![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সারাটা দিন খুব ব্যস্ত গেলো।সকাল থেকে ক্লাস।দুপুরে এসেই একটু খেয়ে না খেয়েই দৌড় দিতে হয় টিউশনির জন্য। সন্ধ্যার অনেক পর বাসায় ঢোকার সময় হয়। ততক্ষনে বন্ধু দের আড্ডাটা ভেঙ্গে যায়।বাসায় ফিরে যায় সবাই।রাত নামে একসময়। বাসায় এসে কিছু খেয়ে নিয়ে বইএর দিকে চোখ দিতে ইচ্ছে করে না আর। যদিও কাল নাকি কি এক্সাম আছে। কাহাতাক আর এই এক্সাম এর চিন্তা সহ্য যায় !! নাহ আজ পড়াশুনা করবে না তুর্য্য।আজ বিশেষ একটা রাত। আজকের রাতে পড়াশুনার মত তুচ্ছ বিষয়কে অগ্রাহ্য করতে হয়।
প্রায় রাত সোয়া ১টা।হাতের মোবাইলের ডিসপ্লের আলোয় মুখের
একাংশ আলো হয়ে আছে।ছাদে বসে বার বার বাটন টিপে আলো টা জ্বেলে দেখছে তুর্য্য। নাহ, অনেক্ষন হয়ে গেলো।আসবে না।
কারো টেক্সট আসবে না।আগেও আসেনি। না এসেছিলো।অনেক দিন আগে। নিয়মিত আসত।এখন আসে না।তবু অপেক্ষা করে তুর্য্য। তখন সবে মাত্র কলেজের স্টুডেন্ট তুর্য্য। সোহার সাথে প্রেম তখন থেকেই। সোহার খুব বই পড়ার নেশা ছিলো।তুর্য্য তাকে যে কত বই কিনে দিয়েছে... হিমুর বই ছিলো সোহার সবচেয়ে প্রিয়।
তাইতো তুর্য্য সোহাকে আদর করে হিমি বলে ডাকত।হিমুর বই থেকেই হোক বা রোমান্টিকতার ভরপুর জোয়ার থেকেই হোক, সোহা জ্যোৎস্না খুব ভালো বাসত।তুর্য্যের এসব বিষয়ে দুর্বলতা একদমই ছিলো না।প্রতি বার জ্যোৎস্না রাতে সোহা ঘুমাতে দিতো না,।সারা রাত জেগে জ্যোৎস্না দেখত আর কথা বলত।তুর্য্য শুধুই কথা বলত,জোস্না দেখার বা উপভোগ করার মত ইচ্ছাও কখনো হয় নি। একসময় কথা বলতে বলতে জ্যোৎস্না দেখে অবাক হয়ে যায় তুর্য্য। সারা আকাশ কালোয় ভরা। শুধু চাদটা জেগে আছে , তার সব আলো নিয়ে আলোকিত করেছে সেই কালোকে।সে কালোর ভীরে আবার মিটিমিটি তারা রা মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলে। সেই
থেকে তুর্য্যরও জোস্না ভালোলাগা।সোহা বলত জ্যোৎস্না ভালো না লাগলে মানুষের মাঝে ভালোবাসার পুর্নতা আসে না। আর জ্যোৎস্না এমন একটা বিষয় যার জন্য সব কিছু ত্যাগ করা যায়। ঘুম,স্বপ্ন,গান...
সোহার কিছু অদ্ভুত নিয়ন কানুন ছিলো জ্যোৎস্না দেখার।সাদা কাপর ছাড়া জ্যোৎস্না দেখার নাকি নিয়ম নেই।তখন গানও শোনা যাবে না। কারো সাথে কথাও বলা যাবে না তুর্য্য ছাড়া...এক মনে দেখতে হবে। তুর্য্য সাদা পাঞ্জাবিটার দিকে তাকায়। মাড় দিয়ে ইস্ত্রি করে রাখা হয় পাঞ্জাবিটা।শুধু জ্যোৎস্না দেখার সময় পরার জন্য। আজ অনেক কাল চলে গেছে সোহা আর ঘুম থেকে ডেকে তোলে না।সন্ধায় টেক্সট করে বলে না জ্যোৎস্না দেখার কথা।ফোনের ওপাশ থেকে ওই দেখ একটা তারা খসে গেলো বলে হঠাত চিতকার দিয়ে ওঠে না...কি ভাবছে তুর্য্য এসব !! তুর্য্য আবার মন দিতে চায় জ্যোৎস্না দেখায়। জ্যোৎস্না রাতে স্মৃতির মত তুচ্ছ বিষয় কে অগ্রাহ্য করতে হয়... কিন্তু প্রকৃতি মানুষকে এতটা ক্ষমতা দেয়নি যে সে তার অতীত কে ভুলে যায়। তবুও তুর্য্য তাকিয়ে থাকে।জোস্না দেখে।সারা রাত ......
©somewhere in net ltd.