![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ছেলে আর আর একটা মেয়ে,গুণমুগ্ধ একে অন্যের প্রতি,কিন্তু পুরোপুরি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের।
মেয়েটি অনেক শান্ত,বোকা বোকা,কিন্তু ছাত্রী হিসাবে অনেক মেধাবী।
ছেলেটিও মেধাবী,কিন্তু পড়াশুনারচে অন্য বিষয়ে তার মেধা-বেশি কাজ করে। চঞ্চল,উচ্ছল,উড়ন্ত দুরন্ত। কিন্তু নিজের প্রতি তো আর মুগ্ধ হওয়া যায় না,তাই
তাদের এই বিপরীতার্থক চরিত্র তাদের একে অন্যের প্রতি প্রবলভাবে আকর্ষণ করে।
একে অন্যকে অনেক respect করে ওরা,বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য খুঁজে পায় একে অন্যের মধ্যে। এটা পরবর্তীতে ভালোবাসায় রূপ নেয়,বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না একে অন্যকে ছাড়া,কিন্তু অবস্থাটা এমন ছিল যে কোন একটা কারণে তাদের প্রণয়,পরিণয় কিছুই সম্ভব ছিল না। ফলে মনে কষ্টকে পুষে রেখে পুঁজি করতে থাকে তারা।
জানতো যে তাদের একই সূত্রে গাঁথা সম্ভব নয়, তারপরও তারা মনের সর্বোচ্চ,সর্বস্ব দিয়ে একে অন্যকে অনুভব করতে থাকে।
অনেকদিন যায়,একটা পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে দেখা,যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়,ভাবে যে out of sight, out of mind theory টা কাজ করবে,কিন্তু তা না করে ওটা ব্যাকফায়ার করে।
অনেকদিন পরে যখন তাদের দেখা হয় একদিন,সেদিন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না তারা,দুজন দুজনের হাত ধরে কাঁদতে শুরু করে অসহায়ের মত,পরম মমতায় একে অন্যকে আলিঙ্গন করে শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে,একে অন্যের ঠোঁটে ভালোবাসার অপ্রাপ্তি মোচন করতে থাকে,পরে তারা চলে যায় দুজন
দুজনার পথে।
দুজনেই প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যাক্তিগত জীবনে এরপরে,কিন্তু সব পেয়েও কিছু একটা না পাওয়ার যাতনা তাদের আত্মাকে অতৃপ্ত করে রাখে সবসময়,এখনও দেখা হলে তারা একে অন্যকে আলিঙ্গন করে,একে অন্যের ঠোঁট স্পর্শ করে। হতে পারে এটা নৈতিক,হতে পারে অনৈতিক,কিন্তু ওটা নিয়ে তারা চিন্তা করে না। কারণ একে অন্যকে ভালোবাসে,এই চিন্তা থেকে বের হয়ে অন্যকিছু চিন্তা করার মত স্পেস তাদের খালি নেই, তারা জানে একে অন্যকে তারা পাবে না,কিন্তু সে কষ্টকে মেনে নিয়েই একে অন্যের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণকে পুঁজি করে পথ চলতে থাকে। হয়ত এই পথ একদিন শেষ হবে, হয়ত হবে না। হয়ত এই যাতনার শেষ আছে, হয়ত বা নেই। হয়ত এটি একটি সত্য ঘটনা, হয়ত নয় তবে নিজের একটি বানীই আরেকবার আওড়াব-
কোন অপ্রাপ্তির মোচন হয়না, কোন প্রশ্নের কোন উত্তর হয়না
কোন সম্পর্কের সঙ্গায়ন হয়না, কোন বন্ধন কখনও অস্বীকার তো করা যায় না।
কিন্তু এমনটা হয়নাই, অর্থাৎ বিষাদে এর কবর রচিত হয়নাই।
একদার ক্যাজুয়াল ছেলেটি জীবনে একটিবার সিরিয়াস হয়ে যায়,এতটাই যে সব বাঁধা,প্রাচীর,স্বপ্ন,পরিকল্পনাকে হার মানিয়ে সে মেয়েটির কাছে চলে আসে,স্থায়ীভাবে, হাতদুটো শক্ত করে ধরেছে,আর কখনই একে ফসকাতে দেবে না তারা।
মেয়েটি আজ কাঁদছে,অঝোর ধারায় বয়ে চলেছে তার অশ্রু,নোনাপানিতে ভিজে যাচ্ছে তার গাল,ঠোঁট
কিন্তু আজকের এ কান্নায় তার কোন কষ্ট নেই,আছে সর্বজয়ের সুখ,আজকের কান্না তার থামাতে ইচ্ছা করছে না,মনে করছে এ অশ্রুধারা বর্ষিত হোক হাজার বছর,অনন্ত বছর।
গল্পের শেষ টা এমন নাও হতে পারতো। আমার রিয়েল লাইফের মতো হতে পারতো।
কিন্তু কেন জানি তাদের আলাদা করার সাহস পেলাম না। মিলিয়ে দিলাম তাদের। যে সাহস আমার নেই তা ছেলেটিকে দিয়ে দিলাম। আমার শেষ টা হয়তো এরকম সুমধুর হবে না, কিন্তু আমি গল্পে তা করে দিলাম। চাই না আমি যেই কষ্ট পাচ্ছি তা গল্পের ছেলেটা সেটা পাক।
কেও একজন বলেছিলো আমার গল্পে দুই জন মানুষের নাকি কখনো মিল হয় না। তাই তার জন্যই আজ মিল করিয়ে দিলাম।
ডেডিকেটেড টু দ্যাট ভেরী ভেরী স্পেশাল পার্সোন। :-) <3
©somewhere in net ltd.