নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখ এবং ঈর্ষা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৭

আমার এক ফ্রেন্ড কেমিস্ট্রিতে অনার্স করেছে ন্যাশনাল থেকে। Recently সে চুয়েটে ভর্তি হয়েছে মাস্টার্স করার জন্য। আবার অন্য এক ফ্রেন্ড সার্কেলের একজন ন্যাশনাল থেকেই টেনে টুনে কোনভাবে পাশ করে লাস্ট ইয়ারে উটেছে। কিন্তু তার মাসিক আয় প্রায় ৪০/৫০ হাজারের কাছাকাছি। আবার এই সব দেখে আমার আরেক ফ্রেন্ড চলে গিয়েছে ডিপ্রেশনে। ওদের হয়, আমার হয় না। আমার এই জায়গাতেই রাগ টা উটে । সঠিক বলাটা উচিত হবে কিনা জানিনা। তাই নকল নাম ই ইউজ করছি। ধরলাম, চুয়েট হল তামিম, ৫০হাজার টাকা হল সাব্বির, এবং ডিপ্রেশন হল শান্ত। তো এখন আমার শান্তর উপর রাগ উটে এই কারণে , যে সে খালি আফসোস ই করে, jealous ফিল করে করে নিজের সুখ শান্তি দুটোই নষ্ট করে। দুঃখের বিষয় যে এটা শুধু আমার ফ্রেন্ড না, অধিকাংশ মানুষের জীবন কাহিনী। আমরা সারা জীবন আরেকজনের সাথে নিজেকে তুলনা দিয়ে আসি। ছোট থাকতে বাবা মা বলত ও ১০০তে ৯০ পেলে তুই পাবি না কেন, অমুকের ছেলে বুয়েতে টিকছে, তোকে ও ঠিকতে হবে, অমুক ৪০হাজার টাকা দামের জব করে, তুই কি করস , হেন-তেন, হাবিজাবি আরও বহুত কিছু। আচ্ছা যেটাই হোক মেইন কাহিনী তে আসি। তো এখন আমার রাগটা উটে কারণ শুভ ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছে। এখন আমি তার ডিপ্রেশনে যাওয়ার কারণটি বুঝিনা। তামিম যেখানের রাতদিন খবর নিয়েছে যে সে চুয়েটে কিভাবে পড়তে পারবে, সেখানে শুভ চুয়েটে ও পড়া সম্ভব ন্যাশনাল থেকে সেটাই জানত না। যেখানে সাব্বির COVID_19 LOCKDOWN এ বসে বসে গ্রাফিক্সের কাজ শিখেছে, সেখানে শুভ পুরোটা সময় কি করেছে আল্লাহ -ই জানে। তো তুমি শালা চেষ্টাই করনি কিছু করার, সেখানে যারা কস্ট করে সফল হয়েছে তাদের প্রতি ঈর্ষা করছ। কেন ভাই? তাকে আমি অনেকবার বলেছি ভাই বসে থেকে লাভ কি, চল টাইপিং শিখে ফেলি, প্রাকটিস করে ঘরে বসে বসে, তাকে যখন কথাটা বলছি আমি, তখন আমার টাইপিং স্পিড ইংরেজীতে 20wpm , বাংলায় পারতাম ই না। আর এখন আমার ৭০+ এবং ৪০+ wpm স্পিড, আর তার যাই লাউ সেই কদুই থেকে গিয়েছে। আর এখন যখন আমি কখনো টাইপ করতে বসি, তখন সে বলে আমি শো-অফ করছি। তো আমার এই ফ্রেন্ডটিকে আমি অনেক বুঝিয়েছি। কোন লাভ হয় নি। তার জেলাসি একটু ও কমেনি, উলটো আমাকেই সে বাঁশ মারা শুরু করেছে এই বলে যে, Mainu is always right. আমি কখনোই বুঝিনি এখনো বুঝিনা, আরেকজন তার লাইফে কি করেছে সেটার সাথে আমার সম্পর্কটা কি? ওর সাফল্যে আমাকে কেন ব্যাথিত হতে হবে? আরেকজনের সফলতা মানেই তো আর আমার ব্যর্থতা নয়। আরেকজন ব্যর্থতাই মানে আমার সফলতা নয়। তাহলে আরেকজন তার লাইফে ভাল কিছু করলে আমার ক্ষতিটা কোথায়??
আর তুলনা যদি করতেই হবে তুলনা করে খুশী ও থাকা যায়, অনেকে খেতে পারেনা, তাদের মাথা রাখার জায়গা নাই, কেউ অন্ধ বা পঙ্গু। সেখানে তুমি শালা ৩ বেলায় ৪ বার খাও, নরম বিছানায় ঘুমাও, স্মার্টফোন ইউজ কর। তোমার যা আছে তা নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করনা বাপ, তাই নিয়ে খুশি থাক। কিন্তু না, আমার কি নেই তাই খালি চোখে পড়ে। ওর এই আছে সেই আছে , ও মাসে এত কামায়, অমুক জায়গায় জব করে, অমুক জায়গায় থাকে। জীবনে উন্নতি করার চেষ্টা তো শালা করবে না, খালি আফসোস করবে আর জ্বলবে। জল শালা তোরা, জলে পুড়ে ছারখার হয় যা এককেরে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কাছের বন্ধুবান্ধব একে অন্যের প্রতি কিছুটা জেলাস থাকে, এটাই স্বাভাবিক। তবে জেলাস থাকাটা সবসময় খারাপ না, মাঝে মাঝে এটা থেকে ভাল কিছুও হয়। খুব বেশি অন্যের সাথে নিজের তুলোনা করতে নেই, প্রতিটি মানুষই ইউনিক, তাই তুলোনা যদি করতেই হয় নিজেই নিজের সাথে তুলোনা করুন। অন্যের সাফল্য ব্যর্থতার দিকে না তাকিয়ে নিজের সাথেই যুদ্ধ করে যেতে হবে প্রতিনিয়ত আর নিজ সাফ্যল্য দ্বারা হিংসুকদের মোক্ষম জবাব দিতে হবে। সবার সাথে প্রোতিযোগিতা করা, নিজেকে তুলোনা করা মনে নিজকেই ছোট করা যদি না আপনি আসলেই তাদের মত হন।
পোস্ট ভাল লগেছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: তাই তুলোনা যদি করতেই হয় নিজেই নিজের সাথে তুলোনা করুন। অন্যের সাফল্য ব্যর্থতার দিকে না তাকিয়ে নিজের সাথেই যুদ্ধ করে যেতে হবে প্রতিনিয়। একদম খাঁটি কথা বলেছেন ব্রাদার। এই চিন্তা করা উচিত যে আমি কীভাবে উন্নতি করব, আরও ভাল করব। আরেকজনের থেকে কীভাবে বেশী ভাল করব না।
তবে জেলাস থাকাটা সবসময় খারাপ না, মাঝে মাঝে এটা থেকে ভাল কিছুও হয়। ঈর্ষা যখন ভালবাসা থেকে আসে, তখন ই সেই ঈর্ষা থেকে ভাল কিছু আসে। কিন্তু আমি যেটার কথা বলছি, সেটা ভালবাসা থেকে আসা নয়। এটা থেকে ভালো কিছুর আশা করাটাই ভুল।
সবার সাথে প্রোতিযোগিতা করা, নিজেকে তুলোনা করা মনে নিজকেই ছোট করা যদি না আপনি আসলেই তাদের মত হন।এখানে ছোট হওয়াটা ফ্যাক্ট না, ফ্যাক্ট হচ্ছে আপনার নিজের সুখশান্তিটি আরেকজনের সাফল্য দেখে নষ্ট করা।

প্রোতিযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা ???

জেনে খুশী হলাম, ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: সব কাজ সবার জন্য না। অযথা সব কাজে মাথা না ঘামানোই উত্তম ।
'Jack of all trades' is actually a bullshit!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

কিশোর মাইনু বলেছেন: ভুল বলেননি। আমার পোস্টটির মূল বিষয় যদি ও ভিন্ন ছিল।
যাই হোক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.