নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বিশেষ কেউ বা কিছু না। যা মনে আসে যেভাবে মনে আসে তাই লিখি।
নিজেকে বাসায় কখনোই এত সময় বন্দি করে রাখিনি। তার উপর কথাবলার কোন মানুষ নেই। গত দু-দিন মনে হচ্ছে পাগল হয়ে যাচ্ছি, মেজাজ অতি মাত্রায় খিটখিটে, কথায় কথায় যার তার সাথে ঝগড়া, নিজে নিজে হাসা, ইত্যাদি আরো নানা বিধ লক্ষন অনুভব করছি। কাজের উছিলাই কতক্ষনইবা নিজেকে একা রাখা যায়? বার বার ছোটবেলার সেই গল্পের কথা মনে পরছে MAN CAN NOT LIVE ALONE আসলেই মানুষ একা বাস করতে পারেনা।
ভাবছি করোনার প্রভাব শেষ হলে গ্রামে চলে যাবো। গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করবো। কারন করোনা পরবর্তী অবস্থায় মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে খাদ্য আর চিকিৎসার। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। অমদানি করা যাবেনা কারন কার কাছ থেকে আমদানি করবে? সবাইত নিজ খাদ্য যোগান দিতে হিমশিম খাবে। তখন কৃষকদের কদর বেড়ে যাবে তাদেরকে দেখা হবে সম্মানের চোখে। তারা তাদের অতীত গর্ব ফিরে পাবে আর গর্ব করে বলবে আমি কৃষক।
শহর থেকে মানুষ হুমরি খেয়ে পরবে গ্রামের দিকে। ঈদের দু-দিন আগে যেমনটা হয়। বিদেশ থেকে শ্রমিকরা আবার গ্রামে ফিরবে নতুন করে চাষাবাদ শুরুর আশায়। সবায় একসাথে মাঠে নেমে পরবে। লাঙ্গলটা আবার সারিয়ে তোলবে। ট্রাকটার টা বিক্রি করে দু-টি হালের বলদ কিনবে। ড্রেজারের বালি দিয়ে যে পুকুরটা ভরিয়ে ফেলেছিল দালান করবার আশাই তা আবার খনন করা হবে মাছ চাষের জন্য। পুরোনো মেপ দেখে উদ্ধার করা হবে ফসলি জমি। তার পর সবাই এক সাথে মাঠে গিয়ে শুরু করবে চাষাবাদ। গরু লাঙ্গল নিয়ে জমি চাষ করবে।
যার গরু লাঙ্গল আছে প্রথমে সে তার জমি চাষ করবে, তার পর যাদের নেই তাদের দিবে। চাষ দেওয়া শেষ হলে বড় বড় মাটির ঢেলা ভাঙ্গার জন্য জমিতে মই দিবে। মই দেওয়া আনেক আনন্দের। ছোটবেলাই আমিও জমিতে মই দিতাম।
মই দেবার পর জমিতে সার ছিটানো হবে।
তারপর দেওয়া হবে সেচ ।
এভাবেই সকল কাজ শেষ করে ফলানো হবে খাদ্য। বিলের মাঝদিয়ে যে রাস্তাটা নেবার প্লেন করা হয়েছিল তা বন্ধ হয়ে যাবে। আইন করা হবে ফসলি জমিতে বাড়ি করা যাবেনা।
নদীর গতি পথ স্বাভাবিক করার জন্য ভেঙ্গে ফেলবে সব অবৈধ স্থাপনা। ছোট ছোট যে খালগুলো ভরাট করে ফেলেছে তা আবার খনন করে খুলে দেওয়া হবে। জেলে পাড়া আবার হয়ে উঠবে উৎসব মূখর , নৌকার কারিগররা আবার ব্যস্ত হয়ে পরবে নৌকা বানাতে।
এভাবেই মানব সভ্যতা নিজের পায়ে দাড়াঁবে আবার নতুন করে।
ছবি সব গুগল থেকে ধার করা।
ঘরে থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বর্ণিল স্বপ্ন
নিজের শেকড়কে অবহেলা করতে নেই। শেকড় ছাড়া যেমন গাছ বাঁচেনা, মানুষও বাঁচেনাা।
+++
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রামীণ দৃশ্য । মনোরম ও অপরূপ ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে মনে হলো- শহরে না থেকে গ্রামে থাকলে আমি একজন ভালো কিষক হতে পারতাম।