নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম কর্তৃক সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সমালোচনা থামাতে না পারলে মুসলিম জাতির উপর থেকে আল্লাহর লানত থামবে না

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহতো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিরগণ তাঁকে ধাওয়া করেছিল (হত্যা করার জন্য), আর তিনি ছিলেন দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন। যখন তাঁরা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গিকে বলেছিলেন, তুমি বিষণ্ন হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।অতঃপর তাঁর উপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি নাজিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি।আর তিনি কাফেরদের কথা তুচ্ছ করে দেন।আর আল্লাহর কথাই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী সুবিজ্ঞ।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর যারা আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা মনে করে, তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত মুক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন হেদায়াতের সরল সহজ পথের সন্ধান দেন।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।

* রাসূলকে (সা.) যাঁরা সাহায্য করেছেন সেই সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) আল্লাহ ক্ষমা করেছেন। তিনি যাঁদেরকে ক্ষমা করেন তাঁদেরকে তিনি হেদায়াতের মধ্যে রাখেন। তাঁরা আর পথভ্রষ্ট হন না। আল্লাহ বলেছেন তিনি যাঁদের হেদায়াত দেন তাঁদের জন্য পথভ্রষ্টতা নাই।উহুদে রাসূলকে (সা.) যারা সাহায্য করেনি তারা মোনাফেক হয়ে ঘিয়েছিল। তথাপি যাঁরা সাহাবা হিসাবে পরিচিত তাঁদের মধ্যে কেউ মোনাফেক হয়ে থাকলে সেটা আল্লা ছাড়া অন্য কারো জানার কথা না।তাঁদের কেউ মোনাফেক হয়ে থাকলে তারা আল্লাহর শাস্তি পাচ্ছেন। সুতরাং তাঁদের কারো সমালোচনা করা কোন মুসলিমের দায়িত্ব না।তথাপি দায়িত্বের বাইরে গিয়ে রাসূলকে (সা.) যাঁরা সাহায্য করেছেন যারা তাঁদের সমালোচনা করে তাদেরকে থামানো না গেলে মুসলিম জাতির উপর থেকে আল্লাহর লানত থামবে না। জাহাজ আপনি ফুটো করেননি অন্য কেউ ফুটো করেছে তাই বলে আপনি ডুবে যাওয়া থেকে রেহাই পাবেন কি? সুতরাং রাসূলের (সা.) সাহায়্যকারীগণের সমালোচনা যারা করে তাদেরকে সকল মুসলিম মিলে থামাতে হবে। নতুবা অমুসলিমদেরকে দিয়ে মুসলিমদেরকে আল্লাহ শাস্তি দিতেই থাকবেন।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

* উচিত নয় এমন কাজ আমাদের রাসূল (সা.) করেছেন। হযরত আদমতো (আ.) শয়তানের ধোঁকায় পড়েছেন। তারপর আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমতা করে দিলে তাঁদের সামালোচনা করা যাবে কি? রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরাম (রা.)শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। এটা যে উচিত কাজ ছিল না সেটাতো বুঝাই যাচ্ছে। একজন সাহাবাও (রা.) এসব কাজকে জাহান্নামের কাজ বলেছেন। কিন্তু আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমা করলে তাঁদেরকে জাহান্নামী বলা যাবে কি? রাসূলকে (সা.) সাহায্যকারী সাহাবা (রা.) বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত। অন্যদের সাথে তাঁদেরকে একইভাবে বিবেচনা করলে চলবে না। সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) কাফের মনে করে কাফের হয়েছে খারেজী (ইবাদী)। সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) মোনাফেক মনে করে মোনাফেক হয়েছে শিয়া। সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) পথভ্রষ্ট মনে করে পথভ্রষ্ট হয়েছে সালাফী ও আহলে হাদিস। কারণ যাঁরা রাসূলের (সা.) সাহায়্যকারী তাঁদের জন্য পথভ্রষ্টতা নাই।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

সহিহ আল বোখারী ১ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
১। হযরত আলকামা ইবনে ওয়াককাস লাইছি (র.) বলেন, আমি শুনেছি, ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) মসজিদের মিম্বরে উঠে বলেছিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, সকল কাজেই নিয়ত অনুযায়ী হয়। আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করে, তাই পেয়ে থাকে। কাজেই যার হিজরত দুনিয়া লাভ বা কোন মহিলাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হয়েছে, তার হিজরত তদোদ্দেশ্যেই হয়েছে।

* সাহাবায়ে কেরামের (রা.) নিয়ত ছিল শুদ্ধ। সুতরাং তাঁদের উচিত নয় এমন কাজ হলো তাঁদের কাজের ত্রুটি। যার জন্য তাঁদের সমালোচনা করা হারাম। কারণ রাসূলকে (সা.) ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তাঁরা সাহায্য করেছেন। উচিত নয় এমন কাজ অনেক নবি (আ.) কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে। সাহাবায়ে কেরামের (রা.) দ্বারাও এমন অনেক কাজ হয়েছে। তাঁদেরকে সাধারণের কাতারে নামিয়ে সমালোচনা করা আল্লাহর ক্রোধের কারণ। হযরত আবু কবরের (রা.) প্রতি কারো অভিযোগ থাকলে তা’ প্রত্যাহার করতে হবে। হযরত ওমরের (রা.) প্রতি কারো অভিযোগ থাকলে তা’ প্রত্যাহার করতে হবে। হযরত ওসামানের (রা.) প্রতি কারো অভিযোগ থাকলে তা’ প্রত্যাহার করতে হবে। হযরত আলীর (রা.) প্রতি কারো অভিযোগ থাকলে তা’ প্রত্যাহার করতে হবে। হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) প্রতি কারো অভিযোগ থাকলে তা’ প্রত্যাহার করতে হবে।ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অবদান রেখেছেন আল্লাহ তাঁদেরকে পথভ্রষ্ট হতে দেননি। সাহাবা নয় এমন যারা তাঁদেরকে পথভ্রষ্ট বলে আল্লাহ তাদেরকে কুফুরীতে লিপ্ত করে দেন। তাদের জন্য আর হেদায়াত থাকে না। তাদের শেষ ঠিকানা জাহান্নাম। কারণ তারা তাদের সীমা অতিক্রমকারী। অন্য মুসলিম এদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা না করলে তারাও আল্লাহর লানতে আক্রান্ত হয়। শিয়া সাহাবার সাথে বেয়াদবীর কারণে লানতে আক্রান্ত। হামাস শিয়ার বন্ধু হয়ে লানতে আক্রান্ত। ইবাদী ও সালাফীও লানতের মধ্যেই আছে। সাহাবার সমালোচনা একটি জঘণ্যতম কাজ। এর থেকে মুসলিমকে নিবৃত করার যথেষ্ট চেষ্টা না থাকলে মুসলিম জাতির উপর থেকে আল্লাহর লানত থামবে না। আল্লাহর লানতে তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করে কষ্ট পাবে এবং অমুসলিম তারাও তারা মহাশাস্তি পেতে থাকবে। এরজন্য অনেকের পরকালও খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন (খিলাফত দিবেন), যেমনভাবে তিনি আগেরদেরকে দিয়েছেন- সূরা আন-নূর: ৫৫ । এরা কি ভাবে না যে, কত সভ্যতা আমি ধ্বংস করেছি যাদের আগে অনেক শক্তি ও সম্পদ ছিল! এবং তারা রাজত্ব করত (মুল্ক করত)- সূরা কাসাস: ৫৮ । খেলাফত চলবে ৩০ বছর, তারপর তা হবে রাজতন্ত্র (মুল্ক)- আবু দাউদ, তিরমিজি, সহীহ সূত্রে হাদিস ।

মুয়াবিয়া (রা) রাজতন্ত্র কায়েম করে আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন । মুয়াবিয়া আল্লাহ ও রাসূলের আদর্শ অমান্য করেছেন।তিনি খেলাফতের মূলনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন । রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা মানেই ছিল ইসলামী শূরা ব্যবস্থা ও জনগণের মতামতের উপর চরম আঘাত ।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি যা করেছেন আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিলে কেউ তাঁর সমালোচনা করার অধিকার রাখে না। হুনায়নের যুদ্ধে রাসূল (সা।) তাঁর কাজে খুশী হয়ে তাঁকে একশত উট পুরুস্কার দিয়েছেন। এটা ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান প্রমাণ করে। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যাঁদের অবদান আছে তাঁদের সবার প্রতি আল্লাহ বিশেষ সন্তুষ্ট বিধায় তাঁদের সমালোচনা হারাম এবং আল্লাহর ক্রোধের কারণ। মনে করুন আপনি কারো উপর বিশেষ সন্তুষ্ট, কিন্তু তার কিছু ত্রুটি আপনি ক্ষমা করেছেন; এখন আপনার ক্ষমা করা লোকের ত্রুটিগুলো কেউ হাইলাইট করলে আপনি তার উপর খুশী হবেন নাকি ক্রুদ্ধ হবেন। ঠিক এ সুত্রেই মুসলিম জাতি আল্লাহর লানতে আছে। তাদের কোন দল তো আল্লাহর প্রিয় জনের সমালোচনা করে, আর কোন দল তাদেরকে তাদের অকাজ থেকে নিবৃত করে না। নয়তো গাজা যুদ্ধে আল্লাহ ফেরেশ পাঠালে তা এক দিনেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু শিয়া বন্ধু হামাসের প্রতি আল্লাহর মায়া নাই। সেজন্য তারা আল্লাহর কোন সাহায্যই পাচ্ছে না।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


জগত সংসারে কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়্

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যারা রাসূলের (সা) সাহায্য করেছেন তাঁদের সামালোচনা হারাম। কারণ তাঁদের বিষয়ে আল্লাহর ক্ষমার ঘোষণা আছে। রাসূলের (সা) সাহায্য করে যিনি রাসূলের (সা) নিকট থেকে পুরস্কার জিতেছেন সাহাবা (রা) ছাড়া অন্য কেউ তাঁর সমালোচনা করার অধিকার রাখে না। সাহাবার (রা) বিরুদ্ধে সাহাবা ছাড়া যারা যুদ্ধ করেছে তারা কাফের। সাহাবা (রা) ছাড়া যারা সাহাবার (রা।) সমালোচনা করেছে তারা অভিশপ্ত। তাদের কারণেই মুসলিম জাতি আল্লাহর সাহায্য পায় না।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হে ঈমানদারগণ! ইনসাফের সাক্ষী হয়ে থাকো, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সত্য বলো— যদি তা তোমার আত্মীয়-পরিজনের বিরুদ্ধেও হয়- (সূরা নিসা: ১৩৫) । ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো ইসলামের মূলনীতি ।

মুয়াবিয়া (রা) রাজনৈতিক নেতা হিসেবের ভুলের ঊর্ধ্বে নন । রাজতন্ত্র, যুদ্ধ, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তাই সমালোচনাযোগ্য ।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত মুয়াবিয়ার (রা) সমালোচনা বন্ধ করতে না পারলে মুসলিম জাতির উপর থেকে আল্লাহর লানত সরবে না। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যারা রাসূলের (সা) সাহায্য করেছেন তাঁদের কেউ সমালোচনার যোগ্য নন। সমালোচনা করতে চাইলে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের সমালোচনা করা যাবে। কারণ সে উহুদে রাসূলের (সা) সাহায্য করেনি। হযরত মুয়াবিয়া (রা) হুনায়নে রাসূলের (রা) সাহয্য করায় তাঁকে সমালোচনার তালিকা থেকে অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

রসায়ন বলেছেন: কেন সাহাবীদের বিষয়ে রেফারেন্সভিত্তিক যৌক্তিক কথা বলা যাবে না?

কোরআনে তো বলাই আছে সাহাবীদের (কোরআনে এই শব্দই বলা হয়েছে) একটা অংশ নবীকে পাগল বলতো (দেখুন সূরা তাকভীর ৮১:২২)

এমনকি সূরা মুনাফিকুনে (৬৩:১) তো আল্লাহ বলেছেনই, অনেক লোক এসে কপটতার জন্য ঈমান আনতো কিন্তু ভিতরে ভিতরে মানতো না, এরা হলো মুনাফিক যাদের রাসূলও চিনতো না।


এই সাহাবীরাই জামালের যুদ্ধে আলী রা ও আয়েশা রা যুদ্ধে ৪০০০ নিহত হয়।

আলী ও মুয়াবিয়া যুদ্ধ করে ১০,০০০ সাহাবি মরে সিফফিনের যুদ্ধে!

রাশেদুন খলিফার ৩ জনই মুসলমান আততায়ীর হাতে মরছে।

নবী মোহাম্মাদ মৃত্যুর আগে কিছু লিখে দিতে চাইলে ওমর তা করতে দেয় নাই (বুখারী ইফা ১১৫)

এমনকি নবীর মেয়ে ফাতিমাকে পৌত্রিক সম্পত্তি দেননি আবু বকর, তার জন্য ফাতিমা মরার আগ পর্যন্ত আবু বকরের লগে কথা বলে নাই (বুখারী ইফা ৬২৭০)

নবীর নাতিপুতি গুষ্ঠিশুদ্ধো সাফ করে ফেলেছে এই সাহাবী তাবেয়ীরাই


তাহলে কেন তাদের নিয়ে কথা বলা যাবে না???

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাসূলকে (সা) যাঁরা সাহায্য করেছেন আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমা করায় তাঁদের সমালোচনা হারাম।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

* আল্লাহ ইচ্ছা করলে যুদ্ধগুলো হত না। যুদ্ধগুলো হয়েছে বন্দার পরীক্ষার জন্য। সেই পরীক্ষায় তারা ফেল করে যারা আল্লাহ যাঁদেরকে ক্ষমা করেছেন তাঁদের সমালোচনা করে। এদেরকে থামানো না গেলে মুসলিম জাতির উপর থেকে আল্লাহর লানত থামবে না।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মুমিনদের মাতা হজরত বিবি আয়েশা রাঃ স্বয়ং মহান ইমান মাওলা আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।
এই যুদ্ধে পাক কোরআন মজিদের অবমাননা করা হয়েছিল।

এই অন্যায় যুদ্ধের জন্য কি বিবি আয়েশা রাঃ এর সমালোচনা করা যাবে না?

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত আয়েশা (রা) রাসূলের (সা) যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। যারাই রাসূলের (সা) সাহায্য করেছেন তাঁরাই আল্লাহর ক্ষমতার আওতায় আছেন। তাঁদের সামালোচনা হারাম। তাঁদের সমালোচনা বন্ধ করতে না পারলে মুসলিম জাতির উপর থেকে আল্লাহর লানত থামবে না।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


হজরত মুয়াবিয়া রাঃ এক জন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। তিনি ইমাম হাসান ও ইমান হোসেন রাঃ এর সাথে অন্যায় করেছেন।
আপনি কি এর সমালোচনা করবেন না?
অন্যায়কে অন্যায় বলবেন না?

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাসূলের (সা) সাহায্যকারী হিসাবে তিনি আল্লাহর ক্ষমার আওতায় আছেন বলে তাঁর সমালোচনা করা যাবে না। ইমাম হাসান (রা) ও ইমাম হোসেনকে (রা) জান্নাতের যুবনেতা বানিয়ে আল্লাহ পুষিয়ে দিবেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

* অন্য সাহাবা থেকে মর্যাদা কমিয়ে হযরত মুয়াবিয়ার (রা) কাজের প্রতিকার করা যাবে। আল্লাহর নিকট বহু বিকল্প আছে।

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জঙ্গে জামাল, যা উষ্ট্রের যুদ্ধ নামেও পরিচিত, এটি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ যা ৬ষ্ঠ হিজরি সালে (৬ষ্ঠ খ্রিস্টাব্দ) সংঘটিত হয়েছিল। এটি চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর (রা.) সেনাবাহিনীর সাথে বিদ্রোহী সৈন্যদের একটি দলের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, যাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হযরত আয়েশা (রা.), তালহা (রা.) এবং যুবায়ের (রা.)। [১, ২]
যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিলো বসরা শহরের বাইরে। হযরত আলী (রা.) এর সেনাবাহিনীতে যারা ছিলেন তারা উসমান (রা.) এর হত্যার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন, অন্যদিকে আয়েশা (রা.), তালহা (রা.) এবং যুবায়ের (রা.) এর নেতৃত্বে বিদ্রোহী বাহিনী খলিফার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এবং এর বিচারের দাবি করেছিল। [১, ২, ৩]
যুদ্ধের নামকরণ করা হয়েছে কারণ হযরত আয়েশা (রা.) যুদ্ধের সময় একটি উটের উপরে ছিলেন এবং তাঁর চারপাশে যুদ্ধ হচ্ছিলো। [১, ৫]
এই যুদ্ধে হযরত আলী (রা.) বিজয়ী হয়েছিলেন এবং তালহা ও যুবায়ের (রা.) নিহত হন। আয়েশা (রা.) কে মদিনায় ফেরত পাঠানো হয়। [২]
জঙ্গে জামাল ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা সাহাবীদের মধ্যে বিভেদ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র তুলে ধরে। [১, ২, ৩]

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যেসব সাহাবা ত্রুটির আওতায় আছেন অন্য সাহাবা থেকে তাঁদের মর্যাদা কমিয়ে তাঁদের ত্রুটির প্রতিকার করা যাবে। কিন্তু তাঁদের সমালোচনা করা বান্দার দায়িত্বে মধ্যে পড়ে না। যারা এসব করে তারা তাদের সিনিয়রদের সাথে বেয়াদবী করে।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

ওমর খাইয়াম বলেছেন:


নবী(স: )'এর যৌবনে মক্কা কোন সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো না, ইহা দুর্গম ও দরিদ্র হওয়ায় কেহ ইহা নিয়ে মাথা ঘামাতো না, কুরাইশদের সরদারেরা ইহার মালিকানা ভোগ করছিলো। নবী (স:) পারসিক, বায়জান্টাইন ও আকসুমাইটদের মতো একটা রাজ্য গঠনের জন্য বেদুইন যোদ্ধাদের ঐক্যবব্ধ করেন, দুনিয়ার রূপকথা বলে।

সেই রুপকথা এখনো চালু আছে আমাদের বেদুইনদের মাথায়।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অজ্ঞতার কারণে আপনি মহাসত্যকে রূপকথা বলেন।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যে রাজতন্ত্র এর কারণে মুসলিম দেশে এতো ডাউনফল তার শুরু যে করেছেন মুয়াবিয়া রা উনাকে নাকি সমালোচনার কারণে ইরান-হামাস জিতছে না। খুব খারাপ লাগে এসব পড়লে ।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত মুয়াবিয়ার (রা) ত্রুটির কারণে তাঁর মর্যাদা কমিয়ে তাঁর ত্রুটির প্রকিার করা যাবে। কিন্তু রাসূলের (সা) সাহায্যকারী হিসাবে তাঁর সমালোচনা হারাম। হুনায়নে যখন রাসূল (সা) চরম বিপদে ছিলেন; তখন হযরত মুয়াবিয়া (রা) ও তাঁর পিতা আবু সুফিয়ানের (রা) তুমুল যুদ্ধে বিজয়ের পর রাসূল (সা) তাঁদেরকে একশত উট পুরুস্কার দেন। যা এসময়ের হিসাবে এককোটি টাকার বেশী। রাজতন্ত্রের কারণে ইসলাম শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু তাঁর কাজ ইসলাম প্রতিষ্ঠার সহায়ক ছিল। সেজন্য তাঁর সমালোচনা হারাম। হযরত দাউদের (আ) হযরত সুলায়মানের মাকে বিয়ে করা আল্লাহ পছন্দ করেননি। কিন্তু তিনি ক্ষমা পেয়েছেন। সেই রকম হযরত মুয়াবিয়াকে (রা) আল্লাহ ক্ষমা করলে তাঁর কোন বান্দার তাঁর সমালোচনার অধিকার থাকে না। এ অপরাধের কারণে কারো ঈমানও আল্লাহ কেড়ে নিতে পারেন। অন্যরা যদি একে না থামায় তবে তারাও আল্লাহর লানতের আওতায় আসবে।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমানরাই একমাত্র জাতি যারা নিজেদের মানুষ ভাবে না,ভাবে মুসলমান।তারা মানব জাতি থেকে আলাদা।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অন্যরা নিজেদেরকে মানুষ ভেবে কি করেছে? আমেরিকা হিরোসিমা ও নাগাসাকিতে এটমবম মেরেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.