নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেরা নাম চোকার্স

আমি একজন বাংলাদেশী সংস্কৃতির ভক্ত তবে বাঙ্গালী সংস্কৃতির নয়

মেরা নাম চোকার্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের রঙ্গশালায় জিয়া!!
অতঃপর স্বাধীনতার ঘোষনা

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫১

অতঃপর ২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেফতার হলেন।



এই রাতেই ধ্বংসযঙ্গ চালালো পাকিস্তানিরা।একটা সংকটময় মূহর্ত।মানুষ তখন দ্বিধান্বিত.....কি ঘটবে এ দেশের ভাগ্যে,এ দেশের মানুষের ভাগ্য তা অনিশ্চিত!

তবে তাদের নেতা আগেই সব ঠিক করে রেখেছিলেন এবং তাঁর সহযোগীদের কাছে দিক নির্দেশনাও দিয়েছিলেন।



যাইহোক তখন আওয়ামীলীগ নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিলেন বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করবেন

তবে বিপত্তি বাঁধল আরেক জায়গায় কার কথা তখন গ্রহনযোগ্যতা পাবে কিসে মানুষ আরও প্রাণ পাবে,তাদের মনে সাহস সঞ্চয় হবে....



তখনই ইতিহাসের মঞ্চে উপস্থিত জিয়াউর রহমান।যিনি কিনা তখন চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধীনে জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করছিলেন(বিশেষভাবে লহ্ম্যনীয়:এগুলো সেই অস্ত্র যা দিয়ে বাঙ্গালী নিধন হয়) যাইহোক,তত্‍কালীন রাজনৈতিক অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি কালুরঘাট হয়ে পটিয়ায় অবস্থান করেন।

এদিকে আওয়ামী নেতারা এমন কাওকে খুঁজতেছিল যে কিনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত এবং সেনাদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়।তখনকার সময় জিয়াই ছিলেন জনপ্রিয় বাঙ্গালী আর্মি অফিসার।



তারপর সেই সময়,যখন ২৬শে মার্চ পটিয়া থেকে এসে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন।যে ঘোষনাপত্রে তিনি নিজেকে "হেড অব স্টেইট" বলে বসেন।তবে ঢাকায় অবস্থানরত এক সাবেক সেনা কর্মকর্তার হস্তহ্মেপে এই ঘোষনাপত্র বিলোপ করা হয়।এই ঘোষনাপত্রটি ব্যান করা হয় এবং জিয়াউর রহমান নিজ হাতে কাগজটি ছিঁড়ে ফেলেন।অথ্যাত্‍ এর দলিল এখন নেই।

এবং পুনরায় ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা করেন।যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর পহ্মে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন।তার ভাষ্য অনুযায়ী,

"I,Major Zia,on behalf of our great leader Sheik Mojibur Rahman........."

এবং এই ঘোষনাটিই কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত প্রচারিত হত।



যে ঘোষনায় জিয়া নিজেই শেখ মজিবুর রহমানকে গ্রেট নেতা বলে মেনে নিয়েছেন,তাঁকে "অবৈধ প্রধানমন্ত্রী" বলে তার সুপত্রধন কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বুঝে নিলাম সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ঙ্গান দিয়ে......





এখন আসি অন্য প্রেহ্মাপটে.......

যদি মেজর জিয়া স্বাধীনতা ঘোষনা নিজ থেক দিতেন তাহলে কি হত?কিংবা বঙ্গবন্ধুর পহ্ম্যে না দিতেন তাহলে কি হত?



১। বিশ্ববাসীর নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া যেত।পাকিস্তানি শাসকরা এটাকে সামরিক বিদ্রোহ বলে বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামকে ধামাচাপা দিতে পারত।যেহ্মেত্রে তাদের সহযোগীতা করত মার্কিনিরা।আর মেজর জিয়া ফাঁসিতে ঝুলত.....

২। তত্‍কালীন বাংলার মানুষ দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়ত।তাদের হয়তো মনে হত,নতুন নেতার আগমন ঘটেছে এবং নেতৃত্বের পালাবদল শুরু হয়েছে......

৩। আর তখন সব থেকে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন শেখ মজিব।তাঁকে ছাড়া বাঙ্গালীর আর কাওকে বিশ্বাস বা ভরসা ছিল না।কারন জিন্নাহ্ এর উপর মানুষের ভরসার কারনে ৪৭ সালে দেশ ভাগ হয়ে পাকিস্থান হয়েছিল।যদিও জিন্নাহ্ পরবর্তীতে এই অঞ্চলের জন্য কিছু করেন নি.....

৪। সাধারন মানুষের কাছে জিয়াউর রহমান ছিলেন সম্পূণ্য অপরিচিত একজন ব্যাক্তি।স্বাভাবিক ভাবেই জিয়ার গ্রহনযোগ্যতা ছিল তুলনামূলক কম তবুও জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেছিলেন কারন তিনি ছিলেন সেনা কর্মকর্তা।

৫। তখন যেকোন নেতার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা পঠিত হলে তা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হত।নেতাদের মাঝে দুরুত্বের সৃষ্টি হলেও হতে পারত।



প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক,

সামরিক বাহিনীর কোন অফিসারকে দিয়েই কেন স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করানো হল?

-সামরিক বাহিনীর কাওকে দিয়ে ঘোষনা পাঠ করানের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল,সাধারন মানুষের মনোবলকে চাঙ্গা করা।এর ফলে সাধারন জনতা বুঝতে পেরেছিল যে তাদের সাথে সামরিক বাহিনীও একাত্নথা ঘোষনা করেছে।অতএব তারা আত্নবিশ্বাসের সহিত যুদ্ধে অবতীর্ন হয়....





(রিফারেন্স:অনেক দেশী-বিদেশী পত্রিকা,ইতিহাস নির্ভর বই,জীবনী ঘেটে লিখেছি।তাছাড়া বিভিন্ন টকশো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সরাসরি আলাপ)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: আগের লেখায় অনেকের কমেন্টের উত্তর পাওয়া যাবে বলে আশা রাখি

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: হুমম

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০২

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: প্রশ্নকারীরা কই?

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৪

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৮

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাই।
আর এটাই তো সত্য

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৯

রাজীব বলেছেন: তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কারন আপনি লিখেছেন
৫। তখন যেকোন নেতার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা পঠিত হলে তা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হত।নেতাদের মাঝে দুরুত্বের সৃষ্টি হলেও হতে পারত।

নির্ভিক কন্ঠে বলতে চাই যে তাজউদ্দিনের নেতৃত্বে তখন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি একতাবদ্ধ ছিল। কোন অপশক্তিই পারত না তাদের মধ্যে বিভ্রন্তির সৃষ্টি করতে।

এসব লিখে আপনি উল্টো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। রাজাকারেরা যেমন ঘরের শত্রু ছিল তেমন। এসব ষড়যন্ত্র কাজ করবে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩০

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: ধারনা।এটা গুটি কয়েক ইতিহাসবিদ এর ধারনা।পুরো বিষয়টা বিস্তারিত লিখেছি বলে এই ধারনাটাও লিখতে হয়েছে।
উল্লেখ্য,আমিও এর তীব্র প্রতিবাদকারী

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪০

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: জিয়া প্রহরীদের পাচ্ছি না তো!

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৫

বাংলার নেতা বলেছেন: বাংলাদেশে রাজনৈতিক গেমের ফাইনাল কবে???

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৯

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: হবে হয়তো একদিন

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৬

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: ফাইনাল হবে একদিন

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
পাইপ খুঁজতে খুজতেই তো পাকি আর্মি চলে আসছিল।

ঘোষনা কবে দিবো

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: তাই বুঝি?

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: kiya

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.