নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্য সরি।

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

» একদিন চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করেছিলাম

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

০১।


২০২০ সালে জানুয়ারীর ১৬ তারিখ গিয়েছিলাম পিকনিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। আমাদের প্রোগ্রাম শুরুর আগে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে দেয়া হয়েছিল। আমরা জালালাবাদ সিলেট কল্যাণ সমিতির সদস্যগণ চিড়িয়াখানায় একসাথে ঘুরেছি। অনেকেই কিছু হেঁটে আর পারেন নি। ফাঁকা বেঞ্চে বসে পড়েছিলেন। আমরা গুটা কয়েকজন সারা চিড়িয়াখানা ঘুরেছি। এই নিয়ে দুই তিনবার চিড়িয়াখানায় গিয়েছি। চিড়িয়াখানার পশুপাখি আগের চেয়ে কম। মানুষও কম সেখানে এখন।

হাতে ক্যামেরা কাঁধে ব্যাগ আসলেই কষ্টের জায়গা চিড়িয়াখানা। আলাদা আলাদা খাঁচা.... এখানে বাঘ অইখানে হাতি ইশ, বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। তাছাড়া ছবি তুলতে বেশ কষ্ট। খাঁচার ফাঁক ফোঁকরে ক্যামেরা ল্যান্স ঠেকিয়ে ছবি তুলেছি। কিছু ভালো আসছে কিছু মন্দ।

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা মিরপুরে। কিন্তু চিড়িয়াখানার ভিতরের অবস্থা জরাজীর্ণ। বাঘগুলো মরা মরা। অন্যান্য পশু পাখিও কম কম। যত্ন নেয়া হয় কম মনে হয়। আরেকটু যত্ন নিলে মানুষের বারবার যেতে ইচ্ছে করতো।

০২। এই চিড়িয়াখানা নাকি তৎকালীন নবাবরা ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা হিসেবে গড়ে তুলেন (উইকিপিডিয়া লিখা আছে) । পরবর্তীতে পঞ্চাশ সালের আগে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ঈদগাহ এলাকায় চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। এর ভিতরে নাকি একটা পুকুরও করা হইছিল। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ছিল পাখি ছিল হাড়গিলা সারস ময়ূরও ছিল তখন।



০৩। এখনও ইমু পাখি, ময়ূর আছে। আছে অনেক অনেক হরিণ, আছে গন্ডার, জলহস্তি আর আছে বাগ, সিংহ দেখি নাই। জেব্রা আছে, একটা ঝিল আছে তাতে আছে শাপলা। আর সেই জলে আছে পেলিক্যান হাঁস।

আমার তো ঘুরতে ভালো লাগে। অন্যান্যরা বেশী মজা পান নাই। আমি পেয়েছি। পশুগুলোর ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে পেরেছি।



০৪। ঝিলের জলে শাপলা হাসে রঙিন তাহার ঠোঁট
মৌমাছিলা এসে দেখি মধু করছে লোট
দাও না বন্ধু খোঁপায় গিঁথে, শাপলা ফুলের মালা,
দাও সাজিয়ে শাপলা ফুলে আমার মনের ডালা।



০৫। হরিণ শাবক। কী যেন খাচ্ছে বাচ্চাটা



০৬। ভয়ংকর প্রাণিটি খেয়ে দেয়ে আরামে ঘুম পাড়ছে। ইচ্ছে করতেছিল একটা ঢিল মেরে জাগিয়ে দেই।



০৭। দাঁদগুলো দেখলেই বুঝা যায় সে কত ভয়ঙ্কর । কিছু মানুষের মতন।



০৮। আমাদের ক্রিকেট টিমের একজন। মন বেজার নায়িকা কাছে নেই তাই। উনার বউয়ের নাম মনে হয় শিউলী। লিখা দেখছিলাম।



০৯। আমাদের নীল পরী রাণী। উনি যখন পেখম মেলেন আমরা মুগ্ধ হই।



১০। হাজার রঙ উনার পুচ্ছতে থাকে। মহা ভাগ্যবতী ভাগ্যবতা এরা সবাই এরারে দেইখা মুগ্ধ হয়। আমিও হই।



১১। ঝিলের জলে ভাসছে শাপলা



১২। এই প্যালিক্যান পাখি। এদের যে বড় হা বাপরে........ কিছু ঘুষখোর টেন্ডারবাজদের মতন, সব যেন খেয়ে ফেলতে চায়।



১৩। ইহা একটি গরু। কোন প্রজাতির গরু জানি না। তবে বেশ তরতাজা।



১৪। ইহাকেও চিনি না। ছাগল না গরু কে জানে



১৫। আমাদের লম্বা গলার জিরাপ বেডি। .,....... গলা বাড়াইয়া এরাও কী চিল্লায়



১৬। জেব্রা। রাস্তার রঙ মনে করে উনার উপর দিয়ে হেঁটে যাবেনা সাবধান



১৭। তরতাজা ঘোড়া। ইহার পিঠে চড়া যাবে কী। উঠতে মন চায় । টগবগ করে দৌঁড়াইয়া রাজকন্যারে ভাগাইয়া নিয়া আসতাম



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: লাস্ট কবে চিরিয়াখানায় গিয়েছে ঠিক মনে নেই, তবে একদিন যেতে হবে।
ছবিগুলু দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সময় করে একদিন যান। তবে এই শীতেই যেতে পারেন। গরমে হাঁটতে কষ্ট অনেক।

থ্যাংকিউ সো মাচ ভালো থাকুন

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
১৩ - গয়াল
১৪ - ওয়াইল্ড বিস্টের বাচ্চা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গয়াল নামটাই মনে নাই । বিস্ট নামটা এই প্রথম শুনলাম
ধন্যবাদ মজ ভাইয়া
ভালো থাকুন

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



৬০ ও ৭০ এর দশকে আমরা মিরপুর পল্লবিতে ছিলাম। খুব সম্ভব ১৯৭৪ - ১৯৭৫ সনে ঢাকা চিড়িয়াখানা হয়। আমরা মাঝে মাঝে চিরিয়াখানায় বেড়াতে যেতাম। ছবিগুলো ভালো হয়েছে।



০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এখন আর যান না? এখানে বাচ্চাদের নিয়ে গেলে বেশী কষ্ট। পশুপাখি ঝিল দেখে ভালোই সময় কাটে। আমার ভালো লাগে

ধন্যবাদ মাহমুদ ভাইয়া
ভালো থাকুন

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ঢাকার চিড়িয়াখানায় যাওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র দুইবার। প্রথমবার বন্ধের দিন ছিলো, দ্বিতীয়বারও বন্ধের দিন ছিলো! আমি ফটোগ্রাফির জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রতি দু সপ্তাহে একবার অন্তত যেতাম ২০১০-২০১৪। কিন্তু আর চিড়িয়াখানায় যাওয়া হয়নাই।

বোটানিক্যাল গার্ডেনে থাকা অবস্থায় বহুবার বাঘের গর্জন শুনেছি; খুব অদ্ভুত লাগে। মাটি কেমন যেন কাঁপতে থাকে!

খুলনার চিড়িয়াখানায় বহুবার গিয়েছি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমারও খুব ঘুরতে ইচ্চে করে ছবি তুলতে ইচ্চে করে কিন্তু সময়ের কাছে সময় নাই। আর একা যাবো সে ভয়ে কোথাও যাওয়া হয় না। বাঘের গর্জন এখনো নিজ কানে শুনিনি।

থ্যাংকিউ সো মাচ

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: কয়েকটা ছবির ক্যাপশন পড়ে মজা পেয়েছি। হা হা হা....
অনেকদিন ঢাকা চিড়িয়াখানায় যাই না। তবে চিড়িয়াখানায় পশুপাখি আটকে রাখার পক্ষপাতি নই আমি। যদি আমাকে কেউ এভাবে আটকে রাখতো আমি তো দম বন্ধ হয়ে মরে যেতাম।
ছবিগুলো সুন্দর।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিও পক্ষ পাতি না তবুও বাচ্চারা এসব জীব জন্তু দেখতে পারে। জঙ্গলে গিয়ে তো আর দেখতে পারবে না।

হুম কিছু মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখলে ভালো হইতো
থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া জি

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলায় আমরা কয়েকজন কাজীন চিড়িয়াখানায় যেয়ে আমি একটা উপাধি পেয়েছিলাম.....বানরের খাচা এখনকার মতো সেই সময়ে ডাবল ট্রিপল প্রোটেকশন ছিলো না। চাইলেই যে কেউ বানরের খাচার কাছে যেতে পারতো। তো আমি সেই সুযোগে বানরের খাচার কাছে যেয়ে বানরদের এমন জ্বালাতন শুরু করি...বানরগুলো ভয়ে চিতকার চেচামেচি করে কান ফাটিয়ে ফেলছিল.... আমার বান্দ্রামি দেখে এক বৃদ্ধ দর্শনার্থী আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- "ওরে আল্লাহ! খাচার বান্দরের চাইতেও দেহি বড়ো বান্দর এই পোলাডা"!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই কাহিনীটা লিখে ফেলুন ভাইয়া। আমরাও স্মৃতি রোমন্থন করবো

কিছু বাচ্চা আসলেই বিচ্ছু আপনিও একজন হাহাহা

থ্যাংকিই সো মাচ ভাইয়া

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ কিন্তু রাজীব ভাইয়ের সুন্দর লাগে নাই হাহাহা

ভালো থাকুন ভাইয়া জি

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপু, আপনার ছবি দেইখা মনে হইলো একদিন বাচ্চাকাচ্চা ভয়ংকর নিয়ে যাইতে হবে চিড়িয়াখানায়। কুমিরের ঘুম দেইখা ঘুম ধইরা গেলো, এমনেই শীতে কম্বলের নীচে আশ্রয় নিছি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অবশ্যই যাবেন । মাঝে মাঝে এসব কষ্টও আনন্দ দান করে। গত দুইতিন দিন যা ঠান্ডা গেছে বাপরে আমিও বের হই না। প্রয়োজনীয় কাজ সেড়ে আবার বিছানায়

থ্যাংকিউ সো মাচ

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ক্যাপশান!
*জিরাফের গলা বড় কিন্তু চেঁচামেচি করার সাধ্য নেই। তার কন্ঠ দিয়ে কোন স্বর বা শব্দ বের হয় না। আজিব প্রাণী।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তাই নাকি এ বিষয়েই জানতামই না আমি
থ্যাংকিউ সো মাচ
ভালো থাকুন ভাইয়া

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো খুব ভাল হয়নি।
চেষ্টা করলে আরো ভাল ছবি তুলতে পারতেন। প্রতিটা ছবিতেই সমস্যা আছে। যেমন ধরুন ৩ নম্বর ছবিটা গোলা হয়েছে। ৪ নম্বর ছবিটাতে ফুলের ছবিটা বাঁকা। এইসব তুচ্ছ বিষয় গুলো মাথায় রাখলে ছবির মান ভাল হবে। শুধু দামী ক্যামেরা হাতে থাকলেই ছবি দূর্দান্ত হয়ে যাবে না।

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আপনি ঠিক বলেছেন। আমি ফটোগ্রাফার নই

ধন্যবাদ রাজীব ভাইয়া
ভালো থাকুন

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছবিগুলি সুন্দর হয়েছে। ৩/৪ বছর আগে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম সপরিবারের।

ঢাকা চিড়িয়াখানা আগের মতই আছে ছোটবেলায় যে রকম ছিল।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ২০ সালে গেলাম আমি। হ্যাঁ সে রকমই আছে তবে জরাজীর্ণতা এসে গেছে। যত্ন কম।

ধন্যবাদ সাচু ভাইয়া
ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.