![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতাই প্রিয়। কিন্তু গদ্যও যে তার আরশিনগর। তাই নারীর চেয়ে যতই প্রিয় বলি দেশকে; প্রকৃতি হেসে বলেঃ ও হলো কথার কথা। এভাবেই একদিন প্রেমে পড়লাম ঢাকার... স্বপ্নের মত সুন্দরী এক বারবনিতা। থাক এসব ব্যক্তিগত প্যাচাল। তার চেয়ে আসুন পাঠ হোক...
স্ত্রীর সাথে ইলিয়াছের ঝগড়া হয় না বললেই চলে। তবু ভয়, আজ সে নিজেকে চেক দিতে পারবে না। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সাথে তার চমৎকার আন্ডারস্ট্যান্ডিং। বাসা ভাড়া, বাজার খরচ, সাপ্তাহিক ভ্রমণ কিংবা গ্রামের বাড়ি যাওয়া-- কোনটিতেই বিরাট কোন বিপত্তি ঘটে না। বলা যায়, তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে তারা একটু বেশিই সুখে আছে। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধব সকলেই তাদের উপর সন্তুষ্ট। নিজেকে জিজ্ঞাসাও করে দেখেছে সেঃ- শরীর ও মন দুটোই তৃপ্ত তার। ঝগড়া হবার সুযোগই নেই। কিন্তু আজ...
দুপুরের রোদ উপেক্ষা করে মারিয়া দর্জির কাছে গেছে শুনেই ইলিয়াস ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। মুহুর্তগুলো হয়ে ওঠে অশেষ প্রতীক্ষারঃ প্রিয় বইয়ের পাতা উল্টায়- নেপাল-ভ্রমণের ছবি দেখে-- চার্লস হেসটনের ভিসিডি চালায়-- কিন্তু মেজাজ কিছুতেই শান্ত হয় না। বারবার ভেসে ওঠে কুৎসিত কল্পনা। মারিয়ার শরীরের গাথুঁনি একটু শিথিল হলেও ফিগারটা অদ্ভুত। যে ধরনের ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসকে নারীদেহের আদর্শ ধরা হয়, সেই বিচারে মারিয়া এখনো পারফেক্ট। প্রতিটি স্পর্শে তার শরীর কবিতার মত গুঞ্জরিত হয়। সে সুরে ইলিয়াসের শুধু দেহ নয়, চেতনাও লুপ্ত। অথচ এখন...! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইলিয়াস নিজের চেহারা দেখে।
ক্রুদ্ধ হলে মানুষকে কী বিভৎস দেখায়। নিজের প্রতি তার করুণা হয়। চোখ সরিয়ে দেয়ালে তাকায় ইলিয়াছ। মারিয়ার সাথে তার যুগল ছবি টানানো দেয়ালে। কি আশ্চর্য মোহিনী রূপ ঐ মেয়েরঃ নিটোল গালে ঈষৎ হাসির আভাস- চোখে চপল দুষ্টুমি- পুরুষ্ট বুকের উত্থানে আশ্চর্য রোমান্টিকতা। মনের পর্দায় অসংখ্য মধুর ছবি ভেসে যেতে থাকে ইলিয়াসের।
বিয়ের শুরুতেই যে সংকোচ থাকে, বিশেষত সেটেল ম্যারেজে, মারিয়া তা দুদিনেই কাটিয়ে উঠে জীবনের গতির সাথে পাল্লা দিয়েছে নদীর স্রোতের মত। কাউকে বলে দিতে হয়নি। সহজ সাবলীলতায় সে হাতে তুলে নিয়েছে সকল উচিতকে। বইয়ের শিক্ষাকে প্রয়োগ করছে জীবন যাপনের পরতে পরতে। বিজ্ঞানী হয়েও নানা কুসংস্কারে ইলিয়াছ বন্দী, অথচ মারিয়া ভূগোলের ছাত্রী ..... হয়েও সেগুলো থেকে মুক্তি খুঁজে নিয়েছে।
বরাবরই পোষাকের ব্যাপারে ইলিয়াছ উদাসিন । শাদা শার্টের সাথে গাঢ় রঙের প্যান্টের ম্যাচিং নিয়ে কোনদিনই মাথাব্যথা ছিল না। অথচ এসব ব্যাপারে মারিয়ার তিক্ষ্ম নজর। জুতার ফিতে থেকে কোমরের বেল্ট, মোজার রঙ থেকে কলমের ডিজাইন- প্রতিটি ব্যাপারেই নিখুঁত ম্যাচিংয়ে বিশ্বাসী সে। বাধ্য হয়ে ইলিয়াস মারিয়ার জোরাজুরি মেনে নিয়েছে। শার্ট বানাতে গেলে বোতামগুলো কি রঙের হবে, সে-ডিরেকশান না দিয়েই, সে-তত্ত্ব না জেনেই যখন এতটা বয়স পার করেছে, বাকী বছর গুলোতেও আর নজর দিতে চায় না সে। মারিয়ার যখন এত আগ্রহ, সেই দিক।
প্রথম প্রথম খুবই বিরক্ত হত ইলিয়াস। বিজ্ঞান নিয়ে যাদের কারবার, তাদের এত খুঁতখুঁতে হলে চলে? মারিয়ার মত ঠিক উল্টো। বিজ্ঞানীরা যেহেতু বেশি বুদ্ধিমান, তাদের অগোছালো হওয়া মানে বিপর্যয়কে প্রশ্রয় দেয়া। সে তো সাংঘাতিক ঘটনা!
তা হলে বোধহয় কবি হলেই ভাল ছিল। এত যন্ত্রনা হত না।
তাই? মারিয়ার চোখে ছলনার ভ্রুভঙ্গিঃ তুমি ভাল করে রবি ঠাকুরের ছবিও দেখ নি। ওঁর চেয়ে স্মার্ট লোক তো ঢাকা কলকাতা খুঁজেও দ্বিতীয়টি পাবে না। বুড়ো বয়সের আলখেল্লার দিকেই তাকিয়ে দেখ না, কী সাজ!
তাহলে নজরুল হই?
ও বাবা, একেবারে নজরুল! তাহলে এসো, দেখি ওঁর সেই তানপুরার সামনে বসা টুপি-পরা ছবিটা। ও-রকম সুর্যাসনে বসে সাধনা করতে যদি পার, হাজার তরুনীর হৃদয় কেড়ে নিতে পারবে। চেষ্টা করবে নাকি?
ইলিয়াসের মুখে কথা যোগায় না। সে জানে, মারিয়া চাইলে আরো অসংখ্য যুক্তি দাঁড় করাতে পারবে। ধনু রাশির বৈশিষ্ট্যই তো ওই। যুক্তিতে হারানো যায় না। তাই বলে ...। আবার সেই রাগটা লাফিয়ে ওঠে।
অফিস পরপর দুবার ‘বেস্ট ড্রেস্ড-ম্যান অভ দ্য ইয়ার’ খেতাব দিয়েছে তাকে। ইলিয়াস জানে, এর পুরো কৃতিত্ব মারিয়ার। সামান্য চশমার ফ্রেমটা বদলাতেও তার হাজার বায়নাক্কা। গোল্ড-রীম শরীরের ক্ষতি করে- মোটা প্লাস্টিক বেশি ভারী- রিডিং গ্লাসে কম্বাইন্ড পাওয়ার মানায় না; ফ্রেম ছাড়া গ্লাস পরলে নাকে দাগ পড়ে যাবে; আরো কত কী! সুতরাং মেহবুব অপটিক্সের ঐতিহাসিক দক্ষতাও শেষপর্যন্ত হার মানে। ইলিয়াসের চোখে উঠে আসে ইটালিয়ান রীমলেস সিলভার। ভাবলে তার লজ্জাই হয়, দ্বিতীয় দিন থেকেই তরুণী সেক্রেটারী তার দিকে চোরা চোখে চাইছিল। ইচ্ছে থাকলে সুযোগ নেয়া কঠিন হত না। বিছানায় সে কথা বলতেই মারিয়া হেসে বলে, বেশ তো, ট্রায়াল দিয়ে দেখ একবার। তবে- বলে সে তার নিরাবরণ সম্পদ চোখের সামনে উন্মুক্ত করে বলে- এর চেয়ে গুনেমানে উত্তম হওয়া চাই। এটাই শর্ত, বুঝলে হে বিজ্ঞানী?
ইলিয়াসের লজ্জা, যুক্তি, লালসা মরে পড়ে থাকে মারিয়ার পেলব কোমলে। ভালবাসায় এই অপরূপ কায়দা সে কোথায় শিখেছে- মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে ইলিয়াসের। কিন্তু সারাদিনের ল্যাব-ওয়র্ক আর সংসারের ইতিউঁতিতে সে কৌতুহল বুকের গভীরেই থিতিয়ে যায়। তাতে যে তার খুব দুঃখ হয়, তাও না। যে-সুখ অসুখের জন্ম দেয় না সে-সুখ যত সামান্যই হোক, তাতে তৃপ্তি আছে। সেই স্রোতেই পার হয়ে গেল তিনটে বছর। শুধু যদি ভর দুপুরে ব্লাউজ বানাতে না যেত ও, ইলিয়াস হয়ত তিরিশ বছরেও পাড়ে নামত না।
নিজেকে সে প্রশ্ন করেঃ আমি কি ইর্ষায় ভুগছি? ওতো আমার প্যান্টের ডিজাইনেও এ রকম নাক গলায়। এতে দোষের কি আছে? কিন্তু তাই বলে...। ইলিয়াস চেষ্টা করে বিষয়টা ভুলে থাকতে। কিন্তু পারে না। বুঝলাম, শার্ট প্যান্টের রঙডিজাইন ঠিক হওয়া দরকার। টাইয়ের নট ঠিক না হলে লোককে গেঁয়ো লাগে। তাই বলে ব্লাউজের মাপও খাপে-খাপ হতে হবে? দর্জি ব্যাটা নিজেও তো পুরুষ। ভাবতেই ইলিয়াসের গা গুলিয়ে আসেঃ এসব কি বাড়াবাড়ি নয়?
একবার লোকটার সঙ্গে দেখা হয়েছে তার। সুপুরুষ- সন্দেহ নেই, কিন্তু সুদর্শন নয়। কামনার ক্ষেত্রে সুন্দরের কি খুব প্রয়োজন? ছিঃ ছিঃ- নিজেকে ধমকে ওঠে ইলিয়াস। স্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের চিন্তা শুধু কুরুচিপূর্ণই নয়, অশ্লীলও বটে। কিন্তু কি করতে পারে সে? নীচের দিকে বেশি টাইট হয়ে গেছে বলে প্রথম বার ব্লাউজ ফেরত দিয়েছে মারিয়া। পরের বার টিলে হয়েছে কুচি। বেচারা দর্জি আর কি করবে, নিখুঁত মাপ নেবার জন্য যেতে চলেছে। কিন্তু এই নিখুঁত মাপটা কি? ইলিয়াস নিজেকে স্থির রাখতে পারে না। কাজের মেয়েকে ডেকে চা দিতে বলে। গ্রীন-টির চুমুক তার কাছে অমৃত। আজ সে অমৃতেও রুচি হচ্ছে না। চায়ের কাপে নিজের অস্পষ্ট ছবিটা বার বার দর্জির মুখ হয়ে যাচ্ছে। ব্লাউজের মাপ কিভাবে নেয়া হয়? নিখুঁত মানে কি রেখায় রেখায় মিল? ভাঁজে ভাঁজে? কেমন করে তা সম্ভব?
ছাত্র জীবনে চিত্রালীতে এক ড্রেস-মেকারের সাক্ষাৎকার পড়েছিল ইলিয়াস। শবনম থেকে ববিতা পর্যন্ত সবার শরীরের জ্যামিতি বর্ণনা করেছিল বুড়ো। কে প্যাড লাগায়, কার উচ্চতা মারাত্মক বেশি, কার দুটো দিক অসমান, পড়তে পড়তে তীব্র উত্তেজনা বোধ করেছিল। ফ্যান্টাসীতে আক্রান্ত হয়েছিল সে দুপুরের ভাতঘুমে। সেই আশ্চর্য অনুভূতিটা সহসাই ফিরে এল মনে। তবে কি...। ইলিয়াস উঠে দাঁড়িয়ে কাপড় পড়ে। আমি একটু মৌচাক যাচ্ছি, বলে বেরিয়ে আসে রাস্তায়।
বিকেলের মিষ্টি আলোয় ঢাকা শহর ঝলমল করছে। কী সুন্দর আজকের আবহাওয়া। শুধু যদি জ্যামটা না থাকত, এ শহর রূপের রাণী হতে পারত। দারিদ্র, দুর্নীতি, দুঃখ ভুলে মানুষ ছুটে আসত এই আনন্দনগরীতে। ইলিয়াসের মনটা প্রসন্ন হয়ে যায়।
দু’সীট সামনে বসেছে এক সুবেশী তরুণী। গায়ের পোষাকটা অদ্ভুত সুন্দর- গাঢ় বেগুনী কামিজের সাথে নীলচে-খয়েরী পাজামা। ওড়নার রঙটি আরো অদ্ভুত- ফিকে সবুজ। ফর্সা মুখটি যেন নীল পানির উপর পদ্মকলির মত ফুটে আছে। না চাইতেও মেয়েটির ব্রার ফিতায় চোখ পড়ে ইলিয়াসের। এখানেই ভুল করেছেন আপনি, মনে মনে বলে সে, এত কন্ট্রাস্ট রঙের অন্তবার্স পরা ঠিক হয়নি। পুরুষের চোখ টেনে নিচ্ছে ঐ রঙ।
ছিঃ ছিঃ, কি ভাবছি আমি? ইলিয়াস চোখ ঘুরিয়ে নেয়। এই বিশাল রোডেও এত জ্যাম কেন? লোকে প্লেন মিস করবে না এত রাশ থাকলে? বিরক্ত যাত্রীরা যাচ্ছেতাই গালাগাল করছে। কংক্রীটের রোড ডিভাইডার ভেঙে ক্রেন দিয়ে সরান হচ্ছে। কারণ কি? সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট কি এতই গুরুত্বপূর্ণ? হতেও পারে। অনেক সেনা সদস্য আছে ওখানে বাংলাদেশের। নাকি কমনওয়েলথ্ পার্লামেন্টারী অধিবেশনের প্রস্তুতি এ-সব? এ-পথে প্রতিদিন ইলিয়াস যাতায়াত করে কিন্তু কোনদিন তাকিয়েও দেখেনি- কি হচ্ছে। আশ্চর্য, এত স্থায়ী নির্মানকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে কয়েকটি ফুল গাছ লাগাবার জন্য? মানুষের জীবনের চেয়ে ফুলের মূল্য বেশি? নাকি, রাজনীতির ভাষায়, এরই নাম উন্নয়ন?
মেয়েটি রাগ করে নেমে যাচ্ছে। এখানে নেমে সে কোথায় যাবে? তার দীর্ঘ ওড়না গলায় ঝুলে আছে। সুস্পষ্ট হয়ে আছে উন্নত বুক। ঠিক মারিয়ার মত। লজায় চোখ নামিয়ে নেয় ইলিয়াস। দর্জির ইচ্ছে মত ব্লাউজ বানাবে মারিয়া আর দর্জিও সেই সুযোগে...। মাথাটা দপ্দপ্ করে ইলিয়াসের। কে জানে, মারিয়া জয়ী হবে না দর্জি। কতটা ক্ষতি হবে তার দর্জি জয়ী হলে? দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে ইলিয়াস। নোনা স্বাদে ভরে যায় তেতো জিহ্বা।
বিশ্বব্যাংকের সাইন বোর্ডের সামনে বাস দাঁড়িয়ে আছে। ক্যাটারপিলার ভাঙছে কংক্রীটের দেয়াল। বিশাল ক্রেন তুলে নিচ্ছে বুকভাঙা চাঙর। ইলিয়াসের চোখ জ্ঝালা করে সরাসরি রোদে। হাত দিয়ে চোখ ঢাকে সে। পেছনের বস্তিগুলোর মানুষ কৌতূহলী চোখে এসব মহাযজ্ঞ দেখছে। তাদের নির্বিরোধী চোখে কেবলই জিজ্ঞাসা; ঈদের চাঁদের মত খানিকটা বাঁকা হাসি।
ইলিয়াস পৌঁছাতে পৌঁছাতে কি মারিয়া থাকবে? সম্ভবত না। খুঁতখুঁতে হলেও কোন কাজে মারিয়া বেশি দেরী করে না। বরং দর্জি ব্যাটাই সময় নেয়। ডিজাইন, রঙ, কাপড়ের কোয়ালিটি দেখিয়ে প্রলুদ্ধ করে। ইলিয়াস জানে, মারিয়া কারো দ্বারা প্রভাবিত হয় না। কিন্তু...। শুধু মাপ নেবার ব্যাপারটায় যদি অত দোটানায় না ভুগত, কোন চিন্তাই ছিল না তার। আপন মনে ইলিয়াস ঘটনার বিশ্লেষন করেঃ ব্যাপারটা মারিয়ার কাছে অবসেশনের মত। বিজ্ঞানীরা যাকে বলে এক্সপেরিমেন্ট। এই অবসেশনে সে এতই মশগুল যে দর্জি কোথায় হাত দিচ্ছে, কতটুকু দেখতে কতটুকু বাড়াবাড়ি করছে, সেদিকে তার নজরই থাকে না। সে শুধু পারফেকশনে নজর দেয়। অথচ...। ইলিয়াস দু’হাতে কপাল টিপে ধরে।
ইঞ্চি ইঞ্চি করে সামনে যাচ্ছে বাস। এভাবে চললে সারা জীবনেও সে মৌচাক পৌঁছুতে পারবে না। অথচ দর্জির হাতের নাগালে তার সবকিছু! মারিয়ার কবে এই বুদ্ধিটুকু হবে? কবে সে মুক্তি পাবে পারফেকশনের সৌখিনতা থেকে? ঐ ব্যাটা দর্জি...শালা! আক্রোশে মুঠি পাকাতে পাকাতে ইলিয়াসের হাত ব্যথা হয়ে যায়।
বিশাল কংক্রীটের স্ল্যাব ধপাস করে কাঁদা মাটিতে পিছলে পড়ে । ছিটকে আসা ধুলো-কাদায় মাখামাখি বাসের জানালা। অশ্রাব্য খিস্তিতে দলা পাকিয়ে যায় চারপাশের বাতাস। ইলিয়াসের গায়েও এসে লাগে কাদার ছিটে। হতভম্ব দৃষ্টিতে সে বাইরে তাকায়। ক্রেনের চালকের মুখে অনুতাপের বদলে বিজয়ীর হাসি। ইলিয়াস অবাক হয়ে দেখে। সুদর্শন না হলেও লোকটা সুপুরুষ!
===========০===========
১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৯
বুলবুল সরওয়ার বলেছেন: thanks!
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০০
আিম িববািহত বলেছেন: wow... first class...
১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৯
বুলবুল সরওয়ার বলেছেন: thanks!
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮
মুনসী১৬১২ বলেছেন: জটিল কুটিল ভালো হয়েছে
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৯
বুলবুল সরওয়ার বলেছেন: thanks too!
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
বুলবুল সরওয়ার বলেছেন: আমি হতভম্ব! এত পাঠক গল্পটা কেন পড়লেন? ব্লাউজ শব্দটির জন্য নয তো!!
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৭
অচিন.... বলেছেন: গল্পটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার লেখার হাত অনেক ভালো। চালিয়ে যান। আর হ্যা, আমি কিন্তু শিরোনাম দেখেই আসছি
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৫৯
আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: বাহ! অনেক হাই থট এর লেখা।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: অামি তো অাপনার লেখার প্রেমে পড়ে গেলাম.......
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:১৭
কাউসার রানা বলেছেন: ব্বাবাহ্ বেশ তো !
ধন্যবাদ।