নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরন বিল

চরন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোরকা হিজাবের ব্যবহার

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২১

ঢাকা শহরের কিছু কিছু সাইবার ক্যাফেগুলো বিশেষ উদ্দেশ্যে খোলা হয় এটা জানা ছিল না। আমি যখন দেশে ছিলাম আমার বাসার পাশের দুতলা ভবনের একবার উপরে একটা সাইবার ক্যাফেতে গিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ো করে ঢুকে গেলাম আর ঢুকেই পড়লাম আপদে । ছেলেমেয়েরা শরীর মন দিয়ে চরম পর্যায়ের নেট ব্রাউজ করছে। প্রত্যেক ডেস্কেই বোরকা টাঙানো। শেষে আমাকে বিব্রতকর অবস্থা থেকে রক্ষা করেন ক্যাশিয়ার। বললেন, ভাই একদম শেষে একটা ডেস্ক সিঙ্গেল আছে। আপনি সেটায় বসুন। তাড়াহুড়ো করে ৩০ মিনিট নেট ব্রাউজ করে আমি চম্পট দিলাম এবং দুই তলার উপরে আর কোন সাইবার ক্যাফেতে উঠব না প্রতিজ্ঞা করে নিলাম।
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা অঞ্জলি দেবীর কথা মনে আছে? নার্সের পেশাদার পোশাকের পরিবর্তে হিজাব পড়ার বিরোধিতা করেছিলেন উনি। তখন অনলাইনে বাঁশেরকেল্লা এবং জামাতি পেইজগুলোতে উনার ছবি দিয়ে ঢোল বাজানো হয়েছিল হিন্দুরা এত সাহস পায় কিভাবে? মুসলমানের দেশে হিজাব নিয়ে কথা বলে?
জামাত শিবিরের এই অনলাইন প্রচারণার ফসল উঠেছে বছর খানেক পর। গত ১১ই জানুয়ারী সকালবেলা অফিস যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় অঞ্জলি দেবীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। উনার অপরাধ কি ছিল? অন ডিউটিতে হিজাব পড়তে মানা করেছেন।
আপনার যদি এতই ধর্ম করার ইচ্ছে থাকে তাহলে বাসায় বসে ধর্ম করুন অথবা নিজে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেখানে বসে ধর্ম করুন। নার্সিং একটি পেশা এবং এই পেশার জন্য নির্দিষ্ট পেশাদার পোশাক আছে। আপনি ব্যাংকে চাকরি করলে, সুপারমার্কেটে চাকরি করলে সেখানকার পেশাদার পোশাক পড়েই চাকরি করতে হবে। এটাই পেশাদারিত্ব: উদাহরণস্বরূপ- কিছুদিন আগে কানাডার একটা আদালতে বিচারক(মহিলা) এক কুয়েতের মহিলার বক্তব্য না শুনেই বের করে দিয়েছেন তিনি হিজাব পড়ে গিয়েছেন বলে। ঐ মহিলার এই কথা ঐ কথা কিন্তু বিচারক স্থির উনার বক্তব্যে। বিচারকের বক্তব্য হচ্ছে , কোর্ট একটি সেক্যুলার জায়গা। আপনি এখানে যে কোন ধর্মের যেকোন ধরনের ধর্মীয় পোশাক পড়ে আসতে পারেন না। এটাই কানাডার আইন। যদি আপনাকে কানাডায় থাকতে হয় তাহলে কানাডার আইনই মানতে হবে। আপনি স্বাভাবিক পোশাকে আসুন। আমি সব অভিযোগ অবশ্যই শুনব।"অঞ্জলি দেবীর কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার এবং কানাডার আদালতের এই ঘটনার প্রসঙ্গ টানার কারণ সাম্প্রতিক সময়ে আবদুল গাফফার চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্য। সেখানে তিনি বোরকা হিজাব নিয়ে কথা বলেছেন। অনলাইন নিউজের নিচে কমেন্টে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে গালাগালি এবং কল্লা ফেলে দেওয়ার হুমকি শুরু হয়ে গেছে যথারীতি। এই বোরকা হিজাবেই বাংলাদেশের ইসলাম নীহিত। নিজের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করি , রমযান মাসে পর্দা টাঙানো হিন্দু হোটেলগুলোতে কখনো গিয়ে দেখবেন। বোরকা হিজাবওয়ালীদের ভীড়ে নিজে বসারই জায়গা পাবেন না। দাদাদের লইট্টা মাছ আর পাতলা মসুর ডাল গোগ্রাসে গিলছে। তারপর খাওয়া শেষ করে আবার বোরকায় ঢুকে গেলেন। রাস্তায় বের হলেই তো আদর্শ মুসলিম নারী!
পতেঙ্গায় সিবিচে পাথরের একটু গভীর খোঁপ কিংবা গর্তে বাইসেন্স চোখ গেলেও বোরকা হিজাবের অতি উত্তম ব্যবহার দেখতে পাবেন। রিকশায় রোমান্স শেষে বাসার গলিতে ঢুকার আগেই মাথায় নেকাব আর হিজাবটা পড়ে নেই ভালো মেয়েরা!
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২০০১ সালে ফিল্মি স্টাইলে গোলাম হোসেন এবং নুরুল করিম নামের দুজন আওয়ামিলীগের নেতা খুন হন। জোড়া খুন দেশে হরহামেশাই হয় কিন্তু এই খুন সারা দেশেই আলোচিত হয়েছিল খুন করার স্টাইলের কারণে। আওয়ামিলীগের একদম ঘাঁটির ভিতরে গিয়ে দিনের বেলায় খুনিরা ব্রাশ ফায়ার দিয়ে খুন করে চলে যায়। তারা এসেছিল বোরকা পড়ে। পালাতে কোন অসুবিধাই হয়নি তাই।
এসবই বোরকা হিজাবের ব্যবহার। এসব নিয়ে কোন কথা হবে না। শুধু কেউ বোরকা হিজাবের অপব্যবহার নিয়ে কথা বললেই তার কল্লাটা ফেলে দাও! ইসলাম চলে গেল! ইসলামের শত্রু! পেশাদার কাজে পেশাদার পোশাক না পড়ে হিজাব পড়তে হবে। শুধু তারাই ধার্মিক! আর সেটা নিয়ে কথা বললেই প্রাণ যাবে। ধর্মানুভূতি বলে কথা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫১

আর জে নিশা বলেছেন: সমস্ত নোংড়া কাজ হয় বোরকা আর হিজাবের অন্তরালে, টাইট লেঙ্গিস অথবা ঢলঢলা পাতলা রেশমী কাপড়ের পালজ্জ যেই মেয়েরা পড়ে তাদের ফ্যাশন হিজাব নামক ফাইজলামী । উগ্র প্রসাধন আর কড়া লিপষ্টিক সাথে বডিফিট জামা মাথায় হিজাব = এ যেনো আরব্য রজনীর নর্তকী !

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৩

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: অনেক উন্নত দেশেই হিজাব নিষি্দ্ব। বাংলাদেশেও নিরাপত্তার খাতিরে হিজাব নিষি্দ্ব করা উচিত।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০২

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: লেখকের সাথে পুরোপুরি সহমত ।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৬

এস. এম. হাবিবুল্লাহ বলেছেন: প্রিয় ভাই আপনাদের সম্মান জানি বলছি, কেউ কু-কর্ম লুকানোর জন্য পর্দা বা হিজাব (বাংলাদেশে বলা হয় বোরকা) যদি ব্যবহার করে তাহলে ঐ জিনিষটা খারাপ হয়ে যায় না। কেউ ধর্ম অনুশাসনের জন্য ব্যবহার করে কেউ নিজের কুকর্ম লুকানোর ধর্মকে ব্যবহার করে। তসলিমা নাসরিনের মত স্বঘোষিত 'নাস্তিক'ও হিজাবের বা বোরকার অপব্যবহার করেছিল- যখন বাংলাদেশের হাইকোর্ট থেকে অগ্রিম জামিন নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। কারো কুর্মের জন্য একটি ভাল 'হিজাব' কে এভাবে আপনি অসম্মান করতে পারেন না। আর আপনার কথায় বিশ্বের উন্নত দেশে (আপনার কথায়, আমি জানিনা তারা কতটুকু উন্নত, যারা সমকামিতাকে বৈধতা দেয়, এসব জিনিস অন্য কোন প্রাণীর মধ্যেও পর্যন্ত নেই) সে সব অনেক দেশ আছে যারা বোরকা বা হিজাবকে সব জায়গায় বৈধতা দিচ্ছে, যেমন- বৃটেন তার প্রকৃত উদাহরণ। তবে আমি একটি কথা বলি- আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ বা তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশে বিশেষ করে মুসলিম দেশে শিখ, হিন্দু, খৃষ্টান বা অন্যান্যরা তারা নিজ নিজ ধর্মীয় পোষাক গায়ে দিয়ে আদালত বলেন চাকরী বা পাবলিক পরিসরে ব্যবহারের কথা বলেন; তাহলে তাকে কোন প্রকার বাধার সম্মুখিন হতে হয় না, যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে তার ধর্মের প্রতি হস্তক্ষেপ করা হয় বলে গণ্য করা হয় (ইসলাম তা সমর্থন করে না)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.