নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
#চিঠি_২
#অপেক্ষা_দাও_উপেক্ষা_নয়
হাই মেঘ,
হাউ আর ইউ, আম' ফাইন... আজ তো বলে দিতে হবে না কিংবা মন দুয়ারের কড়া নাড়তে হবে না যে ডাকবাক্সের নিকট যাও... তালা খুলে দেখো, চিঠি এসেছে। আমার মনে হয় কি জানো, চিঠি পেয়ে তুমি খুবই মুগ্ধ। ভাবছো আর গায়ে চিমটি কেটে দেখছো স্বপ্ন কি না!! হা হা হা... আর তোমার দিনটিও হয়ত খুব মুগ্ধতায় কেটেছে মনের মাঝে উচ্ছ্বল ঢেউ এসে বারে বারে তোমার কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দিয়েছে!
দেখেছো চিঠির যাদু মন্তর। আর শুনো, আমি কিন্তু চিঠিতে কি লিখতে হয় জানি না.. সেই ছোটবেলায় চিঠি লিখেছিলাম.. এইট, নাইন আর টেনে পড়তে.... অহহ কি ভাবছো হা হা হা নিশ্চয়ই ভাবছো প্রেম পত্তর হা হা... আচ্ছা জিনিসটা পজেটিভ ভাবতে পারো না! আজিব মন মানুষের প্রথমেই নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা। নারে বাবা... চিঠি দিয়েছি তবে.....
নেগেটিভ ভাবনা দূর করে দাও মন থেকে..... আচ্ছা বিশ্বাস হচ্ছে না! আরে আমার আব্বাজান ছিলেন কুয়েত এবং তারপর ছিলেন কাতার। তখন চিঠি লিখতাম বাবাকে কিন্তু তখন চিঠির কিভাবে কেমন করে সাজাতে হয় তাতো জানতামই না। অথচ বাবা লিখতেন আট থেকে দশ পৃষ্ঠা তাও হাতে লিখতেন আর আমি যখন উত্তর দিতাম তখন দেখা যেতো মাত্র আধা পৃষ্ঠা লেখায় ভরেছে হাহাহাহ। এ নিয়ে বাবার কত দুঃখ ছিল আর রাগও করতেন বেশ।
তার পরের বার চিঠি লিখতে বসলে মনে পড়তো আব্বার কথা এবং চিঠির কথা কম হওয়ার কথা। অনেক ভেবে চিন্তে কত কিছু লিখতাম আবোল তাবোল .....সারা গ্রামের খবর লিখতাম, দেশের কথা লিখতাম আর ছিল হাজারো বায়না । আব্বা এটা আনবেন সেটা আনবেন। আপনি যখন আসবেন তখন আমরা এয়ারপোর্টে যাবো ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ দেখো এখন লিখে যাচ্ছি অবিরত। কত কথা কত ভাষা, কত শব্দের বুনন আর কতো মধুমিশ্রিত বাক্যের সমাহার, চিঠির পাতায় রংধনু রঙে আঁকা স্বপ্ন কিন্তু সবই কোন বায়না ছাড়াই... কিছুই না চাওয়ার অভিলাষে ভরা কিন্তু লিখতে গিয়ে লেখা শেষ হয় না যেনো আরো কত কথা যে বাকি রয়ে গেলো আহারে....এখন ভাবলেই কষ্ট লাগে ..আগে কেনো এত ভাষা মনে ছিলো না। তখন আব্বাকে এমন করে অনেক পাতা চিঠি লিখলে আব্বা কত খুশি হতেন । আচ্ছা যাক সময়ের সাথে মনের পরিবর্তন হবেই তাই না মেঘ। এই, ছড়া শুনবা?
চিঠি লিখি চিঠি লিখি
লিখি মনের কথা
চিঠির সাথে বাঁধা আছে
এক বন্ধনের সূতা।
শুনো গো মেঘ চিঠি পড়ো
নিরব একা বসে
চিঠির পাতায় যেয়ো তুমি
আমার মনটি চষে।
কত কথা কত ভাষা
চিঠির পাতায় হাসে
চিঠির ভাষা মাতবে তোমার
দুঃখ সর্বনাশে।
ভালবাসায় স্বপ্ন আঁকা
হারাবে গো ঘোরে
কাছে আমি থাকব তবু
আছি বহুদূরে।
পাগলের মত হাসছো চিঠি পড়ে। মনে মনে ভাবছো কি পাগলীর পাল্লায় পড়লাম রে বাবা। এযে দেখছি চিঠির হেডমাস্টার। এত কথা পায় কোথায়? তাই তো ভাবছো। আরে বাবা সব তো তোমার কাছ থেকেই পাই। সেই অনুপ্রেরণা .....ভালোবাসা। ভালোবাসবে যদ্দিন চিঠি পাবে তদ্দিন। ভালোবাসা হারালো চিঠির কথাও ফুরালো হাহাহাহ এমনই হবে জেনে রেখো। তো কি করবা এখন ভালোবাসবা না মুখ ফিরিয়ে চলে যাবা কোন সে অচিনপুরে।
আচ্ছা ভালবাসা মানে কি? বুকের বামে যার কথা শুনলে ধুকপুকানি উঠে বা অস্থির লাগে সেটা কি? হৃদয় কম্পমান হয় যাকে ভাবলে সেকি ভালোবাসা। বুঝি না বাপু ভালোবাসার মানে। তবে ভালোবাসার কথা ভাবতে ভালো লাগে। কেমন যেনো একটা অনুভূতি জাগে। তবে সে অনুভূতি কোনো অশুদ্ধতা নয় বা কাছে পাবার জন্য ব্যাকুলতাও নয়।
ভালোবাসার মানে আমার কাছে এমন লাগে ধরো তুমি দূরে তবু্ও তোমাকে মনের কাছে পাই অথবা তোমার কথা ভাবলে কর্মস্পৃহা বাড়ে কিংবা মুহুর্তটা কেমন জানি ঘোরে কেটে যায়। ভালো লাগে তখন সবই ভালো লাগে... ঠোঁটে হাসি থাকে কোন কারণ ছাড়াই, মনে আনন্দ লাগে ।
ভালো লাগে ভাবতে খুবই ভালো লাগে। কি জানি এসব কি। ভালোবাসাতো আর খারাপ জিনিস না। তবে তুমি জানো কি আমি মানুষ খুব ভালোবাসি, মানুষের কথা ভাবতে ভালোবাসি। রাস্তায় যখন হাঁটি তখন জানো কি করি আমি মানুষ দেখি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। তাদের মুখের ভাষা পড়তে চেষ্টা করি। কত করুণ মুখ দেখেছি আর কত সুখি মুখ দেখেছি আর কত মুগ্ধতার মুখ দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। আমি তাই মানুষ ভালবাসি। মানুষ আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির সেরা জীব তাই আমি মানুষ খুব ভালবাসি আর তোমাকেও হাহাহাহ অই যে ৯৯% মিছা কথার মধ্যে এটাও একটা হাহাহাহাহাহা
ভালোবাসি ভালোবাসি
মিছা বাসি সত্য বাসি
কানামাছি কানামাছি
ভালোবাসি ভালোবাসি।
লুকোচুরি মনের খেলা
ভাল লাগে ভালোবাসি
ভালোবাসার উবর ক্ষেতে
আমি হলাম প্রেমের চাষি।
অনুভবে ভালাওবাসা
ছুঁয়ে গেলো চোখের পাতা
ঘুমের ঘোরে খুলে বসি
প্রেম নামক এক কাব্যের খাতা।
চোখে বাসা ভালোবাসা
মুগ্ধ প্রহর কতো আশা
দুঃখ কষ্টের সবনাশা
মনে বাসা ভালবাসা।
মেঘ তুমি কি জানো আমি আকাশও বড্ড ভালোবাসি, আকাশের বিশালতা অনুভব করি মনের বিশালতায়। জানো আকাশ দেখলে সাহসী হওয়া যায়। আর সমুদ্র ...... কিন্তু সমুদ্র আমি দেখিনি এখনো। শুনেছি সমুদ্রের কিনারায় দাঁড়ালে নাকি মানুষের বুকে সাহস বাড়ে। ভালোবাসা বাড়ে। কত শখ আমার সমুদ্র দেখবো সূর্যাস্ত দেখব... আঁচল ভরে কুঁড়াবো শামুক ঝিনুক আর শঙ্খ... ছোট ছোট সুখ নুড়ি নাকি সেখানে পাওয়া যায়। ভালোবাসার চুরাবালিও নাকি সেখানে আছে? সে কে জানে আমি তো সমুদ্র দেখিনি কখনো। সমুদ্রের বজ্র নিনাদ শুনিনি কানে কখনো। এর নীল জলে নিজেকে ভিজাতে পারিনি কখনো... শাড়ির আঁচল উড়াতে পারিনি কখনো ......তুমিই বলো মেঘ কতটা ব্যথর্তা লুকিয়ে আছে মনে। শুনেছি শঙ্খে কান লাগালে নাকি সমুদ্রের গজর্ন শুনা যায়।
এই মেঘ তুমি আমাকে একটা শঙ্খ গিফট করবে...কাগজে মুড়িয়ে সাদা একটা ইয়া বড় শঙ্খ আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়ো....... আমার খুব শখ শঙ্খ ছুঁয়ে দেখবো এবং কানে লাগিয়ে সমুদ্রের গর্জনন শুনবো। হাহাহাহাহাহ সরি .... এমনি বলেছি পাঠাতে হবে না এর চেয়ে ভালোবাসা পাঠিয়ে দিয়ো গোলাপী খামে ভরে বুঝছো বদের বদ।
তুমি নাকি বদের হাড্ডি
হাত পা ঝাড়া বদের বদ
ভিতর তোমার সাগর নদী
বদের হাজার শত হ্রদ!
বদামি আজ ছুটামো গো
চিনছো নাতো আমি কে
দুষ্টু বড্ড আমিও কিন্তু
বদের উপর খুব বদ যে।
মেঘ, তুমি কারো জন্য অপেক্ষা করো, অপেক্ষা করতে কেমন লাগে? অপেক্ষার পর প্রাপ্তি তখন কেমন লাগে... আমার ত মাঝে মাঝে অপেক্ষা ভাল লাগে... কিন্তু যে পরিবেশে আছি এখানে অপেক্ষার শেষ নেই, নেই কোন প্রাপ্তি, শুধুই ধুসর শূন্যতা। জেরি বলে মা, মা কখনো প্রত্যাশা মনে রাখবা না তাহলে আর কষ্ট পাবা না। এমন বললেই কি হয়,,, কিছু পেতে অপেক্ষা তো মন থেকেই আসে এবং মন তো তখন ভেঙ্গে যাবেই... সেখানে আমার কিছু করার থাকে না। তুমিও যে আমাকে অপেক্ষায় রাখবে সে বুঝতে পারি... তবে প্রত্যাশা থাকবেই, সে ছাড়ছি নে বাপু।
বাপ্রে এত লম্বা চিঠি দৌঁড়ান দিবা নাতো... আজ তবে আসি বটে.... তুমি আমার পর নও মোটে, ভাল থেকো সুখে থেকো, মাঝে মাঝে মনে আমার ছবি এঁকো-চিঠির শেষে রোদ্দুর।
পুনশ্চঃ উত্তর দিয়ো, খবর নিয়ো... পারলে দিয়ো অনেক অপেক্ষা, তবে কিন্তু নয় উপেক্ষা, অকে-বাই, আল্লাহ হাফেজ!
৯/১২/২০১৬
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহ খাইরান সাগর
ভালো থাকুন ইনশাআল্লাহ আরও পর্ব আছে দেবো
আশা করি সাথেই থাকবেন।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: গদ্যে পদ্যে মাখামাখি। মন ভরে গেল।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি উত্তর দেবেন.... কেউ!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ও আফা এই বুড়াবেটিরে কেটায় উত্তর দিবো হাহাহাহাাহ
লেখা একটা নেশা,
নেশায় লেখা, উত্তর পাওয়ার আশায় লিখি নাই
২০১৬ সালে লিখেছিলাম আপা
জাজাকাল্লাহ খাইরান আপি
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
আপনিতো দেখছি চিঠি লেখালেখির প্রিন্সিপাল ।
মাঝখানের কথা গুলো এতই ভালো লেগেছে , আমার
ধারণা আপনি কল্প লিখলেও অসাধারণ গল্প লেখা হবে।
মেঘ তুমি কি জানো আমি আকাশও বড্ড ভালোবাসি, আকাশের বিশালতা অনুভব করি মনের বিশালতায়। জানো আকাশ দেখলে সাহসী হওয়া যায়। আর সমুদ্র ...... কিন্তু সমুদ্র আমি দেখিনি এখনো। শুনেছি সমুদ্রের কিনারায় দাঁড়ালে নাকি মানুষের বুকে সাহস বাড়ে। ভালোবাসা বাড়ে। কত শখ আমার সমুদ্র দেখবো সূর্যাস্ত দেখব... আঁচল ভরে কুঁড়াবো শামুক ঝিনুক আর শঙ্খ... ছোট ছোট সুখ নুড়ি নাকি সেখানে পাওয়া যায়। ভালোবাসার চুরাবালিও নাকি সেখানে আছে? ---
এক কথায় অসাধারণ , অনেক ভালো লাগলো ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা আপি এই একটা জিনিস পারি না গল্প লিখতে। ধারাবাহিক বর্ণনা হয়ে যায় গল্প লিখলে । এত সুন্দর মন্তব্য মন কাড়া মন্তব্য অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
ভালো থাকুন পাশেই থাকুন
অজস্র ভালোবাসা রইলো
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আহা ! এত ভালোবাসার চিঠি যাকে উদ্দেশ্য করে সে আজ কেমন আছে?? - বড় জানতে ইচ্ছে করে !!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জানি নাতো... এসব এমনি লিখতাম কাউকে উদ্দেশ্য করে না। কাল্পনিক এবং সিজনাল হাহাহা
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ভালো থাকুন
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম লেখা I
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
অনেক ভালো থাকুন
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: কাকতালীয়ভাবে গতকাল রাতে আমার আলমারির ড্রয়ার থেকে পুরোনো নথিপত্র বের করতে গিয়ে একটা বড় প্যাকেট বের হলো। উপরে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরের তারিখ দেয়া। ওই সময় সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে হলে উঠেছি। আমার জন্মদিনে আমি চিটাগাংয়ে ছিলাম আর আমার হলে থাকা বন্ধুরা আমাকে সবাই মিলে চিঠি লিখেছে। এর মধ্যে দুজন আবার আমার ছোটবেলার বন্ধু, তারা তাদের কাছে লেখা আমার একগাদা চিঠি ফটোকপি করে দিয়েছে....... কালরাতে ওগুলো দেখতে দেখতে মনটাই আদ্র হয়ে উঠলো।
সেইসব সময় কি আর আছে স্যার? আহা, আজকের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা জানবেই না একেকটা চিঠি কি পরিমাণ ভালোলাগা বয়ে আনতো হলুদ একটা খামে ভরে! সে সব চিঠি না পড়ে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, পড়লেই তো সব শেষ! তারপর একবার পড়ার পর আবার পড়া, আবার পড়া....
মুঠোফোন আর ক্ষুদেবার্তার দাপটে কলম-কাগজের মিতালি করার সুযোগ হয় না এখন আর।
আপনার মেঘের চিঠিদুটোই সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর হ্যাঁ, পাগলের মত হেসেছিও খানিকটা। বিপুল ভালোলাগা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রথমেই জাজাকাল্লাহ খাইরান। আমিও মেলা চিঠি পেয়েছিলাম, ইশ কেনো যে জমিয়ে রাখলাম না। চাকুরীর আগে সব ড্রয়ারে তালা মারা ছিলো, চাকুরী হওয়ার সুবাদে ঢাকা আসাতে সেদিন সব ছিড়ে ছুড়ে ফেলে দিছি আফসোস। হাহাহা সে সব চিঠির কথা মনে হইলে বিরাট হাসি পায়। গ্রাইম্যা মুর্খ পোলাও দুই লাইন লিখ্যা চিঠি পৌছাইয়া দিছে...। সেই কথাগুলো আজও মনে আছে,
ছবি, আই লাভ ইউ, তোমারে জোরে ফারি বলে ফারি বিয়া করমুই হাহাহাহা...। হাতের লেখা যা ছিলো । একবার আমাদের প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টারের ছেলে কাছ থাইকা চিঠি পাইছিলাম চাইর পাতা, সে আমারে ফুফু ডাকতো, সেদিন মনটা এত খারাপ হইছিলো, তার মুখ দেখতে ইচ্ছে হইছিলো না। আল্লাহর রহমতে সে বছরই চাকুরী হইছে আহা আমি এসব কু স্মৃতি ভুলে ঢাকা শহরে এসেছি।
হুম আজকের ছেলেমেয়ে না জানে গ্রাম্য খেলা সম্পর্কে, রাত জেগে কেরাম লুডু, দাবা তাস খেলা এরা এর কিছুই বুঝে না জানে না।
আসলে আমার সময়টা খুবই ভালো কেটেছে গ্রামে । আমরা ছোট বেলা থেকেই কারেন্ট পেয়েছি। তাই সারারাত চলতো আমাদের খেলাধুলা আনন্দ, আর চাচাতো ভাইবোন সহ আমরা অনেক ভাইবোন ছিলাম। কিন্তু এখন কেউই নাই বাড়ীতে। বাড়ীতে গেলে একদম ফাকা লাগে।
আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত পদ্ম। জাজাকাল্লাহ খাইরান । ভালো থাকুন। বাকী চিঠিগুলোর সঙ্গে থাকবেন আশা করি ।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: রোদ্দুরের চিঠিটাতো রোদ্দুরের চাইতে বড়। আবার এই গরমে মেঘের গায়ে কি লম্বা কোট! চিঠির হার্টের মাঝে বড় একটা ফুটা। ভালোবাসা বড় একচোখা নাকি? পতাকার নিচে একটা লেবেনচুষ। লেবেনচুষে আরেকটু রঙ লাগাতে হবে।
দুলাভাইরে দু-একটা পাঠাইছেন? নাকি অক্ষনও না?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা আমি যা লিখি কেবল বড় হয়ে যায়, বাক্য ছোট করতে পারি না তাই অকাব্যও বড় হয়। এ নিয়ে সবাই বলে টেনে টেনে লম্বা করি কেনো। কিন্তু লিখতে গেলে লম্বা হয়ে যায় আমার কীতা দোষ কন । ভালোবাসাটা এক চোখাই দেখেন না উত্তর নাই চিঠির
লেবেনচুষ তো বড় করতেই হবে এত ছোটটা ভাগ করা যাবে না।
দুলাভাই ইতা চিঠি পছন্দ করতো না , তাই পাঠাইতাম না সেটা আকাশের মেঘের জন্যই থাক
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: কেমন যেন এক ঘোরের মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে গেলাম।
দারুণ লেগেছে।
মেঘ আপনাকে শঙ্খ দিবে কিভাবে, ওর কাছে কি কুরিয়ার আছে ?
আপনার জন্য একটা নিয়ে এলাম
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ওর কিছুই নাই নি:স্ব । উত্তরই দেয় না আবার শঙ্খ
উফ কি সুন্দর শঙ্খটা, এর চেয়ে বড় একটা শঙ্খ আব্বার ছিলো। আব্বার স্যার উপহার দিয়েছিলেন। ফু দিলে বাজতো এখনো আছে বাড়ীতে
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন অনেক অনেক
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজিব ভাইয়া
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: কি ঘটনা!!!!! আপনি আমার মন্তব্যর উত্তর না দিয়ে পরের মন্তব্যে চলে গেলেন যে?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা সকালে কাজের ঝালেমায় ছিলাম তাই ছোট মন্তব্যের উত্তর দিছি, এই মাত্র লাঞ্চ করে বাসা থেকে আসলাম। এখন ধুমাইয়া মন্তব্য করবাম,
সরি ফর দেট, মনে কিছু করবেন না প্লিজ । আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরও আমাকে তেমনভাবেই দিতে হবে। পড়ে এত অনুপ্রেরণা পেয়েছি শুধু ধন্যবাদ দিয়ে ছেড়ে দিলে ভালো লাগবে না তাই
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন:
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা খুব চিঠি লিখতাম, একটা আর্ট ছিলো সে সময়। সে স্মৃতি এবং আপনার চিঠিতে অনুপ্রাণিত হয়ে গতকাল মিউনিখে থাকা আমার এক বন্ধুকে চিঠি লিখে ফেললাম!!! যদিও পাঠিয়েছি ইমেইলেই, তবুও একটু চিঠিতো চিঠিই।
তোমারে জোরে ফারি বলে ফারি বিয়া করমুই হাহাহাহা...।
মানে কি এর? বুঝি নাইক্যা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সেই চিঠিটি পোস্ট করা যদি যায় করবেন আমরাও পড়বো, নইলে এমনিতেই চিঠি লিখবেন আমার মত। অথবা চিঠির উত্তর লিখতে পারেন ।
তোমাকে জোরে হলেও বিয়ে করবো
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওই চিঠিতো দেয়া যাবে না ম্যাডাম, নিতান্তই ব্যক্তিগত। কিন্তু ভাবছি আপনার মত লিখতে শুরু করবো...
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আচ্ছা, আলহামদুলিল্লাহ শুনে খুশি হলাম। ইনশাআল্লাহ পড়তে পারবো, আপনার ভাষাশৈলী শব্দচয়ন মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। অপেক্ষায় রইলাম
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: গদ্য-পদ্য নিয়ে চমৎকার পোস্ট।
জেরির বক্তব্যটি ভালো লাগছে। প্রত্যাশা মনে রাখলে কষ্টও মনে থাকে।
জেরি আপনার সন্তান?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আসলেই প্রত্যাশা রাখলে কষ্ট পেতে হয় সেটা বুঝেও প্রত্যাশা রাখি। জি
জেরী মানে তামীম আমার ছোটো ছেলে, এটা বলেছে যখন তখন সে টু এ পড়ে । এখন সে ক্লাস সিক্সে পড়ে। আর বড় ছেলে তাসীন, দুই ভাইকে মজা করে টম জেরী বলতাম তখন।
ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
এমন চিঠি পড়তে পাড়া সৌভাগ্যের ব্যাপার ,এই জীবনে কখনো এরকম করে লিখতে পারবো না।
চমৎকার করে লিখেছেন আপনি অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
অনেক ভালোথাকুন
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন, আপনি কি কবি ফররুখ আহমেদের ”মেঘ-বৃষ্টি-আলোর দেশে” পড়েছেন?
কবিতা খুবই ভালো হয়েছে +++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়ে ফেললাম পদ্ম পুকুর দেয়াতে
অনেক জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাইয়া
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: মেঘ-বৃষ্টি-আলোর দেশে/ সুরুজ ওঠে রাঙা বেশে,
পথের পাশে পদ্ম ফোটে,/ মৌমাছিরা আপনি জোটে।
মেঘ-বৃষ্টি-আলোর দেশে/ মনটা শুধু বেড়ায় হেসে,
শালিক ডাকে সজনে গাছে/ ঝিঙে মাচায় ফিঙে নাচে।
মেঘ-বৃষ্টি-আলোর দেশে/ বাদল ধনু হাওয়ায় মেশে
রোদ্দুরে রঙ ঝিলিক দিয়ে/ হঠাৎ কোথায় যায় মিলিয়ে।
মেঘ-বৃষ্টি-আলার দেশে/ পলাশ ফোটে বনের কেশে,
শিমুল পারুল চম্পা ডাকে/ কর্ণফুলি নদীর বাঁকে।
মেঘ-বৃষ্টি-আলোর দেশে/ দুরের মানুষ দাঁড়ায়এসে,
আম কাঠালের ছায়ায় ঘেরা/ পায় যে কুটির মায়ায় ঘেরা।
মেঘ-বৃষ্টি-আলোর দেশে/ সন্ধ্যা নামে দিনের শেষে।
কিসসা কথা সাজ আসরে/ শুনি সকল ঘরে ঘরে।
আমি মাদরাসায় পড়াশুনা করেছি, এই ছড়াটা সম্ভবত ক্লাস থ্রি বা ফোরে পাঠ্য ছিলো। @ ঠাকুরমাহমুদ স্যার
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা সেই দিনগুলো কত সুন্দর সুন্দর কবিতা ছড়া ছিলো
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই পদ্ম
ভালো থাকুন
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই পদ্ম পুকুর, এক সময় চাকরি করেছি আমারও স্যার ছিলো, আমিও কারো কারো স্যার ছিলাম। এখন আমি সবার ভাই। আপনার কবিতার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম আমিও একদা টিচার ছিলাম এখন কখনো বুবু কখনো আন্টি হয়ে গেছি ভাইয়া
থ্যাংকস
২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাই পদ্ম পুকুর, এক সময় চাকরি করেছি আমারও স্যার ছিলো, আমিও কারো কারো স্যার ছিলাম। এখন আমি সবার ভাই। আপনার কবিতার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ওখেই, আপনি আমার ভাই
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্লগে আমরা ভাই বোন সবাই
তবে কিছু অযাচিত প্রেমিক প্রেমিকা আছে, অদৃশ্য অথচ দৃশ্যত
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
সাগর শরীফ বলেছেন: এতো সুন্দর লেখাকে উপেক্ষা কি করে করব? না, আমি উপেক্ষা করিনি। পড়েছি। আর অপেক্ষা নিলাম, আরও আরও পড়বার।
অসম্ভব সুন্দর!! ভাললাগা +++++