নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
=আমাদের অতীত বেলার গল্প=
এখনকার বাচ্চারা মুঠোফোন নিয়ে পড়ে থাকে। আর অতি বাড়াবাড়ি পড়াশুনা। ওদের বিকেলগুলো হারিয়ে গেলো বন্দি থেকে থেকে। ওদের বিকেল আসে শুধু ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলার আসর নিয়ে, তাও এক চিলতে জায়গায়। আমাদের ছেলেরা আমাদের মত খোলামেলা জায়গা পায়নি। ওরা শহরের মানুষ। আমরা গাঁইয়া মানে গাঁয়ের মানুষ।
ওরা যখন মুঠোফোনে বিজি থাকে, তখন বলি অন্য কিছু কী করা যায় না। ওদের কাছে বসে বলি বাবারা তোদের কোনো গল্প নেই এবেলার । আমাদের অতীত আহা, আমাদের অতীত সুখ গল্পে ভরা আর তোদের জীবন যেন ডিজিটালের খরা।
মনে পড়ে যায় সেই মুহুর্তগুলো, সেই বর্ষার মৌসুম। স্কুল থেকে ভিজে ভিজে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে ঘরে ফেরা পা টিপে টিপে। পিচ্ছিল কাঁদায় আগাতে হতো সন্তর্পণে। কখনো ছাতা, কখনো মানকচুর পাতা মাথায়। আমাদের স্কুল ব্যাগ ছিলো না। পলিথিনে মুড়িয়ে বইখাতা বগল দাবা করে ফিরে আসতাম স্কুল থেকে।
এই বর্ষার দিন ধান তোলার মৌসুম চলতো। বাড়ী থেকে দূরে খালি জায়গায় বানানো হতো খলা, গোবর আর মাটি মিশিয়ে জায়গাটি লেপা। বাড়ীর ধান শুকানো হতো সেখানে। বাড়ী ফিরেই যদি দেখতাম বৃষ্টি আসে আসে, নেমে পড়তাম ঘরে শুকনো ধান তোলার কাজে। এই আনন্দ আসলে কী যে ভালো লাগার তা বুঝানো যাবে না। কার ধান কে তোলে ঘরে তা কেউই জানি না। মানে আমাদের তোলা শেষ হলে একযোগে চাচাদের ধান তোলা লেগে যেতাম। বৃষ্টির ফোঁটা পড়লেই খুশির ঝলক চোখে মুখে আমাদের। সবাই দৌঁড়াদৌঁড়ি, কারো মুখে কোনো বিষণ্ণতা নেই, নেই হিংসা। ধানের টুকরি কখনো ভরে দিতাম, কখনও ধান টেনে টেনে জমা করতাম উঠোনে, কখনও ধান ঝাড়ু দিয়ে একজায়গায় করতাম।
ঝুম বৃষ্টি যদি হতো ঠিক তখনি শুকনো উঠোনে ভিজার জন্য নেমে পড়তাম। হা করে বৃষ্টি গিলতাম। তারপর পুকুরে ঝাঁপ। ডুব দিয়ে শুনতাম বৃষ্টির শব্দ। আগে এত বজ্রপাত হতো না। সাঁতার কেটে হুই হুল্লোড়ে ঘন্টা খানেক পুকুরেই থাকতাম। অন্য কোনো দায়িত্ব মাথার উপর না থাকায় চিন্তাও তো ছিলো না। কেবল আম্মার হাতের বাড়া ভাত আহা, কী যে তৃপ্তির দিনগুলো আমাদের।
মধ্যরাত পর্যন্ত ধান সিদ্ধ হতো, ধান যখন সিদ্ধ হতো অন্য রকম ঘ্রাণ ছড়াতো। চুলার কাছে বসে বসে মাঝে মাঝে ধান ছিটিয়ে দিতাম ছাইয়ে আর খই ফুটে উঠতো, একটা একটা খই মুখে দিতাম কী যে মজা লাগতো।
বৃষ্টির দিনগুলো খুবই মজার হতো। দোয়া করতাম আল্লাহ বৃষ্টি কমাইয়ো না স্কুলে যাওয়ার বেলা। দেখা যেত ঠিক সময়মতো বৃষ্টি থেমে গেছে। কখনও যেতে হতো কখনও যেতাম না। যেদিন সারাদিন বৃষ্টি হতো। ভাইবোনেরা কিছু সময় ক্যারাম, কিছু সময় দাবা আর লুডু খেলতাম। আম্মা আমাদের জন্য চাল ভাজা করতেন। অথবা চিড়ে ভাজা কাঁচা মরিচ মাখিয়ে আনতেন। কখনও খিচুড়ি হতো। দুপুর পরেই কাথামুড়ি দিয়ে শুইতাম। কান পেতে শুনতাম টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ। বৃষ্টিদিনের আরও কত স্মৃতি জমানো বুক পিঞ্জরে, তা না হয় আরেকদিন বলবো ইনশাআল্লাহ।
আর আমাদের বাচ্চারা মুঠোফোন নিয়েই এখন ব্যস্ত। এখন মহামারীকাল। মুঠোফোন ছাড়া উপায়ও নেই। জুম ক্লাস, কোচিং, ফেসবুকে কলেজের গ্রুপের সাথে আড্ডা। কেমন করে যে তাদের সময় কেটে যায়। আগে একটু একটু আর্ট করতো ছোট ছেলে । এখন তার সে দিকে মন নেই একদম। মনটা খারাপ হয়ে যায়। বিকেলে শুধু সাইকেল চালায়। আর বড় ছেলে ছাদে কিছু সময় ক্রিকেট খেলে। বাকী সময়টা ওদের কাটে মুঠোফোনে। কবে যে খুলবে স্কুল কলেজ কবে আবার সচল হবে ওদের মন।
আমার মনে হয় পালাবদল করে করে ছাত্রদের স্কুল কলেজ খুলে দেয়া প্রয়োজন। এদের ছেলেবেলা এদের উড়ন্ত বেলা ওদের আনন্দটুকু সময় কেড়ে নিচ্ছে । সবই খোলা। আমরা অফিস করছি। যাচ্ছি আসতেছি। তবুও ভয় লাগে যদি বাচ্চাদের কিছু হয়। কিছুই তো আর ভাবা যাচ্ছে না।
০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি ভাইয়া আসে দিন বু্ড়াই । দুপুরে অফিসে খাই, সকালের যা থাকে নিয়ে আসি। ঠান্ডা ভাত তরকারী খেতে হয়।
আপনার খাওয়াটা মাশাআল্লাহ রুচিসম্মত।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন
২| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
রানার ব্লগ বলেছেন: ৮০ র বাচ্চারা যে সুজুগ পেয়েছে এখনকার কেউই এই সুজুগ পাবে না। তবে ওই সময় আমারও একটা ড্রনের সখ ছিলো যাতে লুকিয়ে গার্ল ফ্রেন্ড কে ফলো করা যায়। গার্লফ্রেন্ডের বাবা খুবি ত্যাঁদড় ছিলেন।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম সেটাই। ভাবারে ভাভা ড্রোনের মখ তাও পিচ্চিকালে। আমাদের সময় এত প্রেম টেম ছিলো না। আমরা বড় হয়েও সবার সাথে খেলেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন
৩| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আাদের প্রাইম মিনিষ্টার ও প্রেসিডেন্ট বাচ্চা ছিলেন না, এরা এই বয়সে জন্ম নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন; বাচ্চাদের কথা ভাবেন না, দেশের বচ্চারা কেন এভাবে অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছে, তা উনাদের মাথায় ঢোকে না।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী যে হবে আল্লাহ জানেন। রিস্ক নিতেই তো ভয় লাগে। যদি বাচ্চাদের কিছু হয়।
কিন্তু অস্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে মুক্তি চাই ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ।
৪| ০৩ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন, এখনকার মানুষ তথা বাচচাদের খেলার জন্য জায়গা নেই,মিলা-মিশার জন্য মানুষ তথা সামাজিকতা নেই,প্রকৃতিতেও সেই অঝোরধারার বৃষ্টি নেই এবং সর্বোপরী কারোর কোন খেলার সাথী নেই (ছেলে-মেয়ে উভয়ের খেলার সাথী এখন মোবাইল)।
এক মোবাইলেই মানব জীবন থেকে শৈশব-কৈশোর-সামজিকতা-খেলাধুলা-নীতি-নৈতিকতা-বই-বন্ধু সব কেড়ে নিয়ে সামাজিক জীব মানুষকে পুরোই অসামাজিক এবং ভয়ংকর অমানুষ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসাবে এক বিশাল মানবগোষ্ঠী গড়ে তুলছে।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। এখন বৃষ্টি হলেও ঠাডা পড়ে, বৃষ্টিতে ভিজার শখ গেছেগা।
মোবাইল ছাড়া ওদের আর কিছু নাই এখন। সব কিছু ইজি হওয়াতে আর এখন এই বন্দি জীবনে মোবাইল ছাড়া উপায় তো নেই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন
৫| ০৩ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
জুন বলেছেন: শুধু মাত্র ধানের ব্যাপারটা ছাড়া আর বাকি সবকিছুতে মিল পেলাম। স্কুলের মাঠে কতরকম খেলা, সেই বৌ চি, গোল্লাছুট, কানামাছি, কুমির কুমির। বৃষ্টিতে ভিজে পা টিপে টিপে বাসায় আসা, কারন কিছুটা পথ জমে যাওয়া সিমেন্টের বস্তা ফালানো ছিল, সেগুলোতে পানি পরলে আমাদের খবর হয়ে যেত। আর পুকুর থেকে যখন ঘন্টা খানেক ডুবিয়ে চোখ লাল করে উঠে আসতাম তখন গরম ভাতের সাথে আম্মার হাতে দুই একটা তালের পাখার ডাটির বাড়িও জুটতো কপালে।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো ছবি পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা আমাদের অতীত বেলা। কী যে সুন্দর ছিলো। আর একটা জিনিস খেয়াল করেছেন বৃষ্টিতে ভিজলেও কিন্তু আমাদের জ্বর জারি ঠান্ডা লাগতো না। আর এখনকার বাচ্চাদের এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়লেই ব্যস ঠান্ডা জ্বর হয়ে যায়।
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
৬| ০৩ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
জটিল ভাই বলেছেন:
উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা,
আমরা জেনেছি সেখানে রয়েছে জ্বীন, পরী, দেও, দানা।
পাতালপুরীর অজানা কাহিণী তোমরা শোনাও সবে,
মেরুতে মুরুতে জানা-পরিচয়, কেমন করিয়া হবে?
ছবি আভীর চমৎকার ছবি ও লিখনী
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম ...। কী সুন্দর কবিতা ছিলো এখন কি এগুলো পাঠ্যবইয়ে আছে না হারিয়ে গেছে কে জানে
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন
৭| ০৩ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী সুন্দর স্মৃতি !
০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। আরও কত স্মৃতি আছে ছোটবেলার ।
কী মধুর ছিলো আমাদের সময়গুলো
ভালো থাকুন
৮| ০৩ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নয়া পাঠক বলেছেন: আহ্! স্মৃতি আমার ছেলেবেলার সেই মধুর স্মৃতি! সব মনে পড়িয়ে দিলেন। তবে দারুণ লিখেছেন। অসাধারণ! ছাতা ছাড়া স্কুলে যাওয়া ফেরার পথে বৃষ্টি পাওয়া, তখন কি আর করা হয় কলাপাতা বা মানকচুর পাতা ছিড়ে নিয়ে হয়ে যেত অসাধারণ ছা্তা। আর খেলাধুলার কথা আর কি বলবো। সবতো আপনিই বলে দিয়েছেন। সাথে যোগ করেছেন জুন আপু!
আহা! মধুর স্মৃতি।
০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই কী যে মজার জীবন ছিলো তখন। মাঠের কোথাও বৃষ্টির পানি জমা থাকলে সেখানেই লাফ দিতাম যাতে পানি ছিটে কারো গায়ে লাগে। কী দুষ্টুমিতে ভরা আমাদের জীবন।
জাজাকাল্লাহ খাইরান
অনেক ভালো থাকুন ভাইয়া ফি আমানিল্লাহ
৯| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
পুরোনো দিনের স্মৃতির গল্প এখনকার প্রজন্মের কাছে কোনও আবেদন রাখেনা। স্কুল কলেজ করোনায় বন্ধ থাকলেও যা, না থাকলেও তা। এ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা সব সময়ই মোবাইল টেপায় ব্যস্ত । সুতরাং করোনার কারনে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার সুযোগ নেই বলে আমরা যতোই কাঁদি, সে সব কোনও অর্থ বহন করেনা। এই প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কোনও সম্ভাবনার কথা বলেনা।
অন্ধকার শুধু অন্ধকার.....................
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একথা একেবারে ঠিক ভাইজান। স্কুল, পড়া কোচিং শেষে সেই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাচ্চারা । পড়া যদি রাত বারোটায় শেষ হয় তখনো মোবাইল। আমার ছোট ছেলে আগে আঁকাআকি করতো এখন মোবাইল ছাড়া আর কিছু্ই বুঝে না
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাইজান
১০| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:২৫
জগতারন বলেছেন:
আমিও আপনার সমসাময়িক কালের মানুষ।
আপনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সময় কাল দেখেছিলেন (?) আমি দেখেছি।
প্রবন্ধে ভালো লাগা ও লিখিকার প্রতি অভিন্দন জ্ঞাপন করছি।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি যুদ্ধ দেখি নাই, স্বাধীনতার সময় আমার বড় বোনের জন্ম
জাজাকাল্লাহ খাইরান । ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ।
১১| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের সময় পলিথিনের ব্যাগ ছিল না।হাতের ঘামে বই নষ্ট হয়ে যেতো।স্কুল ছিল চারমাইল দুরে।সাইকেলে চড়ে স্কুলে যেতাম,বৃষ্টি হলে সাইকেল ঘাড়ে চড়তো।তার পরেও সেই স্মৃতি ভালোই লাগে।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের স্কুলও দূরে ছিলো। হাঁটা ছাড়া উপায় ছিলো না। আর এখন বাড়ীর সামনে পিছনে পিচ রাস্তা। এখনকার বাচ্চারা আারামসে স্কুল করে।
তবুও আমাদের সময় মজার ছিলো স্কুল জীবন
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন
১২| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আহা!
সোনালী অতীত!
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা কী ভালো লাগার দিনগুলো
হারিয়ে গেল সব। তবে বাড়ীতে গেলে আগের আমেজ ঠিক রাখি আমরা ভাইবোনেরা। দারুন কাটে সময়
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন
১৩| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:০০
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: দারুণ মেয়েবেলা!
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
১৪| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:২৭
স্প্যানকড বলেছেন: এমন বহু অতীত নিয়ে বেঁচে আছি। আহ! আবার যদি পেতাম.... বহু কথা মনে করায় দিলেন। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আবার যদি পেতাম
অনেক ধন্যবাদ স্প্যান
ভালো থাকুন
ফি আমানিল্লাহ।
কাল একটা পঁচা ছবি দিলেন মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। এত নোংরা ছবি আপলোড করেন কেন হুহ
১৫| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! কি সব দিন গেছে।আরকি যাবে পাওয়া কখনও? ।
চমৎকার স্মৃতিচারণ।
পোস্টে পঞ্চম লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: না ভাইজান। যায় দিন ভালো যায় আসে দিন মন্দ
কত ঝড় ঝাপটা বর্তমানে সইতে হচ্ছে। সু যা আছে সব শেষ এখন শুধু কু এর শুরু
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমি নিজের শৈশবে চলে গিয়েছিলাম।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাইয়া ভালো থাকুন
আমার ছোটোবেলার স্মৃতি নিয়ে লিখুন ভালো লাগবে
১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ ভোর ৪:২৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: কাগজের নৌকা বানিয়ে পানিতে ছাড়ার কথা বাদ পড়েছে।
আমরা ঢাকায় থাকলেও বৃষ্টির মধ্যেই গাছে উঠতাম, পুকুরে নামতাম আর মাঠে খেলতাম।
আপনি কোন বিদ্যালয়ে পড়তেন ?
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ । বৃষ্টির মধ্যে গাছে উঠতে চেষ্টা করে বিফল হতাম। কারণ পিচ্চিল হয়ে যেত গাছ। আমি পীরেঁরগাও এর বাসিন্দা পড়তাম পাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে বসতাম পাকা ফ্লোরে। সেই স্মৃতিগুলো মজার ছিলো।
ভালো থাকুন অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া জি
১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১০:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চমৎকার সৃতি রোমন্থন। যারা এখন গ্রামে থাকে তারা এখনও এই ধরণের পরিবেশে মানুষ হচ্ছে। গ্রামে গেলে দেখা যায়।আমাদের নগরগুলি চরম অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। ভালো থাকবেন জাযাকাল্লাহ খাইরান।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আগের মত মজা নাই গ্রামে। আমাদের ভাইবোনেরা একেকজন একেক জায়গায় । আর নতুন বাচ্চারা টিভি দেখে মোবাইল খেলে । মাঠে কমই খেলে। বৃষ্টিতে ভিজলে ওদের জ্বর আসে
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাইয়া ফি আমানিল্লাহ
১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: গ্রামে এখনো এ ধরণের আমেজ চলে।
আমি উপভোগ করি এখনো।
বিশেষ করে ধান শুকানোর বিষয়ে যা বলছেন।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ তাতো বটেই। গ্রামের পরিবেশটাই অন্যরকম। শান্তি খোঁজে পাওয়া যায় এখনো
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাইয়া ফি আমানিল্লাহ
২০| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩
পাঁচ-মিশালি বলেছেন: আপনি মুসলিম মহিলা হয়ে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে ব্যাংকে চাকরী করেন বলে আগের কোন পোস্টে লিখেছেন। মহিলা হয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে ব্যাংকে চাকরি করা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত হারাম কাজ। সত্যিকারের মুসলিম মহিলা হয়ে থাকলে ঘরের বাইরে বেড়িয়ে ব্যাংকে চাকরী করে হারাম অর্থ উপার্জন করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক প্ৰাপ্ত হউন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ির চতুর্সীমানার) ভেতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা – যেমন ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হতো।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৩)
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিন
২১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আহা কি সুন্দরই না লাগল প্রচ্ছদের ছবিটি ।
আজও চোখ বন্ধ করলে মনে পড়ে ফেলে আসা সেই শৈশবের দিনগুলোর কথা। কতই না মধুর ছিল
হারানো সেই দিনগুলো! এখনও মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে বড্ড
ইচ্ছে হয়। আমরা নিজেদেরকে বর্তমান প্রজন্মের চেয়ে অনেক ভাগ্যবান বলে মনে করতে পারি।
আমাদের সময়ে ছিল না এত আধুনিকতার ছোঁয়া। ছিল না ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা।
তারপরও আমরা আমাদের শৈশব নিয়ে গর্ব করতে পারি। কারণ, বলার মতো একটা শৈশবের সাক্ষী
হয়েছি। সর্বত্রই বিরাজমান ছিল যৌথ পরিবারের। তাই আমাদের স্নেহের কোনো কমতি ছিল না।
সবার কোলেপিঠে আমাদের ছেলেবেলা ছিল আল্লাদে আটখান। আমরা দলবেঁধে এপাড়া-ওপাড়ায় ঘুরতাম।
পুকুরে স্নান করতাম। একে-অপরের সঙ্গে কাদামাটি ছুড়াছুড়ি করতাম। অল্প পানিতে মাছ ধরতাম। লাটিম
ঘুরাতাম। নীল আকাশে ঘুড়ি উড়াতাম। বাশের খাপ বাকিয়ে গাড়ীর চাকা বানিয়ে গোটা পাড়া চষে বেড়াতাম।
বিকেল হলেই সবাই মাঠে দলবদ্ধ হতাম। ছিলনা মাঠের কোন অভাব । এখনতো খেলার মাঠ বলতে গেলে
নাই । কত পদের খেলাই না খেলেছি , ডাংগুলি, বউ-জামাই, বাঁদর ঝোলা, দড়ি লাফ, কানামাছি, সুপারিপাতার
গাড়ি, খোলাবাড়ি, মোরগ লড়াই, কুতকুত, চোর-পুলিশ, মজার মজার নানা খেলায় সুমধুর দিন কাটাতাম।
শৈশবের চরম দুরন্তপনায় আমরা যখন যা খুশি করতাম। গাছের মগডালে দাপড়িয়ে বেড়িয়েছি। কলাগাছের
ভেলা বানিয়ে নদীতে ভেসে বেড়িয়েছি। আমাদের শৈশবটা ছিল স্মৃতিমধুর। এখনকার শিশুদের দিন কাটে
আবদ্ধ ঘরে। টেলিভিশনে কার্টুন দেখে, মোবাইলে গেমস খেলে। ফলে একদিকে তাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে
একঘেয়েমি, অন্যদিকে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রবণতা। আপনার লেখাটিতে উঠে এসেছে বর্তমান যুগের
শিশুদের অনেক দুরাবস্থার কথামালা ।
তাই কথা হলো আমরাতো আর ফিরে যেতে পারবোনা আমাদের শৈশব বেলায় তবে এটা দাবী করতেই পারি
ফিরিয়ে দাও আমাদের নব প্রজন্মের শিশুদেরকে আমাদের সেই সব সোনালী শৈশবের পরিবেশ মালা ।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল ।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ আমরা অনেক ভাগ্যবান। আমাদের অতীত সুন্দর ছিলো। আর এখন বাচ্চা বয়সেই ওদের চশমা নিতে হয়। মুটোফোন আর টিভি দেখা ছাড়া ওদের কোনো কাজ নেই। আর করোনায় শেষ করে দিলো ওদের ছাত্রজীবন। কলাগাছের ভেলা বানিয়ে বন্যার পানিতে ভেসে বেড়াতাম আহা কী যে মজার ছিলো এই জীবন।
খুব সুন্দর মন্তব্য। ভালো লাগায় ভরপুর..... সুন্দর কাটুক আপনার সকাল বিকেল দুপুর
ফি আমানিল্লাহ
২২| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: গেম খেলায় ব্যস্ত ছেলেমেয়েরা একসময় শৈশব কৈশোরের গল্প বলতে গিয়ে এগুলো নিয়েই গল্প করবে।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই, এরা বলবে কক কক কক খেলেছিলাম আমরা ক্লাশ অন ক্ল্যান হাহাহা বলবে এটাক দিয়েছিলিাম কত সৈন্য মারছি
কত যুদ্ধ করছি। বাপরে একেকবার দেখি হেরে গেলে দুই ছেলের অবস্থা। আর জিতে গেলে বলে আলহাদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ভালো থাকুন
২৩| ০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫০
রামিসা রোজা বলেছেন:
ইশ্ আপা আমাদের ছোটবেলাটাই ভালো ছিলো ।
আপনার শৈশবের চমৎকার কিছু স্মৃতিচারণ পড়লাম ।
বৃষ্টিস্নাত দিনের শুভেচ্ছা আপনাকে ।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আপা আমার ছোটবেলা বেশ মজার ছিলো। আরও কত মজার ঘটনা আছে জড়িয়ে এই জীবনে। আপা আপনি কেমন আছেন। কতদিন দেখি না আপনাকে।
আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন ফি আমানিল্লাহ
২৪| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানকচুর বড় পাতা কিন্তু ভালই ছাতার কাজ করতো। আমরা অনেক সময় খেলার ছলে মানকচুর পাতা মাথার উপরে ধরে অনেকদূর পর্যন্ত চলে যেতাম। আপনার এ পোস্ট পড়তে পড়তে ধান সেদ্ধ করার ঘ্রাণটা এখনই যেন আমার নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করলো। যখন বড় চুলোয় ধান সেদ্ধ হতো আমরা তখন ছোট চুলোর ধিকি ধিকি জ্বলা আগুনে আলু পুড়িয়ে খেতাম আর পাটখড়িতে আগুন ধরিয়ে সিগারেট এর মত করে ধোঁয়া টানতাম।
নস্টালজিক পোস্টে দ্বাদশ ভাল লাগা + +।
১০ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো খুব সুন্দর। এত ডিভাইসের যুগ ছিলো না। টিভি ছিলো ছোটবেলা থেকে দুইটা চ্যানেল দেখেছি। ডিডি ওয়ান আর বিটিভি তারপর যোগ হলো একুশে টিভি। সিনেমা মাসে একটা দিতো সেটাই আমরা কত মজা করে দেখতাম।
আর আমরা দেয়ালে পেপার লাগানো, যা ছিঁড়ে বিড়ি বানায়ে টানছি হাহাহা
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় বোন, যায় দিন ভালো যায় আসে দিন বুড়া। অর্থাৎ ভবিষ্যত অতীত থেকে সাধারণত খারাপই হয়ে থাকে। দূপুরে কি খেয়েছেন? আমি কচুর মূখি কাঁচা আমের টক ঝোল দিয়ে ভাত খেয়েছি আর দুইটি সন্দেশ।