![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধূমপান থেকে দূরে থাকি। যুদ্ধাপরাধী, ধর্ম ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, ধর্মদ্রোহী (মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, নাস্তিক ব্যক্তি যারা অন্য ধর্মের অবমাননাকারি) তাদের ঘৃণা করি। নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রত্যেকের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই
পরিচিত এক ভাইয়ের কিচ্ছুক্ষণ
আগে চাকরি চলে গেল। মসজিদের ইমাম
ছিলেন। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান।
অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছেন।
এতটা আত্মমর্যাদাশীল ছিলেন,
মাদ্রাসাতে ফ্রি পড়াশোনার
ব্যবস্থা থাকলেও, কখনও এ সুযোগ গ্রহণ
করেননি। তাঁর বাবার
একটি সিএনজি ছিল। এক
বেলা তিনি চালাতেন,
আরেকবেলা তাঁর বাবা। এভাবে নিজের
খরচ নিজে যুগিয়ে পড়াশোনা শেষ
করেছেন।
বেশিদিন হয় নি তিনি এ দায়িত্ব
পেয়েছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দেয়ার
কারন হল, তিনি নামাযের পর মিলাদ
পড়াতে রাজি হন নি। পরে মসজিদের
মুতাওয়াল্লি আরেকজনকে দিয়ে মিলাদ
পড়িয়ে তাঁর রুমে মিলাদের
মিষ্টি পাঠায়। এখানেও একটি চক্রান্ত
ছিল, যা আর বললাম না। কিন্তু সেটা আর
সফল হতে পারে্নি। ইমাম সাহেব
সে মিষ্টিও ফেরত দিয়ে দেন।
সারাজীবন অন্যের উপর
ছড়ি ঘোরানো মুতাওয়াল্লির আর
ধৈর্যে কুলালো না। মসজিদ কমিটির
বাকি সদস্যদের
ডেকে তাঁকে সরিয়ে দিলেন।
---
মুতাওয়াল্লি অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত
জিম্মাদার। আমাদের দেশে এ
শব্দটি মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তাদেরকে মসজিদের
মুতাওয়াল্লি বলা হয়।
সমাজে সবচেয়ে নিকৃষ্ট
মানুষগুলো সাধারণত এ সম্মানিত
পদে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন। সুদখোর,
ঘুষখোর, মাতব্বার, মন্ত্রী মিনিস্টারের
অমুক আত্মীয় - এগুলো হল
মুতাওয়াল্লি পদপ্রাপ্ত হওয়ার যোগ্যতা।
এদের মধ্যে কেউ কেউ নামাজই
পড়তে পারে না। আর যারাও পড়ে, তারাও
কেবল জুম্মার নামাজ। স্বার্থবাজ এ
সমাজপতিরা কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালেন,
মসজিদ সুন্দর হয়, সাধারন মানুষ বাহবা দেয়
আর এদিকে ইমাম মুয়াজ্জিন হয়ে পড়েন
তাদের গোলাম। ভাবখানা এমন, তাদের
কথায় ইমামকে উঠতে হবে, তাদের কথায়
বসতে হবে।
হা, এ চিন্তাধারা শতভাগ সঠিক,
এদেরকে মসজিদের
মুতাওয়াল্লি বানালে মসজিদের বাহ্যিক
উন্নতি হবে। এসি লাগবে, টাইলস বসবে।
কিন্তু যে উন্নতির জন্য মূলত মসজিদ নির্মিত
হয়, তা বাস্তবায়নের জন্য আসলেই
কি এরা যোগ্য? ভাবার সময় হয়
না আমাদের কারোই।
“নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ
আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর
প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম
করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত;
আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না।
অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত
প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” [আয়াত ১৮,
সুরা তাওবা]
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১০
রৌদ্র জলে স্নান বলেছেন: আপ্নার কমেন্ট টি ভালো লাগ্লো ভাই
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
নেবুলাস বলেছেন: শুনে খুবই খারাড় লাগলো। আল্লাহ ওনাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
নেবুলাস বলেছেন: *খারাড় না খারাপ লাগলো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১১
রৌদ্র জলে স্নান বলেছেন: ব্যাপার নাহ টাইপে ভুল হতেই পারে ভাই
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৪
rasel246 বলেছেন: আল্লাহর সঠিক পথে চললে কিছু বাধা ও কষ্ট হয়, কিন্তু সবসময় এর জন্য নয়। উপরক্ত বর্ণিত ইমাম আজকাল আমাদের দেশে দেখা যায় না। আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া রইল।
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০২
মেমননীয় বলেছেন: যে দিন মসজিদের ইমামরা চাকরি করা শুরু করেছেন সে দিন থেকে তারা ইমানি শক্তি হারিয়েছেন। বেতনভোগী কর্মচারীকে কেউ নেতা (ইমাম শব্দের অর্থ) হিসেবে মানতে চাইবেনা এটাই স্বাভাবিক। আর এ সব ইমামরা ন্যায় ও সত্য কথা বলতে ভয় পায়, কারন সে চাকরি করে এবং তা হাড়ানোর ভয় তার মাঝে কাজ করে।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৬
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: সেই ভাইয়ের জন্য কেবলই সমবেদনা রইল।
আমাদের সমাজটা আসলেই নষ্টদের কবলে চলে গেছে, সমাজের নিকৃষ্ট লোক সম্মানের জায়গায় বসে এ সম্মানকে কলংকিত করছে
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
পীরবাবা বলেছেন: শুনে খুব খারাপ লাগলো। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ ওই ভাইয়ের কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবেন।
আপনার কথায় পুরাটা বুঝিনি, কিছুটা মাথার উপর দিয়ে গেল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৪
ব্যর্থ মানুষ বলেছেন: দু:খজনক খবর।
আল্লাহ ওই ভাইয়ের কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবেন ইনশাল্লাহ।
সমাজটা নষ্ট হয়ে গেছে ভাই। সবখানেই খারাপ লোকদের দৌরাত্ম। ঘরে ঘরে আমরা খারাপ মানুষদের নিয়ে নাচানাচি করছি, মসজিদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই বা বাদ যাবে কেন।