![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি বাচ্চা জন্মানোর পর থেকে তাকে ঘিরেই থাকে সবার মনোযোগ। আর এই বাচ্চার যত্নের জন্য মা-বাবা দুজনই ছোটাছুটি করেন আপনজন এবং ডাক্তারের কাছে। তবে, বাচ্চার শারীরিক পরিচর্যায় অনেকেই উৎকণ্ঠায় ভোগেন। ভেবে কুল কিনারা করে উঠতে পারেন না, বাচ্চার জন্যে কোনটা ঠিক, বা কোনটা বেঠিক। তাই, নবজাতকের দৈনন্দিন পরিচর্যা সম্পর্কে প্রত্যেক মা বাবাকেই জেনে রাখা আবশ্যক। তাহলে, চলুন জেনে নিই, বাচ্চার দৈনন্দিন পরিচর্যায় কি কি করা আবশ্যক।
প্রথমেই জেনে নিন, মায়ের দুধ খাওয়ানো সম্পর্কে। বাচ্চার জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস বাচ্চার জন্যে মায়ের বুকের দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় বাচ্চাকে আর অন্য কিছু খাওয়ানো উচিৎ নয়। তবে, বাচ্চা কান্না করলেই যখন তখন খাওাবেন না। অনেক মায়েদের দেখা যায়, যারা, বাচ্চা কান্না করলেই দুধ খাওয়ানো শুরু করে দেই। কিন্তু সারাদিন কমপক্ষে ৮-১০ বার দুধ খাওয়ানো উচিৎ এবং প্রতি ১ থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর।
খেয়াল রাখবেন, বাচ্চা পরিমাণ মত দুধ পাচ্ছে কিনা। বাচ্চা যদি পরিমাণমতো দুধ পায়, তাহলে তাহলে বাচ্চা ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ বার পস্রাব করবে। তবে, জন্মের পর কয়েকদিন এরকম হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। জন্মের প্রথম ৩ থেকে চার দিন ৬ বারের কম প্রস্রাব করবে। এর কারণ হচ্ছে, প্রথম অবস্থায় মায়ের ঠিকমতো দুধ হয়না।
নবজাতক শিশু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ঘুমাবে। সুতরং, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। তবে আপনার কাছে যদি কিছু অস্বাভাবিক মনে হয়, শিশু দাক্তারের পরামর্শ নিন।
বাচ্চাকে সুতির কাপড় পড়াবেন। এটি বাচ্চার জন্যে খুবই স্বস্তিদায়ক। আর প্রথম দুই তিন মাস ডায়াপার ব্যবহার না করলেও চলবে। তবে, এরপর থেকে বাচ্চার জন্যে ডায়াপার ব্যবহার করতে পারেন। যেটা আপনাকে বাচ্চার প্রস্রাব পায়খানা করা কাপড় ধোওয়া থেকে মুক্ত করবে।
গরম কালে বাচ্চাকে প্রতিদিন গোসল করানো উচিৎ। তবে, শীতকালে ১ থেকে ২ দিন পরপর গোসল করাতে পারেন। তবে, অবশ্যই সবকিছু নির্ভর করবে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া যদি গরম থাকে, তাহলে প্রতিদিন গোসল করানো উচিৎ। এরকম আরও তথ্য জানতে পারবেন এই লিঙ্কে গিয়ে।
জন্মের পরপরই শিশু ডাক্তারের পরামর্শে নিয়ে বাচ্চাকে বিসিজি টিকা দিয়ে রাখতে হয়। বাচ্চাকে টিকা না দিয়ে রাখা উচিৎ হবেনা। যদি কোন কারনে বিলম্ব হয়, তারপরেও যাতে করে দেড় মাস বয়সের মধ্যে বাচ্চাকে বিসিজি টিকা দেওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
সুস্থ এবং স্বাভাবিক শিশুকে রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন নয়। তবে, আপরিপক্ক শিশুকে খাওয়ানো দরকার হতে পারে। তবে, বাচ্চার ঘুম ভেঙে যদি কান্নাকাটি করে, তবে খাওয়াতে পারেন। তবে, খেয়াল রাখবেন, বাচ্চাকে কখনই শোওয়া অবস্থায় দুধ খাওয়াবেন না। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তারপর দুধ খাওয়াবেন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪
Michael Rema বলেছেন: রাজীব নুর আপনি ঠিক কথা বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: নবজাতকের অনেক যত্ন নিতে হয়।