নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পষ্টভাষি

স্পষ্টভাষি › বিস্তারিত পোস্টঃ

[sb।বাবার সামনেই দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে মরলো ছেলে ।]আসুন দেশবাসী এই সব তথাকথিত রাজনীতিবিদদের পরিহার করি

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১২

বাবার সামনেই দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে মরলো ছেলে । কি মর্মান্তিকি ! খবরটি পড়ে আমার চোখে জল এসেছে ।



উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে হরতালের আগে গত সোমবার রাতে জেএম পরিবহনের একটি বাসে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে মারা যান আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেডের (এবি ব্যাংক) কর্মকর্তা রাসেল মাহমুদ (২৮)। গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই সন্তান হারানোর অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন রাসেলের বাবা সাইফুল ইসলাম। তিনি নিজেও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা।




এর আগে গত বছরের ২১ এপ্রিল খিলগাঁও কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ঈগল পরিবহনের বাসে হরতালকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলে পুড়ে ছাই হন ঘুমন্ত চালক বদর উদ্দিন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হলেও প্রকৃত খুনিরা গ্রেফতার হয়নি। বাস চালকের পরিবার এখন অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।



গত সোমবার ব্যাংক ছুটির পর সন্ধ্যা ৬টায় এবি ব্যাংকের কাকরাইল শাখা থেকে বের হন রাসেল মাহমুদ। বাবার সঙ্গে আগেই কথা হয়েছিল রাসেলের। বিমানবন্দর এলাকায় তিনি রাসেলের জন্য অপেক্ষা করবেন, রাসেলকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাবেন। কিছুদিন ধরে মাথাব্যাথায় ভুগছিলেন রাসেল। বাবা-ছেলে একত্রে যান উত্তরা মেডিনোভা ক্লিনিকে। পরে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে জেএম পরিবহনের ওই (সিটিং সার্ভিসের এই বাসটি টঙ্গী থেকে যাত্রাবাড়ী রুটে চলে) বাসে উঠেন তারা। বাবা ও ছেলে পেছনের দিকে ডান পাশের একটি আসনে বসেন। তখন রাত ৯টা। বাসে উঠার কয়েক মিনিট পর অর্থাত্ আজমপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাসটি আসলে পিছন থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান বাবা ছেলেসহ অন্য যাত্রীরা। আতংকে কে কার আগে বাস থেকে নামবে শুরু হয় ধাক্কা-ধাক্কি ও হুড়োহুড়ি। সাইফুল ইসলাম ছেলের হাত ধরে গেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন ও সামনে থেকে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপাচাপি ও ছোটাছুটি। কালো ধোঁয়ায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এক হাতে ছেলেকে ধরে অন্য হাতে জানালার কাঁচে আঘাত করেন সাইফুল ইসলাম বের হওয়ার পথ করার জন্য। ধাক্কাধাক্কি ও চাপাচাপিতে সাইফুল ইসলামের হাত থেকে ছুটে যান রাসেল। সাইফুল ইসলাম জানালা গলে বেরুতে পারলেও রাসেল আটকা পড়ে বাসে। মুহূর্তে আগুন সমস্ত বাসে ছড়িয়ে পড়ে।



সাইফুল ইসলাম ছেলেকে বাঁচানোর জন্য চিত্কার শুরু করেন। কেউ সাইফুল ইসলামের বুকফাটা কান্না শুনেও এগিয়ে আসেনি। ১০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিভাতে ঘটনাস্থলে আসে ততক্ষণে রাসেল পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। আগুন নিভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাসেলের অংগার হওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তার মুখমণ্ডল ও চেহারা পুড়ে এমন অবস্থা হয়েছে তাকে শনাক্ত করার উপায় নেই। ছেলের এ অবস্থা দেখে সাইফুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। লোকজন তাকে চিকিত্সার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে সাইফুল ইসলামের বাম পা ভেঙ্গে যায়। আগুনে কপালের কিছু অংশ ঝলসে যায়




সাইফুল ইসলাম বলেন, তার কলিজার টুকরা রাসেলের দেড় মাস বয়সী একটি ছেলে আছে। পরিবারের সদস্যরা তার নাম রেখেছে 'রাফি।' অবুঝ এই নাতীটি তার বাবাকে হারালো। বাবার আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত হলো রাফি।



কি হবে আমাদের রাজনীতি করে ? এভাবে আগুনে পুড়েতো কোন রাজনীতিবিদ মারা যায় না? বিভিন্ন দল তাদের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে আর আগুনে পুড়ে মারা যাই আমরা সাধারণ জনগণ ! তাই আসুন এই সব স্বার্থনেশী রাজনীতি আমরা বয়কট করি ।






মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

তাসজিদ বলেছেন: রাজনীতি মাঝে মাঝে শরীর বিক্রি করা পতিতা থেকেও নোংরা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

স্পষ্টভাষি বলেছেন: ভাই মনে হয় শুধু বাংলাদেশই রাজনীতি মাঝে মাঝে শরীর বিক্রি করা পতিতা থেকেও নোংরা।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

সংসপ্তক_২০১১ বলেছেন: BNP, JAMAT, BAL,...tora ashole shob ek dol ...n u r playing with us...in the name of independnce, war-crime, bla..bla..bla...to make money n eat up the country...toder bichar ALLAH korbe

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

স্পষ্টভাষি বলেছেন: ভাই আপনার সাথে একমত

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

আমি পিচ্চি পোলা বলেছেন: নাস্তিকদের ধর্ম গুরু আরজ আলী মাতুব্বর কে একটা কঠিন বাঁশ দেয়া হয়েছে এই লিংকে। না পড়লে নিশ্চিত মিস করবেন ভাই

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

বিপদেআছি বলেছেন: বাংলাদেশ মনে হয় একমাএ দেশ যেখানে এমান মন খারাপ করা ঘটনা অহরহ ঘটে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

মো কবির বলেছেন: "লেখক বলেছেন: ভাই মনে হয় শুধু বাংলাদেশই রাজনীতি মাঝে মাঝে শরীর বিক্রি করা পতিতা থেকেও নোংরা। "


শুধু তাই নয় যারা এই নোংরা রাজনীতি করে তারাও মনে হয়।

অনেকতো ভাই দেখেছেন এই নোংরা রাজনীতির লুণ্ঠন।
আসুন এবার দেশকে ভালবেসে দেশের স্বার্থে করি রাজনীতি , বিশ্বকে আবারো দেখিয়ে দেই আমরা বাঙ্গালী আমরাও পারি বাচা মরার সম্মুখ যুদ্ধে লড়তে।

ঐ নোংরা রাজনীতিবিদদের কাছে আর কিছু চাওয়া মানে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য শিয়ালের কাছে মুরগি লালন পালন করার মতো কাজ দেয়া।
এত বড় বড় ঘটনা রেল, পদ্মা, বিশ্বজিৎ, শেয়ার মার্কেট ইত্ত্যাদি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে তবু তাদেরকেই আবার শাস্তির বদলে দেয়া হচ্ছে দেশপ্রেমিকের মর্যাদা।

দেশের মানসম্মানের চেয়ে ব্যক্তি আবুল-হাসিনা,খালেদা এদের মানসম্মান ই বেশি,দেশের স্বার্থের কাছে এদের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়।
ওদের লোভের কাছে সব কিছু তুচ্ছ।

তাই আসুন একজন অচেতন নেতা না হয়ে বরং একজন সচেতন নাগরিক হই।

যোগ দিতে পারেন আমাদের গ্রুপ পেজে

লাইক পেজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.