নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।
পেন্টাগ্রাম।
দুনিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন একটি প্রতীক।যিশুর জন্মের চার হাজার বছর আগেও এটি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।
সাধারণ অর্থে এটি একটি প্যাগান ধর্মীয় প্রতীক।
আজকাল প্যাগান শব্দটি শয়তান পুজার সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে।খুব ই জনপ্রিয় একটি ভুল ধারণা।
শব্দটির মুল ল্যাটিন শব্দ 'প্যাগানাস' যার অর্থ গ্রামীন অধিবাসী।
আভিধানিক অর্থে প্যাগান অর্থ অশিক্ষিত গ্রামীন লোকজন যারা প্রাচীন গ্রামীন প্রকৃতি পুজার অনুসারী।প্রাচীন গ্রিস আর রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বিশাল সংখ্যক লোকের ধর্মবিশ্বাস ছিল প্যাগানিজম।এর উৎপত্তি প্রস্তর যুগ থেকে বলে ধারণা করা হয়।সাধারণত প্যাগানিজম হল এমন একটা বিশ্বাস যেটা একাধিক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে এবং তাদের ঈশ্বর সম্পর্কে ধারণা টা ও আপেক্ষিক।এককথায় প্যাগানিজমকে বলা যায় "Simply being without any Religion"।প্যাগান-রা পুর্নজন্মে বিশ্বাস করলে স্বর্গ-নরকে করতনা।পৃথিবী ৪টি ইলিমেন্ট ও তারা বিশ্বাস করত।এদের সম্পর্কে চার্চের অনেক ভীতি ছিল,যার ফলে তারা ভিলেজার(Villager) শব্দটি খারাপ অর্থে ব্যবহার করত।সেখানে থেকেই Villain বা খল-র উৎপত্তি।
পেন্টাগ্রাম একটি প্রাক খৃস্টীয় প্রতীক যা প্রকৃতিপূজার সাথে সম্পর্কিত পেগানিজম মতবাদের খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি সিম্বল।কারণ এতে চারটি মূল উপাদানের সাথে মানুষের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
প্রাচীনকালের মানুষেরা পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করে দেখত-নারী ও পুরুষ।তাদের দেবদেবীরা শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করত।যখন নারী ও পুরুষ ভারসাম্য থাকত তখন পৃথিবীতে তখন সম্প্রীতি বজায় থাকত।আর তারা ভারসাম্যহীম হয়ে পড়লে পৃথিবীতে নৈরাজ্য নেমে আসত।
ছবিতে আপনারা একটি পেন্টাগ্রাম দেখতে পাচ্ছেন যা নারীর প্রতিনিধিত্ব করে,যারা পৃথিবীর সবকিছুর অর্ধেক।এই চিহ্নটি হল ভেনাসের প্রতীক-যৌনতা,ভালবাসা ও সুন্দরের দেবী।
ভেনাস(Venus) শব্দটি এসেছে 'Veneral' শব্দ থেকে,যার অর্থ যৌনসংগম।পেন্টাগ্রাম ভেনাসের চিহ্ন হওয়ার কারণ ভেনাস গ্রহ যেটাকে আমাদের বাংলা ভাষায় শুক্র গ্রহ বলা হয়।প্রথমদিকের ধর্মগুলো ছিল প্রকৃতির স্বর্গীয় শৃংখলার উপর ভিত্তি করে।তাদের জন্য ভেনাস গ্রহ আর ভেনাস দেবী একই জিনিস।আপনি জেনে অবাক হবেন যে ভেনাস গ্রহ প্রতি আট বছরে আকাশে যে অবস্থান বদল করে তা একটি নিখুত পেন্টাগ্রামর আকৃতি সৃষ্টি করে,যার বিভিন্ন অংশের সবগুলোই স্বর্গীয় অনুপাতে বিন্যস্ত।
এটি প্রাচীন আমলের মানুষের ও দৃষ্টিগোচর হয়েছিল।তারা এতটাই অবাক হয়েছিল যে তারা ভেনাস এবং পেন্টাগ্রামকে সুন্দর,নিখুত ও যৌনজ ভালবাসার দেবী ও প্রতীক হিসেবে পরিণত করে।ভেনাসের এই জাদুময়তাকে সম্মান প্রদর্শন করে গ্রিকরা প্রতি আট বছর পর পর অলিম্পিক খেলার প্রচলন করে।বর্তমানে চার বছর পর পর অলিম্পিক্টি আসলে ভেনাসের পরিক্রমার অর্ধচক্র।এমনকি ভেনাসের পাচটি তারাকে বদলে পাচটি বৃত্ত দিয়ে আধুনিক অলিম্পিকের সত্যিকারের চেতনা ও সম্প্রীতির একটি প্রতীক তৈরী করা হয়েছে।
যদিও পেন্টাগ্রাম শয়তানের প্রতীক হিসেবে বই ও সিনেমা,বিশেষ করে হলিউডে তুলা ধরা হচ্ছে কিন্তু এর সত্যিকারের উৎস একেবারে দেবতা সম্বন্ধীয়।
আর পেন্টাগ্রাম বা প্যাগান শয়তানের পুজা সমার্থক হয়ে উটার পিছনে আসল ভুমিকা চার্চের।ভ্যাটিকান থেকেই এর শুরুটা হয়।ভ্যাটিকানের প্যাগান ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচারণা প্যাগান ধর্মালম্বীদের খৃস্ট ধর্মে দীক্ষিত করার জন্য চার্চ প্যাগান দেবদেবীদের বিরুদ্ধে একটি সর্বগ্রাসী অভিযান পরিচালনা করেছিল।সেই সুত্রে তারা স্বর্গীয় প্রতীকগুলোকে শয়তানের চিহ্ন হিসেবে আখ্যায়িত করে।সেই সাথে রোমে হঠাৎ করে চার্চ একটা বিশাল শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়,তখন পেগানিজমের মৃত্যু অনেকটা পাকাপোক্ত হয়ে যায়।তখনকার অধিকাংশ রাজা বা সম্রাটরা খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করে নিলে সাধারন পেগানদের উপর চূড়ান্তরকম নির্যাতন চালানো হয়।এভাবেই একটা বিশাল অংশ মানুষ পেগান থেকে রুপান্তরিত হয় বা তাদের কে মৃত্যু বরন করে নিতে হয়।বর্তমান খ্রিষ্টান ধর্মের এত বিশাল অনুসারির পিছনে এইসব আগ্রাসনের ভুমিকা ছিল অনেকখানি।
এরকম ঘটনা তখন খুবই স্বাভাবিক ব্যপার ছিল।একটি উদীয়মান নতুন শক্তি বিদ্যমান প্রতীকগুলো আত্মসাৎ করে নেয় আর সেগুলোজে হেয় প্রতিপন্ন করে।ফলাফল হিসেবে এক পর্যায়ে সেগুলোর সত্যিকারের অর্থ মুছে যায়,বিস্মৃত হয়ে যায়।প্যাগান বনাম চার্চের লড়াইয়ে প্যাগান হেরে যায়।ফলাফলে তাদের প্রতীকের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়।সমুদ্রদেবতা পসাইডনের ত্রিশুল হয়ে যায় শয়তানের লাঠি,জ্ঞানী ক্রোনদেরর টুপি হয়ে যায় ডাইনির প্রতীক আর ভেনাসের পেন্টাগ্রাম হয়ে যায় শয়তানের চিহ্ন।
০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
পাশে থাকবেন।
২| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি সংগ্রহে রাখলাম।
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
উদাস মাঝি বলেছেন: গ্রীক দেব-দেবি নিয়েও লিখুন
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
কিশোর মাইনু বলেছেন: পরবর্তী পোষ্টে না হলে ও এই মাসের মধ্যেই লিখব কথা দিচ্ছি আপনাকে।
আপানাকে ও ধন্যবাদ মাঝি ভাই।
৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @Kishor Mainu,
কি দারুন চেহারা ভাই তোমার!!
আগে কি একটা ভংচঙ প্রোপিক ছিল??
তা, লেখককে ব্লগে নিয়মিত পাব তো?
লেখাটা পড়লাম! একটু কঠিন মনে হল!!
০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: বেশি দারুন চেহারা ভাই,এটাই প্রবলেম।
হ্যা ভাই নিয়মিতই পাবেন।এবার জায়গা করে নিতেই এসেছি,হারিয়ে যেতে নয়।
দুঃখিত ভাই কঠিন মনে হওয়ার কারণে।এগুলোতো ভাই একধরণের তথ্য।নিজের মতো করে তো আর লিখতে পারিনা।
নতুন ব্লগার,কঠিন মনে হলেও একটু কষ্ট করে পড়েন।লিখতে লিখতে,পড়তে পড়তে আস্তে আস্তে সহজভাবে কোন কিছু উপস্থাপন করা ও শিখে যাব ইনশাল্লাহ।
ততদিন পর্যন্ত আশা করি সাপোর্ট করবেন।
ধন্যবাদ নিজাম ভাই।
৫| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
ভালোবাসা নিরন্তর।
৬| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লেখক বলেছেন: বেশি দারুন চেহারা ভাই,এটাই প্রবলেম।
সুন্দর লিখেছেন ভাই, আপনি প্রতিনিয়ত ব্লগের বৈচিত্র বৃদ্ধি করছেন...শুভকামনা
০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
কিশোর মাইনু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রান্ত ভাই।
আপনাকে ও শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভালো লেগেছে।
আমার নতুন গল্প
সময়ের প্র য়ো জ ন পর্ব ১
লিংক Click This Link
এক বার ঘুরে আসার বিনীত অনুরোধ রইল।