নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫২

বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম একটা জনপ্রিয় মেটাফোর।
একটা ব্যাঙ কে যদি আপনি একটি জল ভর্তি পাত্রে রাখেন এবং জলকে উত্তপ্ত করতে থাকেন তবে ব্যাঙটি জলের তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যে রাখতে থাকে। সে জলের উত্তাপ সহ্য করতে থাকে, লাফ দিয়ে বেরোনোর পরিবর্তে। কিন্তু একসময় জলের প্রচন্ড তাপমাত্রা ব্যাঙের শরীর আর মানিয়ে নিতে পারে না। যখন সে আর জলের প্রচন্ড তাপমাত্রা তার শরীরের তাপমাত্রার সমতায় আসতে পারে না, তখন ব্যাঙটি ফুটন্ত জলের পাত্র থেকে লাফ দেয়ার স্বিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু হায়!!! সে লাফ দিতে পারে না তখন, কারন সে তার সমস্ত শক্তি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে ব্যায় করে ফেলেছে। অত:পর সে জলেতে সেদ্ধ হতে থাকে।

তার মৃত্যুর কারনটা আসলে গরম জল না, বিপদজনক পরিস্থিতির শুরুতে সেই পরিস্থিতি অস্বীকার করে লাফ না দেয়াটা তার মৃত্যুর কারন।সব কিছু সহ্য করে নেবার মত বড় ভুল তার মৃত্যুর কারন। মানিয়ে নেবার, পাত্রের জল গরম কেন তার প্রতিবাদ না করে বরং তার সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই তার জীবন্ত সেদ্ধ হবার কারন। সঠিক স্বিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে না নেয়াই তার মৃত্যুর কারন।
হটাৎ করে সেই সেদ্ধ হওয়া ব্যাঙের কথা মনে পড়লো। খুব সম্ভবত আমরাও ঐ ব্যাঙের মত মানিয়ে নিই আমাদের চারপাশের সাথে।অনেক সময় ভুল মানুষদের সাথে, ভুল কোন সম্পর্কেও আমরা নিজেকে মানিয়ে নিই আর ভাবি এইতো সামনেই ঠিক হয়ে যাবে। এসব ভেবে চুপ করে অন্যায় আর অবহেলা সহ্য করি। সহ্য করি আর ভাবি টিকে আছি, টিকে থাকবো। আসলে আমরা সেই বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমে আক্রান্ত। যখন বুঝবো, তখন ডিসিশান মেকিং এর কোন শক্তিই আর শরীরে অবশিষ্ট থাকবে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি ফ্রগ সিনড্রমে ভুগছেন? একটা ব্যাং ধরে এনে, পাত্রে পানি দিয়ে ব্যাংকে পাত্রে রেখে দেন, উহা লাফ মেরে চলে যাবে, আপনি সিনড্রমমুক্ত হয়ে যাবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: wow, can you be more sarcastic!!!

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমাদের বোধ - ঐ ব্যাঙের চাইতেও নিচু।
শুধু শুধু ব্যাঙ কে অপমান করলেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: :( :| :((

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০০

স্প্যানকড বলেছেন: এহনকার ব্যাঙ সব সিজনে ডাকে! সব হাইব্রিড ব্যাঙ ! শইলের চামড়া মোডা কিচ্ছুই হয় না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: সবাই কি তাইলে কার চামড়া কত মোটা সেটা প্রমাণ করার প্রতিযোগীতায় নেমেছে নাকি?!?!?
I think so...

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাঙ কে বন্ধু ভাবুন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: ভাবাই যায়।
ভাবতে গেলে দুনিয়ার সব সৃষ্টিকেই বন্ধু ভাবা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.