নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
গ্রামের তরতাজা ফল দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। যখন ভাবি ঢাকায় এসে ফরমালিনে মাখানো ফল খেতে হবে এবঙ বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে।
গ্রাম আমার ভালোবাসার জিনিস। গ্রাম ভালোবাসি। গ্রামেই বড় হয়েছি। চাকুরী হওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রামেই ছিলাম। তাই গ্রামের মায়া আমাকে বেশী টানে। গ্রামের মেঠো পথ, সোনালী ধান, ক্ষেতের আল, জোঁক, ফড়িঙ, প্রজাপতি, হাঁস মোরগ, কবুতর, গরু ছাগল পাখি ব্যাঙ গাছগাছালি সবই আমার ভালোবাসার জিনিস। যেখানে আমি আমার মনের কষ্টগুলো ঝেড়ে ফেলতে পারি নিমেষেই। গ্রামে গেলেই ছবি তুলি। এবার ক্যামেরা নিয়ে যাই নি। মোবাইলেই তুলেছি এই ছবিগুলো। (স্যামসাং এস নাইন প্লাস) যারা বিদেশ বিভুই থাকেন তাদের গ্রামের ছবি অবশ্যই ভালো লাগবে। ইটপাথরের শহরে যারা বড় হয়েছেন তাদেরও গ্রাম ভালো লাগবে আশা করি।
২। বিকেলের আলো তোলা ছবিটি, রোদ্দুর ঝলমলে প্রহর। সত্যিই অপরূপ দৃশ্য। ভালোবাসাময় দুনিয়া আমার ।
৩। কাদায় মাখামাখি উঠোন, বাচ্চারা স্বাধীনতায় খেলাধূলা করে এখানে।
৪। ধলাই নদী, বৃষ্টিতে পানি বেড়েছে। স্বচ্ছ টলমল পানিতে গাছের ছায়া। এখানে বসে থাকলে এক শান্তির বাতাস গায়ে লাগে। মাশাআল্লাহ অনেক আরাম বোধ হয়। আর পানির আয়নায় দেখি গাছগাছালি।
৫। ধলাই নদী। দূরে দেখা যাচ্ছে সোনালু ফুল, ক্যামেরা না নেয়ার কারণে জুম করে ছবি উঠাতে পারি নি। আমার পছন্দের ফুল
৬। শ্বুশুর বাড়ির নতুন পুকুর, এখানে সুপারীর কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে দুই চালার একটা বসার ঘর, দেয়াল ছাড়া। আমি গেলে ওখানেই বসে থাকি সারাদিন অথবা একটু পর পর-খুব ভালো লাগে জায়গাটি।
৭। ধলাই নদী
৮। আহা আমার প্রিয় সোনালু ফুল, দূর থেকেই ভালোবাসি।
৯। ধলাই নদীর জলের আয়নায় প্রকৃতির ছবি, ভালো না লেগে উপায় আছে হু
১০। নাড়া ক্ষেত, সদ্য ধানা কাটা হয়ে গেছে। আকাশ ছিলো মেঘলা বিকেলটা বেশ কেটেছে এখানে।
১১। সোনালী আলোয় গবাদি পশু
১২। আহা তরতাজা ফল, খাতি মন চায়। কিন্তু তখন পাকেনি ফলগুলো
১৩। জলের আয়নায় গরুর ছবি হাহাহাহা
১৪। সুন্দর সবুজাভ প্রকৃতি। কার না মন হারায় এমন প্রকৃতি দেখে ।
১৫। গাছে গাছে আম, পাকা শুরু করেনি। তাই খাওয়াও হয়নি। কেবল ছবি তুলে আনছি।
১৬। জাম্বুরা না বাতাবিলেবু............ আচ্ছা কইনছাইন দেহি, কোন বুড়া বুড়া না ?
১৭। ১৫/২০ টা কাঁঠাল গাছ, আগা থেকে গুড়া পর্যন্ত কেবল কাঠাল আর কাঠাল...... পাকা শুরু হয়নি। তবে কিছুদিন আগে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল, অনেক কাঠাল এনেছিলো , রোজার কারণে ঠিকমত খেতে পারিনি, অর্ধেকই ফেলে দিতে হইছে।
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট, সুন্দর আপি, সুন্দর চোখ
জাজাকিল্লাহ খাইরান
২| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাইয়া ভালো থাকুন ।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
আরোগ্য বলেছেন:
গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ।
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান। ভালো থাকুন,
সুন্দর থাকুন প্রকৃতির মতই
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গ্রামের মেঠো পথ, সোনালী ধান, ক্ষেতের আল, ফড়িঙ, প্রজাপতি, হাঁস মোরগ, কবুতর, গরু ছাগল পাখি ব্যাঙ গাছগাছালি সবই আমার ভালোবাসার জিনিস। সবই ঠিক আছে, মানলাম। তাই বইলা জোঁক? নো চান্স!
আপনের ছবি (আপনের কথা কই নাই) গুলান দেইখা একটা গানই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাইতাছে,
ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা,
তাহার মাঝে আছে দেশ এক, সকল দেশের সেরা.......
এই গান যখনই আমি গুনগুন করে গাই, চোখে পানি চলে আসে। আর গাইতে পারি না। কেন??
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা তেলাপোকারে যে ডর ডরাই, তার এক তিল জোঁকরে ডরাই না। যদি না বদের বদ লুকাইয়া পায়ে চুমো খায় হাহাহা, ছোট ছোট জোঁক ধরে লেংড়া (চোরকাটা) দিয়া উল্টায় ফেলতাম ।
আপনার ছবি--------অই হলো ......হাহাহা
কারণ-দেশের মায়া আপনাকে জড়িয়ে রাখে সর্বদা। দেশের কথা মনে পড়ে যায় তাই চোখে জল আসে। বিদেশ গেলে সবারই এমন হয়। বিদেশ থাকা মানুষগুলো কেবল ভিডিও কল দেয়, যত বলি যে অডিও কল দেন, তারা কেউ শুনে না। বলে দেশ দেখবো তোমাদের দেখবো। কী কষ্ট লাগে তখন।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এবারের ছবিগুলো দেখার মতো, মনে হচ্ছে! সাথে কবিতা না থাকায়, ছবি দেখাটা সহজ হয়েছে!
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আর কবিতা দিমু না, দিলেও এক লাইন
অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন
৬| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
ল বলেছেন: কোন বুড়া বুড়া না ---যে বুড়া গ্রামে থাকে।।।।
আজকের ছবিগুলো জীবন্ত ও প্রাণময়।।
১২ নাং স্পেশাল +++
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা কথা সইত্য। জাম আর বুড়া মিইল্যা সংসার
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন ভাইয়া
৭| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কারণ-দেশের মায়া আপনাকে জড়িয়ে রাখে সর্বদা। তা রাখে। তবে বিশেষ বিশেষ পরিাস্থতিতে এই আবেগ ধরা-ছোয়ার বাইরে চলে যায়। দু'দিন আগে আমার এক কলীগ কথায় কথায় বলেছিল, তোমাদের দেশটা তো খুব গরীব.....কথাটা যদিও সাদা অর্থে সঠিক, তারপরও শুনে এমন রাগ হলো। ভয়ংকর রাগী গলায় বললাম, আমাদের দেশ গরীব না। রাজনীতিবিদরা দেশটাকে গরীব বানিয়ে রেখেছে!
আমার রাগ দেখে সে আশ্চর্য হয়ে বললো, আমি কি ভূল কিছু বলেছি? আমি বললাম, ভূল / ঠিকের প্রশ্ন পরে। তুমি ভবিষ্যতে ভূলেও এই কথা আমাকে আর কখনও বলবে না।
শেষে সে স্যরি বলে বললো, আমি আসলে তোমাকে হার্ট করতে চাইনি।
পরে নিজের কাছেই খারাপ লেগেছে, আমার অতি-প্রতিক্রিয়ার জন্য।
২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হার্টটাচ গল্প। আসলেই দেশ সম্পর্কে পতাকা সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে মাথা ঠিক থাকে না। আমি দেশকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু দেশের মানুষগুলো অনুভূতি শূন্য। পথে ঘাটে যে অনিয়ম দুর্নীতি দেখি মাঝে মাঝে দেশ ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে। ব্যাংক থেকে বাসা ৮/১০ মিনিটের রাস্তা অথচ পথে পথে যেসব দৃশ্য দেখি, এবং কেউ প্রতিবাদ করে না আমি খুব কষ্ট পাই।
দেশের অবস্থা আসলেই ভালো না। স্বার্থের জন্য মানুষ দেশকে বিক্রি করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।
৮| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক অনেক প্রানবন্ত ও সুন্দর ছবিগুলো। খুব ভাল লাগলো। দেশকে ভালবাসা মানুষ যদি ক্ষমতায় থাকতো তবে আমাদের গ্রামগুলো হতে পারতো ফেমাস টুরিস্ট স্পট।আমাদের গ্রামের এমন প্রানবন্ত নৈর্সগিক সৌন্দর্য খুব কম দেশেই আছে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান । দেশকে ভালোবাসা মানুষের সংখ্যা কমই এখন। স্বার্থের টানাটানিতে দেশ ছিঁড়ে ফেললেও কারো কিছু আসে যায় না। টেন্ডারবাজি, দূর্নীতিযুক্ত দেশ আমাদের, শিক্ষা চিকিৎসা সব খাতেই দুর্নীতি।
আসলেই আমাদের দেশের গ্রামের স্যৌন্দর্য পৃথিবীতে খুব কমই আছে
ভালো থাকুন
৯| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: ধারুন লাগলো ছবিগুলি। মনে হল যেন নিজেই ঘুরে এলাম। কিন্তু কোথাকার ছবি তা কিন্তু বলতে ভুলে গেছেন।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান শ্রদ্ধেয় শহীদ ভাইয়া। সরি ভাইয়া ভুল হয়ে গেছে । লিখে দেয়া উচিত ছিলো।
এটি আমার শ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার ঢাকুয়া গ্রামের ছবি। আর নদীর নাম ধলাই নদী
ভালো থাকুন অনেক অনেক
১০| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আহা রুবন বলেছেন: দিলেন তো মনটা খারাপ করে! এখন গ্রামে যেতে ইচ্ছে করছে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সময় করে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। আর ছবি তুলে আনবেন। ইনশাআল্লাহ ভালো লাগবে।
অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ইট কাঠের খাঁচা ভেঙ্গে বহুদিন গ্রাম আর প্রকৃতির কাছে যাওয়া হয়না । আপনার ছবিগুলো আফসোস আরও বাড়িয়ে দিলো । প্রতিটি ছবিই খুব সুন্দর । মন ছুঁয়ে যায় ।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গ্রামে ঘুরে আসুন আপি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভালো থাকুন ভালো রাখুন
১২| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: গ্রামের আবহাওয়া কেমন? গরম নাকি শীত?
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: রাতে কাঁথা গা দিতে হয়। আমরা কয়েকদিন ছিলাম বৃষ্টি ছিলো তাই আবহাওয়া ঠান্ডা ছিলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া
১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
জুন বলেছেন: নয়ন শীতল করা সব ছবি, ও আমার দেশ ও আমার জন্মভূমি আমার রূপসী বাংলাদেশ।
+
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের দেশ আমাদের গর্ব অহংকার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি । ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
আপনার স্যামসাং এর চোখে নৈঃস্বর্গিক গ্রামবাংলার এক চিরায়ত শ্যামল রূপ ধরা পড়েছে আলাদা অনন্যতায়।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
অনেক ভালো থাকুন
১৫| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো গ্রামের ছবি গুলো।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাইয়া
ভালো থাকুন
১৬| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অপূর্ব সব ছবি। দেখে নয় জুড়িয়ে গেল। ভাল থাকবেন সদায়।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া
অনেক ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা
১৭| ২৫ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
এখন থেকে গুণবতী আপা বলবো । আল্লাহ যাকে যা দেন ,
একটু বেশিঊ মনে হয় দেন ---যেমন আপনি ।
ছবিগুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আমিও নানা বাড়ি ও দাদা বাড়ি যাওয়ার জন্য পাগল থাকতাম। গ্রাম আমারও ভীষণ প্রিয়।
ভালো থাকুন সব সময়।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা আপি এগুলা বেগুন। যেখানে যেভাবে গুন থাকা দরকার ছিলো সে জায়গাগুলো অপরিপূর্ণ হাহাহা, তর্কে বিতর্কে ইংলিশে অংকে জ্ঞান কম তবে এতটুকুতেই আল্লাহর কাছে শোকর গুজার করি। আল্লাহ ভালো রেখেছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপি। ভালোবাসা নিন
১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিগুলো একদম জীবন্ত বলে মনে হচ্ছে। সঙ্গে ক্যাপশনগুলোও সুন্দর। আপনার ছবি তোলার হাত চমৎকার।++
পোষ্টে ষষ্ঠ লাইক।
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তৈমুর ভাইয়া । ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৯| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সবগুলি ছবিই হয়েছে অতি সুন্দর, দেখে দেখে মুগ্ধ ।
জুম ল্যান্সের অনুপস্থিতির কারণে সোনালূ ফুলের ছবি
তুলতে না পারার জন্য আক্ষেপের নেই কোন কারণ
যেভাবেই দিন না কেন সোনালু ফুল দেখায় অসাধারণ ।
ছবির সাথে কবিতা কিছু দিলে হত আরো বেশী ভালই
আক্ষেপ লাগল ছবির সাথে কবিতা দিলেন না কিল্লাই,
ছবির পাশে কবিতার ছন্দ তুলে বলেতো দেয়া যেতো
সামসংএ তোলা সোনাফুল প্রকৃতির কানে অপুর্ব দুল
দেখতে সুন্দর মন কারে, থোকা থোকা বন বাদারে
নদীর পারে পথের ধারে ,সোনার রঙে উকি মারে
ঝুমকা কানে দুলে শত দেখায় যেন আমারটার মত!!
ছবি শুধু ছবি নয়, ছবি যে কত কথাই মনের কোনে যায় বলে। পোষ্টের ছবির সাথে থাকা কিছু গুরুত্বপুর্ণ কথা ও শব্দমালাও দৃস্টি আমার কাড়ে । ছবি দেখে গ্রামের কথা, গ্রামের সংগ্রামী কৃষকদের কথা ভাবতে গিয়ে পোষ্টে থাকা ধলাই নদীটির কথা মনে করিয়ে দেয় ধলাই নদী পাড়েই আজি হতে প্রায় শত বর্ষ আগে জন্ম নিয়েছিল ইতিহাস খ্যাত ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলন।
আড়াইশো বছরের ব্রিটিশ অপশাসন ও দমন নিপীড়নের হাত হতে এদেশের মুক্তির সংগ্রামের দীর্ঘ তালিকায় মৌলভিবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার তিতর দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদী তীরে সংগঠিত ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলনটিও এদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবজ্জল অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত । ১৯৩২ সালের অগ্রহায়ণ মাসে আড়াই হাজার সৈন্য এবং ১০টি হাতি নিয়ে ভানুবিলে মানুষ মারার তান্ডবলীলায় নেমেছিল তৎকালীন বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের অশুর শক্তি । এতে তছনছ হয়ে যায় ভানুবিল। জমিদারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠে সেখানকার নিপিড়িত কৃষক কুল যার বেশীর ভাগই ছিল মনীপুরী কৃষক ।
ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলনের রেশ পুরো উপমহাদেশ ছেড়ে ইউরোপেও প্রভাব ফেলেছিল। সামন্ত সমাজ ভেঙ্গে পুজিঁবাদী সমাজ গড়ে উঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্ষালে পাস করা হয় সিলেট প্রজাস্বত্ত্ব আইন। এতে ক্ষেপে উঠে এলাকার কৃষককুল। সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতার আদর্শে জ্বলে উঠে প্রজা, শ্রমিক মালিক। বাংলা ১৩০৭ বঙ্গাব্দে কমলগঞ্জ থানার ভানুবিল গ্রামে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী প্রজাদের ব্রিটিশ এবং তাদের জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস হয় রচিত ( সুত্র : মৌলভীবাজার জেলার জনজীবন/ অধ্যক্ষ রসময় মোহান্ত, ১৯৮৬, পৃষ্ঠা ৮৭ )। এখানে উল্লেখ্য যে এই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায় থেকে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-এ প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷
ভানুবিলের কৃষক আন্দোলনে পুরুষদের পাশাপাশি কিছু মহিয়সী নারী যথা লীলাবতী শর্মা, সাবিত্রী সিংহ, শশীপ্রভা দে, যোবেদা খাতুন এমন অসংখ্য বিদ্রোহিনীর সদর্প পদক্ষেপে কেঁপে উঠে অত্যাচারীর ভাঙোনোন্মুখ দুর্গ। কৃষিকাজ থেকে শুরু করে পুরুষদের সাথে সমানভাবে অংশ নেয়া সেখানকার নারীরা গর্জে উঠে। বৈকুন্ঠ শর্মার ষোল বছর বয়সি মেয়ে লীলাবতী শর্মা মণিপুরী চাষীদের মনে বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ দিতো ছড়িয়ে। আমাদের গ্রামীন সমাজে এখনো রয়েছে বিবিধ ধরনের অন্যায় , দুরাচার আর সমাজপতিদের নিগ্রহ । গ্রামের সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক সম্পদ ও অবকাটামো বিনষ্টকারী যথা নদীখুর, বনখুর, টিলাখুর আর সুদখুর মহাজনদের নাগপাশ হতে গ্রামীন জনপদের অবহেলিত মানুষদের মুক্তির জন্য ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলনের মত আমাদের গ্রাম প্রেমী কবি ছবি’পুর ছবি সংগ্রাম- কথা কাব্য আর চিত্রে - চলুক দুর্বার গতিতে এ কামনাই রেখে গেলাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানেই কিছু জ্ঞান আহরণ। এই ইতিহাস জানা ছিলো না। এই নদীটি কী সিলেটেও আছে -না মানে এই নদী কোথায় কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। সেতো মরে গেছে। দু:খই লাগে নদীগুলোর অবস্থা দেখে। ভানুবিলের কৃষকদের সাথে নারীরাও লড়েছেন আগের নারীরা অনেক সাহসী ছিলেন মনে হয়।
আসলেই ভাইয়া বনখোর টিলাখোর সুদখুর মানুষদের জন্য আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য হারাচ্ছি দিনকে দিন। আমি দেখেছি পাহাড় কেটে লাল মাটি দিয়ে ঘর লেপার কাজের জন্য মাটি আনা হয়। এই গর্তগুলো আর ভরে না। ধীরে ধীরে পাহাড় ধ্বসে যেতে থাকে।
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা একটি ইতিহাস জানানোর জন্য । ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে
২০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর আমাদের দেশের প্রাকৃতিক রূপ, আপনার ক্যামেরা আরও সুন্দর করে তুলছে, দক্ষ ফটোগ্রাফার আপনি, আপনার পছন্দ আরো পারফেক্ট।
ভালো লাগলো গ্রামবাংলার রূপ-প্রকৃতি ও দেশীয় ফলের সমাহার দেখে
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: েআমাদের দেশ আমাদের গর্ব অহংকার। এমন সুন্দর দেশ আর কোথায় পাবো শুনি
অনেক ধন্যবাদ নয়ন ভাইয়া ভালো থাকুন
২১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: ছবির মাধ্যমে গ্রাম দেশের অপরূপ রূপ তুলে ধরেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে প্রথম ছবিটি; এমন লিচু কতকাল চোখে দেখি নি!
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। বাড়িতে গিয়ে এই লিচু দেখতে পাই। ছোট একটা গাছ, দেখলাম লিচু পেকে আছে, আমার সামনেই অন্য বাড়ির বাচ্চারা পেড়ে নিয়ে গেলো , খেতে পারি নাই দুষ্টু বাচ্চাদের জন্য । গ্রামের বাড়ির ফল পোক্ত হওয়ার আগেই বাচ্চারা পেড়ে নষ্ট করে ফেলে-এই হচ্ছে আরেক ঝামেলা।
ধন্যবাদ আপি ভালো থাকুন
২২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: এসব ছবি দেখলে মনটা পালাই পালাই করে !!
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পালিয়ে যান কোনো গ্রামে, নয়তো আমাদের গ্রামে-সিলেট হবিগঞ্জ অনেক সুন্দর এলাকা আমাদের । চা বাগান বনারণ্য আরো কত কিছু দেখার আছে।
২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন: সবচেয়ে ভালো লেগেছে প্রথম ছবিটি; এমন লিচু কতকাল চোখে দেখি নি! এমন লিচু আপনি কখনওই চোখে দেখেন নাই, কারন আমার যদি ভুল না হয়.....এগুলো লিচু-ই না। আতাফল, কোথাও কোথাও শরীফাও বলে এটাকে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহাহ আপনিও ভুল বুঝলেন ওদের । ওরা লিচু হয়েই ডালে ঝুলছিল আর আপনি কন এরা আতাফল, আতাফল আরও বড় হয়। কিন্তু এরা লিচু।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১১
মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত সুখপাঠ্য গদ্য। পদ্য না লেখায় অনেক ধন্যবাদ।অনুমান করি প্রধানমন্ত্রীর কাছ আপনি মোবাইল, ব্লাউজ দুইই পেয়েছেন। ব্লাউজ প্রত্যাশা করি না, তবে একখানা ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল পাইলে উপকারে লাগতো। লিচুর ক্লোজআপ ছবি অসাধারণ উঠেছে, প্রথমে ভেবেছিলাম আতা। কাদামাখা উঠানে কাদার পরিমাণ কম দেখলাম। ভরা অবস্থায় নদীর যদি এই দশা হয় তবে শুকনা অবস্থায় কি হবে ভাবিতে কান্না আসে। । বললেন ১৫/২০টি কাঠাল গাছ, ছবিতে দেখলাম তিনখানা মাত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকদের গণনায় দক্ষতার কারনেই মনে হয় ভল্টের সোনা হাওয়া হয়। আমাদের এলাকায় স্বর্নালুকে বান্দর লাঠি বলা হয়। কারণ বান্দর ইহা পছন্দ করে। আপনি স্বর্ণালু পছন্দ করেন জেনে প্রীত হলাম।
আরো বেশি করে গদ্য লেখার অনুরোধ রইলো ।
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহাহ জি ভাইয়া পাইছিলাম একখান মোবাইল, তাও জামাইর কাছ থাইকা। মফিজ ভাইও বলেছেন এরা আতাফল হাহাহা । আসলে এরা লিচু। বালির উঠোন অল্প দূরে কাদা । তবে বেশী না। মরা নদীর করুণ অবস্থা দেখা যায় শীতকালে, মনটা বড় কষ্ট পায়। এই নদীটাই নাকি পূর্ণ যৌবনকালে ঢেউয়ে ঢেউয়ে পাড় ভাঙ্গতো। নৌকা চলতো আর এখন হেঁটে পার হওয়া যায়।
ও ভাই ২০/৩০ টা কাঠাল গাছের ছবি দিলেই একমাত্র আপনিই এসে ডর দেখাইতেন নিশ্চিত যে কাডল গাছের এত্ত ছবি দিছেন কা আর আইতাম না আপনের বাড়ি হুহ। ভল্টের কথা কইয়া শরম দিয়েন না আর
হ আমরাও বান্দরের লাঠি কই, ঢিলাইয়া ঢিলাইয়া গাছ থাইকা ফালাইতাম। ছোটবেলার খেলনা এগ্লা।
আচ্ছা গদ্য লেইখ্যা ভরাইয়ালবাম । তখন সহ্য হইতো না কইলাম
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন অনেক অনেক
২৫| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
নজসু বলেছেন:
আতা বা শরিফার আরেকটা নাম আছে।
মেওয়া।
যদি এটা মেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে মেওয়া ফল দেখতে আতা ফলের মতো।
মেওয়া বেহেশতী ফল।
ছবিগুলো দেখে মন প্রাণ জুড়ালো। যদিও আমি গ্রামেই থাকি; তবুও নদীর এই অনিন্দ সুন্দর রূপ আগে কখনো দেখিনি।
ভালো লাগা।
আপা, আমি একটা ধাঁধা ধরি।
বলেন তো, কোন বুড়া জন্ম থেকেই বুড়া?
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাইয়া এটা আতাফল বা মেওয়া নয় এটা লিচু,
ধাঁধার উত্তর -জাম্বুরা
২৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাহাহাহাহাহ আপনিও ভুল বুঝলেন ওদের। হ....আমি তো পুরাই স্পিকার হয়া গেলাম তাইলে।
অবশ্য খুব কাছ থেকে ছবি তুললে অনেক সময় সাইজ বোঝা যায় না। যাক, করুণাধারা আপা-ই ঠিক।
দেশে দীর্ঘদিন না থাকলে যা হয় আর কি!!!
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহ মাননীয় স্পিকার দেশে চলে আসুন। এসে কিছুদিন ঘুরে যান
শুভকামনা সতত
২৭| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
নজসু বলেছেন:
ধূর!!!! মফিজ ভাইয়ের কারণে আমিও ধরা খেলাম।
আমি এটার নাম দিলাম আতা লিচু।
এত্তো বড়ো বড়ো লিচু। একেকটা আতা ফলের সমান।
ধাঁধাঁর উত্তরটা হবে- হাতের বুড়ো আঙ্গুল।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা মফিজ ভাইয়েরা এভাবে ধাঁধা লাগিয়ে দেয় হাহাহা
নামটা বেশ সুন্দর আতালিচু
ইনালিল্লাহ বুড়ো আঙ্গুল আমার কাছেই আছে কিন্তু বদ বেটারে ভুইলা গেছি হাহাহা
২৮| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপন গ্রাম থেকে ঘুরে এলাম।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন
নিজের গ্রামের ছবি দিয়েন আমরা দেখবাম
২৯| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: প্রতিবারই বাড়িতে গেলে কোনো না কোনো ফলের গাছ লাগিয়ে আসি। এবারের ঈদের ছুটিতে বাড়িতে লিচু গাছ (সাথে কাঠাল ও পেপে গাছ ছিলো) লাগিয়ে আসছিলাম, অনেক আশা নিয়ে যদিও জানি যে আমাদের অঞ্চল লিচু ফলনের জন্য উপযুক্ত নয়
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটা খুবই ভালো কাজ। পরবর্তী প্রজন্ম ফল খাবে। আর ফলের গাছ লাগালে সারাজীবন সওয়াব পাওয়া যায়।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
৩০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য ।
ধলাই নদী নামে বেশ কয়েকটি নদী আছে ।একটি উত্তর বঙ্গে , একটি বৃহত্তম ময়মনসিংহে, যা ধলাই-বিসনাই নদী নামে নেত্রকোনা জেলার একটি নদী । নদীটির দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার ।বাকীগুলি সিলেট বিভাগ অঞ্চলে ।
সিলেট এলাকার ধলাই নদী নামে পরিচিত একটি নদী ভারতের চেরাপুঞ্জি পাহাড়ে উৎপত্তি হয়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সল্প মাত্রায় প্রবাহিত হয়ে এই নদীটি সুরমা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। পাথরের জন্য এই ধলাই নদীর খ্যাতি রয়েছে।
আর একটি নদী যেটিও ধলাই নদী নামেই পরিচিত যা বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত। এই নদীটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পূর্ব দিকের পাহাড়ে উৎপত্তি লাভ করেছে। সেখান থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে নদীটি রাজনগর উপজেলায় মনু নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার। এর প্রস্থ ৫০ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ৩৪২ বর্গকিলোমিটার। এই নদীটি নিয়েই আআমার পুর্বের মন্তব্যে কথা বলেছি । আপনি ঠিকই বলেছেন নদীটি এখন বিপন্ন ।
নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীটি । পলি মাটি, পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনায় নদীটির তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। প্রতি বছর বন্যার কারণে তিল তিল করে গড়া নদী তীরের মানুষের জীবনের শেষ আশ্রয়টুকু নিমেশেই হারিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। মৌলভীবাজারের দুঃখখ্যাত মনু ও ধলাই নদী পাড়ের মানুষের এখন এমনই অনিশ্চিত জীবন। গেল বছরের বন্যায় মনু ও ধলাই নদীর ২৬টি জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দেয়।
যাহোক, জানিনা আপনি কোন ধলাই নদীর ছবি দিয়েছেন । তবে ধলাই নদীটি এখনো একেবারে মরে যায়নি । আর মরেই যদি গিয়ে থাকে তাহলে আপনি এর ছবিই বা তুলতেন কিভাবে !!
আরো একটি বিষয়, প্রচ্ছদের ফলের ছবিটি নিয়ে মন্তব্যের ঘরে দেখা যায় বিবিধ কথা । ফলটির সঠিক পরিচয় পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন । এটা আতা ফল, সীতা ফল , রামফল, না নোনা ফল সে কথায় পরে আসা হবে । এখন আপনিই বলুন এর নামটি কি হতে পারে ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ভালো থাকুন অনেক।
আমি বলেছিলামশ্বশুরবাড়ীর ধলাই নদীর গল্প, সেই নদীটা তার,স্রোত হারিয়েছে। সে এখন মরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
আপনার সুবাদে অনেক ইতিহাস জানতে পারলাম, শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয়
৩১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: প্রায় ২ বছর হয়ে গেছে, লিচুর দেখা নেই। সৌদি আরবে এটা এখনো পাইনি আমি।
৩২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খেজুর তো পাচ্ছেন। ইনশা আল্লাহ এই সিজনে পিরে দেশে,আসবেন লিচু পাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া
৩৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।
আমার লেপটপের উইন্ডোসে সমস্যা হওয়ার কারণে
এখন Imgur হতে ছবি এখানে ডাউনলোড করতে
পারছিনা । দয়া করে Imgur হতে সামুতে ছবি
ডাউন লোডের পন্থাটা এখানে দিয়ে গেলে বাধিত
হব ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
শায়মা বলেছেন: সুন্দর দেশ! সুন্দর ছবি!