নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
০১। বেগুনি বুনোফুলের পাপড়িতে ঝুলে আছে শিশির
শুনতে কী পাও তুমি শিশিরের শব্দ!
বিশ বছর ধরে কুয়াশায় ঢাকা পথে হাঁটিনি । বিশ বছর হয়ে গেলো এই ঢাকা শহরে। এখানে শিশিরের দেখা পাওয়া যায় না। এখানে রাস্তা ঘাট অলিগলিতে শিশিরের স্নিগ্ধতা নেই। হাঁটতে গেলে পা ভিজে যায় না। এখানে হাঁটার পথ জুড়ে বিতৃষ্ণায় ছাওয়া। থুথু কাশি ফুটপাত আর রাজপথে। পড়াশুনার সময় যখন প্রাইভেট পড়তে যেতাম সকালে, কী ভয়ংকর কুয়াশার মোড়া পথগুলো ছিলো। একটু দূরে গেলেই আর কিছু দেখা যায় না। আমাদের বাড়ী থেকে তিন চার কিলো দূরে স্কুলও কলেজও। হাই স্কুলের শুরুতে খোয়াই নদীতে ব্রিজ ছিলো না।
আহা সেই দিনগুলো মনে পড়ে যায় আজ। শুকনো মৌসুমে নৌকা চলতো রশি টেনে টেনে। মানে নদীর এ মাথা ও মাথা পর্যন্ত একটা রশি বাঁধা থাকতো। সকালে মাঝি থাকতো না। তখন আমরা বান্ধবীরা মিলে টেনে টেনে নদী পার হতাম। কুয়াশা মাখা দিনগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। আমি যখন পড়াশুনায় ছিলাম তখন এখনকার মত রাস্তাঘাট পাকা ছিলো না। আর রিক্সায় ভাড়া বেশী নিতো বলে তেমন একটা রিক্সায় যেতাম না। মাঝ বন্দ (ধান কাটার পর ধুধু মাঠকে বুঝায়) বরাবর হেঁটে হেঁটে স্কুলেও গিয়েছি। এমনকি কলেজেও এমন করেই গিয়েছি। যাওয়ার বেলা স্কুল ড্রেস ভিজে যেতো শিশিরের ছোঁয়ায়।
আসল কথা হইলো গিয়া শীতের সময় বাড়ী যাওয়া হয় না দুই বছর ধরে। চুনারুঘাট গেছিলাম অক্টোবরে তখনো তেমন কুয়াশা ছিলো না। নভেম্বর এ গেলাম শ্বশুর বাড়ী। মাত্র চার দিন থেকেছিলাম। যদিও আট দিন থাকার কথা ছিলো। পারিবারিক সমস্যার কারণে চলে এসেছি। ছবি তুলবো তুলবো বলে শিশিরের ছবি আর তেমন তোলা হয়নি। এক দুই দিন মাত্র ঘুম থেকে উঠটে পেরেছি। ব্যায়মিন্টন খেলেছি রাত বারোটা পর্যন্ত। উঠানে রাখা চেয়ার কিছু সময় না বসলেই দেখতাম ভিজে গেছে। কয়েকটা ছবি শিশিরের তুলে এনেছি স্নিগ্ধতা বিলাবো বলে।
২। কচুপাতায় শিশির জল
৩। কচুরিপানায় শিশির
৪। সুপারি পাতায় শিশির বিন্দু
০৫। কচুরিপানায় শিশির বিন্দু
০৬। ঘাস কলাইয়ে শিশির
০৭। সুপারি পাতায় শিশির
০৮। ঘাস কলাই পাতায় শিশির
০৯। বুনোফুলে শিশির বিন্দু
১০। কী পাতা যেন!
১১। সুপারি পাতায় শিশির বিন্দু
১২। কচু পাতায় শিশির বিন্দু
১৩। ঘাসে শিশির বিন্দু
১৪। কী গাছ চিনি না
১৫। মরা গাছের ভিতরে শিশির ভেজা সবুজ বুনোপাতা আর একটি সকাল
১৬। ঘাসে শিশির বিন্দু
১৭। ফার্ণ
১৮। মরা গাছে গোড়ায় শিশির বিন্দু
১৯। হংস্পদী গাছের পাতায় পাতায় শিশির বিন্দু
২০। শিশির ভেজা শিয়াল্মুখি ফুল
এই যে শীতের শিশির, তুই তো সই ছিলি নিশির।
একা একা ঝরে ঝরে, ঝরে পড়লি থরে থরে।
তোরা তো ভোরে ঝুলে থাকিস, লতা পাতায় মুক্তো আঁকিস।
কী মুগ্ধতা ছড়িয়ে, হাওয়া এলেই পড়িস ধুলায় গড়িয়ে।
রোদ্দুর এলেই কী মনোলোভা রূপ, রোদ্দুর আলো ঝলমলানি ঝাঁড়ঝোপ।
এই যে শীতের শিশির রাণী, তোকে ছুঁলেই স্নিগ্ধতার আবেশে সুখী মনখানি।
ঘাসের উপর,
বিন্দু বিন্দু মুক্তোর টুপর।
তোর বুকে পা রাখলেই ভিজিয়ে দিস পিরান,
তোর ছোঁয়া পেলেই মুগ্ধতায় জুড়ায় পরান।
তুই তো ঝরিস টুপটাপ, টিনের চালে চুপচাপ,
এই যে শিশির বিন্দু, ভোরের আলোয় তুই সুখ এনে দিস
মনে এক সিন্ধু।
তোদের ছোঁয়ায় মরে যায় ভোরের ধুলো বালি,
তোরা বুঝি ভোরবেলা হোস ঘাস পাতাদের মালি?
আঙ্গুল ডগায় শিশির নিলে, আহা আহা সুখ দিলে,
শিশির তোদের ভালোবাসি,
ভোর বেলাতে তোদের পেলে শান্তি মনে রাশি রাশি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা মোল্লা বেটা গোসল করে টুপি ভিজে না। ছোটোবেলা বলতাম আমরা।
জাজাকাল্লাহ খাইরান
অনেক ভালো থাকুন অনেক অনেক
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
শিশির বিন্দুকে নিয়ে এত চমৎকার একটি ছবি ব্লগ তাই
সরাসরি প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।
ছবিগুলো আমার খুবই পছন্দ হয়েছে , ধন্যবাদ আপা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুভ সকাল আপি
জাজাকিল্লাহ খাইরান
ভালো থাকুন অনেক অনেক
ফি আমানিল্লাহ
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪১
শোভন শামস বলেছেন: স্মৃতিতে শিশিরের শব্দ
নিঃশব্দের গান
সাথে কবিতার আবেশে
ভরে যায় প্রান।
প্রকৃতি আর শিশিরের কথা বহু দিন পর
ভুলেই গেছে অনেকে, ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য কৃতজ্ঞতা জানবেন
জাজাকাল্লাহ খাইরান। ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব সময়ের মতই সুন্দর সব ছবি!
ভালোলাগা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
অনেক ভালো থাকুন
ফি আমানিল্লাহ
শুভ সকাল
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৮
আকন বিডি বলেছেন: আমি হিংসায় জ্বলেপুড়ে শেষ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহাহা হাহাহা ভাইয়া পানি নিয়া আসতেছি , শীতের দিন খবর আছে কিন্তু।
আর আপনাকে ফটো তোলা শিখামু কিন্তু
জাজাকাল্লাহ খাইরান
ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সারাদেশে আমি রাতভর শুনতে পাই সেলাই-মেশিনের শব্দ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা...। দেশেই তো থাকেন না । আপনার কানের এত পাওয়ার বাপরে বাপ
নাকি বাসায় ভাবী সেলাই মেশিন চালায় তা শুনেই কান ঝালাপালা
ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন শিশিরের মত
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩২
ওমেরা বলেছেন: ছবি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে , কবিতাও খারাপ হয়নি ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান আপি। ভালোবাসা রইলো
ফি আমানিল্লাহ
স্বপরিবারে ভালো ও নিরাপদ থাকুন
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: শিশিরের ছবিগুলো দারুণ হয়েছে। আমার কাছে ১০ নম্বরটা বেশী ভালো লাগছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ভালো থাকুন
ফি আমানিল্লাহ
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ৬, ১০ ও ১৪ ভালো হয়েছে।
কয়েকটি ছবির ফোকাস এবং ফ্রেমিং আরো একটু ভালো হতে পারতো।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিছু ছবিতে মনোযোগী হতে পারিনি। ঘাসের উপর বসলে কাপড় ভিজে যাবে আর যদি জোঁক থাকে এই ডরে
ছবি ভালো আসেনি।
ধন্যবাদ মরু ভাই
ভালো থাকুন
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর, নয়ন জুড়ানো। ইচ্ছে হচ্ছে এখনই একটু স্পর্শ করে দেখি!
আপনার কবিতাটাও চমৎকার হয়েছে। কবিতা ছবিতা সব মিলে খুবই একটা উপভোগ্য পোস্ট লিখেছেন।
তবে, শিরোনামে 'কী' শব্দটাকে 'কি' করে দেবেন, কারণ দুটোর অর্থ ভিন্ন।
পোস্টে পঞ্চম ভাল লাগা + +।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া। গ্রামে শীতের পরিবেশ আসলেই অনেক উপভোগ্য। ঠিক করে নিয়েছি। কৃতজ্ঞতা
ভালো থাকুন স্বপরিবারে ফি আমানিল্লাহ
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো চেষ্টা চালিয়েছেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাইয়া
ভালো থাকুন
ফি আমানিল্লাহ
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মেয়ে মানুষের মন কচু পাতার উপর জল বিন্দুর মত
টলমলে । সুন্দর ছবি
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছুঁয়ে দিলেই আবেগ ঝরে পড়ে অভিমানে
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:২৬
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আহা শিশির--
জানি না আজ কোথায় আছে...
কত দিন যোগাযোগ নাই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বন্ধু না বান্ধবি?
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: তোদের ছোঁয়ায় মরে যায় ভোরের ধুলো বালি,
তোরা বুঝি ভোরবেলা হোস ঘাস পাতাদের মালি?
আঙ্গুল ডগায় শিশির নিলে, আহা আহা সুখ দিলে,
শিশির তোদের ভালোবাসি,
ভোর বেলাতে তোদের পেলে শান্তি মনে রাশি রাশি।
---অসাধারণ লেগেছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
ফি আমানিল্লাহ
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার যতসব ছবি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বাঙালী
ভালো থাকুন স্বপরিবারে
শুভেচ্ছা সতত
১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯
রবিন.হুড বলেছেন: প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে ব্লগারদের শিশিরে ভেজা ছবি দেখার সুযোগ করার ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান রবিনহুড
ভালো থাকুন স্বপরিবারে
ফি আমানিল্লাহ
১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১২
কল্পদ্রুম বলেছেন: সুন্দর ছবি সবগুলোই। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩০
সোহানী বলেছেন: তোমার লিখা মানেই দারুন কিছু।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আহা! শিশিরের কত রুপ। ধন্যবাদ আপনাকে চমতকার সব শিশির বিন্দুর সাথে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য। আর কচুপাতা কেন পানিতে ভিজেনা এ ভাবনা যে একসময় কত ভাবিয়েছে তা কচু পাতায় শিশির বিন্দু দেখে মনে পড়ে গেল।