নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।
মুক্তিযোদ্ধা বলতে কী বোঝায় আসলে??? যারা দেশের মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছেন। এখন যূদ্ধ করেছেন মানে কি? হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন? পাকিস্তানি হানাদারদের মেরেছেন? নাহ। যেই বাবা-মা ছেলে ফেরত আসবে না জেনে ও যুদ্ধে যাওয়ার পারমিশন দিয়েছেন, সেই বাবা মা ও মুক্তিযোদ্ধা। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন নিজেদের বাড়িতে তারা ও মুক্তিযোদ্ধা। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাপ্লাই দিয়ে সাহায্য করেছেন তারা ও মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আমাদের দেশে আবার মুক্তিযোদ্ধার সজ্ঞা অন্যরকম। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট থাকলেই হল, সে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেল। এখন সে আদো যুদ্ধ করেছে নাকি রাজাকারা ছিল কিছু যাই আসে না। কয়জন মুক্তিযোদ্ধা যারা আসলেই স্বশরীররে যুদ্ধে গিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, সার্টিফিকেট ধারী? একজন মুক্তিযোদ্ধা যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন আপনার কি মনে হয়ে সে সার্টিফিকেট নিয়ে মাথা ঘামাবে? কে বলছে আমাকে এইসব কথা? আমার নানাভাই ছিলেন হাইস্কুলের শিক্ষক, আর দাদাভাই ছিলেন কৃষক। লাংগল আর কলমের জায়গায় এই নরম মনের মানূষ দুটো তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র, দেশের জন্য। দাদাকে হারিয়েছি অনেক ছোট থাকতে। কিন্তু নানাভাই কে ২২/২৩ বছরের মত পেয়েছি। কলেজে থাকতে একবার জানতে চেয়েছিলাম, সে সার্টিফিকেট কেন নেই নি? তার জবাব ছিল, যুদ্ধে করেছি যাতে শান্তিতে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি, যাতে তোমাদের আমাদের মত ভয়ে ভয়ে থাকতে না হয়, এই চিন্তা করে যুদ্ধে যাইনি যে পুরস্কার পাব। তুমি যেখানে ইচ্ছা সেখানে পড়তে পারতছ। ইচ্ছা মত ঘুরতে পারতছ এইটাই আমার জন্য অনেক বড় পুরস্কার। এর পর ও আমি যখন কোটা নিয়ে ক্যা ক্যা করতিছিলাম, সার্টফিকেট টা নিয়ে নিলে কি আর হয়ত, তার জবাব ছিল, দেশটা সবার, মুসলিম-হিন্দু-বোদ্ধ-ক্রিস্টান, বাংগালী, উপজাতি, সবার। তোমার বাপ-দাদা ২/৩টা হানাদার মারছে বলে তুমি অতিরিক্ত সুবিধা, special care পাবা সব জায়গায়, সেটা অনৈতিক। আমার নানাভাই সার্টিফিকেট পর্যন্ত নিতে অস্বীকার করেছিলেন এই চিন্তা করে যে ওনার ফ্যামিলি যদি বাই চান্স সেটার অপব্যাবহার করে। অবশ্যই তাদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভাল ছিল বলে তারা এই বিলাসিতা দেখাতে পেরেছেন। কিন্তু আমাকে একটা কথা মেনে নিতে হবে আমি এতদিনে এসে আমার নানাভাইয়ের বলা কথাটার মর্ম হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:১৫
কিশোর মাইনু বলেছেন: ব্লগ পড়ুন, বুঝুন, তারপর মন্তব্য করুন। মুক্তিযোদ্ধাদের তথাকথিত বলিনি, তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা বলেছি। বাপ-দাদারা কেউ ই যুদ্ধে যাই নি, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সার্টফিকেট বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জব করছে এরকম নিউজের অভাব পাবেন না খুজলে। এমনকি অনেক রাজাকার পর্যন্ত আছে যারা মুক্তিযোদ্ধার ট্যাগ লাগিয়্র ঘুরছে সার্টিফিকেটের বদৌলতে।
বাংলাদেশ অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের। তথা মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের। সম্পুর্ণ একমত। দেশটা মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের। শুধুমাত্র সার্টিফিকেটধারী তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধর আর আওয়ামিলিগের না।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৩৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার নানা ভাই আপনাকে ভুল বলেছে, নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য এই দেশে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন করেন নাই, এই দেশ স্বাধীন করা হয়েছিলো নিজ অধিকার ও দেশের প্রতি অনুগত্যের খাতিরে। পাকিস্থানী শাসকদের কুশাসন থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে।
মুক্তিযোদ্ধারা ততাকথিত না। আপনি ও আপনার অনুসারী এবং আপনার গুরুরা ততাকথিত বাংলাদেশী।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:০৭
কিশোর মাইনু বলেছেন: কথা বুঝে তারপর কমেন্ট করতে আসবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তথাকথিত বলেছি না তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা বলেছি প্রথমে সেটা বুঝুন তারপর আসবেন জ্ঞান ঝাড়তে। মুক্তিযোদ্ধাদের মত এখন বাংগালী হতে গেলে ও সার্টিফিকেট লাগবে নাকি??? সেই সার্টিফিকেট কারা দিবে??? আপনার মত জানে মানে প্রাণে বাংলাদেশীরা??
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:১২
কামাল১৮ বলেছেন: যারা অস্ত্রহাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করছে তারাই মুক্তি যোদ্ধা।দেশবাসী মুক্তি যুদ্ধের সমর্থক ছিলো।তারা মুক্তি যোদ্ধা ছিলো না।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:২২
কিশোর মাইনু বলেছেন: আপনার সাথে আমি কখনোই একমত নই এ বিষয়ে। যারা অস্ত্রহাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন তারা যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করেছেন যারা তাদের সাপোর্ট দিয়েছেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাদের সাহায্য-সহযোগীতা করেছেন। যুদ্ধ মানেই অস্ত্রহাতে খুনাখুনি প্রথমে এই ভুল ধারণা থেকে বের হোন, তারপর না হয় মুক্তিযুদ্ধা নিয়ে চিন্তা করবেন।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:১৬
সামরিন হক বলেছেন: আপনি সম্ভবত ভূয়া সার্টিফিকেট ধারী মুক্তিযোদ্ধাদের কে মিন করে তথা কথিত শব্দটি লিখেছেন।
কি একটা অবস্থা দেশের !!! মুক্তিযুদ্ধ শব্দেই আবেগতাড়িত হয়ে যাচ্ছে চোখে আর কিছু দেখছে না! দুঃখজনক!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:২৭
কিশোর মাইনু বলেছেন: অবশেষে একজন পোস্ট টি পড়ে মন্তব্য করল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আবেগতাড়িত হয়ে যাচ্ছে??? এটাকে আবেগ বলে না। এটা কে চামচামি বলে।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করে এসেছি।চিন্তা করার সময় পেলাম কোথায়।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৪৭
কিশোর মাইনু বলেছেন: বাহ! আমার পোস্টের মন্তব্যের মদ্ধেই তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাদের একজন কে পাওয়া যাবে কল্পনা ও তো করিনি। চমৎকার।
তো কি অস্ত্র জানি ব্যাবহার করে যুদ্ধ করেছিলেন?
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: লাগতে পারে সার্টিফিকেট কারন পশ্চিম বংগে ও কিছু খিচুড়ি বাংগালী আছে। যারা নিজেদের বাংগালী বলে ঘোষনা দেয় কিন্তু আচরনে ও কথায় উর্দু নতুবা হিন্দী ভাষি।
ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও কিছু নাম কা ওয়াস্তে বাংগালী আছে যাদের শরীরে ফাকিস্থানী চামারের গন্ধে ভরা।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
কিশোর মাইনু বলেছেন: তো যাদের শরীর রেন্ডিয়ান শুয়োরের গন্ধে ভরা তারা ও কি বাংলাদেশী সার্টিফিকেট পাবে???
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪
নিমো বলেছেন: না, তবে রাজাকার ও ছানা-পোনাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানানের প্রচেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই চলে আসছে। কী এর সঠিক ব্যবহার না জানা,ব্যক্তিগত শব্দের বানান ভুল বোধকরি সর্বোচ্চ মেধার বিকাশের নমুনা!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:১৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: তা ভাই, রাজাকার কারা??? যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সাহায্য করেছেন নাকি যারা এখন ভারত এবং আওয়ামিলীগের দালালি করে না???
ওয়াও, তাহলে এখন মেধার বিকাশ দেখে রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়??? ভাল ভাল।।।
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তথাকথিত মুক্তি যুদ্ধা মানে? এটা কি সামহোয়্যারইন ব্লগ আছে নাক সোনার বাংলা ব্লগ এর ডিজিটাল ভার্সন?
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
কিশোর মাইনু বলেছেন: তথাকথিত শব্দের অর্থ হ'লো- কোনো এক নামে প্রচলিত আছে কিন্তু সঠিক কি না তা প্রমাণিত নয়। In English u can use "So called"..
আপনার সুবিধার জন্য হিন্দী শব্দ-টা ও দিয়ে দিলাম। হিন্দীতে तथाकथित লেখা হয়।
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯
এস.এম.সাগর বলেছেন: অবশ্যই তথাকতিথ কথাটা আসবে, কারন ভুয়া মুক্তি যুদ্ধা, বাংলাদেশের অনেক গুলি দৈনিক জাতিয় পত্রিকায় খবর এসেছিলো ২০ হাজার তথাকতিথ মুক্তি যুদ্ধার বাবা-মা এর বিবাহ হয়েছে ৭১ সালের পরে, আবার যাদের জন্ম ৬৯ ,৭০, ৭১, ৭২ সালে তাহারা কিভাবে মুক্তি যুদ্ধা হয়? তাহারা হয় তথাকতিথ মুক্তি যুদ্ধা।
রাজাকার, স্বৈরাচার, ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা সকলে একই!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:১৯
কিশোর মাইনু বলেছেন: একদম ভাই। আমার কথা সেটাই। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ৭১-এ। আর এখন ২০২৪। ৫২/৫৩ বছর আগের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের বয়স এখন কম করে হলে ও ৭০ বছর। এখন ৫০/৬০ বয়সী মুক্তিযোদ্ধারা কোথাথেকে আসল তাইলে??? আমি এমন নিউজ পর্যন্ত পড়েছি যে কোন রাজাকার নাকি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে নাম ভাংগিয়ে গ্রামের চেয়ারম্যান পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। আমার এই পোস্ট টি একমাত্র এইসব ভন্ডদের আর ভন্ডদের দালালদের ই গায়ে লাগবে।
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে আসল মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে আছে। দেশটা এখন এমন এক সরকারের হাতে যারা তাদের সুবিধামতো মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারের সংজ্ঞা নির্ধারণ করছে।
ভালো কথা, এই ধরনের লেখার নীচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে ফুটনোট দিয়ে দিবেন, নয়তো ব্লগের কিছু অর্ধশিক্ষিতদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, ''তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা'' বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন!!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
কিশোর মাইনু বলেছেন:
সরি ভাই, আমি একটা ভুল ধারণা নিয়ে ছিলাম যে ব্লগে সব সুশিক্ষীত। তাই ফূটনোট দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি কোন।
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি প্রশ্ন তুলল্লাম সার্টিফিকেট অলা ভন্ড মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা আসলেই যুদ্ধ করেছেন ৭১ এ, তাদের থেকে কিছুই যাই আসে না আমার এই প্রশ্ন তুলায়। ৭০/৮০ বছর বয়সে এসে তারা এইসব নিয়ে ক্যা ক্যা ও করবে না।
মজার বিষয় আমার এই পোস্টের কমেন্টে যারা কমেন্ট করছে সবগুলোই কোটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে, আওয়ামি লীগের অন্ধ ভক্ত, আর ভারতের দালাল। এখন কথা হচ্ছে তাদের গায়ে লাগছে কেন আমার এই পোস্ট টি???
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি প্রশ্ন তুলল্লাম সার্টিফিকেট অলা ভন্ড মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা আসলেই যুদ্ধ করেছেন ৭১ এ, তাদের থেকে কিছুই যাই আসে না আমার এই প্রশ্ন তুলায়। ৭০/৮০ বছর বয়সে এসে তারা এইসব নিয়ে ক্যা ক্যা ও করবে না।
মজার বিষয় আমার এই পোস্টের কমেন্টে যারা কমেন্ট করছে সবগুলোই কোটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে, আওয়ামি লীগের অন্ধ ভক্ত, আর ভারতের দালাল। এখন কথা হচ্ছে তাদের গায়ে লাগছে কেন আমার এই পোস্ট টি???
আপনার এই মন্তব্যও ওইসব তথাকথিত শিক্ষিতদের বুঝতে অসুবিধা হবে। ফুটনোট প্লিজ!!!!!!!
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: আমার ফুটনোট বোঝার জন্য আবার আরেকটা ফুটনোট দিতে হবে।
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: তা ভাই, রাজাকার কারা???
আপনার তথাকথিত নান-দাদারা আপনাকে এত বয়ান দিয়েছৈ, এটা দেয়ার সময় পায় নাই।
লেখক বলেছেন:যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সাহায্য করেছেন নাকি যারা এখন ভারত এবং আওয়ামিলীগের দালালি করে না???
আমার বক্তব্যতেতো কোথাও ভারত এবং আওয়ামিলীগ ছিল না। আপনি এক কাজ করুন,কোক বন্ধ করেছেন, এবার স্প্রাইট বন্ধ করে দুধ খাওয়া শুরু করুন। কৈশোর কাল শেষ হলে আপনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা হবে!
লেখক বলেছেন:ওয়াও, তাহলে এখন মেধার বিকাশ দেখে রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়??? ভাল ভাল।।।
হা-হা! আপনি অযথাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। ভালো করে দুধ খান, কৈশোর কাল শেষ হলে জানিয়েন, আলোচনায় আসব।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:০৬
কিশোর মাইনু বলেছেন: বাহ!!! আপনার বাংলা বানান জ্ঞান তো চমৎকার।
আমার বক্তব্যতেতো কোথাও ভারত এবং আওয়ামিলীগ ছিল না। নাহ, খালি লীগের কথার প্রতিফলন ছিল।
আলোচনায় আসবেন??? কৌতুক টি মজার ছিল। আরেকটা হয়ে যাক।
১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২১
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাহ, খালি লীগের কথার প্রতিফলন ছিল।
কৌতুক টি মজার ছিল। আরেকটা হয়ে যাক।
১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই আপনার নানু ও দাদু ভাইয়ের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি। তারা সত্যিকারের হীরের টুকরো এদেশের। যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন, তাদের সাথে আর কারো তুলনা হয় না।
এবার লক্ষ করুন নীচের উদ্ধৃতিটি।
"নিজের জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এবং অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে এ দেশকে স্বাধীন করে বিজয় এনে দিয়েছেন। আমার মতামতের সাথে নাও থাকতে পারে। আমার দলে নাও থাকতে পারে। কিন্তু তার পরেও সে মুক্তিযোদ্ধা। তাই আমার কাছে সবাই সম্মানিত। আর সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষ তাদেরকে দিবে এটাই আমরা সবাই চাই।"
উপরের কথাগুলো গতকাল বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার কাছে মনে হয়, তার এ যাবতকালে বলা কথাগুলোর মধ্যে এ কথাগুলো অন্যতম সেরা বাণী।
৭১-এ এদেশের আপামর জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল (রাজাকার ও ভিন্ন মতের মানুষ ছাড়া)। আমার দেখা ও অধীত জ্ঞানমতে অধিকাংশ মানুষ ছিল অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত, দরিদ্র এবং তাদের মধ্যে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন খুব কম লোক। আমার আপন চাচা মুক্তিযোদ্ধা, অশিক্ষিত। আমার মামা মুক্তিযোদ্ধা, ক্লাস টু-থ্রি পাশ হয়ত হবেন। আমার গ্রামের ৩জন মুক্তিযোদ্ধার একজন ছিলেন সম্ভবত এসএসসি পাশ, বাকি ২জন অশিক্ষিত। যাদের নাম বললাম এরা কেউ কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সাথে আমরা যেটা লক্ষ করেছি, কালক্রমে মুক্তিযুদ্ধটা হয়ে গেছে একক দল ও ব্যক্তির কৃতিত্বের ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী, স্বাধীনতার ৫০তম জন্মজয়ন্তীতে অনেক টাকা খরচ করে মহাসমারোহে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠান দেখে সাধারণ মানুষের মনে হয় নি যে, এটা ছিল পিপল্স ওয়ার, যে যুদ্ধে এ দেশের জনগণ, প্রতিরক্ষা বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী তেমন কোনো ভূমিকা রেখেছিল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল যেভাবে কথাটা বলেছেন, তার উচিত ছিল আগে থেকেই এরকম কথা বলা, সব সময়ই এভাবে বলা। কথায় কথায়, কিংবা ভিন্ন মতের কেউ হলেই সে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, এমন সংজ্ঞায়ন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা তার দলের বা মতের নন, খুবই ক্ষত-বিক্ষত করে।
আপনার পোস্টের মূল বিষয় ছিল মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা শব্দের আগে 'তথাকথিত' যোগ করায় পাঠকের অ্যাটেনশন মূল বিষয় থেকে বিচ্যুত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা শব্দের আগে 'তথাকথিত' শব্দটা আসলেই অবমাননাকর, আপনি যে-অর্থেই বলুন না কেন। তবে একজন সচেতন পাঠক এ কথাটায় আহত হলেও মূল বিষয়টা নিয়ে অবশ্যই হাইলাইট করবেন, যদিও অনেকে সেটা করেন না।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১১
কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক ই বলেছেন, তাদের সাথে কারো তুলনা হয়না। কিন্তু তাই বলে যারা তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন সাপ্লাই দিয়ে, তাদের অবদান কে ও খাটো করে দেখা ঠিক না। আমি নিশ্চিত আপনি ও একমত হবেন আপনার সাথে। আপনার ঘরভর্তি মুক্তিযোদ্ধা। আপনি আমার থেকে অনেক ভাল বুঝেন এগুলো।
একদম। যেমন টা বলেছি, আমার দাদা ছিলেন কৃষক, অশিক্ষিত। আপনার মামা চাচার মত। তারা এত রাজনীতি বুঝে যুদ্ধে জান নি। হয়ত বুঝতেন ই না রাজনীতি। তারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন দেশ কে স্বাধীন করার জন্য, ব্যাস। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তারা আবার যেই দরিদ্র কৃষক, টিচার, কুলিমজুর ছিল সেখানেই ফেরত গিয়েছে। কিন্তু তাদের কারণেই আপনি আমি আজ নিজেদের বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিতে পারছি। অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। না তাদের কে, না তাদের অবদান কে, না তাদের পরিবারের বলিদান কে।
মুক্তিযুদ্ধের ৪০/৪৫ বছর পরে এসে আমি ৬০/৭০ বয়সী মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছি রিকশা চালাতে। আর ৫০ বছর বয়সী সার্টিফিকেট ধারী তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা কে দেখেছি মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ভোগ করতে।
আমার পোস্টের মুল বিষয় তথাকথিত মুক্তযোদ্ধাই ভাই। আপনার আমার বাপ দাদারা যুদ্ধ করে হাত পা হারিয়ে এসে নীরবে জীবন পালন করেছেন। আর মাঝখানে কোথা থেকে উটে এসে একজন সার্টিফিকেট দেখিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সুযোগ সুবিধা খুজছে। অথচ মুক্তিযূদ্ধের সময় তার জন্মই হয়নি অথবা সে মায়ের কোলে। আর আপনি আমি রক্তাত্ব মুক্তিযুদ্ধে তার তথাকথিত অবদান মানতে অস্বীকার করাই হয়ে গেলাম রাজাকার।
মুক্তিযুদ্ধের আগে তথাকথিত শব্দটা অবমাননাকর। কোন সন্দেহ নেই। এই প্রশ্ন উটার ই কথা টা। কিন্তু অস্বীকার কি করতে পারবেন ভাইয়া আমার কথাটি। আমি নিজেই লেখার সময় লজ্জাবোধ করছি যে আমাকে এই শব্দটি উল্লেখ করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।
একজন সচেতন পাঠক এ কথাটায় আহত হলে ও মুল বিষয় হাইলাইট করবেন। একদম ভাইয়া। আপনার ঘরভর্তি মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু আপনি পোস্টটি পড়ে বুঝে সুন্দর করে আপনার মতামত দিলেন। কেন??? কারণটা সিম্পল ভাই। আপনার চাচা মামা যুদ্ধে গিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আমার এই পোস্ট টি সার্টিফিকেটধারী তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে লাগবে, যারা জীবনে কখনো দেশের জন্য কিছুই করেন নি। আর অবশ্যই তাদের দালাদের। মহান মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের বংশধরদের এই পোস্ট টি পড়ে মন খারাপ হবে খুব। কিন্তু গায়ে লাগতে পারে না।
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়েছে। আমার মামা শ্বশুর। সৈনিক হিসাবে যুদ্ধে জয়েন করেছিলেন। তিনি লেখাপড়া কদ্দূর জানেন, বা আদৌ লেখাপড়া করেছিলেন কিনা জানি না। তিনি সৈনিক ছিলেন, কোনো রাজনীতি করেন নি। তবে, তার বেশ কয়েকটা সার্টিফিকেট আছে - প্রধানমন্ত্রীর সনদ, জেনারেল নাসিমের সনদ, আরো কয়েকটা সনদ দেখেছি। তিনি নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। সিএমএইচে চিকিৎসাও পাচ্ছেন।
অবশ্য বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন দলে নিম্ন পর্যায়ে ভালো একটা পদে আছেন।
১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২০
কিশোর মাইনু বলেছেন: শুভকামনা রইল তার প্রতি।
আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন আল্লাহর রহমতে।
যেই দলেই থাক না কেন, কিছুই যাই আসে না। কোন দলে না থাকলে ও কিছু যাই আসে না। একজন মুক্তিযোদ্ধা সবসময় ই একজন মুক্তিযোদ্ধা।
আপনি, আমি, আমরা ভাগ্যবান যে এই মহান মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধাদের আপনি তথাকথিত বলছেন?
বাংলাদেশ অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের। তথা মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের।
যারা মুক্তিযুদ্ধ কে স্বীকার করে না, মুক্তিযোদ্ধাকে তথাকথিত বলে, এই স্বাধীন দেশ তাদের হতে পারে না।