![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র দেব দেবতা নাকি অবতার সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। রামায়ন-মহাভারতের কাহিনী সত্য কিনা, নাকি বাল্মীকি আর ব্যাসদেবের তা স্রেফ কল্প কাহিনী, এটা গবেষনা করার ইচ্ছেও আমার নাই। তবে সেখানকার দুটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রের কথা বলতে গেলে শ্রীকৃষ্ণ মোটেও ভালো ও সভ্য ছিলেন না। রাধার দিক দিয়ে বিবেচনা করতে গেলে শ্রীকৃষ্ণকে একজন ধর্ষকই বলা যায়। যতটুকু জানি, রাধা যখন তাঁর কাপড় চোপড় পাড়ে রেখে স্নান করতে যেতেন, কৃষ্ণ তখন কাপড়গুলো সরিয়ে লুকিয়ে রাখতেন। রাধা তখন দুহাতে তার স্তন ঢেকে নগ্ন শরীরে এসে খুব করুনভাবে কৃষ্ণের কাছে মিনতি করতেন, তার কাপড়গুলো দেয়ার জন্য। কৃষ্ণ রাধার কাপড় দিতেন ঠিকই, তবে এমনি এমনি না। তিনি লীলার (বোঝেন তো লীলা মানে কি?) বিনিময়ে কাপড় চোপড় ফেরত দিতেন। কৃষ্ণ শুধু রাধার কাপড় লুকিয়ে রেখে রাধাকে একভাবে ধর্ষন করতেন না। আরো অন্যভাবেও করতেন। রাধা দধির ভাণ্ড বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে ভাণ্ড রেখে একটু কোথায় গেলে, সেই দধির ভাণ্ড গাছের উপর লুকিয়ে রাখতেন কৃষ্ণজী। এবার রাধা যায় কোথায়? রাধাকে বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে কৃষ্ণকে কাম দিতে হতো! এখনকার সভ্য ও মানবিক ছেলেরা কোনো মেয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এমন নির্লজ্জ কাজ করবে বলে আমার মনে হয়না।
দশরথের পুত্র অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র দেব আমার দৃষ্টিতে মোটেও ভালো নয়। তার ভাই লক্ষন ছিল ভেড়ার মতো। পুরো আত্নসম্মানহীন। সারাদিন বৌদির (সীতার) পিছনে ঘুরে বেড়াত। তিনি মেঘনাথকে মেরেছিল চোরের মতো চুরি করে। যাকগে সেই কথা। সেটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আমি চিন্তার করি অবতার ( অনেক হিন্দুদের মুখে রামকে অবতার বলতে শুনেছি, কারো মুখে শুনেছি রাম স্বয়ন ভগবান!) রামচন্দ্র দেবের কথা। তিনি কতোখানি নিচু মনের ছিলেন। লংকার রাজা রাবনকে হত্যা করার পর সীতাকে যখন তিনি উদ্ধার করেন, তারপর সীতাকে তিনি সন্দেহ করেন! সীতার সতীর্ত্ব ঠিক আছে তো? মানে রাক্ষুস রাবন সীতার সাথে ফষ্টিনষ্টি কিছু করেনি তো? রামের সন্দেহ দুর হয় না। তিনি রাজ সভায় সীতার সতীর্ত্বের পরীক্ষা নেবেন। যেহেতু সীতা কিছুদিন রাবনের কাছে বন্দী ছিলেন। আচ্ছা এখানে কথা হল, হিন্দুরা রামকে ঠিক কোন দিক থেকে ভগবান-অবতার-নারায়ন মানে? রাম যদি ভগবানই হন, তাহলে তো তার অন্তর্যামী হবার কথা। তার সবকিছু জানার কথা। তার তো জানার কথা যে, সীতাকে রাবন আদৌ..... করেছে কিনা? এখানে সবার সামনে সীতার সতীর্ত্ব পরীক্ষারই বা দরকার কি ছিল? আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে যখন একজন নারীকে সবার সামনে সতীর্ত্বের পরীক্ষা (তাও আবার একজন রাজার বউ) দিতে বলা হয়, তখন সেই নারীর কাছে এরচেয়ে লজ্জাকর আর কিই বা থাকতে পারে? সীতা আর লজ্জায় থাকতে না পেরে তখন মাটি ফাঁক করে পাতালে ঢুকে গেলেন! সবাই রাম রাম করতে লাগল, রাম মহান, রাম ভালো, রাম আরো কতো কিছু। আমি সেই দৃষ্টিকোন থেকেই বলছি, অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্রদেব মোটেও উদার ও মহান ছিলেন না। তিনি খুব নিচু ও ইতর টাইপের ছিলেন। অথচ যে সীতা সবকিছুকে পেছনে ফেলে পতিদেবের হাত ধরে বনবাসে চলে এসেছে, কিছুদিন রাবণের কাছে বন্দী থাকায় সেই সীতার সতীর্ত্ব চলে গেল? আমি বলব রাম এটা সীতার উপর রীতিমত অবিচার করেছে। বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
গীতাকে হিন্দুরা তাঁদের মহান ধর্মগ্রন্থ বলেই জানে। এই গীতা হল শ্রীকৃষ্ণের মুখ-নিসৃত বাণী। যারা গীতাপাঠ শুনবে, তাদের জন্য নাকি অনকে মঙ্গল হয়। গীতাপাঠ শুনলে পাপীও নাকি পুণ্য হয়ে যায়। হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্টানে সংস্কৃত গীতা পাঠ হয়। একবার আমি দেখেছিলাম বড় মামা যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন উঠানে মৃত মামার বুকের উপর গীতা রেখে সবাই গোল হয়ে বসে কান্নাকাটি করছিল। আমার মামাতো বোন কেঁদে কেঁদে চোখের পানি মুছে মুছে গীতা পড়ছে। মরার বুকের উপর গীতা রাখলে আর পড়লে এতে নাকি মামা স্বর্গলাভ করবে। সেদিন আমি শুধু চুপ করে শোকার্ত নির্বোধদের কান্ড দেখেছিলাম। আমি বুঝিনা গীতা কি করে মহান গ্রন্থ হয়? যে অর্জুন কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করে, একশত জেটুতো ভাইদের হত্যা করে রাজ্য দখল করার জন্য রাজি হচ্ছিল না, সেখানে শ্রীকৃষ্ণই তো নানা রকম বয়ান দিয়ে অর্জুনকে যুদ্ধ করার জন্য রাজি করিয়েছিলেন। আর সেই বয়ানই হল মহান ধর্মগ্রন্থ গীতা! এখানে গীতা কোন দিক দিয়ে মহান হয়? অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বলেছিলেন, আমি এতোগুলো ভ্রাতাদের মেরে এই রাজ্য লাভ করতে পারব না। ভ্রাতৃগনকে মেরে এই রাজ্য আমার চাইনা। তখন কৃষ্ণ ডাইলগ মারলেন, এই যুদ্ধ ধর্মযুদ্ধ, অধর্মকে বিনাশ করার জন্য তোমার এই যুদ্ধ করতেই হবে। অধর্মকে বিনাশ করার জন্য আমি এই পৃথিবীতে যুগে যুগে অবতীর্ণ হই। ওদেরকে আমিই মেরে রেখেছি। তুমি নিমিত্ত মাত্র। পৃথিবীতে এমন কোন সৃষ্টি নাই যা আমি সৃষ্টি করিনি। ভাল কথা, কৃষ্ণ যদি সবকিছু সৃষ্টি করেই থাকেন, তাহলে দুঃশাসন-দুর্যোধনের মতো অসভ্যদের সৃষ্টি করলেন কেন? এই দুর্যোধনের বিশ্বাসঘাতকতার কারনেই তো কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সৃষ্টি। দুঃশাসনের নোংরামির (দ্রৌপদির বস্ত্র হরন) কারণেই তো দ্রৌপদি চুল (তিনি পন করেছিলেন দুঃশাসনের বুকের রক্ত দিয়ে যেদিন স্নান করবেন, সেদিন চুল বাঁধবেন) খোলা রাখার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। পরে যুদ্ধে অর্জুনের ভাই ভীম ঠিকই দুঃশাসনের বুক চিরে দুভাগ করে হত্যা করে ছিলেন। আর দ্রোপদি সেই রক্ত চুলে মেখেছিলেন। হিংস্রতা কত প্রকার ও কি কি তা এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাওয়া যায়। মহাভারতের অধিকাংশ কাহিনীজুড়ে রয়েছে যুদ্ধ আর যুদ্ধ। তাদের মধ্যে কতটুকু মানবিক অবক্ষয় হলে এমন হিংস্র যুদ্ধ করতে পারে? কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হল মানবিক অবক্ষয়ের চরম নিদর্শন! রামায়ন, গীতা, মহাভারত, এসব যুদ্ধবাজ গ্রন্থগুলো বর্তমান মানব সভ্যতাকে অগ্রগতি করবে বলে মনে হয় না। এগুলো এখন অনুপোযোগী গ্রন্থ। এগুলো বর্জন করায় শ্রেয়। তারচেয়ে ঢের ভালো রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী----
বিপদে মোরে রক্ষা করো
এই নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদকে যেন আমি না করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত দিনে
নাইবা দিলে শান্তনা
দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।
এমন কবিতা গীতার বাণী থেকেও অনেক মহৎ ও অনেক আত্নবিশ্বাস যোগায়।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
অনিমেষ সাহা বলেছেন: বোকা চোদা আগে পুরো রামায়ন, গীতা, মহাভারত পরে তারপর মন্তব্য কোর। অল্প বিদ্যা ভয়ংকার............
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
নতুন বলেছেন: গ্রীক/রোমান/হিন্দু দেব দেবীরা সবাই এইটু লীলাখেলা করতেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২২
ঢাকাবাসী বলেছেন: রামায়ন মহাভারতের সাথে গীতান্জলীর তুলনা! দেব দেবীদের বা অবতারদের নিয়ে সমালোচনা না করাই ভাল।