নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরন বিল

চরন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্রষ্টার অবিচার

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৩০

আজ থেকে দু মাস আগে কী এক কাজ শেষে রাতে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে আসছিলাম বাসার দিকে । বোধহয় এগারোটার মতো বাজে তখন । গতিময় ঢাকাতে এ সময়েও রাত ততোটা গভীর হয় না । রিকশার টুংটাং আর গাড়ির ভেঁপুর শব্দে নীরবতা ভেঙ্গে খানখান হচ্ছে । অধিকাংশ পথিকের ঘরমুখী ভাব সুস্পষ্ট । রাস্তার পাশের ফুটপাতে আর রোড ডিভাইডার গুলোতে অনেক গুলো মানুষ ইতোমধ্যেই দখল নিয়েছে ।কেউ কেউ প্রচন্ড মশার কামড় আর গাড়িঘোড়ার প্রচন্ড শব্দের মাঝেও কর্মক্লান্ত দেহটা ঘুমের কাছে সপে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে । অসস্থিতে এপাশ ওপাশ করছে বারবার । অনেকে কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়েও পড়েছে । কারো গায়েমাথায় ময়লা চাদর জড়ানো, তাতে যদি মশার প্রকোপ একটু কমানো যায় !

হাঁটতে হাঁটতে অবাক হচ্ছিলাম নিজের অবস্থাটা একটু চিন্তা করে । রুমে ঘুমানোর সময় আলোহীন নিঃশব্দ একটা পরিবেশ আমার চাই । ভবনের উপর তলায় থাকি বলে মশারী না লাগালেও খুব একটা মশার প্রকোপ নেই । ঘুমের মাঝে রাস্তায় গড়িয়ে পড়ার কিংবা কারো লাথি খেয়ে মাঝরাতে ঘুমানোর যায়গা হারানোর সম্ভাবনা তো মোটেও নেই । এই রাস্তার মানুষগুলোর কষ্টের তুলনায় আমার ঘুমের ব্যবস্থা তো রীতিমত রাজকীয় বলা চলে !

কী দারুণ বৈষম্য ! অথচ ওই ফুটপাতের মানুষটা কিংবা আমি কেউই তো স্রষ্টার সাথে দর কষাকষি করে আমার মায়ের জঠরটা দখল করিনি । অথচ খুব বড় রকমের কোন ব্যত্যয় না হলে আজীবনই আমি অমন আরাম করে তুলোয় মোড়া বিছানায় ঘুমুতে থাকবো আর ওরা রাস্তার নেড়ী কুকুরের মতো কখনো এখানে কিংবা সেখানে ঘুমাতে থাকবে ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ভাবনা পছন্দ হয়েছে আমার।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

রোষানল বলেছেন: এখানে লেখার শিরোনামটা এমন হল কেন বুঝলাম না । দুনিয়ার জীবনটা পরকালের জন্য একটা পরীক্ষা । কেউ ধনী কেউ গরীব । এখানেই তো পরীক্ষা, আপনি ধনী আপনার ধন আপনি কি ভাবে বায় করছেন সে বিষয়ে তো অবশ্যই আপনাকে প্রশ্ন করা হবে। সবাই যদি ধনী কিংবা গরিব হয় তখন কি সেই পরীক্ষা থাকবে? আল্লাহ ন্যায় বিচারক !!

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

আহলান বলেছেন: এসব কি আপনি ঐদিনই প্রথম দেখলেন? তাহলে আপনি খুবই ভাগ্যবান ... জেনে রাখবেন এসবেরও হিসাব নেয়া হবে। হযরত আবু বকর (রাঃ) অথবা হযরত উমর (রাঃ) তাঁর শাসনামলে বলেছিলেন, যদি ফোরাতের তীরে একটি উটের বাচ্চাও হারিয়ে যায়, তারও কৈফিয়ত আমাকে দিতে হবে .... সুতরাং এরই থেকে বোঝা যায়, যারা সমাজের দায়িত্বে দায়িত্ববান, তারা এই রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষদের দ্বায় কখনোই এড়াতে পারবে না ...... আল্লাহ পাক সবাইকে সমান করে পৃথিবীতে পাঠাননি। কাওকে অধিনস্থ করে আবার কাওকে আধিপত্য দিয়েই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, যার যার স্তর অনুযায়ী তাকে হিসাব দিতে হবে ...অবশ্যই দিতে হবে .....

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

অগ্নি সারথি বলেছেন: বিধাতা বেশ অবিবেচক ই বটে। কখনো তাকে রাহমানুর রাহিম তথা দয়ার সাগর বলা হচ্ছে আবার একই সাথে পৃথিবীকে বলা হচ্ছে পরীক্ষা ক্ষেত্র। আমার মনে হয় এসব কথার মধ্য দিয়ে বিধাতাকে লিমিনাল একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যেন তার কোন দোষ নেই, কোন কিছুর দায়ভার নেই।
(অবিচার বানানটি ঠিক করে দিন)

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

ডাঃ মারজান বলেছেন: "what men live by" by Leo Tolstoy এ গল্পটা একটু পড়তে পারেন। কিছু কথা ভালো লাগতেও পারে। ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বানানটা ঠিক করে নিন। আপনার ভাবনা, চিন্তা সম্পর্কে অন্যদের ধারনা কি জানতে মন চাইছে।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আপনার এই চিন্তাটুকো জেনে স্রষ্টা খুশিই হবেন। আরও খুশি হবেন যদি তাদের পাশে এসে দাঁড়ান, হাত বাড়িয়ে দেন সাহায্যের। স্রষ্টা অবিচার করেন না। তিনি আমাদের বিচার দেখেন।

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০১

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: নায়ুযুবিল্লাহ তিনি কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করেন না । তিনি কাউকে ধনী কাউকে গরীব বানিয়েছেন । না হলে এই পৃথিবী চলতো না । কেননা সকলে ধনী হলে কারখানার জন্য শ্রমিক মিলতো না । সকলে দরিদ্র হলে কাজ মিলতো না । মহান আল্লাহ ধনী-দরিদ্র দিয়ে পৃথিবীর সিষ্টাম বাকি রেখেছেন । আর এই নিয়ম সব সময় এক রকম থাকে না । অনেক দরিদ্র খুব ধনী হয়ে যায় । আবার অনেক ধনী দরিদ্র ও হয়ে যায় । যদি সম্পদের অপব্যবহার করে । আজকের ফকির কালকের ধনী । আজকের ধনী কালকের দরিদ্র । অনেক ধনীর ফ্যামেলীতে দেখেছি শান্তি বলতে কিছু নাই , একজন ইয়াবা সেবী অন্য জন পাগল । মামলা-মোকাদ্দমা , ব্যংক ঋন, হার্টের সমস্যা, রাতে ঘুম হয় না ,স্বামী- স্ত্রী দু'জন পরকিয়ায় লিপ্ত । অশান্তি আর অশান্তি । ব্যতিক্রম ও রয়েছে । অন্যদিকে অনেক দরিদ্রকে দেখেছি দিনে কামায় করে রাতে আরামে ঘুম যায় । সুখের সংসার তারা থাকে ফুটপাতে আরাম নেয় পাঁচ তারকা হোটেলের । তবে এটা নির্ভর করে কে মহান আল্লাহর কে কত বাধ্য । মহান আল্লাহ সকলকে সুযোগ দিয়ে দেখেন ।

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

সুমন কর বলেছেন: বাস্তব জীবন খুব কঠিন। অল্প হলেও লেখা ভালো লেগেছে।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মার্ক্স... (এবং উয়েবার).. লেনিন... মাওজেদং... চে’রা যুগে যুগে এসেছেন...
তারা কেউ কেউ প্রাণও দিয়েছেন... একটি কথা বলার জন্য।
তা হলো... ধনী-গরিবের এই বৈষম্য একান্ত মনুষ্য-সৃষ্ট...
বৈষম্য জেনেও টিকিয়ে রাখার তো নাম অবিচারই!

সুন্দর করে লেখেছেন... আরও লেখুন :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

চরন বিল বলেছেন: ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

মাসূদ রানা বলেছেন: @চরন বিল

আপনার দৃষ্টিভংগী মারাত্মক ত্রুটিপূর্ন । স্রষ্টা বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে তো স্পষ্টভাবে বলেই দিয়েছেন " প্রতিটি মানুষকেই তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে (দুনিয়াতেই হোক, আখিরাতেই হোক ) " ।

সুতরাং যে ভালো করবে সে ভালো পাবে, যে পচা করবে সে পচা পাবে এটাই তো হওয়া উচিত ! এখানে অবিচার পেলেন কোথায় ?

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৩

মহাকাল333 বলেছেন: দারুন লিখেছেন। সহমত

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৫

সৃষ্টি ও প্রকৃতি বলেছেন: স্রস্টা এত কিছু বুঝে সব কিছু সৃষ্টি করল, আর এইটা বুঝল না?

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চ্যাং বলেছেন: লেখক এনসার দিতাসেন না কেন??

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:২৩

চরন বিল বলেছেন: ভাই চ্যাং লেখক পেটের দায়ে প্রতিদিন সকাল ৭টায় বের হয় আর বাড়ি ফেরে রাত ১০টায়। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর রাতে বাসায় এসে পেটের খুদা নিবারনের জন্য রান্না। প্রতিদিন রাতে বাসায় আসার পথে একটা ইরাকি চিকেন অ্যান্ড চিপস এর দোকান পরে। প্রতিদিন বোর্ড এ ঝুলানো প্রাইজ দেখি আর পকেটের ব্যাংক কার্ড এর দিকে তাকাই তারপর সোজা বাসায় চলে এসে রান্না করি। আজকে দোকানদার আমাকে ডাক দিয়ে ফ্রী খাবারই দিয়ে দিল। আমি বললাম কিছু টাকা রাখ তাও রাখল না বলল নেক্সট টাইম দিও। ভাই ব্লগ লিখার ই সময় পাই না। কমেন্ট তো দুরের কথা।

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

সৃষ্টি ও প্রকৃতি বলেছেন: পৃথিবীটা যে একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র, -তার অনেক উদাহরন দেওয়া যায়, শুধু এইটাই না। অনেক ভাবেই প্রমান হয় স্রষ্টা যে একজন আছেন(বৈজ্ঞানিক ভাবে একটু বেশীই প্রমান হয়)। এবং পৃথিবীটা যদি পরীক্ষা ক্ষেত্র না হত, তাহলে কোন মানুষই স্রষ্টার ইচ্ছার বিরূদ্ধে এক বিন্দুও যেতে পারত না,এবং সেই হিসাবে স্রষ্টায় অবিস্বাসী লোকদের মাথায় যে "স্রষ্টা নাই",-এ ভাবনা থাকতে দেয়া হত না। এখানে পৃথিবী নামক পরীক্ষা হলে সবাই পরীক্ষার্থী। এবং আমরা অধিকাংশই ফেইলের লিষ্টে, এখন স্রষ্টা যদি দয়া করে গ্রেস দেন, সেটা ভিন্ন কথা
মানুষের ব্রেইন নামক লিকুইড সার্কিটের মধ্যেে অনুভূতি জনিত বেশ কিছু ডিভাইস দেওয়া আছে,( সেটা পরিকল্পিত ভাবেই), যেমন আদর, ভালবাসা, দয়া-মায়া,দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ, সন্মানবোধ, ভক্তি,-এমন আরো কিছু। দুর্ভাগ্যজনক হলেও অনেকেই মনে করেন এসব অনুভুতি গুলি তারা তাদের মনের মধ্যে তারা নিজেরাই তৈরী করেন এবং তারা সুন্র মনের মানুষ। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। উক্ত অনুভূতিগুলির কোন একটা ছাড়া যদি কারোর জন্ম হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সে বিকলাংগের মতই কিছু একটা, এবং তা সাধারনতই হয়না। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন এগুলো পরিকল্পিত ভাবে দেয়া হয়েছে পৃথিবীতে সামাজিক ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অর্থাৎ প্রানীর সিক্যুরিটি সিস্টেম। তার মানে এগুলি সত্যিকারার্থে স্রষ্টার হুকম। অনেকে বল না, " লোকটাকে সাহায্য করা উচিৎ ছিল, বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে গেলাম। আসলে বিবেকের কাছে না, স্রষ্টার কাছে। এখন, জানি অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, " কই সবার ভিতর এইসব অনুভূতির অনেকই অনুপস্থিত দেখি।" -একটু ভাবুন,উত্তর পেয়ে যাবেন।

লেখকের লেখা "স্রষ্টার অবিচার" প্রসংগে ফিরে আসি।
আপনার এই লেখার প্রেক্ষাপটে মন্তব্য বলতে গেলে দেওয়া হয়ে গেছে। আপনারা বিজ্ঞ মানুষ অল্পতে আশা করি বুঝে নেবেন।অনেকে আছেন সুযোগ পেলেই স্রষ্টা নাই বুঝানোর জন্য স্রষ্টার খুঁত ধরতে চায়, আমার বিশ্বাস আপনী তা না।
সবশেষে দুটো কথা বলতে চাই, -এই পৃথিবীটা সবার জন্য, এই পৃথিবীর লদ্ধ সম্পদের উপর সবার অধিকার আছে, সবার বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আপনার মেধা আছে বলে হয়ত আপনী একটু বেশী নেবেন, কিন্তু মেধাবিহীন মানুষ একবার কিছুই পাবেনা তা হতে পারেনা। যারফলে ইসলামে জাকাতটা গরীবের অধিকার বলা হয়েছে। জাকাত দেওয়ার বিনিময়ে কাজ করানো তো দুরের কথা, একটা ধন্যবাদও নেওয়া যাবে না। যারা যাকাত বা অন্যান্য সাহায্য দেয়না, তারা পিতা মৃত্যুর পরে পৈতৃক সম্পদের দুর্বল ভাই বা বোনেরের অংশ সবল ভাই যে অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, ঠিক তমনই অন্যায় করে।
রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মানুষগুলির জন্য যে মানবতা উদয় হয়েছে, তা কি মনে করেন আপনার সৃষ্ট?
রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ কিন্তু খুবই সামান্য, কিন্তু মানবতা বোধ সম্পন্ন কোটি কোটি। সবাই যাদি ঐ মানবতা বোধটুকু ব্যবহার করে সামান্য একটুও যদি এগিয়ে আসে, তাহলে কি সত্যই কি এ সমস্যা থাকে?
এই সমস্যার জন্য মূলত সরকার ও জনগন বিশেষ করে সচ্ছল থেকে শুরু করে আরো উচু সম্প্রদায় দায়ী।
ইতিহাসে আছে, অভাবের তাড়নায় চুরি করার অপরাধে ইসলামিক আদালতে শাস্তি সরূপ খলিফা নিজে বেত্রাঘাত নিয়েছেন ও ঐ এলাকার দায়িত্বশীল লোকদেরও বেত্রাঘাত ঐ এলাকার লোকদের অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৯

সৃষ্টি ও প্রকৃতি বলেছেন: অগ্নি সারথী, আশা করি আমার লেখায় আপনার যুক্তি খন্ডন হবে। নচেৎ মন্তব্য করুন আমার লিখার উপর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.