নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় !! নিজেকেই আমি পাইনি আজো খুজে ।আমি এখনো নিজেকে বুঝতে পারেনি, জানতে পারেনি । প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করছি । হয়তো একদিন খুজে পাব নিজেকে, সাথে আমার অদৃশ্য \'আমি\' টাকে ।তখন না হয় লিখব ।

্সিআর রাকিব

্সিআর রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন জঙ্গি নেতার গল্প....

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪


এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক । কারো সাথে মিলে গেলে আমি বা কর্তৃপক্ষ কেউই কোনভাবেই দায়ী নই।

কফি হুজুর বিশাল এক সামরিক বাহিনী নিয়ে শ্রীলংকা গেলেন । সেখানে গিয়ে শ্রীলংকানদের উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহনের দাওয়াত দিলেন । কিন্তু তাতে শ্রীলংকানরা রাজি হল না । তারপর কফি হুজুর তাদের কাছে শ্রীলংকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য (!) জিজিয়া কর দাবি করলেন । এতেও তারা রাজি হল না । অগত্যা বাধ্য হয়ে,কফি হুজুর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন । কফি হুজুরের সাথে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে স্বজ্জিত বিশাল সেনাবাহিনী থাকায় শ্রীলংকানরা সহজেই পরাজিত হল । যুদ্ধে তাদের বেশিরভাগ পুরুষই মারা গেল । বাকি যারা আছে তাদের বন্ধী করা হল । বন্ধীদের থেকে বেশিরভাগকেই মেরে ফেলা হল । কয়েকজন মাত্র অবশিষ্ট থাকলে,যাদের কৃতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হল । যুদ্ধশেষে গনিমতের মাল হিসেবে যুদ্ধালব্ধ সম্পদের সাথে মেয়েদেরও সবাইকে ভাগ করে দেওয়া হল । মেয়েগুলোকে সৈন্যরা দাসীর কাজে ব্যবহার করলো এবং তাদের সাথে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কও করতে লাগলো । কফিহুজুর নিজেরে খলিফা ঘোষনা দিয়ে শ্রীলংকায় ইসলামিক খিলাফতের ঘোষনা দিলেন । হুজুরের ভাগেও কিছু গনিমতের মাল হিসেবে যুদ্ধবন্দী কন্যা এসেছে । হুজুরের এতে খুশির বদলে আফছোসটা বেশি । আরো আগে এই এসলামিক জিহাদটা করার দরকার ছিল । এখন শরীরে যন্ত্রাংশ বেশিরভাগই অচল হয়ে গেছে । গনীমতের মালের দিকে বিশেষ মন টানে না । কফি হুজুরের বেশিরভাগ সময় কাটে এসিরুমে শুয়ে বসে । হুজুরের খাটের পাশে একটা টেবিল রাখা,টেবিলের মধ্যে ছোটো-খাটো একটা তেতুলের ভাস্কর্য । ভাস্কর্য টা হুজুরের বড়ই পছন্দের । জিহাদের সময় এই ভাস্কর্যটা হুজুর তার বুক পকেটে রেখে জিহাদে নেতৃত্ব দেন । হুজুরের এসি রুমে আরো কিছু জিনিস আছে,ইহুদী নাসারাগো বানানো টেলিভিশন,মোবাইল,কম্পিউটার । হুজুর অবসর সময়ে মাঝে মাঝে ইহুদী-নাসারা গো তৈরি টেলিভিশন দেখেন । অবশ্য এতে পাপ কিছু হয় তবে হুজুর জানেন ভালো কিছু দেখলে পাপ কিছু কম হয় । একদিন বিকালবেলা হুজুর শুয়ে শুয়ে টেলিভিশনে সংবাদ দেখতেছিলেন । হঠাৎ করে হুজুর একটা সংবাদ দেখে ফাল দিয়া উঠে বসলেন । খবরে বলা হচ্ছে আজকে থেকে শ্রীলংকায় অবস্হানরত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিনবাহিনী বোমা হামলা চালাবে । এতে সমর্থন দিছে সৌদি আরব সহ আরো ইসলামিক রাষ্ট্র । কফি হুজুর বেশ অবাক হলেন,তারা তো ইসলামিক জিহাদের মাধ্যমে শ্রীলংকা দখল করেছেন । তারা জঙ্গি হতে যাবে কেন । বড়ই বিমর্ষ বদনে হুজুর ব্লগ দিয়া ইন্টারনেটে ডুকলেন । হুজুরের দলের একটা বিধর্মী পেইড বুদ্ধিজীবী আছে । তারে খোজে বের করলেন । তার লেখা দেইখা হুজুর বড়ই চমকিত হইয়া গেলেন । হুজুরের পেইড বুদ্ধিজীবী পোস্ট দিয়েছে,"কথাডা শক্ত হুনাইলেও কইতাছি,কফি সাব একসময় খাটি মুসলমান ছিলেন । তাই আমি তার সাথে গলা মিলাইয়া স্ট্যাটাস দিতাম । তয় এহন যেই কামডা করছে,তা ইসলামের সাথে যায়না । " হুজুর পোস্ট দেখে মনে মনে বললেন,"শালা মালাউন তুই ধর্মের কী বা*ডা বুঝস । তুই ছিল আমগো দলের পেইড বুদ্ধিজীবী, আর তুই এহন আমারে ইসলাম শিখাস । " হুজুরের মনডা খারাপ হইয়া গেল কিছু মডারেট মুসলমানদের পোস্ট দেখে । তারা বলতেছে,"কফি হুজুরের সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই । তিনি একটা জঙ্গি । কোনো জঙ্গির সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই । " হুজুর এসব দেখে বুঝতে পারলেন আসলে পৃথিবী থেকে আসল মুসলমান উইঠা গেছে, যা আছে সব সুবিদাবাদী মডারেট-মুশরিক । তারা ইসলামের কিছুই বুঝেনা । হুজুর ভাবলেন,এসব মডারেট হাফ-মুসলিমের সাথে পৃথিবীতে থাকার চেয়ে আল্লার কাছে চইল্লা যাওয়াই উচিত । অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে হুজুর তেতুলের ভাস্কর্যটা বুক পকেটে রেখে শরীরে সুইসাইডল বেস্ট পরতে পরতে সবাইরে সুইসাইডল বেস্ট পরার হুকুম দিয়ে 'আল্লাহু আকবার' বলে এসি রুম থেকে বের হলেন........

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

=p~

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: I was in Sri Lanka for more than 5 years.

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা।
মজা পাইলাম। সবাই নিতে পারবে না

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: " তুমি যদি আমার গল্প গুলো পড়ে সহ্য করতে না পারো, তাহলে বুঝবে যে এই সময়টাকেই আসলে সহ্য করা যায় না।"

মান্টো( দোজখনামা থেকে।)

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেন যেনো মনে হইতেছে বানু কুরায়জার কথা।

আর কিছু বললাম না। তবে একটা জঙ্গি গোত্রের চিন্তা ভাবনা পড়লে বড়ই বিনোদন পাই। তারা কিন্তু এখনো দেখাতে পারে নাই যে তাদের সাথে কি শত্রুতা তার করছিলো । একটা প্রসঙ্গ বাদ গেছে। জিজিয়া কর আরোপের আগে বানু কুরায়জা থুক্কি তাদের প্রার্থনা স্থলে গিয়ে থ্রেট, তাদের নামে হত্যার পরোয়ানা এমনকি তাদের মালপত্র ডাকাতীর ঘটনা কিন্তু বাদ গেছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু কোনো চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয় আসে নাই

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাগলের সুখ মনে মনে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.