নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রৌদ্র জলে স্নান

ছোটবেলা থেকেই অভিমানী

রৌদ্র জলে স্নান

ধূমপান থেকে দূরে থাকি। যুদ্ধাপরাধী, ধর্ম ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, ধর্মদ্রোহী (মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, নাস্তিক ব্যক্তি যারা অন্য ধর্মের অবমাননাকারি) তাদের ঘৃণা করি। নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রত্যেকের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই

রৌদ্র জলে স্নান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছুকথা বলা হয় নি

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

-অবন্তী

-বলো -চুপ করে আছো যে?

এই কথা বলে হাত ধরতে চায় অন্তু।এক

ঝটকায় হাতটা সরিয়ে দেয় অবন্তী।শেষ

বিকেলের সোনারঙা আলো ওর

চোখেমুখে এসে পড়ছে।তাতে ওর

চুলগুলো কেমন জ্বলজ্বল করছে।

ফর্সা গালদুটো লাল হয়ে আছে।রাগে।খুব

রাগ করেছে ও।এবং যথারীতি অন্তু তার

রাগ ভাঙাতে হিমশিম খাচ্ছে।

-আমি কি করলাম অবন্তী?

-সারাদিন কোন রাজকার্য

করছিলে যে একটু খোঁজ নেয়া গেল না?

অন্তু চুপ হয়ে যায়।আজ দিনটা খুব

ব্যস্ততার মাঝে গেছে।সকালে বাজার

করা,দুপুরে টিউশনি করানো,কোচিংয়ে যাওয়া

সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততা ছিল।এর

মাঝে অবন্তীকে ফোন দেয়ার সময়ই

পায়নি সে।

-আজ সত্যিই অনেক ব্যস্ত ছিলাম।

জানোই তো আমার রুটিন। -

হ্যাঁ জানবো না কেন?তোমার

রুটিনে তো সবই থাকবে কেবল আমিই নেই।

-এটা কি বললা?!!?

-ঠিকই বলেছি।

এই বলে ভেংচি কেটে অন্যদিকে মুখ

ঘুরিয়ে রাখে ও।অন্তুর প্রচন্ড খারাপ

লাগতে থাকে।

অভিমানী মেয়েটা কি বোঝেনা যে ওর

ছোট্ট মনে কেবল অবন্তীরই পায়েল

পড়া পায়ের আনাগোনা,কেবল অবন্তীরই

মায়াময় ঐ মুখ।

ছোট্ট এক ফুলওয়ালী এগিয়ে আসে।

-ভাইজান ফুল নিবেন?

-নাতো।বিরক্ত করিস না।যা।

-আপামণিরে দেন।নেন ভাইজান।

-বললাম তো নিব না।যা এখান থেকে।

ফুলওয়ালী চলে যায়।খানিকপরে আবার

আসে।

-ভাইজান নেন না একটা ফুল।আপামণি রাগ

কইরা আছে দেখা যায়।ফুল দেন।খুশি হবে।

অন্তু বেলীর মালা কেনে।অবন্তীর

দিকে ঘোরে।মেয়েটা এখন ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

অন্তু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।কাঁদলেও

যে কখনো মানুষকে এত সুন্দর লাগে ও

জানেনা।মনের গভীরে কোথাও যেন বদ্ধ

আর্তনাদ হাহাকার করে ওঠে অন্তুর।

ভালবাসার মানুষটিকে কাঁদতে দেখলে কারই

বা ভালো লাগে?

-কাঁদছো কেন?

-অনেক সুখ যে আমার তাই।

-পাগলি একটা।এভাবে কাঁদলে চোখের

কাজল সব গালে মেখে যাবে।

-যাক তাতে তোমার কি?

-পরীর মতো সুন্দর মেয়েটাকে তখন

যে পেত্নীর মতো দেখাবে।

এই বলে গোলগোল চোখে অবন্তীর

দিকে তাকায় অন্তু।অবন্তী হেসে ফেলে।

কি সুন্দর ঐ হাসি!মুক্তোদানার মত।শেষ

বিকেলের আলোয় পরীর মতো সুন্দর

ভালবাসার মানুষটার

প্রাণখোলা হাসি অন্তুকে প্রচন্ড এক

ভালো লাগায় আচ্ছন্ন করে।

সন্ধ্যা হয়ে যায়।রাস্তার

নিয়নবাতি গুলো জ্বলে ওঠে।অবন্তীর

হাতে বেলীর মালা।অন্তু ওর

পাশাপাশি হাঁটছে।হাত ধরার চেষ্টা করতেই

অবন্তী চেঁচিয়ে ওঠে।

-হাত ধরবা না।এটা তোমার শাস্তি।

-আজব!আবার কি করলাম?

-এতক্ষণ যে একসাথে ছিলাম তখন

একটাবারের জন্যেও কেন বলোনি আই

লাভ ইউ?

অন্তু দাঁড়ায়।অবন্তীও দাঁড়িয়ে যায়।

রাস্তার এ জায়গাটায় আলোআঁধারীর

খেলা।অন্ধকার কোণে কোনো এক

প্রেমিকযুগলের বাড়াবাড়ি চোখের কোণায়

ধরা পড়ে।সেদিকে পাত্তা দেয়না দুজনের

কেউই।অবন্তীর চোখের দিকে তাকায়

অন্তু।কয়েক মূহুর্ত কেবলই পলকহীন

অপেক্ষা।তারপর অন্তু বলে ওঠে-

ভালোবাসি তোমায় অবন্তী।

-এই কথাটা এতক্ষণে বললেন উনি।হুহ।

-আবার?অবন্তী প্লিজ আজকের

মতো অভিমান বাদ দাও।

-আমি যা করি তাতেই তুমি বিরক্ত হও।

অন্তু কথা বাড়ায় না।ওর খারাপ

লাগতে থাকে।হাঁটতে থাকে দুজন।

অবন্তী আলতো ছোঁয়ায় অন্তুর

হাতটা ধরতে যায়।অন্তু থমকে দাঁড়ায়।

অবন্তী অন্তুর চোখের

দিকে তাকিয়ে আবেগমাখা কণ্ঠে বলে ওঠে-

ভালবাসি তোমায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

অপ্রচলিত বলেছেন: খুব সুন্দর আবেগী লেখা। ১ম ভালো লাগা আর একগুচ্ছ প্লাসের শুভেচ্ছা। +++++++

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

রৌদ্র জলে স্নান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই :) :) :) :) :) :) :) :)

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

নাছির84 বলেছেন: বেশ লাগলো নিখাদ ভালবাসার লেখাটা। দ্বিতীয় ভাল লাগা+++

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

রৌদ্র জলে স্নান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.