নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহস্যপূর্ন ভবঘুরে

লিখতে হয় তাই লিখছি। বিবেক প্রস্ফুটিত হোক, শৃংখলে আবদ্ধ নয়।

রহস্যপূর্ন ভবঘুরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধঃ এ কে খন্দকারের ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ ও একটি আবেদন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০১

# মনের ভাবনা লিখি। কিন্তু ফেবুতে ব্লগে আমি পপুলার ! না বিধায় আমার কথাগুলো অনেককেই জানাতে পারি না। যারা দায়িত্ব মনে করবেন তারা আমার হয়ে জানিয়ে দেবেন।।





মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) একে খন্দকার। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কিছু কিছু ঘটনা আগে শুনেছিলাম যা বিতর্কিত ছিল, বিশ্বাস করিনি। কিন্তু উনার লেখা ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ অনেক কিছু ক্লিয়ার হতে সাহায্য করছে।। আশা করি এমন আরো কিছু বই লিখবেন সমর যুদ্ধের সেনানীরা। আমাদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন সত্যিকারের ইতিহাস।



এই ধরনের বইগুলো ৩০-৪০ বছর পর না লিখে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যাক্ষভাবে জড়িত দায়িত্বশীল লোকজনের অনেক আগেই লেখা উচিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনা এখন নতুন প্রজন্মের কাছে বিকৃত ভাবে যে যার মত করে উপস্থাপন করেছে। আমাদের জন্যে আমাদের অগ্রজরা উপহার দিয়েছেন বিকৃত ইতিহাস। যদি এইসব ঘটনা অনেক আগেই বইয়ের পাতায় স্থান পেত আমি শিউর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হত না।। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দায়িত্বশীল লোকজনের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ব্যার্থতা বলব ইতিহাসকে ঠিকভাবে তুলে না ধরা। এমনকি অনেকে আছেন যারা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে কবর দিয়েছেন নিজের দেখা বাস্তব ঘটনার। ধিক্কার!!!



শ্রদ্ধা তাদের প্রতি যারা লিখে গেছেন নিজের দেখা মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব ঘটনা। দেরীতে হলেও যারা লিখছেন তখনকার পাণ্ডুলিপি তাদের সালাম। আমাদের সাহায্য করছেন খুঁজে পেতে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের হাইজ্যাক হওয়া ইতিহাস।। প্রজন্ম, মেধা খরচ করে খুঁজে নাও তোমার ইতিহাস, যাকে বালুচরে ছুড়ে ফেলেছে নরকের কীটরা। সুন্দর প্যাকেট মুড়ে দলীয় লোগোর আড়ালে তোমাকে যা খাওয়ানো হচ্ছে তাকে বিশ্বাস করো না।। আমি খুঁজে ফিরি আমার ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। ... সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।



আমি আহ্বান জানাই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা এখনও নিজের জানা ও দেখা সত্যি ঘটনা আমাদের জানাননি তাঁরা লিখে ফেলুন। ভাববেন না আমরা আপনাদের কথা শুনব না, আমরা শুনি এবং শুনবো। আমরা খুঁজে ফিরে আমাদের স্বাধীনতার সত্যিকারের ইতিহাস।। আমরা ময়দানের সাহসী বীরদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চাই, কোন ভীরু যারা পালিয়ে গিয়েছিল নিজের জান বাঁচাতে, বিদেশ ফেরত চর, দালালদের কাছে না।।



ওভার এন্ড আউট।।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: বংগবন্ধুকে হত্যার আগ পর্যন্ত্য জামাতি তস্কর রাজাকার রা সাপের গর্তে লুকিয়ে ছিল........ তারাই পালিয়ে গিয়েছিল 'বীরের' মত ..... আর ১৯৭৫ সনে গর্ত থেকে শ্বাপদের ন্যায় বিষ ফোনা তুলে বের হয়ে এখন বলে বংগবন্ধু কেউ না........ উনার জন্ম হয়েছিল বলেই আপনার মত রাজাকার বান্ধব রা এখন কি বোর্ডে ঝড় তুলতে পারছেন না হলে পাকিদের জুতার নীচে থেকে আর কম্পিউটারে হাত দিতে হত না

একে খন্দকার জামাতের টাকা খেয়ে এখন ভোল পাল্টিয়েছেন.....। এত বছর লাগল কেন একথা বলতে????? উনি বংগবন্ধুর মৃত্যতে বেশী বেনিফেশিয়ারী

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭

রহস্যপূর্ন ভবঘুরে বলেছেন: বাহ!!! আপনি জাজমেন্ট দিয়ে দিলেন আমি রাজাকার বান্ধব!!! তাহলে আর কি কথা থাকতে পারে??!

শুনেন -
এখন সত্য হয়ে গেছে দুই প্রকার,,
সত্য এবং আওয়ামী সত্য।
ইতিহাস দুই প্রকার,,,
ইতিহাস এবং আওয়ামী ইতিহাস।
যে আওয়ামী ইতিহাসের বিরুদ্বে কিছু বলবে সেই রাজাকার!! ISI এর এজেন্ট, বা স্বাধিনতা বিরোধীদের কাছ থেকে টাকা খাওয়া মানুষ হয়ে যাবে!!
আপনি মুক্তিযুদ্বের ২য় প্রধান ব্যেক্তি হোন,অথবা সেক্টর কমান্ডার হোন,অথবা একজন বীর উত্তম হোন সেটি কোন বিষয় নয়,! আপনি আওয়ামী ইতিহাসের বিরুদ্বে কিছু বলবেন আপনি,
"রাজাকার"

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

শফিক আলম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পর এবং এই পর্যন্ত অসংখ্য বই লেখালেখি হয়েছে, বাজারে বেরিয়েছে। অনেক মূল্যবান দালিলিক বইও বাজারে আছে, আগেও ছিল। সমস্যা হলো দেশটা '৭৫-এর পর ২০/২২ বছর রাজাকার এবং নব্য রাজাকারদের কবলে ছিল। অর্থাৎ পুরো একটি জেনারেশন। ৫/৬ বছর মুক্তিযুদ্ধের উপর বই লিখতে কেউ সাহস পেতোনা। এই ২০/২২ বছরে সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের মানুষদের মগজ ধোলাই দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পাঠ্য বই থেকে সত্যিকার ইতিহাস মুছে ফেলে মনগড়া বানানো ইতিহাস সংযোজন করে একটি জেনারেশনকে মুক্তিযুদ্ধের ভুল তথ্য দিয়ে কনফিউজ্‌ড করে ফেলা হয়েছে। তবে চাইলে বাজার থেকে বই কিনে সত্যিকার ইতিহাস জানা কঠিন কিছু ছিল না। একটি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাস সবসময় একটি ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলে। কতকগুলো পর্যায় পার হয়ে আসতে হয়। হঠাৎ কোনও একদিন কারও ঘোষনায় একটি জাতি স্বাধীন হয়ে যেতে পারে না। এই সাধারন কথাটুকু যারা বুঝতে পারবে তাদের জন্য সত্যিকার ইতিহাস জানা কঠিন কোন ব্যাপার নয়।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "হঠাৎ কোনও একদিন কারও ঘোষনায় একটি জাতি স্বাধীন হয়ে যেতে পারে না। এই সাধারন কথাটুকু যারা বুঝতে পারবে তাদের জন্য সত্যিকার ইতিহাস জানা কঠিন কোন ব্যাপার নয়।"

রাজাকার রা এই ঘোষনা নিয়েই জট পাকাতে চায়

আসল জিনিস হল স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু তারা ওটার ধারে কাছে নি গিয়ে শুধু ধান্ধায় আছে কিভাবে স্বাধীনতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়

"Ends Justify the Means"

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তখন সত্য লিখবে কি করে বলেন???

ষংসদের দম্ভোক্তিতো তখণও বাতাসে বাতাসে- কোথায় সিরাজ শিকদার!!!

৩০ হাজার জাসদ কর্মী কারা ছিল?

তারা কি মুক্তিযোদ্ধা ছিল না?????

তাদের লাশ, রক্তের সাথে বেঈমানী করে এখনকার জাসদের কথিত নেতারা-হাড় হাড়্ড়ির লোভে কত কি করছে!

...........
তবু ভাল- বেটার লেট দেন নেভার।

ইতিহাসের সত্য কেউ গলাবাজি আর গায়ের জোরে বদলাতে পারেনি- পারবেও না।


৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

অলিন্দ বলেছেন: শফিক আলম বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পর এবং এই পর্যন্ত অসংখ্য বই লেখালেখি হয়েছে, বাজারে বেরিয়েছে। অনেক মূল্যবান দালিলিক বইও বাজারে আছে, আগেও ছিল। সমস্যা হলো দেশটা '৭৫-এর পর ২০/২২ বছর রাজাকার এবং নব্য রাজাকারদের কবলে ছিল। অর্থাৎ পুরো একটি জেনারেশন। ৫/৬ বছর মুক্তিযুদ্ধের উপর বই লিখতে কেউ সাহস পেতোনা। এই ২০/২২ বছরে সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের মানুষদের মগজ ধোলাই দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পাঠ্য বই থেকে সত্যিকার ইতিহাস মুছে ফেলে মনগড়া বানানো ইতিহাস সংযোজন করে একটি জেনারেশনকে মুক্তিযুদ্ধের ভুল তথ্য দিয়ে কনফিউজ্‌ড করে ফেলা হয়েছে। তবে চাইলে বাজার থেকে বই কিনে সত্যিকার ইতিহাস জানা কঠিন কিছু ছিল না। একটি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাস সবসময় একটি ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলে। কতকগুলো পর্যায় পার হয়ে আসতে হয়। হঠাৎ কোনও একদিন কারও ঘোষনায় একটি জাতি স্বাধীন হয়ে যেতে পারে না। এই সাধারন কথাটুকু যারা বুঝতে পারবে তাদের জন্য সত্যিকার ইতিহাস জানা কঠিন কোন ব্যাপার নয়।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

শফিক আলম বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু, আপনি লেখার মূল ধারা থেকে বেরিয়ে অন্য প্রসংগ টেনে এনেছেন। সত্যের মুখোমুখি যারা হতে পারে না তারাই ভিন্ন প্রসংগ টেনে পানিকে আরও ঘোলা করতে তৎপর হয়ে থাকে।
আপনার লেখার জবাব দেবার ইচ্ছে নেই। শুধু এইটুকুই প্রশ্ন করবো, যার জন্য কুম্ভাশ্রু করছেন সেই সিরাজ সিকদার কে ছিল? কি ছিল তার কার্য্যকলাপ? একজন নক্সালিস্ট কখনই একটি স্বাধীন সভ্য সমাজে গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.