নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরন বিল

চরন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমাবদ্ধ জীবন…

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

জীবনের দারুণ একটা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এখানে ইচ্ছা করলেই আপনি সব কিছু করতে পারবেন না। করতে পারলেও ইচ্ছা মতো অনেক বেশী করতে পারবেন না। আপনার সামর্থ্য খুব সীমাবদ্ধ অথচ আকাঙ্খা অসীম। আপনি যাই করতে চান একটা পরিমাণ পর্যন্ত করতে পারার পর আপনার ইচ্ছা থাকলেও আপনি আর তা করতে পারবেন না। মনের প্রবল ইচ্ছা থাকলেও আপনার শরীর তা করতে সায় দেবে না। আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসবে।

এটা ভালো কাজের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি খারাপ কাজের ক্ষেত্রেও সত্য। এমন কী সব বাধা বন্ধন নৈতিক মূল্যবোধ সবকিছু ভুলে গিয়েও আপনি যদি জীবনকে খেয়ে দেয়ে জৈবিকতার পিছনে ছুটে সর্বোচ্চ উপভোগ করতে চান দেখবেন সংক্ষিপ্ত একটা সময় পরেই আপনি আর পারছেন না আপনার শারীরিক অবস্থাই আপনার পক্ষে নেই। নানান রোগে শোকে মানসিক অসুস্থতায় আপনি পুরোপুরি ধরাশায়ী।

ধরুন, কোন একটা দারুণ মজাদার ও দামী একটা খাবার আপনার অনেক বেশী পছন্দের। আপনার সামনে সেই খাবারটাই অফুরন্ত পরিমানে দেয়া হলো। তারপর বলা হলো যত ইচ্ছ সময় নিয়ে যতটুকু ইচ্ছা আপনি খেতে পারেন। দেখবেন খুব অল্পই আপনি খেতে পারছেন। খেতে খেতে একসময় খাবারটার প্রতি আপনার বিতৃষ্ণা এসে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়। এমন ভাবে জৈবিকতার দাসত্বও যদি কেউ করতে শুরু করে তার দ্বারাও সম্ভব নয় সারা জীবন নির্বিঘ্নে সেচ্ছাচার করার। একটা সময় সবকিছুর আগ্রহই নষ্ট হয়ে যায়। এমন কী একটা মানুষ ঠিক ভুল ভুলে যেই এলকোহল খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায় সে যদি মাত্র এক পোয়া মানে দুইশত পঞ্চাশ মিলি এলকোহল এক সাথে খায় সে তখনই মারা যাবে। কতটা সীমাবদ্ধ মানুষের সামর্থ্য। একজন বয়স্ক মানুষ সারা জীবন কষ্ট করে ভালো আয় রোজগার করেছেন। এবার শুধু পায়ের উপর পা তুলে মজার মজার খাবেন। এমন সময় ধরা পড়লো ডায়বেটিস। এবার প্রতিদিন নিয়ম করে সকালবেলা এক ঘন্টা দৌড় আর তিন বেলা দুইটা রুটি আর করলার সব্জি। আর দুদিন পর পর হাসপাতাল ডাক্তার দৌড়াদোড়ি। একটু এদিক সেদিক হলেই দাত কপাটি লেগে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। কিসের খাওয়া কিসের কী?

আসলে চাইলেই জীবনকে ইচ্ছেমতো উপভোগ করা যায় না। মাঝখানে যে কাজগুলো বৈধভাবেই করার সুযোগ ছিলো তা অর্জনে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের কারণে মনের মধ্যে দারুণ একটা অপরাধবোধ তৈরী হয়। ফলশ্রুতিতে হতাশার প্রবল সাগরে নিন্মজ্জিত হতে হয় এক সময়। এই প্রবল হতাশা পরিনামে এক সময় জীবনাচরণ বিকৃতির দিকে মোড় নেয় আবার অনেকে এই চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজেই নিজের হত্যার কারণ হয়ে যায়।

আমাদের কাজই হচ্ছে এই প্রাপ্তির ক্ষেত্র সঠিক পথটা অবলম্বনের জন্য চেষ্টা করা আর আকাঙ্খার তীব্রতা থেকে বাচতে ক্রমাগত স্রষ্টার সাহায্য চাও। না হয় এক সময় দেখা যাবে আকাঙ্খা আর প্রাপ্তির বিশাল ফারাকের হিসাব করতে করতে আর অর্জনের পাল্লা ভারী করার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ মৃত্যু আমাদের সামনে হাজির হয়ে গেছে অথচ আমরা তখনো নিজেকে গোছানো শুরুই করতে পারিনি…

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.