নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Michael Rema

Michael Rema › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মের পর নবজাতকের যত্নে কয়েকটি পরামর্শ

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

বাচ্চার জন্মের পর থেকে পুরো ২৮ দিনকে ধরা হয় নবজাতক সময়। এই কয়েকটা দিন মা এবং নবজাতকের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। ভালবাসার পাশপাশি, বাচ্চার যত্নের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী। এই সময় বাচ্চার নরম এবং কোমল ত্বকে ছড়াতে পারে নানারকম রোগ জীবাণু। তাই, নবজাতকের যত্নে কয়েকটি পরামর্শ নিয়ে আজকের লেখাটি।

জন্মের পরপরই নবজাতকের শরীর ভালমত মুছে নরম কাপড়ে মুড়িয়ে রাখতে হয়। এরপর প্রথমে কাঁধ, বুক, গলা এবং পেট মুছে নিয়ে পরবর্তীতে পিঠ, কোমর এবং শরীরের বাকি অংশগুলো মুছতে হয়। একবার মুছলেই হবেনা। একবার মুছার পর আবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মাথা থেকে পুরো শরীর মুছে নিতে হবে।


মনে রাখবেন, জন্মের পর এমিওনিটিক ফ্লুয়িড নামে একটা পাতলা আবরণ থাকে, যেটি বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ করে। তাই, বাচ্চার শরীর মুছার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে করে সেটি ঘষামাজা করে নষ্ট না করে ফেলেন। তাই, খুব যত্ন সহকারে বাচ্চার শরীর মুছুন। তবে, বাচ্চার কিছু সেনসিটিভ অংশ আছে, যেগুলো অনেক বেশি যত্ন নিয়ে মুছতে হবে। যেমন, চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, দু’পায়ের ফাক, এবং নাভি। তাই, যিনি বাচ্চার শরীর মুছে নিচ্ছেন, আগেই জেনে রাখবেন যে, তিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ কিনা। তা না হলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।

নবজাতককে স্পর্শ করার আগে নিজের হাত ভালমত ধুয়ে নিন। কারণ, আপনার হাতে জীবাণু থাকতে পারে, যা বাচ্চার শরীরে সংক্রমণ করতে পারে। হাত ধুয়ার জন্যে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।

এরপর খেয়াল রাখবেন বাচ্চার নাভি যেন সবসময় শুষ্ক থাকে। কারণ, বাচ্চাকে পানি, তেল ইত্যাদি থেকে দূরে রাখুন। নাভি সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যেই শুকিয়ে গিয়ে আপনাআপনি ঝড়ে যায়। তারপরেও, এই দুই সপ্তাহ খুব যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

নবজাতকের চোখ পরিষ্কার করার সময় হাত দিয়ে পরিষ্কার করতে যাবেন না। নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে এরপর মুছা শুরু করবেন। খেয়াল রাখবেন, বাচ্চার চোখ দিয়ে পানি যাতে ঢুকতে না পারে।

বাচ্চার নিজেই নিজের নখ দিয়ে নিজের ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সতর্ক থাকুন, যাতে করে বাচ্চার নখ বাড়তে না পারে। অনেকেই ভয়ে বাচ্চার নখ কাটতে সাহস করেন না। কোন ব্যপার না। বাচ্চার যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন ধীরে ধীরে খুব যত্ন সহকারে বাচ্চার নখ কাটতে পারেন।

অনেকেই না জেনে বাচ্চার কান কটনবার দিয়ে মুছতে শুরু করি। এটা ভালনা। কটনবার দিয়ে মুছলে বাচ্চার কানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, হালকা নরম কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে এরপর আসতে আসতে পরিষ্কার করুণ।

বাচ্চার ডায়াপার পাল্টানোর সময় খেয়াল রাখবেন যাতে করে বাচ্চার ত্বক সুরক্ষিত থাকে। কারণ, এই সময় বাচ্চার ত্বক খুবই সংবেদনশীল হয়ে থাকে। তাই, যে ডায়াপার পরাবেন, খেয়াল করবেন যে সেটি অধিক শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন কিনা। অবশ্যই সেটা জেনে বাচ্চাকে ডায়াপার পরানো শুরু করবেন। কারণ, সব ডায়াপার অধিক শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন না।

পরিশেষে, দিন যত যাবে, সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। তবে, একটা জিনিস আপনাকে মানতেই হবে যে, বাচ্চার যত্ন সবার আগে। নবজাতকের যত্ন নিন, আর বাচ্চাকে রোগমুক্ত রাখুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

Michael Rema বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: জেনে রাখলাম।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

Michael Rema বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ রাজীব নুর। এরকম আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুনঃ http://bit.ly/caretipsblog এই লিঙ্কে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.