নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এর্নো কিউব জুনিয়র ও রুবিক কিঊব

১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

তখন ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলছে।এমন ই একসময় হাংগেরির বুদাপেষ্টে এরোপ্লেন ইঞ্জিনিয়ার এর্নো রুবিক সিনিয়র ও কবি মাগদোলনা-র ঘরে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান।নাম রাখা হয় পিতার নামে,এর্নো রুবিক জুনিয়র।তারিখটি ছিল ১৯৪৪ সালের ১৩ই জুলাই।রুবিক বড় হল,বুদাপেষ্টের টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্থাপত্যবিদ্যার স্নাতক করল।৭১-৭৫ পর্যন্ত স্থপতি হিসেবে কাজ করার পর অধ্যাপনা শুরু করলেন বুদাপেষ্ট কলেজ অব আপ্লোয়েড আর্টসে।
১৯৭৪ সালে খেলার ছলে বানিয়ে ফেলেন বর্গাকার একটি খেলনা,যা নিয়ে কিছুটা মাথা ঘামানো যায়,টাইম-পাস করা যায়।১৯৭৮ সালে কি মনে করে তিনি সেই বর্গটাকে বা কিঊবটাকে বুদাপেষ্ট আন্তর্জাতিক মেলায় প্রদর্শন করলেন।ব্যাস,পড়ে গেল শোর।মাতামাতি শুরু হয়ে গেল এই কিউব নিয়ে। ব্রিটেন,ইঊরোপ,আমেরিকায় লাখে লাখে বিক্রি হতে থাকে।রীতিমত কিঊব ম্যানিয়ায় রুপ নেয় সেটা। স্যাম লয়েডের ফিফটিন পাজলের পর আর কোন কিছুই এত ল্টা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি।তার নামে খেলনার নাম হয়ে গেল রুবিক কিঊব।
রীতিমত অমর করে দিলেন তাকে।কিন্তু তিনি এখানেই থেমে থাকলেন না।আবিস্কার করেন রুবিক স্নেক,রুবিক পিরামিড,পিরামিক্স,মিরর কিউব মত দূর্দান্ত সব মজার ধাধা।১৯৮০সালে কিছুদিন একটু গেম এন্ড পাজল জার্নালের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেন।তারপর নিজেই রুবিক স্টূডিও নামে প্রতিষ্টান খুলে বসলেন।
তার সবচেয়ে বিখ্যাত আবিস্কার রুবিক কিউব টা হচ্ছে আসলে ২৬টি টুকরাবিশিষ্ট (টুকরোগুলোকে কিঊবলেট বলে, ষড়ভুজ আকৃতির একটি খেলনা।
এতে ৬পাশে ৬টি কালার থাকে। কালারগুলো মিলানো রুবিক কিঊব সমাধানের উদ্দ্যেশ্য। এ পর্যন্ত আমার জানামতে গিনেস বুক অব রেকর্ড ৩.২৩সেকেন্ড। বাংলাদেশে এই রেকর্ডটি সাকিব ইবনে রশিদর হাতে। তার সর্বনিম্ন ৬.৫৫সেকেন্ড।
এই পোষ্টির সমাপ্তি টানব ছোট্ট একটি তথ্য দিয়ে। আগেই বলেছি রুবিক্স কিঊবে ২৬টি কিউবলেট থাকে যা নাড়ানো যায়। এই কিঊব দিয়ে বরাবর ৪৩২৫২০০৩২৭৪৪৮৯৮৫৬০০০ রকম নকশা করা যায়। আর কিউব দিয়ে এত নকশা তৈরীর পিছনে ভুমিকা রাখছে গণিতের একটি সুত্র,যাকে আমরা "সিমেট্রি অব ম্যাথম্যাটিক্স" বলি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ কাইকর ব্রো।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২১

রসায়ন বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পোষ্টটি পড়ার জন্য।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আজ বিশ্বব্যাপী যে পরিবর্তন ঘটে গেছে তাতে যদি নিজের অবস্থানকে বজায় রাখতে হয়, তাহলে বিজ্ঞান সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো ছাড়া ধর্মের কোনো গত্যন্তর নাই। বিজ্ঞানের সহগামী হওয়া ছাড়া ধর্ম অস্তিত্বসংকটে পড়তে বাধ্য।

১৪ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: ওরে আল্লাহরে!!!
রাজীব ভাই,এত জটিল জটিল মন্তব্য তো মাথার উপর দিয়া যায়।

কিন্তু ভাই,এইখানে বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়া কেন মন্তব্য করলেন বুঝলাম না!!!

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: রুবকস কিউব আমার প্রিয় জিনিস । কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল আজ পর্যন্ত আমি রুবিকস কিউব মেলাতে পারিনি । :(

১৪ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি এই জায়গায় সফল।
সর্বনিম্ন ১.৪৫মিনিটে মিলাইছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.