![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌদি আরবের শিয়া মসজিদে আবার হামলা। এবার দাম্মামের ইমাম হোসেন মসজিদ। গত সপ্তাহে ছিল ইমাম আলি মসজিদ। নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও কারও সর্বনাশ করবে মুসলিম সন্ত্রাসীরা। মন কতটা নোংরা আর জঘন্য হলে মানুষ এসব করতে পারে! কয়েকজন ধার্মিক শিয়া মরেছে। সুন্নী খুনী বোরখা পরে এসেছিলো। বোরখাটা খুনীদের, ধর্ষকদের, চোর ডাকাতদের ছাড়া অন্য কারও সত্যিকার কোনও কাজে লাগে না।
আল্লাহ কি শিয়াদের ঘৃণা করেন? সুন্নীদের ছাড়া আর কাউকে আল্লাহ ভালোবাসেন না? কিছু ধর্মান্ধ সুন্নী ছাড়া বাকি সবাইকে আল্লাহ দোযখের আগুনে নিক্ষেপ করবেন, তাই না? এত বিলিয়ন বিলিয়ন লোকের জায়গা কী করে ওই সাতটা দোযখে হবে, ভাবছি। এখন সুন্নী সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য মক্কার কাবা আর মদিনার রওজা শরিফ। কারণ তারা মূর্তি পুজো, বস্তু পুজো এসব সহ্য করে না। যত মাজার-কবর ছিল ইরাকে আর সিরিয়ায়, কুড়োল দিয়ে, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়ো করে দিয়েছে। ঘোষণাও করেছে, সৌদির মাটিতে শীঘ্র তাদের হামলা শুরু হবে।
এদিকে ফিনিক্সে শুরু হয়ে গিয়েছে আঁকো মুহম্মদ র্যালি। ইসলামে বিশ্বাসীরা সারা বিশ্বে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মানুষ কতদিন আর চুপচাপ বসে ওদের নৃশংসতা আর বর্বরতা দেখবে। এবার ক্ষেপছে মানুষ। ইসলাম বিরোধিতা ঘরে বসে করছিল। এবার রাস্তায় বেরিয়েছে। আরও বেরোবে। কিছু অসভ্য মূর্খ সবার চোখের সামনে মানুষের মূল্যবান জীবন এবং মানুষের হাজার বছরের গড়ে তোলা সভ্যতা কোদাল শাবল বন্দুক চাপাতি চালিয়ে ধ্বংস করে দেবে, এসব আর সওয়া যাচ্ছে না।
আকাশে বসে বসে এসময় আল্লাহ কী করছেন, কে জানে। কী করে সইছেন তিনি এমন ধ্বংসযজ্ঞ! আল্লাহতায়ালা তো অন্তত বলতে পারেন, নট ইন মাই নেইম। তিনি যদি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুর সৃস্টিকর্তা হতেন, নিশ্চয়ই মুখ খুলতেন। নেই বলেই হয়তো খুলছেন না।
এই নেই জিনিসটা নিয়ে মানুষ কী ভয়ংকর উন্মাদ হয়ে উঠেছে। সে কারণে বলি, কুকুর বেড়ালই ভালো, এদের অন্তত স্বপ্নদোষ থুরি ধর্মদোষ নেই।
©somewhere in net ltd.