![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
▪অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, আর প্রতিবাদের আড়ালে ঘৃণার বীজ বপন করে আরেকটি অন্যায় উস্কে দেয়ার মধ্যে যে ব্যাপক তফাৎ তা যেন অনলাইনের জমিদাররা ভুলে গেছে । সিরিয়ায় পুড়ে যাওয়া বীভৎস শিশুর ছবি ফিলিস্তিনি বলে চালানো হয়েছে বছরখানেক আগে । এখন চলছে তামিল টাইগ্রেসদের নিরাভরণ মৃতদেহের রোহিঙ্গা করণ । সুদান, নাইজেরিয়ায় প্রাপ্ত মনুষ্য কয়লা গুলোও বেশ চলছে এখন । সব জমা পড়ছে মিয়ানমারের গেরুয়া বসনের শান্তির দূতদের একাউন্টে । বীভৎসতা প্রচার করা একধরণের রুচি বিকৃতি জ্ঞানীদের জন্যে , আর ঘটে গোবর ওয়ালাদের তা অনধিকার চর্চা । আমার সংগ্রহে মিয়ানমারের এথনিক ক্লিনজিংয়ের এত এত বিভীষিকা জাগানো ছবি আছে তা যদি এসব অনলাইনের জমিদারদের হাতে পড়ত তা হলে যেটুকু বিরক্তি এড়িয়ে এখানে পড়ে আছি তা সম্ভব হতো না ।
▪আমি সেইসব ছবি বাছাই করেছি যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারের এথনিক ক্লিনজিংয়ের মাত্রা ও ব্যাপকতা কতটুকু ,বীভৎসতা প্রসূত উস্কানি এড়িয়ে ।
▪মনে রাখতে হবে , এই মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা করা মানুষের আদিমতম নেশা । রোমান কলোসিয়াম , নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প , মধ্যযুগের ইউরোপ , গত শতাব্দীর স্টালিন মাও য়ের চায়না রাশা কিংবা সাম্প্রতিক আই এস আই এস অধিকৃত খন্ড খন্ড ভূমি এমনকি হাবিল কাবিলের প্রাথমিক দুনিয়া সবই এই দুর্বার নেশার আখড়া । কখনও ধর্ম কখনও জাতীয়তাবাদ , রক্তের বিশুদ্ধতা , গোত্র , গাত্রবর্ণ ইত্যাদির প্ররোচনায় আবার কখনও স্রেফ অহেতুক পৃথিবীর বুকে মানুষের রক্ত ঝরেছে । পৃথিবীর সমস্ত নৃশংসতার কারণ মানুষ , আপনার আমার মতো দেহমনের দু পায়ে হাঁটা মানুষ । এক মৃত্যুতে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে আরেক মৃত্যুতে উল্লাসে মেতে ওঠা কোন স্বল্প বুদ্ধির জানোয়ারের কর্ম নয়, সে হল আপনার আমার মতো দেহমনের দু পায়ে হাঁটা হিপোক্রেট মানুষ ।
▪রোহিঙ্গাদের কোন দেশ নেই । মিয়ানমারের চোখে ওরা বাংলাদেশী , আর আমাদের দেশের চোখে এরা ভিনদেশী । ওরা আদম শুমারির আওতা মুক্ত । ওদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে শরণার্থী করা হয়েছে । আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে , বিশ্ববাসীর চোখের সামনেই । "সব্বে সত্ত্বা সুখিতা , ঔম শান্তি ঔম শান্তি "- বলে সর্বদা জীবহত্যা মহাপাপ বলে যারা জগতের সকল প্রানীর সুখ কামনা করে , সেই গেরুয়া পোষাকের গৌতম বুদ্ধের শান্তির ক্যাডার রাই নেমে পড়েছে মানুষ নিধনে । আবারও প্রমানিত হল সেই যে ঈশ্বরের ধর্ম ঈশ্বরের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল তা আর ঈশ্বর ফিরে পাননি । ঈশ্বর ও মানুষের কাছে অসহায় , গেরুয়া দের ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে ।
▪কিন্তু মানুষ মরতে চায় না, ওরা বাঁচতে চায়। এই বাঁচার আগ্রহ নিয়েই গুহামানব তারা গুহা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল।সমুদ্রে সাঁতরেছে, তপ্ত মরুর পথে পাড়ি জমিয়েছে, পাহাড়পর্বত পেরিয়েছে ইতিহাসের এক দীর্ঘ যন্ত্রণাময় পথ পেরিয়ে সেই গুহামানব এগিয়ে এসেছে অন্ধকার থেকে এই আলোতে।বর্বরতা থেকে সভ্যতার পথে। মানুষের এক চিরন্তন যাত্রা। জ্ঞানের জন্য, আলোর জন্য, সুখের জন্য। তবু আলো নেই; শুধু অন্ধকার। তারপর, তারপর অন্ধকার পথের শেষে সহসা নিজের সেই অফুরন্ত মিছিলের মাঝখানে আবিষ্কার করল ওরা। একটা সীমাহীন সমুদ্রের পাড় ধরে মানুষগুলো এগিয়ে চলেছে সামনে। ছেলে, বুড়ো, মেয়ে, শিশু,যুবক-যুবতী দীর্ঘ পথচলায় ক্লান্ত অবসন্ন, জীর্ণ, শীর্ণ, বিবর্ণ, ক্ষত-বিক্ষত দেহ আর অবয়ব।
▪তাদের দীর্ঘ মিছিল সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে একটি নিরাপদ ভূখণ্ডের দিকে । কেননা মানুষ বলে কথা , একটা ক্ষুধার্ত পেট ও ফেরারী মন মানুষ হবার সবচেয়ে প্রবল প্রতিবন্ধকতা ।
২| ১৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
ব্রিক্সশাওন বলেছেন: সরি ভুল কমেন্ট। ক্ষমা প্রার্থী আমি আসলে আপনার হেডিং দেখে কমেন্ট করেছিলাম বিষয়বস্তু না পড়েই।
৩| ১৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আমি বলব বলেছেন: প্রশংসনীয় উদ্যোগ।।।।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
ব্রিক্সশাওন বলেছেন: view this link
view this link
কার দালালী করছেন আপনি সা.. পেইড