকরি পাওয়া, সোনার হরিণ হাতে পাওয়ার মত হয়ে গেছে। আর বর্তমানে সব স্থানে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। আপনি ভার্সিটি পরীক্ষা দিতে যাবেন, সেখানে একটা সিটের জন্য ১০০০ জন ছাত্রছাত্রী প্রতিযোগিতা করছে। অর্থাৎ ১০০০ জন থেকে মাত্র একজনকে নেওয়া হবে। আবার চাকরি পরীক্ষায় ও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানা দেখা যায়, কোন ব্যাংক লোক নিয়োগ করবে ৫০ জন কিন্ত আবেদন করে দশ হাজারের উপরে। আপনি ২০ বা ২৫ বছর লেখা পড়া করলেন আর আপনার পছন্দের চাকরিটা পেলেন না। এ রকম প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, আপনাকে লেখা পড়ার মনোযোগ বৃদ্ধি এবং ভালো মানের লেখাপড়া উপহার দিতে হবে। কিভাবে আপনি লেখাপড়ায় এবং আপানি যে কাজ করছেন সে কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করবেন, নিচে দেখুন, কয়েকটি আকর্ষণীয় কৌশল দেওয়া আছে...। আশা করি আপনার অনেক উপকারে আসবে।


এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে আপনি লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়াবেন।


"আপনার লেখা পড়ার প্রতি মনোযোগ কম" এ কথাটি কখন কারো সাথে বলবেন না এবং নিজে নিজে ও ভাববেন না। এ নেতিবাচক কথাটি আপনাকে লেখা পড়ায় মনোযোগ আনতে আর কঠিন করে তোলে। কারণ আপানি এ নেতিবাচক কথাটি বার বার বন্ধুদের সাথে বলার কারনে আপনার মন সেটা বিশ্বাস করে ফেলে। আপনি ইতিবাচক কথা বলার চেষ্টা করুন যেমন - "আমি ইংরেজি অঙ্কে অনেক ভালো", "আমি যা পড়ি তা সহজে ভুলি না", আমি সবাই যা পারে না তা পাড়ি" ইত্যাদি। তাই এসব নেতিবাচক কথা বাদ দিয়ে ইতিবাচক পথে হাঁটতে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনার মনোযোগ যে কোন কাজে স্থায়ী হয়ে যাবে।


১। দিনের অল্প সময় ব্যয়াম করুন।
কথায় আছে, সুস্থ দেহ সুস্থ মন। ব্যয়ামের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এর অনেক উপকার আছে। তারমদ্ধে, একটি হল এটি আমাদের মনোযোগ ও ফোকাস বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ব্যয়ামের ফলে আমাদের মাথা থেকে এক ধরণের রাসায়নিক যৌগ বের হয় যা আমাদের শেখা এবং মেমরিতে প্রভাব ফেলে।

আমাদের অনেকের কাজ করার সময় বা পড়ার সময় কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। যাদের অভ্যাস আছে তারা মনে করে কফি খেলে তাদের মনোযোগ বাড়ে। দিনের প্রথম ভাগের অল্প সময় ব্যায়াম, হাজার ভাগ উত্তম এক কাপ কফির চেয়ে।

আর এটা আপনাকে শরীর এর দিক দিয়ে স্মার্ট বানাবে। অর্থাৎ এক ধরণের ভালো লুকিং তৈরি করবে। কে না স্মার্ট হতে চায়? তাই না!

২। মনোযোগ এর মূল্য বোঝার চেষ্টা করুন।
আপনার একটা নিজস্ব পারসোনালিটি আছে। এখন সেটা ধরে রাখতে হলে, আপনাকে অন্য সবার চেয়ে একটু বেশি মনোযোগী হতে হবে। অন্যান্যরা যেসব বিষয় বুজতে পারে না, সেসব বিষয় আপনাকে সবার আগে বুজে উঠতে হবে। অর্থাৎ ভালো ভাবে চলতে গেলে মনোযোগের গুরত্ত ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

৩। বর্তমানে বসবাস করুন।
আমাদের হাতের ঘড়ির কাটাটি অনবরত ঘুরছে। এটা কখন থামার নয়। তাই, সবসময় বর্তামানে থাকার চেষ্টা করুন। অনেকেই তাঁর আশেপাশে তাঁর বন্ধুরা কি কথা বলছে, সে তা খেয়ালই করতে পারে না। সে তখন অন্য জগতে থাকে। আসলে, ভবিষ্যতে কি হবে তা আমরা কেউই বলতে পারি না। আবার অতিতে যা ভুল করেছি তা পুনরায় সঠিক করতে পারবো না। মাঝে মাঝে আমাদের শৈশবের স্মৃতি মনে পড়লে অনেক খারাপ লাগে। কিন্ত সেগুলো শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমরা তা রিটার্ন করতে পারবো না। তাই, অতিতের গ্লানি আর ভবিষ্যতের দুশিন্তা দূর করে বর্তমানের প্রতি মনোযোগ দিন। দেখবেন আপনি, যে কোন বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারছেন।

৪। আরও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনি সচেতনভাবে চিন্তা করুন যে আপনি কি কাজ করছেন, কেন করছেন এবং কিভাবে করছেন? আর কাজটি করতে আপনি কেমন অনুভব করছেন। আসলে, আমাদের আবেগ ও অনুভতি আমাদের কাজের ফোকাসের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। আপনি যদি কোন কাজ মন থেকে করেন তাহলে সে কাজটি করে আপনি মজা পাবেন। আর চেষ্টা করুন যে কাজটি ভালবাসেন সে কাজটি করার জন্য।

৫। লক্ষ্য ঠিক করুন।
শুধু লক্ষ্য নিয়ে অনেক বড় আর্টিকেল লেখা যাবে। এখানে যে লক্ষ্যের কথা বলছি তা হল, কোন একটি বিষয়ে কাজ করার জন্য ঐ বিষয়ে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে লক্ষ্য ঠিক করা।আপনি যদি লক্ষ্য ঠিক না করে এগিয়ে যান তাহলে নদীতে মাঝি ছাড়া নৌকার মতো বাতাসে নদীতে ভাসবেন। তাই, কাজ করার আগে লক্ষ্য ঠিক করুন।

৬। একসাথে অনেক কাজ করার আগ্রহ দেখাবেন না।
অনেকে নিজেকে অন্যের কাছে নিজেকে দক্ষ হিসাবে জাহির করার জন্য এক সাথে অনেক কাজ করার চেষ্টা করে। ফলে সে একটি কাজে ও ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না। তাই, সুন্দরভাবে তার দ্বারা কোন কাজ হয় না। বলা যায় যে, এক সাথে অনেক কাজ করা আপনার মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য শত্রু হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি আপানাকে কোন কাজে গভীরভাবে চিন্তা করতে বাধা প্রধান করে।

৭। সকাল সকাল টাইমমত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
মনোযোগ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে বিষয়টি প্রভাব ফেলে সেটা হচ্ছে বিশ্রাম। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে প্রতিদিন ঘুমাতে হয়। কারুন এটা একটা শরিরের প্রাকৃতিক বিশ্রামের আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা। যদি একদিন আমাদের ঠিকমত ঘুম না হয় তাহলে পরের দিন দেখা যায় যে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিকমত কাজ করছে না। শরির খারাপ লাগে ফলে মাথা কাজ করে না এবং আমাদের কাজে মনোযোগ চলে যায়। তাই, দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করুন এবং পর্যপ্ত পরিমানে যেন ঘুম হয় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন। আবার দেরিতে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস ও ত্যাগ করতে হবে। কারুন অতিরিক্ত ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই, সব কিছু রুটিন মাফিক করতে হবে।

৮। আপনার কাজের সিডিউল বা কার্জ পরিকল্পনা তৈরি করুন।
আপনি সহজে আপনার কাজের প্রতি বা পড়ার প্রতি মনোযোগ বা ফোকাস হারিয়ে ফেলবেন যদি আপনার কাজের সিডিউল না থাকে। পড়ার সময় মোবাইলে ব্রাউস, ইমেইল করতে মনে চাইবে। আবার, যদি আপনার পড়ার রুটিন না থাকে তাহলে ইংলিশ বিষয় পড়ার সময় অঙ্ক পড়ার ফাদে আপনি পড়ে যাবেন। ফলে আপনি ইংলিশ পড়তে পারবেন না ঠিকমত আবার অঙ্ক ও পারবেন না। মন বিভিন্ন দিকে ঘুরবে। পড়ার সময় বা কাজ করার সময় মন কে কেন্দ্রীভূত করা না গেলে মন বিভিন্ন দিকে ঘোরাফেরা করে। তাই, মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য যে কাজ করছেন সে কাজের প্রতি পুর্ন মনোযোগ দিন। আর এ কাজটি সুষ্ঠভাবে করার জন্য কাজের একটি প্লান তৈরি করে ফেলেন।

৯। একটু থেমে কাজে বিরতি দিন।
আপনি কি একনাগারে অনেকক্ষন কাজ করেন? এটা ও মনোযোগ এর উপর প্রভাব ফেলে। লাগাতার কাজ করার ফাকে ফাকে একটু থামুন এবং বিশ্রাম করে নেন। কাজ করার সমায় যদি আপনার মনে হয় যে আপনি কাজের উপর ফোকাস বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তাহলে কাজে একটা বিরতি টানুন এবং টেবিল থেকে উঠে ৫ মিনিট এর জন্য হাঁটতে পারনে।

১০। ছোট বাচ্চার মত নিজেকে পুরস্কৃত করুন।
যখন একটি ছোট বাচ্চা কোন একটি কাজ শেষ করে তখন আপনি কি করেন? তাকে আপনি বিভিন্ন ভাবে প্রশংসা করেন এবং তাকে পুরস্কৃত করেন। আপনি নিজের সাথে ও ঠিক একই ধরণের ব্যবহার করুন অর্থাৎ কোন একটি কাজ শেষ করে উদ্দীপনামূলক কিছু উপহার নিজেকে প্রদান করুন যা সবসময় আপনার সামনে রাখুন। এভাবে আপনার উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণ করে আপনার কাজের মনোযোগ বৃদ্ধি করুন।

১১। কেন অপেক্ষা করছেন? এখনই কাজটি করুন।
দীর্ঘসুত্রতা নিঃসন্দেহে কাজের বা পড়ার মনোযোগ বিচ্যুত করার জন্য একটি শত্রু হিসাবে কাজ করে। আপনি যদি একটি কাজ আজ করতে পারেন তাহলে কালকের জন্য কেন ফেলে রাখবেন? আপনি যদি আজ দু ঘণ্টা পড়েন আর আগামীকাল দু ঘণ্টা পড়েন তাহলে দুদিনে চার ঘণ্টা হল। আর যদি একদিনে চার ঘণ্টা পড়েন তাহলে সেটা ওভার হয়ে যায়। তাই, দীর্ঘসুত্রতার অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

১২। "না" বলার অভ্যাস করুন।
আপনি হয়ত লক্ষ্য করবেন যে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের পড়ার সময় মন খারাপ লাগে, অর্থাৎ ভালো লাগে না। কিভাবে মন খারাপ দূর করা যায়? আপনি শুধু না বলুন। আপনি আপনার মন কে খারাপ লাগতে দিবেন না। আপনি মনকে বলুন না! আমার মন ভালো আছে। এবং পুনরায় ফোকাস করার চেষ্টা করুন। প্রথম প্রথম আপনার কাজটি করতে কষ্ট হবে কিন্ত অভ্যাস হয়ে গেলে আর কোন সমস্যা হবে না।


আপনি কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন কি পারবেন না সেটা নির্ভর করে আপনার ইচ্ছার উপর। তাই, আগে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে জাগ্রত করুন।



==============================================================
সুবিশাল বাংলা বইয়ের অনলাইন ব্লগঃ Bangla Book Download
You are always welcome to read and inspire others to read. Reading is a very good habit which explore the earth in front of you.


মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৭

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: খুবই উপকারি পোস্ট। স্ট্রেইট টু ফেভারিটস!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩২

নামে বইয়ের পোকা বলেছেন: সত্যি! খুব অনুপ্রাণিত হলাম :)
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আর হ্যাঁ!
বইয়ের পোকার ব্লগে স্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.