নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
কাপড়ের পুতুল কালো সুতোর চুল। রঙবেরঙের শাড়িতে সাজিয়ে গুছিয়ে পুতুল কন্যা শুইয়ে রাখতাম কাগজের বাক্সে। কাপড়ের কিংবা মাটির পুতুলেই আমাদের আনন্দ ছিল। আমরা তাই নিয়ে সুখি ছিলাম,উচ্ছ্বল ছিলাম। পুতুলের কাঁথা বালিশ সুতো তুলো দিয়ে সেলাই করা প্রহর আর এখানে নেই। আমাদের বিকেল কেটে যেতো খেলনা রান্নাবাটি খেলে কিংবা পুতুল বিয়ে বিয়ে খেলায়। লাল ইট বাটা মশলা আর বালির ভাতের প্রহরগুলো নাগালের বাইরে এখন,অতীত ঘাটলে রোমাঞ্চিত হই আর ভাবি তোমাদের প্লাস্টিকের পুতুল,টেডি বিয়ারের যুগে তোমরা ঘরে বন্দি থেকেই সুখ কুঁড়াচ্ছ। তোমরা ন্যাকা ভাব ধরে টেডি জড়িয়ে শোও,তোমাদের সাক্ষাৎকার নিলে তোমরা টেডি কোলে বসিয়ে কথা বলো। তোমাদের যুগ বড্ড ন্যাকা যুগ।
মুঠোফোনের পর্দায় চোখ যেটুকু সময় পাচ্ছো,কিংবা টিভির পর্দায়। তোমরা শুদ্ধ হাওয়ায় উড়তে জানো না,শিখো নি কিভাবে উচ্ছ্বাস কুঁড়াতে হয়। হাতে গোনা কয়েক বন্ধু নিয়ে গড়ে নিয়েছো তোমাদের পৃথিবী। আমাদের মন ছিল দোয়েল পাখি। চঞ্চলতার অপর নাম খঞ্জন পাখি ছিল আমাদের যুগ। আমরা প্রেম শিখিনি যে বয়সে সে বয়সে তোমরা আই লাভ ইউ আই লাভ ইউ মুখে ফেনা তুলে ফেলো। তোমাদের মুখে অশ্লীল কথাগুলো হড়বড় করিয়ে বেরিয়ে পড়ে,তোমাদের লজ্জাহীন পৃথিবীতে বড্ড লজ্জা পাই।
পথে হাঁটলেই কানে গরম শিশা গালানোর মত কিছু শব্দ উড়ে এসে কান ঝাঁঝাঁ জ্বালিয়ে দেয়। তোমাদের ভাষা শুনে আতংকে কেঁপে উঠি। তোমরা সিক্স সেভেন এইটে পড়া বাচ্চা, তোমাদের ঠোঁট হতে ঝরে পড়ে মুহুর্মুহু অশালীন ভাষা। তোমরা বলো জায়গা মতো ফেললে চার পাঁচ বাচ্চার বাপ হয়ে যেতে উহ্,কি বিভৎস তোমাদের যুগ। তোমাদের কচি ঠোঁটে নিকোটিনের ধোঁয়ার কুন্ডুলি। তোমাদের আদব কায়দা কিছুই নেই অবশিষ্ট। পথে হাত ধরে হাঁটো প্রেমিকার। তোমাদের ভয় নেই অথচ আমাদের মায়ের বকুনির ভয় ছিল,সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতে হতো। আমাদের কাপড়ের পুতুল যুগ ঢের ভাল ছিল।
সময়ের হাত ধরে পথে আগাই,ফুলেল সময় যায় চলে যায়,ফাঁকি সব ফাঁকি। রঙ বেরঙের প্রজাপতি রঙ চোখে,ঠোঁটে কানে গলায় আর দুটো হাতে ঝুলে থাকে,আহা সাজন পাতন, মনে বেড়ে যায় উচ্ছ্বাস,সুখে থাকার উচ্ছ্বাস। রঙধনু রঙ চুড়িগুলো রিনিঝিনি বেজে উঠলেই মনে কেমন সুখ সুর অনুরণন বেজে উঠে!
এই মেলা সেই মেলা,ফুটপাত কি পথের বাঁকে, সাজানো কাঁচের চুড়ির প্রহরগুলো যেনো মনাকাশে নাটাইয়ের সূতো ছেঁড়া ঘুড়ি, এটা দিন ওটা দিন লাল নীল সবুজ সব দিন সব দিন, হাতে পড়িয়ে দিন, এই যে বাড়ালাম দু'হাত-চুড়িওয়ালী পরম মমতায় চুড়ি পরাতে পরাতে বকবক করে বলতেই থাকে আহা এই রঙে মানায় গো বুজি আপনার হাতে এইগুলি নিন এগুলোও নিন, প্রয়োজন অপ্রয়োজনে কেনা হয়ে যায়,হয়ে যেতো শত সহস্র চুড়ি। জমে জমে পাহাড়!
চুড়ি চুড়ি চুড়ি ড্রেসিং টেবিলের কাঁচের আয়নার ফাঁকে উঁকি দিয়ে দেখলেই বুকে হাহাকার উড়ে। সেই হাত চুড়ি ভরা হাত সময়ের ফেরে পড়ে আজ শূন্য! সময় বড় ব্যস্ত করে ফেলেছে আমায়। কিছুই আর করা হয়ে উঠেনা, সাজগুজ খাওয়া বিশ্রাম সবই যেনো ছুটে যাচ্ছে আমায় ছেড়ে। হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি না উচ্ছ্বাস সময়, মুগ্ধতা হারায়, যায় হারিয়ে ফিরে দেখি আয়নায় আবছা আলোয় আমি ফুরিয়ে গেছি। আর ভাল্লাগে না। চুড়িগুলো আজ অবহেলায় পড়ে আছে কাঁচের বাক্সে কিংবা রঙ বাহারি ঝুড়িতে। স্মৃতি হবে ওরা, স্থান হবে একদিন ময়লার ঝুড়িতে। কষ্ট হয় বড়,বড় কষ্ট মনে আজ।
১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি খুবই আহত হই যখন দেখি সদ্য মুছ গজানো বাচ্চারা এক হাতে বিড়ি অন্য হাতে চা নিয়্র ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়।
কত মুরুব্বি সামনে দিয়ে যায়, একটুও নত বা সংকোচ বোধ করে না। এরা মেয়েদের হাত ধরে রাস্তায় হাঁটে, কী যে অবস্থা।
হ্যা এটা অশনিসংকেত আমাদের জন্য। এর থেকে উত্তরণের পথও জানা নেই।
২| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ইন্টারনেটের কু-প্রভাব.......
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম একদ ঠিক
ধন্যবাদ ভাইয়া
৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩
জুন বলেছেন: সেই যে আমার সোনা রঙের দিনগুলো কাজী ফাতেমা ছবি।
বর্তমান কিশোর- কিশোরীর সমাজকে নিয়ে ব্যবচ্ছেদ যথাযথ।
+
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
আল্লাহ আমাদের প্রজন্মদের হেফাজত করুন
ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল
৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
ল বলেছেন: আপনার মেয়েবেলার কথনে মুগ্ধ।
আর বর্তমানের বাস্তবতা হলো ইন্টারনেট, গেমিং, স্মার্টফোন এর কুফল।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান। নেটের কু-প্রভাব আমার ঘরেও পড়েছে। আল্লাহ আমাদের সকললে হেফাজত করুন
৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো মেয়েবেলার গল্প। এই সময়ের মেয়েদের নিয়ে আমিও এমনটা ভাবি।
" আমাদের যুগে আমরা যখন করেছি পুতুল খেলা,
তোমরা এখন সেই বয়সেই প্রেমলীলা কর মেলা।"
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের প্রজন্ম এদের কোনো গল্প নাই রূপকথা নাই রাক্ষস ক্ষোক্ষস নাই।
এরা কেবল ইন্টারনেটে গেমে আসক্ত হয়ে ঘরের কোণে থাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য
৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নতুন যা কিছু ঘটছে, ভালোর জন্য ঘটছে
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম
কিন্তু মন্দও ওঁৎ পেতে আছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় আপুনি,
পুতুল নাচের ইতিকথা বাস্তবে এখন রূপকথায় রূপান্তরিত হয়েছে। ডিজিটাইজেশন আমাদের সমস্ত জেনারেশনকে গ্রাস করে ফেলেছে। বাচ্চারা কার্টুন থেকে বড় হচ্ছে। একটু বড় হয়েই ভিডিও গেম খেলছে। ব্যাস! তাহলে শৈশব-কৈশোর থাকলে কোথায়। সুন্দর হারিয়ে যাওয়া দিনগুলির স্মৃতিচারণায় ভালো লাগা রেখে গেলাম।
শুভকামনা জানবেন।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার বাচ্চারা আগে কার্টুন দেখতো এখন ইউটিউব দেখে ... টিভিও দেখে না । দুইজন চাকুরীজীবি হওয়ায় বিপদটা আরও বেশী হয়ে গেলো। ....। এদের তো কোনো গল্পই নাই। আমাদের মত খেলাধূলাও নাই। আল্লাহ আমাদের প্রজন্মদের হেফাজত করুন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছোটবেলায় আমার বড় দুইবোন পুতুল খেলতো। আমি ছিলাম দুধভাত। বাসায় বেদেনীরা চুড়ি বিক্রি করতে আসতো। আম্মা দু'বোন আর নিজের জন্য কিনতেন। আমি আমার জন্যও কিনতে চাইতাম। আম্মা না দেয়াতে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাদতাম। পরে একটা চুড়ি আমাকে ধরিয়ে দিত বেদেনীরা। মনে করিয়ে দিলেন সেসব কথা!
আজ এসব কোমলমতিদের বদলে দিল কোন সে বাশিওয়ালা......যার বাশি সুর তোলে বিষের সুর???
আপনার জন্য একটা গান। পুরানো গান.......নতুন করে গাওয়া।view this link
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা আহারে ছেলেবেলা কত অবুঝ ছিলো। বেদেনী হতে রাখা কাঁচের চুড়িগুলো এখনো বাড়িতে স্টিলের আলনায় গুছানো আছে। আম্মা এগুলো ফেলে দেন না। স্মৃতি হিসাবে রেখে দিয়েছেন। এই কাচের চুড়ি পরতে গিয়ে কত হাত কেঁটেছি তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু তাও পরতাম শখের বশে। আর ফেরীওয়ালা আসতো কাঁচের বক্সের ভিতর রঙবাহারী সাজন পাতন। আনন্দের দিনগুলো শেষ। এখন ঘরে বসে অনলাইনে মার্কেট করি।
অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহ খাইরান। ভালো থাকুন শ্রদ্ধেয়
উফ খুব পছন্দের গান আমার। আমি তো এগুলাই শুনি এখনো
৯| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো গ্রহণ করা উচিত। প্রযুক্তি কে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে পারলেই আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারবো। পৃথিবী বদলাবে প্রযুক্তি ও বদলায়। এর সাথে তাল মিলিয়ে চলার নামই প্রগতি।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তাল মিলানো ঠিক আছে কিন্তু অভদ্র হতে হবে কেনো। মুখের ভাষা মন্দ হবে কেনো। প্রযুক্তি ভালোটা কেনো গ্রহণ না করে মন্দ দিকেই প্রজন্মরা ফিরে যায়। এটাই ভয়াবহতা । আল্লাহ আমাদের প্রজন্মদের হেফাজত করুন
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভালো থাকুন ভাইয়া
১০| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: এর জন্য শিশু বা কিশোর কিশোরীদের একতরফা দোষ না দিয়ে আরো গভীরে ভাবতে হবে।
পারিবারিক ব্র্যাকগ্রাউন্ড অনেক বড় একটা ব্যাপার। আর টেকনোলজির যুগে তার বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে বাবা মা এর বুদ্ধিমত্তা,স্নেহময় শাষন, ঢর্মীয় অনুশাষন অনেক বেশি প্রয়োজন।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার কথা সহমত আপি। পারিবারিক শিক্ষাটাই বেশী প্রয়োজন। কিন্তু বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে ওদের সাথে মিশে খারাপ দিকগুলো রপ্ত করে ফেলে। আমি নিজে স্বাক্ষী আমার বাচ্চাদের মাঝে এমন দেখেছি। স্কুলের গল্প করতে গিয়ে শুনেছি। মনটা বড় খারাপ হয়।
ধন্যবাদ আপি সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালো থাকুন
১১| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
মানুষ বলেছেন: পূর্বপ্রজন্মের চোখে উত্তরপ্রজন্ম বরাবরই নষ্ট বখে যাওয়া। এ আর নতুন কী!
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চোখে না কথা কিন্তু সত্য । প্রমাণ তো চোখের সামনেই
ধন্যবাদ আপনাকে
১২| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন:
কথাগুলো পড়ে মনে হলো বাল্যকালে ফিরে এসেছি।
সুন্দর স্মৃতিচারন।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আদি ও অকৃত্রিম আজকের বাংলাদেশ!
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম .... অকৃত্তিম কই দেখলেন । কৃত্রিমত্তায় ভরপুর প্রজন্ম
১৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের ছেলে মেয়েদের ভাষা আমি বুঝি না।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিও বুঝি না
১৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
একটা প্রজন্ম যখন অধঃপাতে যায় তখন এমন বেলেল্লাপনাই বাড়ে আর হায়া-শরম-লজ্জাও উধাও হয়ে যায়।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করতে চায় এটাই সবচেয়ে দু:খ জনক। এবারের ১৪ ফেব্রুয়ারীর সন্ধ্যেয় হাঁটার জন্য বের হইছি আমাদের গলিতে। যা দেখলাম, ঘেন্নায় শরীর রি রি দেয়। সবাই যাচ্ছে আসছে ...। পিচ্চি পোলা পিচ্চি মেয়েকে কিস করতেছে কেউ কিছু কয় না। শেষে আমি এদের শুনিয়ে দুইতিন জন মুরুব্বিদের বললাম আপনারা প্রতিবাদ করেন না। আমাদের বাচ্চারাও কিন্তু এসব শিখবে। তারা বলে প্রতিবাদ করে লাভ নাই-জানের ডর।
উল্টো পথে হাঁটা দিলাম দেখি দুই পিচ্চি গলা জড়িয়ে হাঁটছে। সামনে দাড়াইয়া দিলাম ধমক বললাম তোমাদের লজ্জা শরম নাই। বলে আন্টি কী করেছি- তাকিয়ে আছি তখন গলা ছেড়ে বলে অহ সরি ...তারপর দুইজন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়ে চলে গেলো।
১৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
প্রযুক্তি কে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না । এটি আপন গতিতে এগিয়ে যাবে । তবে হ্যা সব কিছু আমাদের হাতে । পরিবারের শিক্ষা যদি আরও দৃঢ় হয় । পারিবারিক বন্ধন ও নিজেদের মধ্যে সহনশীলতা আসলে তবে আমরা একটা সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলে পারব ।
আবার অন্য দিকে আমাদের খেলার মাঠ হারিয়ে গিয়েছে । আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম গাছ আর প্রকৃতি পাবে না বললেই চলে । এই দিকটা ঠিক করতে পারলে আরও হতো ।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম অস্বীকার করার উপায়ও নেই। পারিবারিক শিক্ষাটাই জরুরী কিন্তু সঙ্গগুণে লোহা জলে ভাসে। স্কুল এবঙ বাইরের জগতে পা রাখলে বাচ্চারা অটো বখে যায় সেদিকেই বেশী খেয়াল রাখতে হবে।
খেলার মাঠ হারিয়ে গেছে। আমার বাচ্চারা বাসার ভিতের ক্রিকেট ফুটবল খেলে । কি আর করার আছে।
ধন্যবাদ অপু ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
সুদীপ কুমার বলেছেন: সময় পরিবর্তনশীল।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম সময় পরিবতর্নশীল
সে পরিবর্তনশীল সমাজের হাল আমাদেরকেই ধরতে হবে। পারিবারিক শিক্ষাটা খুবই জরুরী
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুদীপ দা ভালো থাকুন
১৮| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৩১
পথিক প্রত্যয় বলেছেন: এই যুগের ছেলেমেয়েদের পতনের দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা তাদের সুশিক্ষা দিতে না পারা। প্রযুক্তির ভাল খারাপ তাদের বুঝিয়ে দিতে না পারা।
সন্তানকে যথেষ্ট সময় না দিয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকা ।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মোটেও এড়াতে পারি না। দায়সারা মা বাবা আমরা। জন্ম দিয়েই কর্মসাড়া । আগের মত শাসন থাকলে এমনটি হতো না।
ব্যস্তই তো থাকি। সারাদিন অফিস। বাসায় ফিরে রান্না। তাদের সময় কবে রআর দিলাম
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
১৯| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৫৮
ওমেরা বলেছেন: আমার আপুর কাছে শুনেছি আমার দাদী নাকি বলত, যা দিখি নাই বাপের কালে, তা দেখলাম ছেলের কালে। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনেও কিছু পরিবর্তনও আসবেই, তবে সেটা উৎশৃঙ্খলতা, অসভ্যতা যেন না হয়। আর এটা ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পূর্ববর্ত প্রজন্মের ।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কথা সত্য আপি। পরিবর্তন আসুক । বাচ্চার মন্দ দূরে ঠেলে ভালোটাকে গ্রহণ করুক সেটাই চাই। আল্লাহ আমাদের প্রজন্মকে হেফাজত করুন মন্দ হতে
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
ভালোবাসা রইল
২০| ১৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:১৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পুতুলের নাচ দেখতে খুব পসন্দ ছিলো ছোট বেলায়,
আর এখন, সর্তক ভাবে চলতে হয় এদের জটলা দেখলে,
ওখান থেকে যে সব ভাষা কানে আসে তা মোটেই সুস্হ সমাজ ব্যবস্হার
সংকেত নয়। সমাজ বিজ্ঞানীদের এখনই উচিত এ বিষয়ে সঠিক সিদ্বান্ত নেয়া ।
.....................................................................................................................
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এবং প্রতিবাদ করা উচিত। যারা সচেতন তারা ওদের রাস্তাঘাটে ডেকে কাছে বুঝানো উচিত ভালো মন্দ। কিন্তু আমরা কেউ এসব করি না। কেবল শুনে যাই
বর্তমান প্রজন্মের ছবিটা দেখে হাসতেই আছি । কী স্টাইল রে বাবা হাহাহাহ
ধন্যবাদ আপনাকে
২১| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমরা হলাম গিয়া 4G ...ফেসবুক জাতি !
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহ ..... গিগাবাইট কয়দিন পর ট্যারাবাইট মিস্টার একাব্বর
ধন্যবাদ ভাইয়া
২২| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমার মনে হয় প্রত্যেক জেনারেশনই তাদের শৈশব কে মধুর সময় বলে।
যেমন আমার কাছে আমার ছেলেবেলা খুব ভাল মনে হয়।
স্মৃতিকাতর পোস্টে ধন্যবাদ।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এখনকার ছেলেবেলার গল্প নাই। যেমন আমাদের ছিলো। রুমাল দৌড়, কানামাছি গোল্লাছুট, বউছি ডাংগুলি ক্রিকেট ফুটবল আরও হাজার খেলা আমরা খেলেছি আর এখন মোবাইলই সব যেনো ওদের
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন
২৩| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন:
আপনার লেখাটা পড়ে মন নস্টালজিক হয়ে গেল।
আজকালের ছেলেরা কি কোন দিন জানবে কি মজাটা করতাম আমার ছোটবেলায়??
সারাদিনই তো পড়ে থাকে টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটাপ, আর ট্যাব নিয়ে!
শৈশবের দুরন্তপনার যে কি আনন্দ সেটা এই যুগের বাচ্চারা হয়ত জানবেও না..............
নোট: লেখার শেষে ২০১৭ ডেট মুছে দিন। শৈশবের স্মৃতি গাঁথার সাথে কোন ডেট মানায় না।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিও আমার ছেলেদের এসব বলি যে তোদের তো কোনো গল্পই নাই। কেবল মোবাইল আর মোবাইল । জ্ঞানের দিক দিয়ে ওরা আমার চেয়ে অনেক বড় কিন্তু জীবনে মজা কী জিনিস তা বুঝে নাই। আহারে সেই দিনগুলো। গাছে বসেই আম খেতাম। কত পাখির বাচ্চা নিয়ে এসে পালছি...। কত ফড়িং ধরছি লেজে সূতা বাঁধছি। ব্যাঙের বাচ্চা বরশিতে লাগিয়ে টাকি মাছ ধরছি। কত সাতার কেটেছি পুকুরে। সবই স্মৃতি। এদের কোনো স্মৃতিই থাকবে না কেবল প্রযুক্তি ছাড়া।
মুছে দিলাম
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
২৪| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন , আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য খুব কঠিন সময় আসছে। নিজেদের যে গুছিয়ে রাখার ঈমান আমল ঠিক রাখার।
১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। আসলেই কঠিন। ছেলে হোক মেয়ে হোক সন্তানদের লালন পালন আর তাদের উপর হরদম চোখ রাখতে হবে । কিন্তু কখন যে ওরা হাতছাড়া হয়ে যায় সেটাই ভয়।
২৫| ১৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতির কথা। ধন্যবাদ লেখিকা।
১৬ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ মেঘ
ভালো থাকুন অনেক
২৬| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫২
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা
ছেলে বেলার সেই পুতুল খেলার দিন গুলো হারিয়ে গেলেও
আপনার লেখায় কিন্তু সেই আমেজটা ফিরে পেলাম। খুব মনে হচ্ছিল আমার ছোটবেলার কথা। আর এখনকার জেনারেশনের বাচ্চা গুলো খুবই হতভাগা। কত খেলাই না খেলেছি। ওদের সীমাবদ্ধতা ট্যাব মোবাইল লেপটপ.....।
১৬ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। সুন্দর মন্তব্য ভালো লাগলো
আসলেই আমার দুইছেলেই তো সারাদিন মোবাইল আর ট্যাব নিয়ে থাকে
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গত কয়েক বছরের ইন্টারনেট সহজলভ্যতার কল্যাণে সমাজে নানা রকম পরিবর্তন এসেছে। এগুলোর নেতিবাচক প্রভাবই বেশি। ফেইসবুক, ইউটিউব, স্মার্টফোন আমাদের তরুণ প্রজন্মকে শেষ করে দিচ্ছে। আদব কায়দা, কথা বলার ধরন আর আবেগের জায়গাগুলোকে একদম খোলামেলা করে দিচ্ছে। এটা অশনিসংকেত।