নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত খুব মূল্যবান আর এই মূল্যবান মুহূর্ত গুলো নষ্ট করা উচিৎ নয়।

আন্নীআক্তার৭৮৬

আমি খুবই অল্প ভাষী মানুষ। তাও ব্লগটি ওপেন করলাম দেখি কিছু লিখতে পারি কিনা

আন্নীআক্তার৭৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুপ্তধনের সন্ধানে খোঁড়া হচ্ছে মাটি।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭



রাজধানীর মিরপুর-১০ এর সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের সেই বাড়িটিতে 'গুপ্তধন' উদ্ধার অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ বা প্রকৌশলীরা দেখে সিদ্ধান্ত দিলে আবার অভিযান চালানো হবে। জানা গেছে, এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এরআগে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে ২০ জন শ্রমিক নিয়ে বাড়িটির দুই ঘরের মেঝের খনন কাজ শুরু হয়। সাড়ে চার ফুট গভীরে খনন করার পর বিকাল ৪টার দিকে তা স্থগিত করা হয়। খননের সময় প্রায় ৩০ জন পুলিশ পুরো বাড়িটিকে ঘিরে রাখে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান শনিবার জানিয়েছেন, গুপ্তধনের সন্ধানে তারা ৮ ফুট পর্যন্ত খনন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফফির জানান, তৈয়ব নামের এক ব্যক্তির করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সাপেক্ষে ওই বাড়ির দুটি ঘরে খনন কাজ শুরু করা হয়। বাড়ির চারটি ঘরের সবকটিতে পর্যায়ক্রমে খনন করা হবে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, বাড়িটির মূল মালিকের নাম দিলশাদ খান। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান চলে যান। মাঝেমধ্যে সৈয়দ আলম নামে তার দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় বাংলাদেশে আসেন। কক্সবাজারের তৈয়বের সঙ্গেও তার বন্ধুত্ব রয়েছে। এরা কক্সবাজার ও ঢাকায় জমি কেনাবেচায় সম্পৃক্ত। আলমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ওই বাড়িতে গুপ্তধন থাকার বিষয়টি জানতে পারেন তৈয়ব।

এদিকে বাড়িটি বর্তমানে দখলে রাখা মনিরুল ইসলামের দাবি— তিনি ২০১০ সালে ওই বাড়ি কিনে নেন। বর্তমানে তার নিয়োগ দেওয়া দুজন কেয়ারটেকারও সেখানে বাস করেন। আর বাড়ির মালিকানা নিয়ে মনিরুল ও দিলশাদের সন্তানদের সঙ্গে এক ধরনের বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।

তারা তাদের বাবার বাড়ি উদ্ধারে কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, মনিরুল জোরপূর্বক বাড়িটি দখল করে রেখেছেন। এমনকি শফিকুল নামে একজনকে তত্ত্বাবধায়ক রেখেছেন। শহীদুল্লাহ নামে মালিক পক্ষের এক ঘনিষ্ঠ লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন শফিকুল। বাড়ির ভালোমন্দ সব কিছু তাকে জানান। শহীদুল্লাহ পুলিশের সদস্য বলেও জানা গেছে।

তৈয়বের ভাষ্য, তাকে নিয়ে সৈয়দ আলম ঢাকায় আসেন ওই বাড়ির গুপ্তধনের সন্ধানে। পরে তাকে ছাড়াই সৈয়দ আলম মনিরুলের সঙ্গে আঁতাত করেন। বিষয়টি টের পেয়ে গুপ্তধনের তথ্য জানিয়ে পূর্ব পরিচিত রাবেয়া চৌধুরী নামে এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় জিডি করেন।

স্থানীয়রা জানান, দিলশাদের লোকজন বাড়ি দখলে না নিতে পারলে মনিরুলও যাতে থাকতে না পারে, সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

বিডি প্রতিদিন/ ২২ জুলাই ২০১৮/ ওয়াসিফ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


লেখাটি ভাল লেগেছে; শুভ ব্লগিং.,..........

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: বরাবরের মতো এবারো হয়তো বোকা বনে যাবে ।
সঠিক তদন্ত ছাড়া চিলের পেছনে দৌড়ানো নেহাতই বোকামো ছাড়া আর কিছু নয়।
খুবই হাস্যকর হয়ে দাড়িয়েছে বিষয়টি ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.