নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরন বিল

চরন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী

৩০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

প্রতাবাদ প্রতিরোধ আর কত ? কিসের প্রতিবাদ কেন প্রতিবাদ? নারীর শালীনতা রক্ষার । কেন শালীনতা শুধু মেয়েদেরকেই রক্ষা করতে হব ? পুরুষের তো শালীনতা রক্ষা করতে শোনা যায় না । সব পুরুষ গোপনে মেয়দের শালীনতা ভাঙ্গতে একধরনের আনন্দ পায় । সব পুরুষ বললে আবার কেউ কেউ মান করতে পারেন তাই তারা কয়েকজন বাদে সবাই । আমিও একটু একটু আনন্দ পাই তবে কেন যেন সাহস হয় না । লালন ফকিরের একটা গান আছে, ' তলে তলে তল গোজা খায় উপর উপর সতী কওলায় এমন সত অনেক পাওয়া যায়, ' তাই আমরা যারা প্রতিবাদ করছি তারা কতজন উপরের আর কতজন তলের সতী এটা প্রমাণ করা দুষ্কর । তবে আমি তসলিমা নাসরিন এর সাথে একমত যতদিন শালীনতা মেয়েদের একক সম্পত্তি হয়ে থাকবে ততদিন আমাদেরকে উপর উপর প্রতিবাদ করে যেতে হবে । আমরা নারীর অধিকার অধিকার করছি কিন্তু অধিকারের সীমানা নির্ধারণ করছি না । কিছু চাকুরী কিছু সংরক্ষিত নারী আসন ইত্যাদি ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ । এই অধিকার যারা দিচ্ছে তারা আবার নারীর পোশাক পরিচ্ছদ আর চলাফেরার আবার একটা সীমানা টেনে দেওয়া হচ্ছে । নারী যদি মুক্তি পেতে চাই তাহলে সর্বপ্রথম সম্পদের সমান মালিকানা দাবি করতে হবে যা একজন মানুষকে শিশুকাল থেকেই নারী বা পুরুষ হিসেবে নয় মানুষ হয়ে বড় হওয়ার মনোবল যোগায় । এই সম্পদের একচ্ছত্র আধিপত্যই পুরষকে পারিবারিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে আর নারীকে ক্রমান্বয়ে দূর্বল করতে থাকে একসময় ভাল ছেলে খুজে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পরিবার ব্যাকুল হয়ে ওঠে । দূর্ভাগ্যক্রমে যদি মেয়েটি বিতারিত হয় তাহলে সংসারে তার জায়গা কিন্তু আস্তাকূড়ে সেই আদরের বাবা ভাইয়ের বাড়িতে । সংসারে একটা খেলনার যে মৃল্য থাকে সেই মেয়েটির তাও থাকে না । যাদের বাবার অঢেল অর্থ আছে তারা আবার নিজেদের এই দলে ফেলে বিচার করবেন না। এই সম্পদের অধিকার পেলেই কেবল নারী মানুষ হতে পারবে অন্যথায় নারী নারীই থেকে যাবে । সংসারে একজন ধর্ষক আর ধর্ষিতার অবস্থানের মধ্যে বিস্তর ফারাক ঐ সম্পদের কারনে কারন ধর্ষকের সম্পদ আছে তাকে সমাজের মুখাপেক্ষী হতে হয় না অন্যদিকে ধর্ষিতার সব শেষ এমনকি তার প্রেমিকও তাকে পরিত্যাগ করবে সামাজিক হ্যায় প্রতিপন্ন হওয়া থেকে রক্ষা পেতে, মেয়েটার প্রতি প্রচন্ড ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও । এটাই বাস্তবতা ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় কিন্তু ব্যাতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না । এই সম্পদহীনতার কারনেই পুরুষেরা নারীদের চরিত্র কে অমূল্য সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করে । আর নারীরা নিজের অজান্তেই সেই অমূল্য সম্পদ রক্ষা করতে যারপরনাই উঠে পড়ে লেগেছে । আমার মতে সম্পদের অধিকার পেলেই নারীরা আর শালীনতা রক্ষা করতে ব্যস্ত হবে না । এখন যেমন নারীর শরীরে হাত দিয়ে আনন্দ পায় তখন নারীও পুরুষের শরীরে হাত দিয়ে আনন্দ ভোগ করবে । পুরুষের যদি শরীর রক্ষার প্রয়োজন না হয় নারীরও প্রয়োজন হবে না । অধিকার কিন্তু সমান সমান হতে হবে । এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

কাবিল বলেছেন: আমিই প্রথম।
ব্লগে স্বাগতম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.