নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিযোগ করা বাদ দিয়ে নিজেকে ঠিক করেন, দেশের উন্নতি অটোমেটিক হবে

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৬

আজকে কিছু নতুন নিউজ দেখলাম। সত্যি নাকি মিথ্যা জানি না। কোটা আন্দোলনে আহত দের নাকি সম্মাননা দেওয়া হবে। তাদের জব সিকিউর করা হবে, তাদের বৃত্তি দেওয়া হবে। আরেক জায়গায় দেখলাম সার্টিফিকেটের কথা। অনেক কে দেখলাম এইসব নিউজ দেখে খুশী ও হচ্ছে এই বলে যে ঠিক ঠিক তাদের কাজের appreciation করা দরকার। Wtf??? এইভাবে করবেন আপানারা তাদের জীবনের তাদের আত্মত্যাগের সম্মান?!?!? আপ্নারা কি এই আন্দোলনের সুত্রপাত কোথাথেকে হয়ছে সেটা ইতিমধ্যেই ভুলে গেছেন? নাকি জানতেন ই না? পোলাপাইন বৈষম্য দূর করার জন্য মাথে নামল, রক্ত দিল, শেষ পর্যন্ত বৈষম্য সৃষ্টিকারী স্বৈরাচারকেই নামিয়ে ছাড়ল। আর আপ্নারা আবার সেই বৈষম্য ই সৃষ্টি করার তালে আছেন। আজব!!! X((
এখনো তারা রাস্তাতেই আছে। জায়গায় জায়গায় ট্রাফিক কন্ট্রোল করার ট্রাই করছে, আরেক দল স্টুডেন্ট ময়লা পরিস্কার করছে প্রতিদিন। তারা কি সুইপার না ট্রাফিক পুলিশ? যেই ছেলে সকাল ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে সে সকাল ৭টাই উটে রাস্তায়। যেই মেয়ে জীবনে কখনো ঘর জাড়ু দেই নই তারা রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে।

যাদের এগুলোর প্রতি কোন কৃতজ্ঞতা নেই তাদের কথা বাদ ই দিলাম। বাকীদের জন্য বলি, এই পোলাপাইন গুলা চাইছে আপনার কাছে recognition??? তারা বলছে সার্টিফিকেট দে, জব দে? তারা বলতেছে নিয়ম মানেন, রাস্তা ময়লা করিয়েন না, চাদা তুলিয়েন না। তাদের বলা একটা কথা ও শুন্তেছেন না ঠিকমত। আসছে সার্টিফিকেট মারাইতে? তারপর কি? সার্টিফিকেট যাদের আছে তাদের জন্য আবার কোটা? মুখ খারাপ করছি না এখানে।
অনেকে আবার বিরক্তি ও প্রকাশ করতেছে। কিসের এত বিরক্তি ভাই আপনাদের? জামে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে আপনাদের প্রবলেম ছিল না, ট্রাফিক কে জায়গায় জায়গায় ঘূষ দিতে আপনাদের প্রব্লেম ছিল না, এখন স্টুডেন্টদের অজ্ঞতার কারণে ১০/১৫ মিনিট দাড়াত্র হলেই চুল্কানি শুরু। তারা কি ট্রেনিং প্রাপ্ত নাকি? তারা নিজেরা কষ্ট করে অনলাইন ঘেটে বই কিনে ট্রাফিক কন্ট্রোল সম্পর্কে জেনে যতটুকু পারতেছে করতেছে। আপনারা কি করতেছেন??? নিয়ম তো মানতেছেন ই না, আবার কয় কিনা একদিনে আর হবে না। আরে ভাই, চেষ্টা না করলে ১০০০ বছরে ও হবে না। চেষ্টা তো করেন। নাহ, "ওটা কেমনে সম্ভব। কখনো নিয়ম মানি নাই। এখনো মানব না।"

এইসব ভং বাদ দিয়ে নিয়ম ফলো করেন মিয়া। দেশটা কারো একলার বাপের না, সবার। দেশ ভাল থাকলে আপনি ও ভাল থাকবেন, আপনার বাচ্চা কাচ্চা ও ভাল থাকবে। নিয়ম মেনে চলুন, দেশটা কে ভাল রাখার চেষ্টা করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চরম দিছেন। পুরাই সহমত!!!!! :)

তবে ভালো কাজের রিকগনিশানেরও দরকার হয়, এটা বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত একটা পন্থা। সেটাতে তাড়াহুড়া না করে ঠিক করা উচিত, কিভাবে সেটা করা যায় যাতে করে আন্দোলনের মিশন-ভিশনকে আরো উজ্জীবিত করা যায়।

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: দরকার নাই ভাই আমাদের recognition-র। ক্ষমা করবেন বেয়াদবি হলে। Recognition দিয়ে কি আমরা মুড়ি খাব? আর সত্যি যদি মানুষ ছাত্রদের এই আত্মত্যাগ কে সম্মান করেন, তাদের চেষ্টা কে appreciate করে থাকেন, তাহলে তাদের উচিত, তাদের সাহায্য করা। নিয়ম মেনে চলা, যত্রতত্র ময়লা না ফেলা, ফুটপাথ খালি রেখে রাস্তায় না হাটা, ওভারব্রিজ ব্যবহার করা। এগুলোই অনেক।

আর কোন জেনারেশন কে সার্টিফিকেটের কথা বলে ভাই এরা? এদের সার্টিফিকেটের কালেকশনের সংখ্যা এদের বয়সের থেকে বেশী। এত সার্টিফিকেট এদের কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.