নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরন বিল

চরন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৯

০৬ ব্যাচে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়া ও পরবর্তীতে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে পাশ করা একজন ডাক্তারকে দেখছি, এই বছর প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দেখে 'ডাক্তারি বিদ্যা রসাতলে গেল' বলে পুষ্টাইতেছেন

যাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি নকল করে করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে আজীবন, সেও দেখছি এখন দেশের চিকিৎসা সেবার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত।

আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এবং ক্ষুদ্র জীবনে খুবই হতাশাজনক যেই ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছি সেটা হচ্ছে, আমাদের বাংলাদেশিদের স্বভাব হচ্ছে, আগে কোন একভাবে একটা কিছু অর্জন করা (সেটা চুরি করেও হতে পারে), তারপর আজীবন সেই অর্জন নিয়ে সবাইকে জ্ঞান দেয়া। আমি ডাক্তার, আমি ইঞ্জিনিয়ার, আমি আমলা, আমি কামলা, আমি অমুক, আমি তমুক ইত্যাদি নানা বিতং। তবে বটম লাইনে সবাই এক। আমার অর্জিত পরিচয়ই শ্রেষ্ঠ- এই ধারণা গলার জোরে বা আত্নপ্রচার করে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা সবাই ব্যস্ত। দু'জন বাংলাদেশিকে কথা কাটাকাটি করতে দেখবেন (আমাদের যে কোন আড্ডাই শেষ পর্যন্ত কথা কাটাকাটিতে রূপ নেয়), আর 'ঐ আমারে চিনস্' কেউ বলবে না, এটা অসম্ভব। অর্থ্যাৎ, নিজের অর্জিত পরিচয়টা যে বিশেষ কিছু সেটা প্রমাণ করা চাই। জাতি হিসেবে আমরা সম্ভবত সত্যিই আত্নপরিচয়হীনতায় ভুগি। স্ট্যামফোর্ডের এক সিনিয়র কলিগের বলা একটা প্রাসঙ্গিক গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না এই পর্যায়ে।

"একজন ভিসির গাড়িতে একটা রিকশা বাড়ি লাগিয়ে দিক, ভিসি জানালা দিয়ে মাথা বের করে রেগে বলবেন, ঐ তর মায়রে **। একজন রিকশাচালকের রিকশায় আরেক রিকশা বাড়ি লাগিয়ে দিক, রিকশাচালকও রেগে বলবেন, ঐ তর মায়রে **। মানে, মেন্টাল পারসেপচুয়াল লেভেলটা দুইজনেরই সেইম। খোঁজ নিলে দেখা যাবে দুজনের বাবাই ছিল প্রান্তিক কৃষক।

আরেকটা গল্প বলি। তেজগাঁও সাত রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে কারওয়ান বাজারের দিকে যাওয়া নিত্যদিনের ব্যাপার ছিল বাসায় ফেরার সময়। রাস্তায় যথারীতি নিশ্চল জ্যাম। এর মাঝে ফুটপাথে উঠে পড়ে সাইকেল এবং মোটর সাইকেল চালকেরা। একদিন এক মোটর সাইকেল চালক উঠে পড়েছেন। উঠে পড়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেন নি, তিনি মনে করেছেন ফুটপাথটা মোটর সাইকেল চালানোর জন্যেই বানানো, এখানে মানুষ হাঁটবে কেন? কাজেই তিনি হর্ন দিচ্ছেন ক্রমাগত এবং সবাইকে সরে গিয়ে তাঁকে সাইড দিতে বলছেন। একগুঁয়ে ধরণের এক পথচারী তেড়ে উঠলেন, ফুটপাথে মোটর সাইকেল, আবার হর্ন? কথা কাটাকাটি শুরু হল, এবং অবধারিতভাবেই পথচারী বলে উঠলেন, 'আমারে চিনেন আপনে?' মোটর সাইকেল চালক থতমত খেয়ে বললেন, 'না, চিনি না। কে আপনে?' পথচারী নির্বিকার চিত্তে বললেন, 'আমি ডেইলি এই রাস্তা দিয়া হাঁটি'!

যাইহোক, শেষ কথায় আসি। দেশে এত মেধা, এত ডাক্তার, এত ইঞ্জিনিয়ার, এত পিএইচডি (কে কোন ডিগ্রি কেমনে বাগায়, সেই বিস্তারিত আলোচনায় না-ই যাচ্ছি), আর মানুষের এতই অভাব?
যেই শিক্ষা মানুষই তৈরী করতে পারে না, সেই শিক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হোক আর না হোক, কী যায় আসে?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যে মানুষ নয়, সে কিভাবে ডাক্তার হলো তাতে কি আসে যায়?

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্টের অন্তর্নিহিত বক্তব্য ভালো। তবে অনুগ্রহ করে শিরোনামটা পরিবর্তন করাই সমীচিন। আশা করি বুঝবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫

চরন বিল বলেছেন: করে দিলাম ভাই।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

নতুন বলেছেন: 'ঐ আমারে চিনস্'< এই রোগ না সারা পযন্ত আমাদের সমাজ আগাতে পারবেনা।

বিশ্বের কোন উন্নত সভ্য সমাজে এইটা নেই।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

এস কাজী বলেছেন: কাভা ভাইয়ের সাথে একমত।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

চরন বিল বলেছেন: করলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.