নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিসে সুখ, কোথায় সুখ ?

০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৪৪

১/ আন্তর্জাতিক একটি সেমিনারে ৫০ জনের একটা গ্রুপ উপস্থিত ছিল। বক্তা হঠাৎ তার বক্তৃতা থামিয়ে সবাইকে একটা করে বেলুন এবং মার্কার দিয়ে নিজ নিজ বেলুনের উপর নাম লিখতে বললেন। এরপর সবাইকে বললেন, বেলুনগুলো স্টেজের সামনের মেঝেতে এনে রাখতে। ৫০টা বেলুন একসাথে রইলো।
বক্তা সবাইকে বললেন-“৩ মিনিট সময় দিলাম, যে যার নিজের বেলুনটা খুঁজে বের করুন ।” সঙ্গে সঙ্গে হুড়াহুড়ি লেগে গেল ৩ মিনিট সময়ের বধ্যে কেউই তার নিজের বেলুনটা খুঁজে পেলেন না।
এবার বক্তা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বললেন- “আপনারা এবার ইচ্ছেমতো বেলুন হাতে নেন। সেখানে যার নাম লেখা থাকবে তার নাম ডেকে,তাকে দিয়ে দেন ।” অবাক ব্যাপার হল- কয়েক মিনিটের মধ্যে যার যার বেলুন সে সে পেয়ে গেল।
বক্তা এবার বলা শুরু করলেন-“ঠিক এই ব্যাপারটিই আমাদের জীবনে ঘটে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই চারপাশে নিজের সুখ খুঁজে বেড়াচ্ছি, কিন্তু ঠিক কোথায় সুখ,তা কেউই জানিনা! আমাদের সুখ আসলে নিহিত আছে অন্যের সুখের মধ্যে। অন্যদেরকে তাদের সুখ দিয়ে দিন, আপনি আপনার নিজের সুখ ঠিক খুঁজে পেয়ে যাবেন ।”

২/ একটি তামিল মুভি দেখেছিলাম, নাম ছিল Bheesma. মুভির একটি সিন আছে এরকম, যেখানে ভীষ্ম প্রসাদ (নিথিন) অফিসে প্রতিটি কর্মচারীকে একটি বেলুন এবং একটি পিন দেন এবং ঘোষণা করেন যে এক মিনিটের কাউন্টডাউনের পরে যার বেলুন অক্ষত থাকবে তার বেতন বৃদ্ধি পাবে। কাউন্টডাউন শুরু হল। এবং কর্মচারীরা সবাই নিজের বেলুন রক্ষার পাশাপাশি বাকীদের বেলুন কে ফোটানর কাজে লেগে পড়ল। কাউন্টডাউন শেষ হতে হতে সবার বেলুন ই টাস টাস। এবার ভিস্মা বলল, "আমি বলেছি যার বেলুন অক্ষত থাকবে তার ই বেতন বাড়বে, যদি সবার বেলুন ই অক্ষত থাকত, তাহলে সবার ই বেতন বাড়ত। শুরুতেই একজন আরেকজনের সাথে প্রতিযোগীতার চিন্তা না করে যদি সহযোগীতার চিন্তা করতেন তাহলে সবার ই বেতন বাড়ত। কিন্তু এখন কারো ই বাড়বে না।"

এগুলো আসলে একধরণের সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড ইফেক্ট। কিন্তু এই ধরণের মনোভাবগুলো আমাদের ছোটবেলা থেকেই তৈরী হয় পরিবার-পরিবেশের কারণে। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে এইধরনের চিন্তাধারা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজনীয় নয়???

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩২

নাহল তরকারি বলেছেন: চমৎকার।

২| ০৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতা, স্বার্থপরতার পরিবর্তে পরার্থপরতা, ইত্যাকার গুণাবলী মানুষ অর্জন করে প্রথমতঃ পরিবারের আপনজনদের কাছ থেকে, তারপর তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরুদের কাছ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানে মানদণ্ডের কোন ব্যত্যয় ঘটলে তার প্রভাব দ্রুতই সমাজেও ছড়িয়ে পড়ে।

১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: সত্যকথন। ধন্যবাদ আংকেল।
শুভকামনা রইল।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আপনার পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়কে আলোকপাত করে। প্রথম উদাহরণে, বক্তা আমাদের জীবন সম্পর্কে একটি মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা নিজেদের সুখ খুঁজে পেতে চারপাশে ছুটে বেড়াই, অথচ আমাদের সুখ নিহিত থাকে অন্যের সুখে। যখন আমরা অন্যদের সুখের দিকে মনোযোগ দিই এবং তাদের সাহায্য করি, তখন আমাদের নিজেদের সুখও নিশ্চিত হয়।

দ্বিতীয় উদাহরণটি আমাদেরকে শেখায় যে, একে অপরকে সহযোগিতা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতার মনোভাব আমাদেরকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করায় এবং কারোই উন্নতি হয় না। কিন্তু সহযোগিতা এবং একে অপরকে সমর্থন করা, একে অপরের সাথে কাজ করার মানসিকতা আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক।

এগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, আমাদের ছোটবেলা থেকে শেখানো মানসিকতা বড় হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন করা জরুরি। একটি সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা আমাদের জীবনকে সহজ ও সুখময় করে তুলতে পারে।

এই ধরণের চিন্তাধারা পরিবর্তন করার জন্য আমাদের প্রয়োজন আত্মজিজ্ঞাসা, সচেতনতা এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের ইচ্ছা। আমাদের পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজকে এ বিষয়ে সচেতন করা প্রয়োজন।

আপনার পোস্টটি পড়ার পর, আশা করি অনেকেই তাদের মনোভাব পরিবর্তন করতে উৎসাহী হবে এবং একটি সহযোগিতামূলক ও সহমর্মিতামূলক সমাজ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসবে। এটি শুধু আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে নয়, পুরো সমাজকেও উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।

১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩০

কিশোর মাইনু বলেছেন: এত দেরীতে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য দুঃখিত।

আপনার মতামতের সাথে সম্পুর্ণ একমত আমি। এই ধরণের চিন্তাধারা পরিবর্তন করাটা জরুরী। কিন্তু তার জন্য সচেতনতা আর আত্মজিজ্ঞাসা, আত্মসমালোচনা প্রয়োজন.

আর গল্প গুলোর মর্মার্থ ব্যাখ্যা করার জন্য ও ধনবাদ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

নতুন বলেছেন: সুখ কিনতে পাওয়া যায় না।
সুখ কেউ কাউকে দিতে পারেনা
সুখ ছিনিয়ে নেওয়া যায় না।

তাই টাকা পয়সা বা সম্পদ দিয়ে সুখ আসেনা।

সুখ নিজের মনের মাঝে তৌরি করে নিতে হয়।

নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুস্টি সুখ তৌরির অন্য তম উপাদান।

মানুষ যখন এই জিনিসটা বুঝতে পারে তখন সুখী হওয়া শুরু করে...

১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩০

কিশোর মাইনু বলেছেন: খুব-ই খাটি কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

বি.এস: ভাইয়ার কিবোর্ড মনে হয় প্রবলেম করছে। কিছু টাইপো হয়ে গিয়েছে। ঠিক করে নিয়েন। সবাই আবার টাইপো বুঝে না।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৮

নতুন বলেছেন: ভাই কি বোর্ডে একটা বাটন নাই, আবার অনেক যুক্তাক্ষর লিখতে গেলে ভুল হয়।

সামু ছাড়া বাংলা লেখার সুযোগ হয় না তাই বানানে ভুল হয়ে যায়।

তবে এখন ব্লগ লিখার সময় চ্যাটজিপিটি দিয়ে বানান ঠিক করে নেই।

১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২০

কিশোর মাইনু বলেছেন: হায়রে চ্যাট-জিপিটি। :D

আমার কোন সমস্যা নেই ভাই। টাইপো ছাড়া ও আমাদের বানান ভুল হয় না জানার কারণে অনেক সময় ই। সেটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমাদের ব্লগে কিছু বানানের বিশেষজ্ঞ আছে কিনা। তাই একটু সাবধান করে দিলাম আপনাকে।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৪

নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ থাকবেই যারা বিষয়টা না বোঝার চেস্টা না করে দেখবে বানানে ভুল কয়টা হইছে। B-)

ভুল অনেকই হয়। কি বোঝাতে চেয়েছে সেটা বুঝতে পারলেই হলো। আর ভুল যেটা ব্লগে হয় সেটার বেশিরভাগই হয় অনিচ্ছাকৃত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.