নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরন বিল

চরন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর আজাবের আষাঢ়ের গল্প

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০


মৃত্যুর পরে কবরের আজাব সম্পর্কে ইসলাম ধর্মে কিছু আষাঢ়ে গল্প প্রচলিত আছে । হযরত আয়েশা সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন একবার এক ইহুদী মহিলা আয়েশা এর নিকটে গিয়ে কবরের আযাব এর কথা জিজ্ঞাসা করল, তখন আয়েশা বললেন ,আল্লাহ তায়ালা তোমাকে কবরের আযাব থেকে হেফাজত করুন। অত:পর বললেন , আমি রাসূলে মাকবুল কে কবরের আযাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করলাম, জবাবে তিনি বললেন হ্যাঁ কবরের আজাব সত্য। অত:পর আয়েশা বলেন , এর পর থেকে আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ প্রতি নামাযের পর কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন। (সহীহুল বুখারী: খ: ২, পৃ:৪১৮ হাদীস নং ১৩৭২; সহীহুল মুসলীম খ: ১, পৃ: ৪১০, হা: ৫৮৪) হযরত আনাস থেকে বর্ণিত, রাসূল ইরশাদ করেন , তোমরা ভয়ে মৃতদেরকে দাফন করবেনা -এ আশংকা যদি আমার না হত, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম তিনি যেন তোমাদেরকে কবরের আযাব শুনাইয়া দেন। (সহীহুল মুসলীম খ:৪, পৃ:২২০০, হা:২৮৬৮) ইবনে মাসউদ সূত্রে বর্ণিত, রাসূল ইরশাদ করেন, নিশ্চয় মৃতদেরকে কবরে (তাদের কৃত অপরাধের কারনে) আযাব দেয়া হয়, এমন কি পশু- পক্ষী তাদের চিৎকার শুনতে পায়। (আল মু’জামুত তাবরানী আল কাবীর: খ: ১০, পৃ:২৪৭, হা ১০৪৫৯) হযরত আনাস থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন , কোন বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয়, অত:পর তার সঙ্গী সাথীরা ফিরে যায়, এমনকি ঐ মৃত ব্যক্তি তাদের চলন্ত অবস্থায় জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। তখন তার নিকট দুজন ফেরেস্তা আগমন করে, অত:পর তারা তাকে উঠিয়ে বসায় এবং জিজ্ঞাসা করে, মুহাম্মদ কে? তখন মৃত ব্যক্তি মুমীন হলে বলে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তখন তাকে বলা হয়, তুমি তোমার জাহান্নামের স্থানটি দেখে নাও। আল্লাহ পাক ইহা জান্নাতের বিনিময়ে তোমার জন্য পরিবর্তন করে দিয়েছেন। নবীজি বলেন তখন সেই ব্যক্তি উভয় স্থানটি দেখতে পায়। আর যদি মৃত ব্যক্তি কাফের বা মুনাফিক হয়, তাহলে সে বলতে থাকে, আমি কিছুই জানিনা। লোকেরা যা বলত আমিও তাই বলতাম। তখন তাকে বলা হয় তুমি কিছুই জানার চেষ্টা কর নাই, এবং কিছুই পড় নাই। অত:পর লোহার হাতুড়ি বা মুগুর দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করা হয় ফলে সে এত জোরে চিৎকার করে যে, জ্বীন ও মানব জাতি ছাড়া আশে পাশের সবাই তা শুনতে পায়। (সহীহুল বুখারী: খ: ২, পৃ:৪০৬ হাদীস নং ১৩৩৮; সহীহুল মুসলীম খ: ৪, পৃ: ২২০০, হা: ২৮৭০) এ ব্যাপারে আরো অনেক গাল গল্প বর্ণিত আছে। আমরা জানি মৃত্যুর পর মৃতদেহে ধীরে ধীরে পচন ধরতে শুরু করে। কিন্তু মৃত্যুর পর হতে পচন ধরার পূর্ব পর্যন্ত শারীরিক কী কী পরিবর্তন হয় অথবা কোন প্রক্রিয়ায় মৃতদেহে পচন শুরু হয়, তা কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, ‘মৃত ঘোষণার অর্থ এই নয় যে, দেহের প্রতিটি কোষের মৃত্যু হয়েছে। হৃদযন্ত্র শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া বন্ধ করলে, কোষগুলো অক্সিজেন পায় না। আর তখন অক্সিজেন পাওয়া বন্ধ হলে, পেশিগুলো শিথিল হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে অন্ত্র ও মূত্রথলিও খালি হতে শুরু হয়।’ গবেষকরা বলেন,

‘কার্যত দেহের মৃত্যু ঘটলেও, অন্ত্র, ত্বক অথবা অন্য কোনো অংশে বসবাসকারী একশ’ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া তখনও জীবিত থাকে। মৃত্যুর পর দেহের অভ্যন্তরে যা কিছু ঘটে থাকে, সেসব কিছুর পেছনে কাজ করে থাকে এই একশ’ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া। আমরা সবাই একটি বিষয় পুরোপুরিভাবে জ্ঞাত নই তা হলো, মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম দেহের কোন পরিবর্তন আসে সে বিষয়ে। প্রথমেই যেটি হয় তা হলো, অ্যালগর মরটিস (অর্থাৎ মৃতদেহের তাপমাত্রা) ঘরের তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত দেহের তাপমাত্রা কমতে থাকে প্রতি ঘণ্টায় ১.৫
ডিগ্রি ফারেনহাইট করে। গবেষণা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, লিভোর মরটিস বা লিভিডিটি এক্ষেত্রে দেহের নিচের দিকে রক্ত এবং তরল পদার্থ জমা করে থাকে। আর তাই মৃতদেহের ত্বকের প্রকৃত রঙ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়। এক সময় এটি গাঢ় বেগুনি- নীল রঙ ধারণ করে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রিগর মরটিস- এ ক্ষেত্রে দেহ হতে অত্যাধিক ক্যালসিয়াম ক্ষরণের কারণে পেশিগুলো ক্রমেই শক্ত হয়ে যায়। এই অবস্থা থাকে ২৪ হতে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। এই সময় অবশ্য অনেকের চোখ খোলা থাকে। গবেষণা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর দেহে পচন ধরতে শুরু করে। রক্ত চলাচল বন্ধ হলে কার্বন- ডাই-অক্সাইডের গঠন শুরু হয়। আর তাই অম্লের মাত্রা বাড়তে থাকে। যে কারণে মৃতদেহের কোষগুলোতে ভাঙন ধরে। দুই হতে তিন দিনে দেহ পচতে শুরু করে। পরিপাক নালীতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও আণুবীক্ষণিক প্রাণীরা দেহের অন্যান্য অংশে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহের এসময় তলপেট সবুজ বর্ণ ধারণ করে ও তাতে গ্যাস তৈরি হয়। এর চাপে শরীরের মলমূত্র নিষ্কাশিত হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পিউট্রেসিন ও ক্যাডাভেরিনের মতো
জৈবিক যৌগ শিরা- উপশিরায় ছড়িয়ে পড়লে, মৃতদেহে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এই গন্ধই হলো মৃতদেহের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এরপর নেক্রোসিস পদ্ধতিতে দেহের রঙ সবদিক হতে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। মৃতদেহের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ার কারণে এতে আকৃষ্ট হয়ে ভিড় জমায়
উচ্ছিষ্ট-ভোগী নানা পোকা-মাকড়। মৃতদেহকে খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহার করে এসব পোকা-মাকড়গুলো। তারপর ধীরে ধীরে
প্রাণহীন মৃতদেহ ক্রমেই মাংস-চামড়ার খোলস ত্যাগ করে পরিণত হতে থাকে হাড় সর্বস্ব কঙ্কালে। এভাবেই এক পরিণতির দিকে ধাবিত হয় মৃতদেহ।ব্যক্তি প্রকৃতিতে এভাবেই আপন অস্তিত্ব লিন করে দেয় ।


হযরত মুহাম্মদ মুমিনদের এমন এক মদ পান করিয়ে দিয়েছেন যে ,নিজের চোখে ভাঙ্গা কবরে পঁচা লাশ দেখেও কবরের আজাব সংক্রান্ত আষাঢ়ে গল্পকে সত্য হিসেবে মনে প্রানে বিশ্বাস করে ।সুধী ,বিজ্ঞ জনদের নিকট প্রশ্ন-কত বড় বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হলে এই গাঁজাখোরী গল্পে ঈমান আনা সম্ভব ?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

মীর খায়রুজ্জমান বলেছেন: আপনি যে কথা বলেছেন তা মক্কার কাফেররা রসুলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যমানাতেই বলেছিল।কবরের সংজ্ঞা জেনে নিন।মৃত্যুর পর থেকে পরকাল এর বিচার পর্যন্ত যে সময়কাল,সে সময়কে কবর বলা হয়।অথ্যাৎ কবর হলো একটা নির্দিষ্ট সময়।এর সাথে পচে যাওয়া,গলে যাওয়া কিংবা ব্যাকটেরিয়ার সম্পর্ক নেই।যেমন পুলিশ কোন মামলায় কাউকে গ্রেফতার করলো পরে তার এক বছরের জেল হলো।কিন্তু দেখা গেল বিচার চলতে চলতে এক বছর তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।সেক্ষেত্রে আদালতের রায় ঘোষণার পর সে মুক্তি পেয়ে যাবে,জেলে যাবে না।কবর জীবনের ব্যাপারটা এই রকম।পরকাল কিংবা আখিরাত এমন এক সত্য যাকে অস্বীকার করলে সব সত্যর বিলুপ্তি ঘটে পৃথিবীতে কেবল মিথ্যার জয় হবে।আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় “ঘুষ খাওয়া ভাল না খারাপ”।আপনি বলবেন খারাপ।কিন্তু কেন খারাপ?ঘুষ খেলে আপনার বাড়ি, গাড়ি, ফ্লাট হবে।বছর বছর নানা লোকেশনে ভ্যাকেশনে যেতে পারবেন।ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট মেডিকেল,ভার্সিটিতে পড়াতে পারবেন।কিন্তু যদি সৎ,ন্যায়পরায়ণ হন তাহলে আপনি ঘুষ খাবেন না।তার ফলে দেখা যাবে হয়তো নিজের খাবারের পয়সা যোগাড় করতেই আপনাকে হিমশিম খেতে হবে।তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল ঘুষ খাওয়া ভাল।আপনি হয়তো বলবেন ঘুষ খেলে আরেকজনের হক নষ্ট হয় এবং তার কষ্ট হয়।আমি বলবো,“অন্যের কষ্ট হোক,আমি সুখে থাকলেই হলো”।এবার হয়তো বলবেন আমাকে পুলিশ অথবা প্রশাসন চাকরীচ্যুত করে জেলে পাঠাবে।আমি বলবো “না,কারণ পুলিশ এবং প্রশাসন ঘুষের পারসেন্টটেজ নিয়ে দেখেও না দেখার ভান করবে”।এবার হয়তো বলবেন নীতিবান লোক আমাকে পাকড়াও করবে।আমি বলবো,আমি নীতিবান লোকের উপরওয়ালাকে ঘুষ দিয়ে নীতিবানকে নীতিচ্যুত করবো।তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল ঘুষ খাওয়া ভালো।কিন্তু ঘুষ শুধু একটাই কারণে খারাপ আর সেটা হলো পরকালের জবাবদিহিতা।পরকালের জবারদিহিতার বিশ্বাস শুধু ধর্ম থেকেই আসে।পরকালের বিশ্বাস না থাকলে যে কোন ভাল কাজের কোন যৌক্তিকতা থাকবে না।পরকালে বিশ্বাস অথ্যাৎ ধর্মে বিশ্বাস না থাকলে মিথ্যার কাছে সত্য পরাজিত হবে। কিছু মানুষ আছে যাদের কাছে ধর্ম এলার্জির কারণ।অনেক নাস্তিক দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন কিন্তু নাস্তিকরা দূর্নীতিকে স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছেন।নাস্তিকদের মুখে কোন ভাল কথা মানায় না।নাস্তিকরাই সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরী করে থাকে।ধর্মকে জানতে হলে আপনি আলেমদের কাছে যান,কোরআন শরীফ এবং মহানবী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী সম্পর্কে জানুন।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: লেখকের ধর্মজ্ঞান খুবই সীমিত!

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

গরু গুরু বলেছেন: খায়রুজ্জামান ভাইয়ের উত্তরটা ভালো লেগেছে।

লেখক নিজেকে হয়ত অনেক বড় পন্ডিত মনে করেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে, রাসুল(সা:) কে অপমান করে অবশ্যই নিজের ক্ষতিটাই তিনি করছেন।

কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর, লেখক তার সেই বিদ্যা সল্পতাকেই নানা ভাবে প্রকাশ করতে চাইছেন, বুঝাতে চাইছেন তিনি ইসলামি কিতাব পড়েন" কথায় আছেন খালি কলশী বাজে বেশি! তার হয়েছে শেই দশা।

রাসুল(সাঃ) কবের আজাব বলতে লাশ পচা না পচা উদ্দেশ্য করেন নি। এখানে মানুষের আমল অ ইমানের পরিক্ষার কথা বুঝানো হয়েছে। এই বিষয়টা একটা শিশুও বুঝতে পারে, অথচ লেখক বুঝতে পারে নি।

লাশ পচে যাওয়ার কথাতো হাদিসেই আছে। আল্লাহ সেটাকে আবার জিবীত করবেন।

নাস্তিকদের এই এক সমস্যা সম্পুর্ন না জেনে খালি ফডর ফডর করে।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

রোষানল বলেছেন: মীর খায়রুজ্জমান ভাই যে মন্তব্যটা করলেন এটা ডাঃ জাকির নায়েকের একটা লেকচারের অংশ বিশেষ । এক নাস্তিক জাহান্নাম আর জান্নাতের সত্যতা নিয়ে যখন ডাঃ জাকির নায়েককে প্রশ্ন করেছিলো তখন তার উত্তরে ডাঃ জাকির নায়েক এই লজিকালি উত্তর করেছিলেন । যাই হোক এটার সাথে কবরের আজাবের কোন সম্পর্ক নেই ।
পবিত্র আল কোরআনে স্পষ্ট করে একটি আয়াতও নেই যেখানে কবরের আজাবের কথা বলা আছে । তবে একটি আয়াতে ফেরাউন কে উদ্দেশ্য করে বলা আছে যে, ফেরাউন কে সকাল সন্ধ্যায় আগুনের সামনে উপস্থিত করা হয় । এবং শেষ বিচারের পর তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ানক আজাব ।
কবরের আজাব বিষয়ে যারা যুক্তি দাড় করান তারা বেশি ভাগ আল কোরআনের এই আয়াতের সাহায্যই নেয় ।এখন প্রশ্ন হল আমরা জানি ফেরাউনের লাশ মিশরের কায়রো জাদু ঘরে রাখা আছে। অথচ কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে সকাল সন্ধ্যায় আগুনের সামনে উপস্থিত করা হয় । এর অর্থ এই দাড়ায় যে, বিষয়টা সম্পূর্ণ আত্মিক ।মানুষ মারা জাবার পর তার দেহ থেকে রূহ আলাদা হয়ে যায় ।মিত্তুর ফেরেশতারা রুহুকে নিয়ে উপরে চলে জায় তারও উল্লেখ আছে কোরআনে ।পড়ে থাকে শুধু দেহ ।আমার মনে হয় সকাল সন্ধ্যা আগুনের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় পাপি আত্মা সুমুহুকে ।আত্মিক ভাবে তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য । আদমের এক পুত্র যখন আর এক পুত্রকে খুন করল তখন একটা কাকের মাদ্ধমে আল্লাহ কবর দেবার পদ্ধতি দেখিয়ে ছিলেন। আল কোরআনে কবর দেবার কথা যদি উল্লেখ থাকে তবে কেন পরিস্কার করে কবরের আজাবের কথা বলা হলনা ?

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

জেকলেট বলেছেন: ভাই কি ভিসা রিফিউজ হইছেন??? আপনার ভিসা রিফিউজের কারন আপনি একটা ভন্ড নাস্তিক। ঠিকমত পড়ালেখা করে নাস্তিক হউন। মানুষ আপনার মতের সাথে একমত না হলেও রেসপেক্ট করবে। আর না হয় বিদেশিরা হাসাহাসি করবে আর রিফিউজ হবেন।

এবার আপনার এই পোষ্টের ব্যাপারে: আচ্ছা আপনাকে যদি আমি বাপ-মা তুলে গালাগালি দেই তাহলে আপনার কষ্ট না আনন্দ লাগবে? যেটাই লাগুক সেইটা আপনার কোথায় অনুভুত হয়??? আপনার শরীরে তো আমি ষ্পর্শ করিনি তাহলে এই অনুভূতি হচ্ছে কেন একটু কি বলবেন??? আমি মানুষ হয়ে আরেক মানুষকে কোন শারীরিক ষ্পর্শ না করেই যদি কষ্ট বা আনন্দ দিতে পারি তবে সৃষ্টিকর্তার কেন লাগবে?? বলবেন তাহলে ঘাড়ের নিচে লোহার হাতুড়ী দিয়ে বাড়ির মত অনুভূতি বা দুই পাজর এক সাথে করার মত শারীরিক কষ্টের কথা?? মনে রাখবেন আমাদের প্রত্যেক শারীরিক ব্যাথাই একটি অনুভূতি। আপনার শরীরের যে অংশেই আঘাত করা হউকনা কেন অনুভূতিটা তৈরী হয় ব্রেইনে। আর ব্রেইনের সে অংশের সাথে শরীরের ঐ অংশের একটা কানেকশন থাকার কারনেই আমাদের শরীরের ঐ অংশে ব্যাথা লাগে। তো এই অনুভুতি আর্টিফিসিয়ালি তৈরী করা যায়না অন্তত এই যুগে এইটা যানেনা এমন মানুষ পাওয়া কি সম্ভব?? আর সৃষ্টিকর্তা এই অনুভূতি দিতে পারবেন না?? এইরকম আরো অনেক যুক্তি দেওয়া যায় সাইন্টিফিকেলি। কিন্তু কবর বা কবরের আজাব নয়ে ইসলামের আসল মোজেজা এখানে না।
কবর বা কবরের আজাব নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা বুজতে হলে আগে দেখুন ইসলাম মৃত্যুকে কিসের সাথে তুলনা করেছে: আল্লার রাসূল মৃত্যুকে ঘুমের সাথে তুলনা করেছেন "উনি বলেছেন ঘুম হল দ্বিতীয় মৃত্যু"। কোরআনে পর্যন্ত এ ব্যাপারে আয়াত আছে। এত কিছু থাকতে মৃত্যুকে ঘুমের সাথে তুলনা কেন?? একটা কারন হল আমরা ঘুমের মাধ্যে যে স্বপ্ন দেখি। ঘুমে দুঃস্বপ্ন দেখে কেউ কেঁদে বা কেপে ঘুম থাকে উঠেনি এই রকম মানুষ নাই। জীবনে একবার হলেও এই ঘটনা সবার হয়েছে। আচ্ছা বলেন ত স্বপ্নে আপনি গাড়ির নিচে পড়ে হাতে ব্যাথা পেলে কোথা্য় ব্যাথাটা অনুভূত হয়?? আনেকেই ঘুম থেকে উঠেও বারবার তার সেই হাত ছুয়ে কনফার্ম হতে চায় তার হাত ঠিক আছে। এখন প্রশ্ন হল আপনার হাতে তো আসলে কিছু হয়নি তবু ও স্বপ্নে আপনি সেই ব্যাথা ফিল করলেন কেমনে?? কবরের আজাবটা ও ঠিক এইভাবে ভাইজান। তাই আল্লার রাসূল ঘুমকে দ্বতীয় মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছেন। আর কোরআনে ও আল্লাহ এই নিয়ে আয়াত নাযিল করেছেন।
ভাই শুধু একচোখা পড়ালেখা করলেই হয়না সমালোচনা করলে আগে প্রচুর পড়ালেখা করে সমালোচনা করা উচিত। প্রচুর পড়ালেখা করেন দেখবেন একজন মানুষ (যেহেতু আপনার দৃষ্টিতে উনি প্রফেট না বা আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়া আপনার অবষ্থান কি জানিনা) কেমনে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে এমন নির্ভূল পদচারনা করতে পারেন। আমি আনেক চিন্তা করে ও পাইনা আপনার আমার মত শুধু একজন মানুষ কেমনে এত বিশালত্বের অধিকারী হন?? মানব ইতিহাসে আমার জানামত আর কেউ এত ব্যাপক ক্ষেত্রে একচুয়ালি প্রতিটি ক্ষেত্রে এত প্রভাব রাখতে পারেন নি।

আল্লাহ আপনাকে সঠিক নলেজ দিয়ে সঠিক পথে নিয়া আসুন এই দো্য়া করি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.