নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রাতপে চন্দ্রালোক

চন্দ্রাতপে চন্দ্রালোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন খারাপের দরোজা ভেংগে...

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

পোষা বিড়াল 'টাইগ্রীনা' ও তার দুই ছেলে মেয়ে 'হোয়াইটি' ও 'ডটি'। ওদের জন্ম আমার বাসাতেই, আমাদের সামনে।

আগের বাড়ীওয়ালা মানুষ ভালো, কিন্তু ওনার মাথার দু'একটা স্ক্রু ঢিলা ছিলো। হঠাৎই একদিন বিড়াল পোষা নিয়ে হাউকাউ শুরু করলেন।

"বেটা খবিশ, তোর বাড়ীতে মাগনা থাকি না। ভাড়া প্রিপেইড দিয়ে থাকি। টু লেট লাগা এক্ষুণি, সাত দিনের মধ্যে তোর বাসা ছেড়ে দেবো। আমার বিড়াল নিয়ে আর একটি কথাও বলবি না!" বলেই তাকে বের করে দিলাম।

১ মাসের বাসা ভাড়া ও শিফ্টিং চার্জ গচ্ছা দিয়ে বাসা বদলে ফেললাম। রিয়েল এস্টেট ব্যবসার লালবাতি জলন্ত অবস্থায় থাকায় ভাড়া বাসা খুঁজে পেতে এখন আর ওতোটা বেগ পেতে হয় না।

আমার কন্যা লিরিক হোয়াইটিকে ডাকে 'সাইন্টিস্ট' বলে, কারন তাবৎ কাজ কর্মে ওর চরম আগ্রহ। 'বেসিনের পানি কোথায় যায়' থেকে শুরু করে 'সুইচ টিপলে লাইট কেনো জ্বলে' পর্যন্ত ওর কৌতুহল।

ডটিকে 'ডার্লিং'বলে ডাকে আমার পরিবার (spouse)। শান্ত শিষ্ট ডটি গতমাসে ৬ তলা থেকে নীচে পড়ে গেলে ওর সুস্থতার জন্য তিনি নফল নামায পড়েছিলেন।

গায়ের রং ও লেজটি বাঘের মতো হওয়ায় টাইগ্রীনা বরাবরই রাইম'র খুব পছন্দের। ও থাকেও সারাক্ষণ ওর সাথেই।

আজ স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিয়ে "সিজোফ্রেনিয়া" রোগটি সম্পর্কে পড়ছিলাম।
এই রোগের বাহকের তালিকায় পোষা বিড়ালের নাম দেখে আঁৎকে উঠলাম।

একটা নয় আমার বাসায় তিন তিনটা বিড়াল!
তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিলাম, শখ ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে, বিড়ালগুলোকে ছেড়ে দিবো প্রকৃতিতে, এবং আজই।
দাড়োয়ানকে ডেকে এনে তিনটি ব্যাগ ধরিয়ে দিলাম, যেগুলোতে ইতোমধ্যেই ভরে ফেলেছি টাইগ্রীনা, হোয়াইটি ও ডটিকে, রাস্তায় ছেড়ে দেবার জন্যে।

দুপুর সময়টায় রাস্তার সব কুকুর ঘুমিয়ে থাকে।
দাড়োয়ান বাসার অদূরেই একটি সব্জি বাগানে ওদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।
ছাদে দাঁড়িয়ে দেখেছি কোন কুকুর ঘুম ভেংগে ওদেরকে তাড়া করেনি।

ওরা একটা খালি বাড়ীর ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে গেছে।
ইট সিমেন্টের অসংখ্য কংকালের মাঝে ওদের আগের নিরাপদ আবাসটিতে ফিরে আসা ওদের পক্ষে সম্ভব হবেনা, আর কোনদিন।

এক বছরের বেশী সময় খুব আদরের সাথে আমাদের মাঝে থাকা তিনটি প্রাণ আজ হারিয়ে গেলো প্রকৃতিতে।

খাপ খাইয়ে নিতে পারলে বেঁচে থাকবে, ক'দিন কষ্ট করার পর।
ঘাত প্রতিঘাতে হয়তো হয়ে উঠবে স্বাবলম্বী, স্বতন্ত্র।

প্রকৃতি ওদের ভালো রাখুক...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬

সুলতানা রহমান বলেছেন: পোষা কোন কিছু ছেড়ে গেলে বা ছেড়ে দিতে হলে কষ্টই লাগে।
আমার বিড়াল ভাল্লাগেনা। একবার আমার চাচার বাসায় ওদের পোষা বিড়াল বাথরুম করে দিয়েছিল। তারপর থেকে বিড়াল পোষা পছন্দ নয়।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

চন্দ্রাতপে চন্দ্রালোক বলেছেন: খাবার, গোসল, বাথরুম ইত্যাদি অভ্যেস করিয়ে নিলেই হয়। এরপরও যন্ত্রণা দেয়। ধন্যবাদ। @সুলতানা রহমান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.