![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘর এবং স্কুল থেকে বরাবর শিক্ষা পেয়েছি অপরকে সাহায্য করার। গরিব মানুষ কিংবা দুর্যোগ-দুর্ঘটনা বিধ্বস্তদের সাহায্যে সবসময় লেক টাউন গার্লস' (আমাদের স্কুল) বিশেষভাবে উদ্যোগী ছিল। পাশাপাশি রাস্তাঘাটে বাসে-ট্রেনে দরিদ্রদের সাহায্য করার কথা বারবার শিখিয়েছে মা-বাবা। ফলে টাকা দিয়ে সাহায্য, রেস্তোরাঁ থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার কাউকে দিয়ে দেওয়া ইত্যাদি স্বভাব দৃঢ়ভাবে নিজের মধ্যে বসে গিয়েছে... এমনকি বোর্ড এক্সামের হলে ঝুঁকি নিয়ে অন্য স্কুলের মেয়েদের পর্যন্ত সাহায্য করতে পিছপা হইনি। স্কুলে-কলেজে-বাইরে কতবার যে বন্ধুদের বাঁচাতে শহীদ হয়েছি, তার ইয়ত্তা নেই।
না, আমি কত ভাল বা মহান, তা জাহির করতে এই লেখা নয়। বরং আমি কী দিয়েছির থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই আমি কী পেয়েছি, তার দিকে। অনেক হারালেও এ'কথা অনস্বীকার্য, আমি অনেক অনেক পেয়েছি। বহু ভাংচুর মুহূর্তে পাশে পেয়েছি বন্ধুদের। পুরনো বন্ধুরা সঙ্গ ছাড়ামাত্র হাত ধরেছে নতুন বন্ধু। বন্ধুবিহীন সময়ে ফিরে এসেছে বহু পূর্বের কোনও শিক্ষাগুরু কিংবা বিনা স্বার্থে সাহারা যুগিয়েছে একেবারে অচেনা কিছু মানুষ। হাজার ভুল সত্ত্বেও বারবার বিশ্বাস রেখে মূল স্রোতে ভাসিয়ে রেখেছে মা-বাবা। এক কথায় জীবনের সব কঠিন মুহূর্তেই কোনও না কোনওভাবে সাহায্য ঠিক পৌঁছে গিয়েছে আমার কাছে। অন্ধকার থেকে অন্ধকারতর সময়ে আলো দেখিয়ে গিয়েছে কেউ না কেউ।
কর্মফলে আমি বিশ্বাস করি। নিজেকে ছাড়াও এমন অনেক শুদ্ধমনা মানুষকে দেখেছি, যাঁরা সবসময় অপরকে সাহায্যে প্রাণপাত করে এবং কোনও খারাপ যেন তাঁদের ছুঁতে পারে না। যখনই কোনও বিপদ থেকে মুক্তি পাই, বাবা-মা এবং স্কুলের পাশাপাশি এই পরোপকারী মানুষদের ধন্যবাদ জানাই।
আজ খারাপ লাগে, যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থেকে কোনও আহতের মৃত্যু ঘটে আর দাঁড়িয়ে দ্যাখে নির্বাক জনতা। চোখের সামনে অন্যায় ঘটছে দেখে তা রোখার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নির্বিকারে পাশ কাটিয়ে যায় মানুষ। বিশ্বের দরবারে যে দেশের এত সুনাম দিলদরিয়া স্বভাবের জন্য, সে দেশে এ কী চিত্র?
পরোপকারের শিক্ষা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। এই সুশিক্ষা নিজের মধ্যে গ্রহণ করার পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য
©somewhere in net ltd.