| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আমি রানা
	আমি বিশেষ কেউ বা কিছু না। যা মনে আসে যেভাবে মনে আসে তাই লিখি।
 
পুরো একটা ঈদের দিন কাটিয়ে দিলাম, দিনটা সবার মতই কেটেঁছে অন্যরকম। 
রাত ৩টাই ঘুম থেকে উঠেছি। অভ্যাস হয়ে গিয়েছে এই সময়ে উঠে কাজ করতে বসার। যেহেতু ঈদ তাই রান্না-বান্নার কিছু ব্যপারতো রয়েই যায়। একা থাকি বলেত না খেয়ে বা ঈদ না করে পারবোনা! এ কদিন ব্যাচেলর দের জাতিয় খাদ্য ডিম দিয়ে চালিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ঈদে বিশেষ কিছু খাবার খেতে মন চাইছিল বেশ কদিন , চাইবার ও কিছু করন আছে ওদিন ফেইসবুকে একজন বিড়িয়ানি রান্না দেখে লোল(জিভে জল চলে আসা) পড়ে গিয়েছিল। তাই ওদিনই মন স্থির করলাম বিড়িয়ানি রান্না করবো। 
দুদিন আগেই বাজারে চলে গেলাম। (লকডাউনের পর থেকে বাজারে যাইনা, পাশের মুদি দোকানে যা পাই তা দিয়েই দিন কাটিয়ে দিয়েছি) বাজারে  গিয়েত খুশি হয়ে গেলাম মাঠের মাঝে বাজার বসেছে অনেক অনেক দোকান মানুষও অনেক অনেক একটা উৎসব উৎসব ভাব , মনের আনন্দে ১.৫কেজি গরুর মাংস কিনে ফেল্লাম যদিও ১কেজি কেনার কথা ছিল , দোকানদারের চালাকির কাছে হার মেনে ১.৫কেজি কিনতে বাধ্য হলাম। যাই হোক আমিইত খাবো বলে মনকে শান্তনা দিলাম। 
 ভোর চারটাই মাংশ কশাতে বসিয়েছি, ডিম সেদ্ধ দিয়েছি চারটা, নুডলস আর ডিম ভোনা করার জন্য টানা সাড়ে চার ঘন্টা খেটে রান্না শেষ করলাম। তার পর গোসল শেষে নুডলস খেলাম অসাধারন রান্না আমার। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়ের পর যদি আমার বউ জানতে পারে আমি এত ভালো রান্না করতে পারি, সে রান্নার পুরো দ্বায়িত্বটা আমার কাধেঁয় তুলে দিবে। 
বিড়িয়ানিও সাংঘাতিক ভালো হয়েছে। পেট এবং মন দুটোই ভরেছে।
আমি অতোটা সামাজিক না যে অনেক অনেক মানুষ ফোন করে খবর নিবে। তাই আমার ফোন বেশি ব্যাস্ত থাকেনা।  
সুতরাং পরিবারই আমার কাছে সবকিছু, তাই পরিবারকে সময় দেওয়া ।  
 
আয়ান আলী , মেজ ভায়ের ছেলে।
ফারহান এবং আদিবা বড় ভায়ের ছেলে মেয়ে। খুবি দুষ্ট ।
দুপুরের খাবারের পর ইচ্ছে ছিল বের হবো, কোথাও যাওয়ার জন্য না শুধুই ঘোরা ফেরা করা। কিন্তু ঘুমের কাছে হার মেনে বাহিরে যাওয়া আর হলো না।  ঘুম থেকে উঠলাম সন্ধ্যা ৭.২৪ মিনিটে তখনো বের হবার ইচ্ছে ছিল কিন্তু বের হতে পারলাম না। 
নীলার একটা মেসেজ আসলো খুব সাধারন ভাবে লিখা "Eid Mubarak"। আর বের হতে আর ইচ্ছে হলো না। বসে গেলাম কম্পিউটারে........
নীলা কখনো মিথ্যে বলিনি। 
ভালবেসেছি তা সত্যি, কিন্তু তোমার মতো করে অনুভব 
আমি কখনো করতে পারিনি।
তোমাকে স্পর্ষ করেছি অনেক বার, 
কিন্তু তার যে একটা আবেশ এবং রেশ রয়ে যায় তা বুঝিনি কখনো।
নীলা কখনো মিথ্যে বলিনি। 
তোমাকে নিয়ে কল্পনা করছি অনেকবার কিন্তু
ঘর বাধাঁর স্বপ্ন দেখিনি কখনো। ছোট্ট সুখের ঘর।
নীলা ভালোবাসার মানে কি?
শুধুই মিলন নাকি অন্য কিছু?
নীলা কখনো মিথ্যে বলিনি। 
বার বার চেয়েছি অনেকবার চেয়েছি ফিরে আসো,
পুরোনো সম্পর্কটার ইতি ঘটাও। 
পুরোনত পুরোনই তাতে কি নতুনের আবেশ থাকে?
নীলা পুরোনো প্রেমককে কি কখনো ভোলা যায় না?
নীলা কখনো মিথ্যে বলিনি। 
তোমাকে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় কখনো করিনি,
কিন্তু তোমাকে বোঝার কিংবা ভালোবাসার সুযোগটুকু পাইনি। 
নীলা কখনো মিথ্যে বলিনি, 
ভালোবাসা শুরু আমরা করেছি কিন্তু শেষটা করতে পারিনি।
লিখে ফেল্লাম, তবে কি লিখেছি নিজেও জানি না। রাতে খাবার খেয়ে আবার ঘুম। 
ঘরে থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন। 
 
২৬ শে মে, ২০২০  দুপুর ২:০০
আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ। পরিবারের ভালোবাসা নিখুঁত।
২| 
২৬ শে মে, ২০২০  দুপুর ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের এখানে মাছ আর সবজির বাজার টা এখন মাঠের মধ্যেই বসে। 
রান্না আমি শেখা শুরু করেছি। তবে আমার কখনও মেস বাড়িতে একা থাকতে হয়নি। আমি একা থাকতে পারি না।
 
২৬ শে মে, ২০২০  দুপুর ২:০৩
আমি রানা বলেছেন: আমিও আগে ভাবতাম একা থাকতে পারিনা। তবে এখন ভালোই উপভোগ করি।
   রান্না ভালো হলে মন ভালো থাকে,  আমি গবেষণা করে বের করেছি।
৩| 
২৬ শে মে, ২০২০  দুপুর ১:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজকাল ছেলেমেয়েদের কাছে ভালোবাসার সজ্ঞা এক এক রকম। নিরাপদ থাকুন
 
২৬ শে মে, ২০২০  দুপুর ২:০৫
আমি রানা বলেছেন: ভালোবাসায় সঞ্জা একটাই, প্রকাশ ভিন্ন।
৪| 
২৬ শে মে, ২০২০  বিকাল ৫:৫০
ওমেরা বলেছেন: বিরিয়ানী রান্না করেন নাই ?
 
২৬ শে মে, ২০২০  রাত ৮:০৭
আমি রানা বলেছেন: হা, খেতে খুব ভালো হয়ে ছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০২০  সকাল ৯:৩৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তোমাকে নিয়ে কল্পনা করছি অনেকবার কিন্তু
ঘর বাধাঁর স্বপ্ন দেখিনি কখনো। ছোট্ট সুখের ঘর।
নীলা ভালোবাসার মানে কি?
..........................................................................
ঈদের ভালবাসা, খাঁটি ও মধুর হোক ।