নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
©কাজী ফাতেমা ছবি
কি-যে মজা লাগছে আহা
ভিজে ভিজে অফিসপাড়া
তুমুল বৃষ্টি ঝমঝমাঝম
হয়ে উঠলো পাগলপাড়া।
টেংরা পুটি লাফাচ্ছে খুব
বৃষ্টির ফোঁটা পিচের পথে
মুগ্ধতা সব চোখের পাতায়
এই রে উঠলাম বৃষ্টির রথে।
বসন ভূসন সব একাকার
ভিজে নেয়ে কাঁদা জলে
চারিদিকে বৃষ্টির দখল
রাস্তা গেলো জলের তলে।
ভেজা পায়ে হাঁটতে হাঁটতে
চুপ ছুঁয়েছি বৃষ্টির ফোঁটা
গাছের নিচে ঝরে পড়া
পাপড়ি সহ ফুলের বোঁটা।
টুপুরটাপুর অবিরত
যাচ্ছে ঝরে বৃষ্টির ধারা
এমন দিনে ঘরে ফেরার
আজকে আমার নেই কো তাড়া।
ভিজতে চাইলে চলে এসো
ঠায় অপেক্ষায় আছি সুজন
মনের মাঝে বাজছে হরদম
সুরের পাখির কুহু কুজন।
খুব আরামে কাটাবো দিন
বৃষ্টির ছায়ায় আজকে আমি
এমন প্রহর সুখে থাকার
আল্লা'র রহমত খুবই দামী।
২।
ছাতা মাথায় হাঁটছি পথে
বৃষ্টির ছিটা লাগলো গায়ে
জলে ভিজে জবুথবু
ভাসছি যেন বৃষ্টির নায়ে
পিচের রাস্তায় বৃষ্টির ফোঁটা
পড়ছে বৃষ্টি তালে তালে।
উড়ে এসে বৃষ্টির ছোঁয়া
লাগলো আমার নাজুক গালে।
খুব আনন্দ মনের ভিতর
আজ ভেজালো আমায় বৃষ্টি
বৃষ্টির ছাটে শান্তি দেহে
মনে হলো সুখের সৃষ্টি।
ভেজা জামায় আছি বসে
অফিসপাড়ায় ব্যস্ত কাজে
থিরিথিরি কাঁপছি শীতে
ঠান্ডা বুকের ভাঁজে ভাঁজে।
যাক কেটে যাক দিনটি এমন
ঝরুক আরও বৃষ্টি জোরে
থাকবো আমি বৃষ্টি নিয়ে
অদ্ভুত অলীক সুখের ঘোরে।
৩।
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরি
সুখ শিহরণ মনে
ভিজবে নাকি বৃষ্টির ধারায়
তুমি আমার সনে?
অফিস কর্ম যাক বৃথা যাক
চলো ভিজি সুখে
ব্যস্ততা সব যাও ভুলে যাও
দিবো মন্ত্র ফুঁকে?
এসো পাশে ধরো ছাতা
মাথার উপর তুমি
আর করো না তুমি বাপু
ভুলে গুয়ার্তুমি।
বিজলি চমকানো দিন নয় সে
পড়ে নাকো ঠাটা
ইচ্ছের মাঝে দিয়ো না আর
ফেলে কষ্টের ভাটা।
একটু না হয় লাগবে ঠান্ডা
যত্ন নেবো রাতে
এই চলো না ভিজি চলো
তুমি আমার সাথে।
২৩/০৫/২০১৮
২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি আসলে পোস্ট দেয়ার সময়ই পাই না। অথচ ইচ্ছে ছিল এই বছর প্রতিদিন একটা করে পোস্ট দেব। কোনোভাবেই সময় ম্যানেজ হয় না। এই লিখাটি একসাথে লিখেছিলাম ১৮ তে। তাই দিয়ে দিলাম একসাথে।
অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লাহ খইর
ভালো থাকুন
২| ২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দে তিন তিনটে বৃষ্টির ছড়া।
প্রথমটি দারুন। তবে ঠায় অপেক্ষায় থাকবেন না প্লীজ, কারন ভিজতে চাইলেও ভিজতে পারবোনা, বৃষ্টি থেকে অনেক দূরে আছি বলে।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জী এস ভাইয়া।
কোথায় আছেন। যেখানে থাকেন সেখানে বৃষ্টি বুঝি হয় না। অবশ্য ঢাকা শহরে বৃষ্টি এই আসলো আর গেল। গ্রামের মত বৃষ্টি হয় না। মেজাজ গরম হয়। তবে যে ঠাটা পড়ে বাপরে ভেজার কথা ভাবাই যায় না
৩| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কিছু লিখুন।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনি লিখলেই হইলো। সবার ভালো দিয়া আপনি কী অরবেন
৪| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
যেখানে থাকেন সেখানে বৃষ্টি বুঝি হয় না।
যেখানে থাকিনা, যেখানে এখন আছি !
সেখানেও বৃষ্টি হয় তবে মুশলধারে নয়, ঝিরিঝিরি। অবশ্য দেশেও আজকাল সেই রকম বৃষ্টির বড়ই আকাল! প্রকৃতিরও মনে হয় বিদ্যুৎ ঘাটতি আছে তাই হয়তো ঢাকাতেও বৃষ্টির লোডশেডিং (বৃষ্টিশেডিং) হয়। এই আছে তো এই নেই। ভোল্টেজ কম। তবে দেশে আকাশের ট্রান্সফর্মার বার্ষ্ট হয় ইদানীং বেশী বেশী অর্থাৎ "ঠাঠা" পড়ে । ভয় পাওয়ার মতোই।
বৃষ্টি ছিলো আমাদের ছেলেবেলায়। একটানা ৭/৮ দিন চলতো প্রায় বিরামহীন। মনে হতো আকাশ ফুটো হয়ে গেছে। মাঠঘাট তলিয়ে যেতো পানিতে। প্রায় শহরেই এতো এতো খাল- পুকুর আর পাশে নদী ছিলো যে রাস্তায় জল জমার সুযোগ পেতো কম। শান্তিনগরের মতো অশান্তির কারন ঘটতোনা।
বৃষ্টি এলেই সেই ঝুম বৃষ্টিকে এখন মিস করি খুব! আপনার মতোই মেজাজ গরম হয়।
২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জী এস ভাইয়া এটা খুবই সত্য আমাদের ছোট বেলায়ও কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হত। সবচেয়ে মজা হতো মাছ ধরতে। মাছ ধরার কত যন্ত্র ছিল তখন। তবে ভয় আরেকটা ছিল, চিনা জোঁক , মাগো মা, কোন সময় যে পায়ে লেগে থাকতো। জোঁক বেটারে সামনাসামনি ডরাই না কিন্তু তার তো ঠিক নাই কোন সময় কারে গিয়া ধরে।
আর ঝড় আসলে আম কুঁড়াইতাম খাঁচা ভরে। সেই আম থেকে কত জাতের আচার, আমসি । আম ফালি করে শুকিয়ে সারা বছর ছোট মাছের সাথে টকের তরকারী খাওয়া হত্ । এখন কিছুই নাই আর। আর খাওয়াও যায় না। পেট আর সয় না। আমার ঠাঠা বানাম বুল হাহাহাহ
আমাদের মাঝে মাঝে বন্যা হত। আর কলাগাছের ভেলা বানাইয়া সারাদিন চষে বেড়াতাম। সেই দিনগুলো ছবির মত চোখের আয়নায় বাঁধা এখনো।
ধন্যবাদ আবার আসার জন্য। ভালো থাকুন
৫| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
জটিল ভাই বলেছেন:
কবিতা বরাবরের মতোই সাধারণ নয়। আপনার ছাতার প্রোফাইল পিকটা ভীষণ মিস করি।
২৫ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খইর
আমার ছাতার পিকচার কবে কোথায় দিছিলাম জটিল ভাইয়া? মনে নাই। গল্প কবিতায় দিয়া রাখছিলাম একটা
৬| ২৭ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বৃষ্টির কথা এবং ছB নিয়ে লেখা কবিতা তিনটে সুন্দর হয়েছে। + +
"এমন প্রহর সুখে থাকার" - ঠিকই, এবং খিচুরি খাওয়ার ও গান শোনারও।
আজ আমাদের এখানেও সকাল থেকে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ এখানকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা যথাক্রমে ২০ এবং ১৩ ডিগ্রী, কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা এর চেয়েও কম অনুভূত হয়। এখন যেমন তাপমাত্রা থাকার কথা ১৭ ডিগ্রী, কিন্তু ব্যালকনিতে দাঁড়ালে মনে হয় সেটা ১০ এরও কম। এই টিপটিপ বৃষ্টির মাঝেই সকালে নাতনি আনায়াকে স্কুলে দিয়ে আসলাম, দুজনে দুটো ছাতা নিয়ে হেঁটে হেঁটে।
২৮ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনি এখন কানাডয় আছেন?
আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন যেখানেই থাকুন
আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইজান
তাসীনের বাপ অসুস্থ। ইন্ডিয়া যাবো কিছুদিন পর।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার ছন্দবদ্ধ ছড়া! দারুন হয়েছে।
তিনটা দিয়ে আলাদা তিনটে পোস্ট দিলে ব্লগে পোস্ট বেশি দেখাতো।
শুভকামনা। ভাল থাকবেন।