নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামের পক্ষে কথা বললেই হালাল লেখক সাহিত্যি উপন্যাসিক এর উপাধি পাওয়া যায়

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানলে মানবেন না মানলে নাই (অনুভূতি বিশ্বাস যার যার)

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৮



মনটা আসলেই খারাপ হয়ে যায়। কাকে বলি মনের কথাগুলো, কাকে জানাই মনকে শুদ্ধ রাখার আবদার! বই পড়ার যুগটাই ভালো ছিলো। অন্তত নিরিবিলি বসে বই পড়তাম আর শিহরিত হতাম। নেট আসার পর থেকে মানুষগুলো যেনো আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে দিনকে দিন। একদিকে যেমন বিশ্ব হাতের মুঠোয়, ইচ্ছে করলেই যে কোনো জিনিস সম্পর্কে জানতে পারছি অনায়াসে যেকোনো সময় ঘরে বাইরে যেকোনো জায়গায় বসে। স্বজনদের সাথে যোগাযোগের বিষয়টাও সহজ হয়েছে। নেট উপকারী, নেট ছাড়া চলে না কিন্তু এর অপকারীতাও কিন্তু কম নয়। উপকারের চেয়ে অপকারটাই বেশী দেখতে পাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবগুলো মানুষের মত প্রকাশের দোর উন্মুক্ত করাতে বুঝা যাচ্ছে খারাপ মানুষের সংখ্যা কত লক্ষ কোটি।

খোলামেলা মত প্রকাশের সাথে মানুষ নিজেকে বেলাল্লাপনায় নিয়ে গেছে। লজ্জাহীন মানুষগুলো বুঝতেই পারছে না। কি করে তারা একটু একটু পাপের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কেউ কেউ এঁকে ছেড়ে দিচ্ছে নিজের লজ্জা উড়ন্ত যোগাযোগে। অথচ একজন মেয়ে হয়ে একজন মাকে উপস্থাপন করছে উলঙ্গ করে পেন্সিল আর্টের মাধ্যমে। একজন মা কখনোই এমন খোলামেলা কাপড়ে কারো সামনে এমনকি নিজের স্বামীর সামনেও বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবে না। আমাদের মা চাচিকে দেখেছি, আমি মা হয়েছি নিজের অনুভূতি নিজেই জানি।

বাংলাদেশের কোথাও দেখি না একজন মা জনসম্মুখে বুকের কাপড় সরিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন। এসব সৃজনশীল কাজকে মানুষগুলো সাহসী পদক্ষেপ ঘোষনায় একজন শিল্পীকে কুৎসিত শিল্পে আরো মনোনিবেশ করতে সাহায্য করছে। হ্যাঁ মত ভিন্ন থাকতেই পারে। আমি একজন মুসলিম মা। সব দিক ইসলামীকভাবে পালন করতে পারি না এটা আমার ব্যর্থতা। তাই বলে আমি কাউকে অনৈসলামি কর্মকান্ডে উৎসাহিত কোনোভাবেই করতে পারি ন। আমারও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে এবং যা ইসলামের দৃষ্টিতে খারাপ তা আমি অকপটে বলতে চাই কিন্তু তাতেও দেখা যায় মানুষগুলো আমার কথার উপরে হামলে পড়েছে বিভিন্ন ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছে অনায়াসে।

যেখানে একজন মুসলিম নারীর পর্দার বিধান আছে ইসলামে। পালন না করলে কঠিন আযাবে নিমজ্জিত হবো পরকালে। ধর্মীয় বইগুলোতে কোথাও কী লেখা আছে নারী দুধ খাওয়াচ্ছে এমন ছবি আঁকা পাপ নয়। মা সন্তানকে দুধ খাওয়াবে এটা স্বাভাবিক এবং নেক কর্ম। কিন্তু তাকে জনসম্মুখে কাপড় খোলা অবস্থায় এনে ফেলে দেয়া মোটেও কী উচিত ? না এটা খুব প্রশংসার দাবী রাখে? নাকি এটা অনেক সওয়াবের কাজ? যদি বলি প্রিয় শিল্পী আপনি আপনার নিজের ছবিটা এমন আঁকতে পারবেন? আপনার মা চাচীকে এমন আঁকতে পারবেন? আপনার বোনকে আঁকতে পারবেন এবং এঁকে জনসম্মুখে ছেড়ে দিতে পারবেন? না কক্ষনো পারবেন না।

রাস্তাঘাটে মেয়েদের এমন বেলাল্লাপনা বেহায়াপনা বেড়েছে যে মেয়ে হয়ে আমি নিজেই লজ্জা পাই এবং ধিক্কার জানাই। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তুমি হেদায়েত দাও, নয় এমন শাস্তি দাও যেনো সে তার ভুল বুঝতে পারে।

আবার এমন কতক কবি আছেন যারা নিজেদের লেখায়, একেবারে বাসর ঘরে কী হয় না হয় সবই কবিতায় ঢেলে সাজান। মেয়েদের অন্তর্বাস স্তন গুহা (আসতাগফিরুল্লাহ) উহ কিসের সাথে কী তুলনা করে করে মানুষগুলো কবিতা রচনা করে আর মানুষ সেখানে মন্তব্য করে সাহসী লেখা, সাহসী কবিতা। সুন্দর আরো লিখুন। আবেগগুলো প্রকাশ পাক। আল্লাহ তুমি কোন দুনিয়াতে পাঠাইছো মাবুদ যেখানে মানুষের লজ্জা ধীরে ধীরে শূন্যের কোটায় যাচ্ছে।

আমি নাকি সাপ ব্যাঙ প্রজাপতি ফড়িং নিয়া লিখি খালি, এসব কেনো লিখি না। আসিফ ইকবাল আমাকে এই কথাটি বলেছেন মন্তব্যের প্রতিউত্তরে। আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করো এমনিতেই কত গুনাহ করে যাচ্ছি অবলীলায়। আমি জানি আমারও অনেক পাপ হচ্ছে। আল্লাহর কাছে তাই বার বার হেদায়েত চাই। আসিফ ভাইকে বলি, ভাইরে আমি যদি মরে যাই আমার লেখাগুলো থেকে যাবে পুরো বিশ্ব জুড়ে। কী জবাব দেবো আমি পরম করূনাময়ের কাছে? আচ্ছা আমি না হয় এসব নাই লিখলাম! কী হবে তাতে। আমি না হয় সাপ ব্যাঙ নিয়েই থাকি। যে যেমন করে লিখতে চায় লিখুক। কেউ আবেগরে নিয়া যাক অশালীন শব্দে আর কারো শব্দ হোক প্রজাপতি ফড়িঙ, গাছ ফুল পাখি। আমি এমনই লিখবো কেউ পড়ুক বা না পড়ুক। আমার লেখা কবিতা নাই বা হলো। কী হবে কবিতা হয়েই বা। সঙ্গে তো নিয়ে যেতে পারবো না। আমি কবি না লেখক না। আমি কাজী ফাতেমা ছবি, যেমন লিখি তেমনই লিখবো। কারো কথায় আমি পথ আগাই না। আমার বিবেক আর বুদ্ধি যতটুকু ততটুকুই হোক আমার পথ চলার পাথেয়।

বড় লেখা জানি কেউ পড়বে না। নাই বা পড়ুক। মনের আক্ষেপগুলো থাকুক বন্দি হয়ে ওয়ার্ডের পাতায় আর সামাজিক যোগাযোগের পাতায়। ভালো থাকুন সবাই। যত কম পাপ হয় পরকালে জবাব দিতে ততই সুবিধা হবে। আপনারাই বেছে নেন আপনাদের নিজেদের জন্য এখনের সুখ অথবা পরকালের সুখ। সুন্দর হয়ে উঠুক সবার জীবন। সুন্দর থাকুন সবাই । ভালোবাসা নিন। যারা আমার লেখা পড়ে একটুও আনন্দ পান, অথবা যদি মাত্র একজন আমার একটা লেখা পড়ে বলেন মারহাবা মাশাআল্লাহ আমার আর কিছু লাগবে না। আমার কলিগ ভাই বলেছেন ফাতেমা আপা আপনার লেখা যদি অন্তত একটা মানুষও পড়ে আনন্দ পায় তাতেই আপনার সারা জীবনের লেখার স্বার্থকতা। এ নিয়ে কখনো আক্ষেপ করবেন না। আমি করিও না তাই। আপনারা আমার ফেবুর ওয়াল ঘেটে তার প্রমাণ পাবেন।

March 18, 2019

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার লেখার সাথে সহমত হয়ে লাইক দিলাম।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া। ভালো সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন। আল্লাহ ভরসা

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অনেক কবির কবিতার পাঁচ লাইন পরা দুর্বিষহ হয়ে পরে তাদের নোংরা মন মানসিকতা লেখায় ফুটে উঠে - মানসিক বিকারগ্রস্ত বিকৃত রুচির মানুষ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তাদের এই নোংরা কবিতাই দেখলাম এবছর বেশী বিক্রি হইছে হাহাহা। মানুষ পারেও বটে। নোংরা কথা ভরা বই কিনে এরা কি শিখলো কে জানে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
সুন্দর ও সুস্থ নিরাপদ থাকুন । দোয়া রইলো। আল্লাহ ভরসা

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: ফাতেমা আপু,
বড় লেখা জানি কেউ পড়বে না। নাই বা পড়ুক। মনের আক্ষেপগুলো থাকুক বন্দি হয়ে ওয়ার্ডের পাতায় আর সামাজিক যোগাযোগের পাতায়। ভালো থাকুন সবাই। যত কম পাপ হয় পরকালে জবাব দিতে ততই সুবিধা হবে।
আমি আমার ব্লগী জীবনে পুরো পোস্ট ভালো মতো না পড়ে কখনই মন্তব্য করি না। এটা আমার ব্লগীয় এথিক্সের বিরুদ্ধে কাজ।

আপনার লেখা সাথে আমি সহমত তবে তাতে অনেকেরই কিছু যায় আসে না। দেশে ছেলে বা মেয়ে যাই বলুন না কেন সবারই কেমন যেন লজ্জা শরম দিন দিন কমে যাচ্ছে। এবার বই মেলায় যেয়ে দেখলাম এক লেখিকা অযথাই অটোগ্রাফ দেবার নামে ছেলেদের সাথে বেহায়া আর নির্লজ্জের মতো ঢলাঢলি করছে। এর বই হচ্ছে রান্না অথচ সব ক্রেতা হচ্ছে ছেলে। কী জন্য সব ছেলেরা এখানে ঘুরাঘুরি করছে আর অটোগ্রাফ নিচ্ছে নিজেই চিন্তা করুন।

রাস্তাঘাটে বের হলে ছোট ২টা ছেলে নিয়ে কী এ বিপদে থাকি? ঘুরতে গেলে কোথাও আগে দেখে নিতে হয় চারপাশ।

আজকাল অশ্লীল লেখা না লিখতে পারলে নাকি উঁচু দরের লেখক হতে পারা যায় না। কিছু লেখার বর্ননা পড়লে মনে চটিবই পড়ছি। এরা এটা বলে, দাবী করে সাহিত্য। অশ্লীলতা যদি সাহিত্য হয় তাহলে পর্ন ইন্ডাসট্রিজ থেকেই প্রতি বছর গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পাওয়া উচিত।

কিছু করা নেই। এইসবই কিয়ামতের আলামত। কারণ দেয়া আছে-
১। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন যে কিয়ামতের পূর্বক্ষণে নগ্নতা ও অশ্লীলতার ব্যাপক প্রচার ঘটবে। হাদিস শরিফে এসেছে, নিশ্চয়ই এসব কিয়ামতের আলামত যে একসময় কৃপণতা ও অশ্লীলতা প্রকাশ পাবে। খিয়ানতকারীকে আমানতদার মনে করা হবে। আমানতদারকে খিয়ানতকারী মনে করা হবে। নারীদের নতুন নতুন পোশাকের উদ্ভব ঘটবে, যেগুলো পরিধান করে নারীরা বস্ত্রাবৃত হয়েও নগ্ন থাকবে। নিকৃষ্ট লোকেরা অভিজাত লোকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। (তাবরানি আওসাত, হাদিস ৭৪৮৯)

২। অন্য হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জাহান্নামিদের মধ্যে দুটি দলকে আমি দেখিনি। (কিয়ামতের আগে তাদের আবির্ভাব ঘটবে) এক দলের কাছে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, সেগুলো দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করতে থাকবে। আরেক দল হলো, এমন সব নারী, যারা কাপড় পরিহিত হবে অথচ তারা প্রকৃত অর্থে নগ্ন থাকবে। তারা পুরুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাইবে, নিজেরাও পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের চুলের খোঁপা উটের চুট ও কুঁজের মতো একদিকে হেলে থাকবে। তারা জান্নাতে যাবে না। জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ বহুদূর থেকে পাওয়া যাবে। (মুসলিম শরিফ : ৪/২১৯২)
৩। সেসব নারী কাপড় পরিধান করেও সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য শরীরের কিছু অংশ খোলা রাখবে। ফলে তারা বস্ত্রাবৃত হয়েও নগ্ন থাকবে। তারা বাহ্যিক সৌন্দর্য ও অলংকারে মোড়ানো থাকবে, কিন্তু তাকওয়ার পোশাক বা মানসিকতায় নগ্ন থাকবে। তারা এতই পাতলা কাপড় পরিধান করবে যে দেহের অভ্যন্তরীণ অংশ দেখা যাবে। ফলে কাপড় পরিহিতা হয়েও তারা নগ্ন থাকবে। (শরহে নববী : ১৭/১৯০-১৯১; মেরকাত : ৬/২৩০২)

নিজে ভালো থাকুন, যতটূকু সম্ভব। কারণ শেষ বিচারের দিন প্রত্যেক'কে শুধু নিজের পাপ-পূণ্যের হিসাবই দিতে হবে।
ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একটা কথা বলেছেন বাচ্চা দুটোকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে যা ওরা দেখে লজ্জায় মাথা অবনত হওয়া ছাড়া উপায় নাই ভাইয়া। বোটানিক্যালে গিয়েছিলাম অফিসের পিকনিকে, সেখানের যা অবস্থা, জনসম্মুখে মানুষ পারে ক্যামনে এমন ঢলাঢলি জড়াজড়ি করতে আশ্চর্য্য, তামীম এসব দেখে খালি তাকায়ে বলে মা ছি ছি, এসব কী :(

এসব কথা বলি বলে অনেকেই আমাকে ফেইসবুকে আনফ্রেন্ড করে দেন নিভৃত্তে। আমিও খুশি, দিনে রাইতে তাদের ছবি দেখতে দেখতে নিজেই লজ্জায় পড়ে যাই। কয়েকজন মুসলিম মেয়েকে দেখলাম সিঁদুর দিয়ে ছবি উঠাতে। এত কাছের এবং পরিচিত ছিলো মন শুধু খারাপ হতো। কয়েকদিন আগে দেখি তিনি আমাকে আনফ্রেন্ড করেছেন, তা দেখে খুশি হয়েছি। এসব কথা বললে এরা আমার হাজারটা দোষ ধরায়ে দেয়। আমি বলি সেটা তো আমার দোষ আমার গুনাহ কিন্তু ইসলামে যা আছে তা তো মিথ্যে হয়ে যাবে না।

সুন্দর মন্তব্যে রজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। সুস্থ সুন্দর ও নিরাপদ থাকুন। আল্লাহ ভরসা

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: আপনজন নিয়ে ভালো থাকুন ।
সতর্ক থাকুন ।সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
শুভকামনা জানবেন আপু।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনি পরিবারসহ নিরাপদে থাকুন ভাইয়া। আল্লাহ সবার সহায় হোন
আল্লাহ ভরসা । ফি আমনিল্লাহ

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বই পড়ার যুগ কি এখন নাই???
বই যে কোনো সময় পড়া যায়।

একজন শিশু মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে এটা দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।
পর্দা যে মানবে, মানুক। যে মানবে সে না মানুক। মৃত্যুর পর বুঝবে।


বড় ছোট লেখা আবার কি??
যে পড়ার সে পড়বেই।

৩/৪ পৃষ্ঠার বই কি আমরা পড়ি না??

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বই পড়ার যুগ আছে কিন্তু মানুষ আমরা ব্যস্ত সবাই, বই পড়ার সুযোগ এখন কমই পাই।

আর মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে এটা অন্য কাউকে দেখিয়ে সুন্দর দৃশ্যের মানে নাই পাপ ছাড়া। কথা সেটাই যে মানে মানবে না মানলে নাই :(

হুম পড়েন তো, আপনি অন্তত পড়েন। জাজাকাল্লাহ খাইরান
ভালো থাকুন ভাইয়া

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নারীদেহের বর্ণনা, কবিতা পড়তে বিরক্ত লাগে। শ্লীলতা বজায় রেখেও অনেকে চমৎকার চমৎকার প্রেম, ভালোবাসা বা সংসারচিত্র কবিতায় বর্ণনা করতে পারেন। এমন অনেক চমৎকার কবিতা এই ব্লগেও পড়েছি।

কবিতায়, বা শৈল্পিক আর্টের মাধ্যমে যদি সামাজিক অপকর্ম, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে যদি কিছু বলা যায়; এবং সেটা করলে ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেটা করা যায়। অশ্লীল মনে হলেও...
এটা আমার ব্যক্তিগত ভাবনা।

শুভকামনা সতত।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যা এই ব্লগে এমন অশ্লীল কবিতা খুব কমই আসে আলহামদুলিল্লাহ।

অশ্লীল কবিতা তো এবার বইমেলায় দেদারসে বিক্রি হইছে।

ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য। ভালো থাকুন ভাইয়া

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ,বেশ ভালো লাগলো । ভালো থাকুন।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাইয়া ভালো থাকুন

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬

জগতারন বলেছেন:
বড় লেখা জানি কেউ পড়বে না। নাই বা পড়ুক। মনের আক্ষেপগুলো থাকুক বন্দি হয়ে ওয়ার্ডের পাতায় আর সামাজিক যোগাযোগের পাতায়। ভালো থাকুন সবাই। যত কম পাপ হয় পরকালে জবাব দিতে ততই সুবিধা হবে। আপনারাই বেছে নেন আপনাদের নিজেদের জন্য এখনের সুখ অথবা পরকালের সুখ। সুন্দর হয়ে উঠুক সবার জীবন। সুন্দর থাকুন সবাই । ভালোবাসা নিন। যারা আমার লেখা পড়ে একটুও আনন্দ পান, অথবা যদি মাত্র একজন আমার একটা লেখা পড়ে বলেন মারহাবা মাশাআল্লাহ আমার আর কিছু লাগবে না। আমার কলিগ ভাই বলেছেন ফাতেমা আপা আপনার লেখা যদি অন্তত একটা মানুষও পড়ে আনন্দ পায় তাতেই আপনার সারা জীবনের লেখার স্বার্থকতা। এ নিয়ে কখনো আক্ষেপ করবেন না। আমি করিও না তাই। আপনারা আমার ফেবুর ওয়াল ঘেটে তার প্রমাণ পাবেন।

সহমত !

প্রার্থনা করি ভালো থাকুন প্রিয়া লিখিকা।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য জাজাকিল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন
সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন। আল্লাহ ভরসা

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০

নিভৃতা বলেছেন: সন্তান আর মায়ের ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তোলার কত উপায় আছে। যে আসলেই শিল্পী সে যেকোনভাবেই সেই ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তুলতে পারে। পর্দার ভেতরে রেখেও ফুটিয়ে তুলতে পারে। তার জন্য মাকে উলঙ্গ করার কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু সমস্যা হলো যুগটাই যে উলঙ্গতার। মন্তব্যের জোয়ারে ভাসার জন্য উলঙ্গতা প্রয়োজন।

ভালো থাকো আপুমনি সবাইকে নিয়ে। তোমার লেখা তুমি লিখে যাবে। কারো ফালতু কথায় কান দেয়ার দরকার নাই। লেজকাটা শেয়ালেরা এমন কত কথাই বলে। সেগুলো কানে তুলতে নেই।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমারও কথা সেটাই। কিন্তু আর্ট শিল্পীরা এসব ছবি এঁকেই বেশী সম্মান কুঁড়ায় । আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন।

কানে তুলি না বলেই লিখে যাই আপি। দোয়া রাখবেন। সত্য পথে যেন প্রতিবাদ করতে পারি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন
ভালোবাসা নিন

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম, বইমেলায় দেখলাম মারজুক রাসেল এর সস্তা অশ্লীল কবিতা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে....
সালমান মুক্তাদিরের ব্যক্তিগত ছবির এলবাম সাহিত্য মনে করে কিনছে। এর থেকে বুঝা যায়, আজাইরা কাজে প্রজন্ম কতিটা আগ্রহী।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: রুদ্রাক্ষ নামে আরেকজন কবির বইও দেখলাম অনেক বিক্রি হইছে, সে কবির নাম জানেন? এত বাজে লেখা তার সর্বনাশ । পারলে একবার দেখে আসিয়েন। আর মানুষ কী করে এদের সাহস দেয় আরও এমন অশ্লীল কবিতা লিখার ছি ছি।

ধন্যবাদ ভাইয়া আবার আসার জন্য। নিরাপদ থাকুন। দোয়া রইলো

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: রুদ্রাক্ষ রায়হান?
উনার কবিতায়ও প্রচুর অশ্লীলতা আছে। সস্তা রূপকে এই অশ্লীলতা শুনতে বিশ্রী লাগে। তবে এটাও সত্য, তার কবিতার অশ্লীলতার ভেতরে কিছু অপ্রিয় সত্যও আছে। যা আশপাশে ঘটছে।

বর্তমান প্রজন্ম বা সমাজের ভালোতে আগ্রহ কম। তাই খারাপের আবরণে কেউ ভালো কিছু গিলাচ্ছে দেখলে আমার এপ্রিসিয়েট করতে ইচ্ছে করে।
রুদ্রাক্ষের বই পড়া হয়নি। তবে অনলাইনে অনেক কবিতা পড়েছি, অনলাইনে পড়া কবিতা থেকেই জাজমেন্ট দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। বই পড়লে বিস্তারিত বুঝা যাবে।

পড়ার ইচ্ছে আছে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তার কয়েকটা কবিতা পড়ে আমার কাছে ভালো লাগেনি। এভাবে সব কিছু প্রকাশ করা ঠিক না। যাই হোক অনেকেরই ভালো লাগে । লাগুক। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝদান দিন।

ধন্যবাদ আপনাকে আবার আসা রজন্য ভালো থাকুন

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: একটা কথা বলে রাখি আপা, সাহিত্য এবং পেইন্টিং এর প্রভাব আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। অত্যন্ত একশো বছর লাগবে। তখন মানুষের সাহিত্য পড়ার মতো মানুষিক অবস্থায় থাকবেনা। এমনকি পেইন্টিং দেখার মতো মন। তখন মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাবে। ডিভাইস নির্ভর। মানুষ ব্যতিক্রম কিছু খুঁজবে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম কমে যাক এসব অশ্লীলতা দেখলে মন খারাপ লাগে। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝদান দিন। আমিন
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনেক অনেক ভালো থাকুন

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়লাম। আপনার লেখার সাথে দ্বিমত করার কিছু নেই। যখন মানুষকে, বিশেষ করে মেয়েদেরকে গেলানো হয় 'নাথিং টু হাইড', তখন লজ্জা শরমতো ইস্ত্রি করে কাবার্ডে উঠবেই। পাশাপাশি প্রগতির নামে অনেক মহিলাও এতে তাল দিতে থাকে, তখন আর কিছুই বলার থাকে না।

২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য । আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দিন। সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন
জাজাকাল্লাহ খাইরান

১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আর সচেতনতার কথা বলি না। সবাই এখন সব জানে মোটামুটি। মানলে মানবে না মানলে নাই।

২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই রাজীব ভাইয়া, সবাই জানে কিন্তু মানে কয়জন। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝদান দিন

১৫| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি কাজী ফাতেমা ছবি, যেমন লিখি তেমনই লিখবো" - জ্বী, আপনি তেমনই লিখে যান। কে পড়লো বা না পড়লো, কে কী বললো বা না বললো, তা নিয়ে অতটা ভাবার প্রয়োজন নেই।
পোস্টে প্লাস + +।

১৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার মন্তব্য এত পড়ে দেখলাম

জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.