নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
বিভিন্ন সময়ে তোলা ক্যানন ক্যামেরার ছবি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের ।
শিশির ভেজা একটি প্রভাতে তুমি ছিলে পাশে
প্রজাপতি মন আমার উড়ে বেড়িয়েছিল পাতায় পাতায়
চোখের শাটারে মনোহারী ক্ষণ বন্দি করতে গিয়ে দেখি
প্রজাপতি বসে আছে মনের বাসন্তি ফুল শাখে
যেখানে বারোমাসই বিরাজ করে বসন্ত হইচই মুহুর্ত।
অত:পর তুমি চোখে তাকাতেই উড়ে যাই
বসি গিয়ে তোমার চোখে-তুমি উৎফুল্ল সহাস্য বদনে
কানে কানে বলে যাও ভালবাসি ভালবাসি।
আচ্ছা বলতো-ভালবাসার রঙ কি?
সে কি সবুজ? নাকি বাসন্তি? অথবা সোনাঝরা হলুদ?
মনের রঙ কি বলতো?
২।
সূর্য পশ্চিমে নিম্নমুখী-আকাশ জুড়ে রঙের খেলা
আকাশটা নীল-সাদা-গোধূলীর রক্ত রঙ মেলা।
তখনো কৃষক ভাইয়েরা রোয়ে যায় আপনমনে শস্য
কয়দিন বাদেই তুমি বুঝতে পারবে প্রকৃতির রূপ রহস্য!
সবুজ হবে আরো সবুজ-ভরে যাবে ক্ষেত-ধানগাছের পাতায়
মৃদু হাওয়ার তালে পাতার নাচন-আহা কি অপরূপ দৃশ্য
তুমি কবি হয়ে যাবে-লিখে যাবে ছন্দ ছড়া কবিতার খাতায়।
৩।
দূর্বাঘাসের নরম পাটি-কই আর পাবো-বলো পাবো কই
যেথায় আছে লাউয়ের মাঁচা-লতায় ঝুলানো সে পুঁই
নারিকেলের চিরল পাতায়-ঐ দেখো না-হাওয়ার লুকোচুরি
রোদ উঠোনে শীতল ছায়া-আহা আছে কি তার জুড়ি?
বাড়ির সামনে সান বাঁধানো-স্বচ্ছ জলের পুকুর
পা ডুবিয়ে যায় কেটে যায়-শত উদাস দুপুর!
আম শাখাতে গরুর রশি-দুদ্যোল দুলনা দুলে
দোলনায় বসে কত প্রহর-সুখেতে যায়-দিন দুনিয়া ভুলে।
৪।
শিশিরের দল চুপি চুপি নিশিতে হেঁটে যায়
ঘাস পাতার উপর পা ফেলে
নিবিড় আলিঙ্গনে-ভালবেসে ঝাপটে ধরে হীম ছোঁয়ায়
ঘাস লতা পাতা-শীতে কুঁকড়ে ওরা হয়ে যায় এলেবেলে।
প্রকৃতির ছাতা মাথায় পিঁপড়েগুলো
গর্তের মুখে দেয় উঁকি
দিবাকরের এক চিলতে আলোর আশায় ওরা অপেক্ষায়
সহসা বেরিয়ে নেয় না আর জীবনের ঝুঁকি।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি রোজ প্রভাতের বুকে পা মাড়িয়ে হেঁটে
ছুঁয়ে দেই ওদের আলতো-স্নিগ্ধ প্রহরগুলো খিলখিল হেসে উঠে
শিশির ভেজা মাটি, হীম আবেশে ধূলো বুকে জড়িয়ে শুয়ে
মিঠে রোদ্দুরের তাপে মাটি যায় না আর ফেটে।
৫।
ঠান্ডা শীত প্রভাতে পান্তা ভাতে লংকা মরিচ তুলে দেবো,
টক করে খেতে চাইলে দিবো এক ফালি নিম্বু
বাঁকা চাঁদ হাসি নিম্বুর রসে-মুখ তোমার অন্যরকম
এই দেখো আমার চোখের আয়নায়
আহা কেমন অদ্ভুত বাচ্চা ছোঁয়া মুখ তোমার;
তাকিয়েই ভালবেসে ফেলবো-বলে দিবো ভালবাসি।
৬।
এই যে আমার দেশ-এই যে আমার সবুজ-এইতো এখানে সুখ ছড়ানো
এখান'টাতে মায়ের আঁচল, শান্তির ছায়া মমতার অদ্ভুত সুর জড়ানো।
যেথায় আছে আকাশ ছুঁয়ে সবুজ প্রান্তর-যেথায় সোনায় মাখা সকাল রোদ্দুর
দুপুর রোদ্দুর বিকেল হাওয়া, আছে মন মাতানো মিষ্টি আবেশ
এখান'টাতে হেঁটে যেতে যেতে মন চায় যাই দূর বহুদূর।
সিক্ত ঘাসের পথ পা মাড়িয়ে, কাদাজলে মাখামাখি পায়ে
শহুরে জীবন ছাড়িয়ে, ইচ্ছে যাই ছুটে আমার সে সবুজ গায়ে।
কচি ধানের সবুজ আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে দেখো ঐ কৃষকের দল
জলের আয়নায় দেখি আকাশ'টা নুয়ে পড়েছে, আহা সেকি ছল!
নীল আকাশ'টা হয় বিবর্ণ কভু, কভু যায় নীলে ঢেকে
কভু এক দঙ্গল শুভ্র মেঘ মৌনতার চাদর দেয় আকাশের বুকে এঁকে।
৭।
তুমি মাঝি হও ছোট ডিঙার! কি হবে? চলো ডিঙা ভাসাই অথৈ জলে
আমি তোমার জলকাব্য হবো! কি লিখবে ছন্দ আমায় নিয়ে-মন নেবো আজ ছলে
ভেবেছিলে চুপটি বসে থাকবে একাকি! একটু চোখ ফিরাও মন রাজ্যের সুলতান
তুমি হবে আমার গোধূলিয়ার রঙ বাহারী কুহু সুরের মুলতান?
ফিরে তাকাও না-গভীর ভাবনার বেড়াজালে তুমি বন্দি
নাকি আমাকে পরাজিত করবে বলে-মনে আঁটছো কোনো ফন্দি?
কোন সে ধেয়ানে কাটিয়ে দিলে অযস্র প্রহর, মনের মাঝে কি আঁকো সারাক্ষণ
দিবানিশি তুমি-কাঁপিয়ে মনভূমি, যাচ্ছো করে আমায় উপেক্ষণ!
ধেয়ান তোমার ভেঙ্গে যাক-স্বচ্ছ জলের জলোছলোচ্ছলে-ধড়পড়িয়ে উঠুক বুক
ধুয়ে যাক নদীর জলের হাওয়ায় তোমার একলা থাকার অসুখ।
৮।
এমন একটি প্রহর কাটিয়েছিলিস তুই আমার সাথে
পাশে বসে চুপিচুপি ধরেছিলিস হাতে!
এই-রে পাখি শুন্ না! মনে কি তোর পড়ে?
কাক গুনেছিলিস তুই আমার সাথে বাজি ধরে!
রোদ্দুর ছিলো ঝলমলানি-ছায়া ছিল মাথার উপুর
একটি প্রহর ছিলিস পাশে-খাঁখাঁ রোদ্দুর উদাস দুপুর!
ঘাসের ভিতর শুকনো মাটি-তবু যেনো নরম পাটি
গল্প করছিলিস ধীর সে পায়ে একটু দোলে হাঁটি হাঁটি।
মনে কি তোর পড়ে পাখি-সময়কে দিয়ে একটু ফাঁকি
বলেছিলিস ভালবাসি ভালবাসি-হাতের উপর হাতটা রাখি?
৯।
#একবার_তো_প্রকৃতি_ভালবাসো!
আমায় তুমি পাগল বলো, অবুঝ বলো-মেনে নেই অবলীলায়
তুমিই বলো প্রকৃতির মনোলোভা রূপ দেখে পারি কি ঠিক থাকতে?
বুঝতে তুমিও! যদি সবুজের মাঝখানে হৃদয় তোমার রাখতে
দেখো- প্রকৃতি তার কত রূপ বিনা লাভে বিলায়!
আবার বলো- কি লাভ এসব দেখে? কি হয় এতে, এসব ন্যাকামী
ধ্যত বাবা-দু'চোখ তোমার বড় কঠোর-কেবল বাস্তবতা থাকো ঘিরে
চলতি পথে চোখ ঘুরিয়ে সবুজের স্নিগ্ধতা দেখো না একবার ফিরে
তুমি তোমাকে নিয়েই হতে থাকো সম্মুখে অগ্রগামী।
১০।
মুগ্ধ হতে না চাইলে কি-মুগ্ধ হওয়া যায় না
মুগ্ধ হতে কেনো বাপু-মন'টা তোমার চায় না
এই দেখো-না গোলাপী রঙ-গোলাপ কত সুন্দর
নাও মেখে নাও ঘ্রাণ স্নিগ্ধতা-তোমার ভিতর অন্দর।
এসো বসি গোলাপ বাগে-পাপড়ি ঝরুক মাথায়
পড়ছে ঝরে স্নিগ্ধতা ঐ-সবুজ পাতায় পাতায়।
সুর উঠেছে মনে বন্ধু-ঘ্রাণে মাতাল ক্ষণে
ভালবাসায় বাঁধবে বাসা-তুমি আমার সনে?
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অবশ্যই দেবো। একদিন চলে আসবেন মতিঝিল
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা
অসাধারণ সুন্দর ছবি !!
ভালো লাগবে মানে আপনি কি বলেন .... এই প্রকৃতি আমাদের সুখ দুঃখ আবেগ ও স্মৃতির জায়গা। কত কিছুই তো সাক্ষী রয়ে গেছে এ বিশাল প্রকৃতির মাঝে +++
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই আপা। আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণামূলক এবং খুবই ভালো লাগে। আন্তরিকতা লেগে থাকে সবসময়।
ভালো থাকুন আপি। অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা রইল
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু,
ব্লগে আপনার পোস্ট গুলো একটু ব্যতিক্রমধর্মী। কাব্য কথাতেও ছবিতে একেবারে মনমুগ্ধকর++++
শুভকামনা জানবেন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাইয়া। উত্তর দেরীতে দেয়ার জন্য সরি
ভালো থাকুন অনেক অনেক
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রকৃতিকে দেখার চোখ সবার থাকে না। আপনার চমৎকার ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়.....আপনার আছে।
এসব ছবি হাজারবার দেখেছি.....কিন্তু এভাবে দেখি নাই কখনও।
৯নং ছবিটা ভারতের কোথায়?
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নয় নম্বর ছবিট ........ মোম্বে হতে পোনে যাওয়ার পথে ।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ দুদ্দান্ত ছবি ও কবিতা ব্লগ আপু
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ পিচ্চি
ভালো থাকো সব সময়
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: টানেলের মুখের ছবিটা আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটা মোম্বে হতে পোনে যেতে -এরকম টানেল
ভিতর দিয়ে দিয়ে কেমন জানি অন্যরকম ভা্লো লাগে
ধন্যবাদ ভাইয়া
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৬
আরোগ্য বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ১,৪,৯,১০ দেখে একেবারে মুগ্ধ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
শুভেচ্ছা সতত
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মুগ্ধ !
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ টারজান ভালো থাকুন
১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অনেক অনেক অনেক বেশী সুন্দর
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ছবি আপুর ব্লগের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে+
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবীর ভাইয়া। অনেকদিন পর দেখলাম তোমাকে। সিলেট তো বেড়াইয়া আসলা দেখলাম
কই ছবি ব্লগ কই? হুহ
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
পুলক ঢালী বলেছেন: দারুন সুন্দর সব দৃশ্য সাথে ক্যামেরার কাজের দক্ষতা। খুব সুন্দর হয়েছে ছবি ও কাব্যিক বর্ননার সমন্বয় যদি বলতেন কোন সফটঅয়ার বা পদ্ধতিতে এত বড় বড় ছবি অবিকৃত রেখে সামুতে পোষ্ট দেন তাহলে খুব খুশী হতাম! ।
ভাল থাকুন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনেক অনুপ্রাণিত হই। ধন্যবাদ ঢালী দা । ভালো থাকুন।
আসলে এখন তো ছবি পোস্ট বন্ধ.... কিছু বলতে গেলে কাভা ভাই ধরবো আইসা হাহাহাহাহা।
এ নিয়ে একটা পোস্টও আছে আমার। প্রথমে আপলোড করি ইমগোরে । তারপর এখানে লিংক দিয়ে কাজ সাড়ি।
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ছBগুলো চমৎকার লাগলO
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান
ভালো থাকুন সব সময়
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আমাকে একটা ছবি তুলে দিবেন?
যেভাবে বলবেন সেভাবে দাঁড়াবো