![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমে একটি ঘোষণাঃ (দেশের ৭ম প্রেসিডেন্ট এর হটাত করে প্রথম প্রেসিডেন্ট বানানোর চেষ্টা দেখে সাধারন মানুষ যেখানে অবাক হয়নি সেখানে দ্বিতীয় থেকে প্রথম তো মাত্র একটি মাত্র ধাপের ব্যাপার। যাইহোক তা প্রতিষ্ঠিত করা অবশ্যই যুক্তি ও প্রমানের উপর নির্ভর করে যদি না আপনি নিতান্তই এক চোখা কিম্বা বোধ বুদ্ধিহীন না হন।
এই প্রসঙ্গে চলমান এভারেস্ট ইস্যুতে ৭১ টিভির আলোচিত ( সমালোচিতও বটে) একপেশে অনুষ্ঠানের পর এবার আজ রাত ৯.৩০ মিনিতে ATN News এ উপস্থিত থাকবেন এই বিষয়ে অভিজ্ঞ Enam Talukder এবং ওই টি ভি অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের তরফ থেকে জানা যায় তারা ৭১ টিভি তে সেদিন অংশগ্রহণকারিদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং তারা যোগদানের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। আসাকরি তারা আজ তারা যোগদান করবেন। আজ হয়তোবা গোটা জাতি একটা সিধান্তে আশতে সক্ষম হবে। আসাকরি কেউ মিস করবেন না।)......................
(বিস্তারিত আরও কিছু তথ্য (ংগ্রহীত)
২০১০ সালে এভারেস্ট আরোহণে যাওয়া মুসাদের পর্বতারোহী দলটি ছিল নানা দিক থেকেই একটি 'বিশেষ দল'। সেই দলে সবাই ছিল প্রথম, বিভিন্ন কারণে। যেমন মুসা (Mohammad Musa Ibrahim) ছিলেন এভারেস্ট চূড়োয় প্রথম বাংলাদেশী। মন্টেনিগ্রোর যে তিন পর্বতারোহী (Marko Blecic, Niksicani Djordjije Vujicic, Dragutin Vujovic) ছিলেন মুসার সঙ্গী, তারাও ছিলেন মন্টেনিগ্রো থেকে প্রথম এভারেস্ট আরোহী। সার্বিয়ার যে ডাক্তার ভদ্রলোক ছিলেন ওই দলে (Dragan Celikovic), তিনিও এভারেস্ট চূড়োয় প্রথম সার্বিয়ান ডাক্তার।
তিন মন্টেনেগ্রান যখন এভারেস্ট চূড়ো থেকে বেস ক্যাম্পে ফিরলেন, ফোন বেজে উঠল। ফোনের ওপ্রান্তে মন্টেনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট স্বয়ং! অভিনন্দন আর ভালোবাসায় সিক্ত করলেন মন্টেনিগ্রোর প্রথম তিন এভারেস্ট বিজয়ীকে (সেসব ছবি আর খবর গুগল করলে পাবেন)। সেই একই ক্যাম্পে ছিলেন ওই একই গৌরবের অংশীদার এক বাংলাদেশীও--- মুসা ইব্রাহীম! অন্যরা যখন অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছিলেন, তখন দেশ থেকে উড়ে যাওয়া ফোনকলে মুসার কাছে প্রশ্ন এসেছে--''মুসা, আপনি আসলেই এভারেস্টে উঠছেন তো, নাকি?'
সেই যে শুরু, এখনও এর শেষ হয়নি। আমরাই আসলে এর শেষ হতে দেই নি। গভীর রাতে মুসার কাছে এসএমএস আসে, তুই একটা শয়তান। স্টেডিয়ামে তোর ফাঁসি দেখতে চাই। তুই তো নেপালেই যাস নাই, তোর ছবির সাথে চট্টগ্রামের বাটালি হিলের ছবির মিল পাই, তুই কীভাবে এভারেস্ট যাবি।
সেই ২০১০ সালে একজন একটা ব্লগ লিখেছিল মুসার নামে খেয়াল আছে। সেখানে সে একটা মন্তব্য করেছিল, আমি মুসার সাথে আলুটিলায় গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে। সেখানে সে আমারে গালি দিসিল। যে আমারে গালি দিতে পারে সে এভারেস্ট জয় করতে পারে না। আমি শিউর মুসা এভারেস্টে উঠতে পারে নাই।
সন্দেহপ্রবণ আমরা এখনও প্রশ্ন করে যাচ্ছি,
---মুসা আপনি উঠেছেন তো? আপনার ছবি কই?
---এই যে আমার ছবি।
---ও আচ্ছা, আপনার অমুক কই।
---এই যে আমার অমুক। আচ্ছা আপানার তমুক নাই কেন?
---কে বলছে নাই, এই যে আমার তমুক।
---ও আচ্ছা আছে, তাইলে কোন বিদেশি কেন আপনার তমুক নিয়ে বলে নাই?
---এই যে বলছে।
---আপনার নাম নেপাল দিক দিয়া নাই কেন?
---আমি তো চায়না দিয়া উঠছি।
---তো চায়নিজ কোন কিছুতে আপনার নাম নাই কেন?
---আছে তো, চায়নিজ বার্তা সংস্থা সিনহুয়া তো নিউজ করছে।
---কিন্তু সিনহুয়া তো ভূয়া।
---এএফপি, বিবিসি, ডয়েচে ভেলেও তো নিউজ করছে, ইয়াহু নিউজ, এমএসএন নিউজেও তো নিউজ আসছে।
---ও আচ্ছা আসছে নাকি? তা আপনার কোন কো-সামিটারের বক্তব্য নাই কেন?
---আছে, তিন মন্টেনিগ্রান Marko Blecic, Niksicani Djordjije Vujicic, Dragutin Vujovic তাদের স্টেটমেন্ট। আমরা যে একসাথে উঠছি তারা এই ভিডিওতে বলছে।
---কিন্তু শুধু এক দেশের হইলে হবে না। আর কোন দেশের নাই?
---আছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্ডান আছে। সে আমার পরে উঠছে। নামার সময়ও আমার পরে নামছে। এভারেস্টের চুড়ার একটু নীচে সে আমারে হেল্পও করছিল।
---কিন্তু আপনার শেরপারা তো ভুয়া।
---আমার তিন শেরপা যাদের মধ্যে দুজন আমার সঙ্গে সামিট করেছিল (Lhakpa Nuru Sherpa ও Kailash Tamang) কিন্তু আমার সঙ্গে বাংলাদেশে আসছিল সে সময়। তারা আমার আগে আরও অনেকবার অন্য অভিযাত্রী নিয়ে সামিট করেছে। তাদের নিয়েই তো আমি সাংবাদিক সম্মেলন করেছি ঢাকার আইডিবি ভবনে। তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকার সাংবাদিক। এখন কেমনে বলেন তারা ভুয়া? কোন প্রমান আছে?
---না তা নাই, তবে শেরপারা দুই নাম্বার হয়।
---তাইলে তো সবার শেরপাই ভুয়া।
---না অন্যদের শেরপা ভালো। আপনারটা খারাপ ছিল। এতএব আপনে উঠেন নাই। উঠলেও আপনি দ্বিতীয়। প্রথম হইলো মুহিত।
কেউ হয়তবা বিশ্বাস করবেন না এসব প্রশ্ন বা কথোপকথন। কিন্তু সামহোয়ারইন, সচলায়তন ব্লগ ঘাটলে এর চেয়ে অবিশ্বাস্য প্রশ্নও পাবেন। যাচ্ছেতাই ভাবে গালিগালাজ হয়েছে মুসাকে নিয়ে, তার পুত্র, স্ত্রীকে নিয়ে।
মুসার প্রতি সেইসব প্রশ্নের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ৭১ টিভিতে মুহিত, ওয়াসফিয়া আর নিশাত আরও কিছু জিনিস জানতে চেয়েছেন। সেইসব বলার আগে বলি, যে ’নেপাল পর্বত’ এ নাম ওঠানামা নিয়ে এত হৈচৈ, সেই নেপাল পর্বত যে ভুল তথ্য দিচ্ছে সেটা ইতিমধ্যে স্বীকার করছেন মুহিত তার এক স্ট্যাটাসে। এতক্ষনে কেন ’নেপাল পর্বত’ ভুল করেছে সেটা স্বীকার? কারন মুহিত দেখেছে এই নেপাল পর্বত লিস্টকে প্রথম ধরলে মুহিতের নিজের আর প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্টজয়ী হওয়া হয় না, নিশাত হয়ে যায় প্রথম। কারন নিশাতের পরে সেই লিস্টে মুহিতের নাম। অর্থাৎ মুহিতের ২০১১ সালের এভারেস্ট জয় হাওয়া হয়ে যায়। তাই সে স্টেটমেন্ট দিল, জ্বি হা ভাই, এই ’নেপাল পর্বত’ ভুল। আমার নাম ২০১১ সালে আসে নাই তাই ভুল। তাদেরকে জানিয়েছি, তারা বলেছে ঠিক করে দিবে। মুসার নাম না থাকলে সেটা সত্য আর নিজের নাম না থাকলে সেটা ভুল। মজা না? তা মুহিত, হিমালয়ান ডেটাবেজে যে সবার নামই আছে পর্যায়ক্রমে (http://www.himalayandatabase.com/2010 Season Lists/2010 Spring A4.html) এটা ভুল না সঠিক তা জানতে চাই আপনার কাছে।
তো ৭১ এর অনুষ্ঠানে ওয়াসফিয়া বলেছেন মুসার ছবিগুলা নাকি ঝাপসা এবং অবিশ্বাসযোগ্য। বিশেষ করে ওয়াজফিয়া জোর গলায় বললেন, এভারেস্টের চূড়া থেকে আশেপাশের যেসব পর্বত দেখা যায়, সেগুলোর একটাও আই লেভেলে নয়। সবগুলো পর্বত দেখা যাবে নিচে তাকালে। কিন্তু মুসার ছবিতে কেন অন্য পাহাড় দেখা যাচ্ছে।
অবশ্যই। আরে আই লেভেলে থাকলে তো সব একই উচ্চতারই পর্বত হতো। এভারেস্ট সবচেয়ে উচু হতো না। দুঃখটা লাগে যখন উনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে উনি যথেষ্ট রিসার্চ করেছেন। আমার মনে হয় উনি রিসার্চ নয়, সামান্যতম সার্চ দিলেও এই কথাটা বলতে পারতেন না। কারণ শুধু মুসার ছবি নয়, মুহিতসহ (মুহিতের ছবি তার ফেসবুক ফটোতে দেখতে পারেন) পৃথিবীর মোটামুটি সকল এভারেস্টজয়ীর ছবিতেই (এখনই গুগল করেন প্লিজ) এভারেস্টের নীচের আশেপাশের পর্বতচূড়া দেখা যায়। আর মুসার ছবি নিয়ে বাংলা অনলাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও দীর্ঘ আলোচনাটি হয়ে গেছে। মূসার সেসব ছবি নিয়ে গবেষণা করেছেন বাঘা বাঘা অনেকেই। সে সময়ের ঘটনার কথা বলেছেন জাপানে বসবাসরত Muquit Mohammad. তার বিবরন পড়ুন-----
“এভারেস্ট বিজয় নিয়ে সচলায়তনে একটা বিতর্ক উঠেছিলো ২০১০ এ, নেভারেস্ট শিরোনামের একটা ব্লগসিরিজে।। মুসার এভারেস্ট বিজয়ের পর আরো অনেকের মতো আমিও ভেবেছিলাম লংশটে "একটা পর্বতশৃঙ্গের চুড়ায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে" এমন একটা সিনেমার মতো ছবি ছাপা হবে। কিন্তু বেশ হতাশা নিয়ে লক্ষ্য করলাম সেরকম কোনো ছবি পেপারে আসছেনা! বাঙালী তো, মনে খচখচ শুরু হলো। এরমধ্যে নেভারেস্টের তথ্য আর কমেন্ট সেকশনে দেয়া মুসার ছবির প্রভাবে খচখচটা রীতিমতো সন্দেহে পরিণত হতে যাচ্ছিলো। বিতর্কে মসলা জোগানোর জন্য গুগলের দ্বারস্থ হলাম, ভাবলাম, কয়েকজন পর্বতারোহীর ঐরকম সিনেমার মতো কিছু ছবি জোগাড় করে যুক্তি দেখাবো যে, মুসার কি এমন একটা ছবিও ছিলোনা? কিন্তু, কপাল খারাপ! ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে দেখলাম, সেরকম কোনো ছবি নেই। অধিকাংশই মুসার ছবির মতো, একগাদা পতাকা আর একদঙ্গল মানুষের ভীড়ে পর্বতারোহী বেচারা ভি সাইনে হাসিমুখে ছবি তুলছেন। মুসার ছবির চেয়ে আলাদা কিছু মনে হলোনা। আমার সন্দেহ এবার ১৮০ ডিগ্রী ঘুরতে লাগলো। দুচারটা ভিডিওও দেখলাম ইউটিউবে। সেগুলো দেখেও মনে হলো, মুসার ছবিগুলোতে সন্দেহ করার কিছু নেই। এরমধ্যে, ছবিগুলো টেম্পারিং করা হয়েছে এমন দাবী নিয়েও আসলো কয়েকজন। টেম্পারিংয়ের সপক্ষে কিছু টেকনিকাল যুক্তিও দাঁড় করালেন। ঐ টেকনিকাল যুক্তিগুলো পরীক্ষা করে দেখলাম, না, টেম্পারিং করা বা না করা সব ছবিতেই ঐ যুক্তি খাটতে পারে। মুসাকে নিয়ে সন্দেহ আস্তে আস্তে উবে যেতে লাগলো। নানান কমেন্টের মাধ্যমে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে যেসব ম্যাটেরিয়াল উপস্থাপিত হয়েছে, তা দিয়ে মুসাকে সন্দেহ করা যায়না।
এরই পোরিপ্রেক্ষিতে, আরিফ জেবতিক আমাকে মুসার কিছু ছবি (১৫টার মতো) পাঠালেন।। এর মধ্যে ১০টা এভারেস্টের চুড়োয় তোলা। আমি ছবিগুলো নিয়ে ইমেজ ফরেনসিকের এক্সপার্টদের সাথে ই-মেইলে আলাপ শুরু করলাম।।। এক্সপার্টদের মধ্যে একজন (ইউরোপের একটি ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি যিনি একসময় ইমেজমেট্রিতে কাজ করেছেন এবং ভেরিফাইআইড নামে একটি পুরস্কারজয়ী সিস্টেম তৈরী করেছিলেন) সাড়া দিলেন। তিনি বললেন, একটু সময় নেবেন, কিন্তু ছবিগুলো পরীক্ষা করে দেখতে তাঁর অসুবিধা নেই। চেক করে তিনি আমাকে জানাবেন কথা দিলেন।
এরমধ্যে মুসার ক্যামেরায় চুড়া থেকে তোলা দিগন্তের একটা ছবি নিয়ে ভয়াবহ মাত্রার এনালাইসিস হলো, নেভারেস্টের কমেন্ট সেকশনে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক জিনিয়াস ছেলে রীতিমতো অংক কষে বলে দিলেন যে দিগণ্তের ঐ ছবি এভারেস্টের চুড়ো থেকেই তোলা। সবাই মেনে নিলো। বিতর্কটা সেখানেই যতি টানলো।
সপ্তাখানেক পর আমার ইমেজ ফরেনসিক এক্সপার্টের মতামত পাওয়া গেলো। তিনি তাঁর গবেষনার সফটওয়ার দিয়ে নানান পরীক্ষা করে কোনো টেম্পারিং খুঁজে পাননি। তিনি আমাকে কথা দিলেন যে তাঁর পুর্বের কর্মস্থল ইমেজমেট্রিতে জোগাজোগ করে তিনি বাড়তি কিছু টেস্টও করাবেন | কিছুদিন পর তিনি জানালেন ইমেজমেট্রিতে টেস্ট করেও তারা টেম্পারিংয়ের কোনো আলামত পাননি। তবে তাঁরা কোনো অফিশিয়াল সার্টিফিকেট দিতে রাজী হলেননা, কারণ, সেজন্য তাদেরকে কনসাল্টিং ফি দিতে হবে এবং মুসার ক্যামেরা ও ঐ ক্যামেরায় তোলা আরো ছবি পাঠাতে হবে। (মানে নতুন একটা কনসাল্টিং প্রজেক্ট শুরু করতে হবে)। যেহেতু বিতর্কও শেষ, আর বাড়তি কোনো সার্টিফিকেটের দরকারও নেই, আমি আর আগ্রহ দেখালামনা।”
তাহলে ওয়াসফিয়া কোন রিসার্চ এর জোরে বললেন যে মুসার ছবি বিশ্বাসযোগ্য নয়?
এদিকে মুহিত ওই অনুষ্ঠানে মুহিত আর নিশাত বলেছেন, মুসা উঠে নাই কারণ, মুসা সামিট করার যে বিবরণ দিয়েছেন, তা অসম্পূর্ণ। বিশেষ করে এম এ মুহিত বারবার রেফারেন্স টানলেন প্রথম আলোয় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লেখাটার কথা।
আসলে মুহিত প্রথম আলোর রেফারেন্স টানলেন কারন এই রেফারেন্স তার পক্ষে যায়। অথবা তিনি জানেনই না যে এভারেস্ট অভিযান নিয়ে মুসার বেশ মোটাসোটা একটা বই প্রকাশিত হয়েছে। সেটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। এই বইয়ে মুসা বেসক্যাম্পসহ সকল কিছুই দিন তারিখ অনুযায়ী অনুভূতি, ভাবনা ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।
এই বই পড়লে আরও জানতে পারবেন, মুসা আসলে চেয়েছিল বাংলাদেশ থেকে মুহিত আর মুসা একসাথেই একই টিমে এভারেস্ট অভিযানে যাক। কিন্তু মুহিত চায়নি। তার তীব্র বিরোধীতার কারনে ইনাম আল হককেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এই ঘটনার আমি সাক্ষী। আমি একটা মিটিং সম্বন্বয় করেছিলাম। ফোন দিয়েছিলাম ইনাম আল হককে। একটা মিটিং সেট করেছিলাম দুজনের একসাথে এভারেস্ট অভিযানে যাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনার জন্য। ইনাম আল হক, মুসা, আনিসুল হক, গ্রে এর কর্মকর্তা সাইফুল আজিম ও আমি উপস্থিত ছিলাম সে সভায়। সেখানে ইনাম আল হক ’রাজি‘ হলেন দুজনকে এক সাথে পাঠাতে। মুসা তখনই ফোন দিলেন মুহিতকে, কিন্তু মুহিত এক সাথে যাওয়াটাকে ভালোভাবে নিলেন না। রাতে এসেমেস পাঠালেন ইনাম আল হক কয়েকটা কারন দেখিয়ে, না তিনি চান না মুসা আর মুহিত একসাথে অভিযানে যাক (মুসার বই ‘পাহাড় চূড়ার হাতছানি’ বইয়ের ৩০৭--৩০৯ নাম্বার পৃষ্ঠায় পাবেন এই ঘটনা)।
৭১ এর ওই অনুষ্ঠানে যেসব আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় (তখন নাম এসেছিল এএফপি, বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, সিনহুয়া, ইয়াহু নিউজ, এমএসএন নিউজ ও আরও ব্রিটিশ, অস্টেলিয়ান, ইউরোপিয়ান পত্রিকা) মুসার নাম এভারেস্ট-জয়ী হিসেবে এসেছে, সেগুলো একটাও বিশ্বাসযোগ্য না বলে দাবি করেছেন আলোচকরা। বিশেষ করে ওয়াজফিয়া তো চীনের সিনহুয়া এজেন্সিকে ফালতু বলে উড়িয়েই দিলেন। ওয়াসফিয়া, তাইলে আপনি ’নেপাল পর্বত’ আর আপনার জয়ের খবর যেসব আন্তর্জাতিক মাধ্যমে এসেছে (নামগুলো একটু আপনার কাছে জানতে চাই) সেগুলোকে ছাড়া সবই ভূয়া বলে দাবি করছেন? এই আপনার অন্যের প্রতি, আরেকজন মাউন্টেনিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ? এই আপনার টেকনিক্যাল আলোচনা?
যাই হোক অতি বড় লেখা হয়ে যাচ্ছে। সেই ২০১০ সালে যখন মনে করেছিলাম মূসা বিতর্ক বুঝি শেষ হলো তখন বুঝি নাই এটা নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হবে। একদল মাউন্টেনিয়ার জোট বেধে আবার মূসার পেছনে লাগবে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির এক রিপোর্টারের ফুটেজ চুরি করে একাত্তর টিভি দাবি করবে এটা তাদের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্ট। (হাহাহা ভাই, ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর লোগোটা ফুটেজে মুছে নিলেই পারতেন)।
তবে মনে হচ্ছে আগের সেই বিতর্ক এর কারনে মুসা পুরোটাই এগিয়ে আছে। সেই বিতর্কর কারনে মুসার সকল ছবি, সাটিফিকেট, আন্তর্জাতিক রিকমেন্ডেশন সবই এখন প্রমানিত। আদালতে মুসার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রচারের অভিযোগে মানহানির মামলাও চলছে।
কিন্তু বাকি এভারেস্টজয়ীদের প্রমানগুলো কিন্তু মুসার প্রমানের মতো ‘অগ্নি পরীক্ষা’ পার হয়ে আসেনি এখনো। কেউ আলোচনা করেনি মুহিত, নিশাত বা ওয়াসফিয়ার ছবি ঠিক আছে কিনা, তাদের ছবিতে কেন নীচের পাহাড় দেখা যাচ্ছে, বৌদ্ধমূরতি কই ছবিতে, মুহিতের মুখ ফটোশপে বসানো না তো, তাদের সাটিফিকেট জাল না এটা প্রমান করেন, তাদের শেরপা যে ভুয়া না কেমনে বুঝবো ভাই, আন্তর্জাতিক বন্ধুরা কেন কোন রিকমেন্ডেশন দিচ্ছেন না, কেন তাদের বক্তব্য দেরিতে আসছে ইত্যাদি। এখনই বা এক বছর পরে বা দুই বছর পরে বা ১০ বা ১০০ বছর পরে তাদের এভারেস্টজয় নিয়ে কেউ ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ ছূড়ে দেবে না এ কথা কেউ বলতে পারে না! সেই চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে আইসবুট আর ক্র্যাম্পন নিয়ে প্রস্তুত আছেন তো বাকি তিনজন? থাকলে দেখিয়ে দিন এখনই।
কারন এটা আমার বাংলাদেশ। এখানে এভাবেই এগিয়ে যাওয়া ব্যক্তির যাত্রা রুখতে নিজের নাক কাটি আমরা। নাক কাটা চলছে, চলবে।
Himalayan Database Expedition Archives of Elizabeth Hawley
http://www.himalayandatabase.com
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৯
চারাল বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২০
পটল বলেছেন: রাখাল বালক আসলেই এভারেস্ট সামিট করেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখা ডবল এসেছে ... এডিট করুন।